নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্যাকারিন আবিস্কার ......

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২৩

স্যাকারিন আবিস্কার ......

ফ্যালবার্গ কন্সশটান্টিন (Fahlberg Constantine)নামের এক রুশ তরুণ বিঞ্জানী উলুইন নিয়ে গবেষণা করছিলেন। উলুইন হচ্ছে একটি যৌগিক পদার্থ। বয়সে তরুণ হলেও ফ্যালবার্গের একটা সমস্যা ছিল। তা হলো গবেষণা করতে করতে তিনি সব কিছু ভুলে যেতেন।
তিনি পেয়িং গেষ্ট থাকতেন একজন ভদ্রমহিলার বাড়িতে। একদিন খাবারের সময় খাবারের কথা ভুলে বসে আছেন ফ্যালবার্গ। গৃহকর্তী বিরক্ত হয়ে ফ্যালবার্গের গবেষণাগারে ঢুকে দু-চার কথা শুনিয়ে দিলেন। এক্ষুণি খেতে না এলে তাঁর জিনিস পত্র ভেঙে গুড়িয়ে দেবেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পিছু পিছু খাবার খেতে এলেন ফ্যালবার্গ। তবে খাবার মুখে দিতেই ফ্যালবার্গ অনুভব করলেন, যা-ই মুখে তুলছেন তা-ই মিষ্টি লাগছে। তিনি আবার মিষ্টি একদম পছন্দ করতেন না। গৃহকর্ত্তী রান্নায় চিনি ব্যবহার করছেন ভেবে তিনি প্রতিবাদ জানালেন।
কিন্তু গৃহকর্ত্রী তো রান্নায় চিনি ব্যবহার করেনি।
অতএব প্রতিবাদ সহ্য করবেন কেন? দৃঢ় কন্ঠে বললেন তোমার মুড আজ খারাপ হয়ে আছে। কোন ছাইপাশ খেয়েছো বুঝি? আমি রান্নায় একটুও চিনি ব্যবহার করিনি।

ফ্যালবার্গ তার কথা বিশ্বাস না করে রাগে গরগর করতে করতে বেরিয়ে গেলেন এবং আবার বসলেন গিয়ে তাঁর গবেষণাগারে। মাথা একটু ঠাণ্ডা হতেই, ভাবতে শুরু করলেন গৃহকর্ত্রীর কথা। তিনি যদি মিষ্টি ব্যবহার করে না থাকেন, তবে এতো মিষ্টি এল কোথা থেকে! ভাবতে ভাবতে নিজের অজান্তেই নিজের আঙ্গুল কামড়াচ্ছিলেন... হঠাৎ চমকে উঠলেন তিনি। এ-কী! হাতের আঙ্গুলে এতো মিষ্টি?
স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে কাজ ছিলো তার। তাই ঠিক কোন রাসায়নিক পদার্থটি হাতে লাগার দরুন এ মিষ্টতার উদ্ভব হয়েছে, তা তিনি ঠিক নিশ্চিত ছিলেন না। ল্যাবে তার ডেস্কের উপর থাকা রাসায়নিক পদার্থগুলো একে একে চেখে দেখা শুরু করলেন। অল্প সময়েই তিনি পেয়ে গেলেন তার কাঙ্খিত সেই মিষ্টি স্বাদের উৎস।
সালফোবেঞ্জয়িক এসিড, ফসফরাস ক্লোরাইড
আর অ্যামোনিয়ার এক মিশ্রণ থেকেই তিনি পেয়েছিলেন সেই কড়া মিষ্টি স্বাদ। সেইদিনই তিনি এই মিশ্রণগুলো জ্বালিয়ে তৈরি করেছিলেন বেঞ্জয়িক সালফাইনাইড। এটি নিয়ে আগেও কাজের অভিজ্ঞতা ছিলো ফাহ্লবার্গের। কিন্তু কোনোদিনই এর স্বাদ
চেখে দেখেননি।

এরপর আর দেরি করলেন না ফাহ্লবার্গ।
তার গবেষণা সুপারভাইজার অধ্যাপক রেমসেনের সাথে একটি সায়েন্টিফিক পেপার লিখলেন। ১৮৭৯ সালে প্রকাশিত সেইবপেপারে তাদের দুজনকেই স্যাকারিনের উদ্ভাবক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিলো। তবে কয়েক বছরের মাঝে স্যাকারিনের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বুঝতে পেরে ডিগবাজি দেন ফাহ্লবার্গ। ১৮৮৬ সালে করা স্যাকারিনের পেটেন্টে নিজেকেই এর একমাত্র আবিষ্কারক হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। আর এটা নিয়েই ফাহ্লবার্গের সাথে রেমসেনের গন্ডগোল শুরু হয়। ফাহ্লবার্গের কাজটি মূলত রেমসেনের গবেষণাগারেই হওয়ায় রেমসেন চেয়েছিলেন এর সহ-উদ্ভাবক হিসেবে অন্তত তার নামটি থাকুক। অন্যদিকে ফাহ্লবার্গের বক্তব্য ছিলো যে, এর আগেও তিনি সালফোবেঞ্জয়িক এসিড নিয়ে বেশ কিছু কাজ করেছেন। তাই উদ্ভাবনের কৃতিত্ব মূলত তারই।
রাসায়নিক গঠনানুযায়ী স্যাকারিনের নাম-
‘anhydroorthosulphaminebenzoic acid’। কিন্তু এমন নাম জনসাধারণ উচ্চারণ করতে গেলে দাঁত ভেঙে যাবে! তাই ফাহ্লবার্গ বেছে নিয়েছিলেন ‘Saccharin’ শব্দটি যা এসেছে ‘Saccharine (চিনির মতো)’ থেকে। Saccharine এসেছে ল্যাটিন শব্দ
‘Saccharon’ থেকে যার অর্থ ‘চিনি’। Saccharon আবার এসেছে সংস্কৃত শব্দ ‘শর্করা’ থেকে!

স্যাকারিন এর ব্যবহারঃ
ক্যালরি কিংবা কার্বোহাইড্রেটবিহীন বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য ও কোমল পানীয়ের মিষ্টিকারক হিসেবে ব্যবহার করা হয় স্যাকারিন। দুইটি বিশ্বযুদ্ধের সময়ই চিনির সংকটকালে ইউরোপে এর মূল বিকল্প ছিলো স্যাকারিন ডায়াবেটিসে
আক্রান্ত কিংবা যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছেন, তাদের জন্যও চিকিৎসকেরা কৃত্রিম এ মিষ্টিকারক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এছাড়া কোমল পানীয়, বিভিন্ন বেকারীতে প্রস্তুত খাদ্যসামগ্রী, জ্যাম, চুইং গাম, ক্যানে সংরক্ষিত ফল, ক্যান্ডি, সালাদ ইত্যাদিতে বর্তমানে ব্যবহার করা হয়।
চিনির চেয়ে প্রায় ৪০০ গুন বেশি মিষ্টি স্যাকারিন তৈরি হয় আলকাতরা থেকে প্রাপ্ত উলুইন নামক পদার্থ থেকে। যা ফাহল্বার্গের হাত না ধোয়ার ফলে আশীর্বাদ রুপে পাওয়া এ রাসায়নিক পদার্থটি!

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: ধন্যবাদ স্যকারিনের ইতিহাস জানানোর জন্য।
পোষ্ট টি মনে হয় ২ বার এসেছে।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ। এডিট করে দিয়েছি।

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আমার নানাকে দেখেছি দুধে চিনির পরিবর্তে স্যকারিন দিয়ে খেতেন েএবং প্রতিদিন।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

ছেলে বেলা আমি একবারে এক টেবিল চামচ স্যাকারিক খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে গিয়েছিলাম।

৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:২১

শ।মসীর বলেছেন: স্যাকারিনের কাহিনী জানলাম :)

৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩৭

ইসিয়াক বলেছেন: জানা ছিলো না স্যাকারিন আবিষ্কারের কাহিনী। জানলাম।
পোস্টে ভালো লাগা।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ্ধন্যবাদ।

৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মাসুদুর রহমান (শাওন) বলেছেন: আজকে প্রথম জানলাম এটা...

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৬

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৩

শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল লাগলো জেনে । আমি স্যাকারিনের উপর জীবন কাটাই । ধন্যবাদ ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৬

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৬

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ শামসীর।

৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২১

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ল্যাবে বানাইসিলাম, জন্মের মিষ্টি কইলাম। নাইচ পুস্ট।

৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৯

ঢুকিচেপা বলেছেন: আমাদের জীবনে স্যাকারিন শব্দটা খুব কমন অথচ কখনো এর আবিষ্কার সম্পর্কে জানার কৌতুহল জাগেনি। আজ বিষয়টা জেনে ভালো লাগলো এবং শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২৯

শায়মা বলেছেন: এভাবেই একদিন আবিষ্কার হয়েছিলো কত কিছু যা আমরা জানিও না ভাইয়া। থ্যাংক ইু সো মাচ এই লেখাটা দিয়ে জানানোর জন্য।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ্ধন্যবাদ শায়মা।

১১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: নতুন একটা বিষয় জানলাম।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৮

জুল ভার্ন বলেছেন: ্ধন্যবাদ।

১২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গল্পটা যদিও জানা তবে আজ আরও একবার পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে।

নিরন্তর শুভেচ্ছা ভাইজান আপনাকে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৮

জুল ভার্ন বলেছেন: ্ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৮

এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: প্রাঞ্জল ভাষায় ইতিহাসের বর্ণনা ভালো লাগলো :)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: ্ধন্যবাদ।

১৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪৬

সোহানী বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম ++

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: ্ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.