নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
‘ঠান্ডা গোশত’....
সাদাত হাসান মান্টোর ‘ঠান্ডা গোশত’ পড়লাম।
এত জীবন্ত লেখনি, মনে হয় এইমাত্র চোখের সামনে ঘটনাগুলো ঘটল!
'ঠান্ডা গোশত' মূলত সাদাত হাসান মান্টোর লেখা জনপ্রিয় একটা গল্পের নাম। সেই গল্পের নামেই এই গল্পগ্রন্থটির নামকরণ করা হয়েছে। উক্ত গল্পটি ছাড়াও নির্বাচিত আরো সাতটি গল্প আছে বইটিতে৷ গল্পগুলো হচ্ছে- 'খুলে দাও', 'কালো সালোয়ার', 'শাহদৌলার ইঁদুর', 'টোবা টেক সিং', 'লাইসেন্স', 'গুরমুখ সিং এর উইল', 'খোদার কসম' এবং 'ঠান্ডা গোশত'।
সবগুলো গল্পই ভালো লেগেছে। এক একটা গল্প পড়েছি আর নির্বাক হয়ে বসে থেকেছি। একদম হৃদয়ের গভীরে নাড়া দিয়েছে প্রতিটা গল্প। যদিও গল্পগুলোয় উপস্থাপনে সেভাবে কোনো অলংকার নেই, জটিল বাক্য নেই, জ্ঞানদান নেই কিন্তু আছে অসাধারণত্ব!
ভালো লাগা উক্তিসমূহঃ
* "লোকেরা নিজেদের ভাগ্য ফেরানোর জন্য এমন এক ফকিরের কাছে ধর্না দেয় যার নিজের ভাগ্যই জং ধরা তালার মতো বন্ধ।"
* "Some people kiss as if they were eating watermelon."
* "মেয়েরা তো হয়ই কিছুটা অন্ধবিশ্বাসী।"
* "দুনিয়াতে এমন কিছু কথা আছে যা জিজ্ঞেস করতে হয় না, বুঝে নিতে হয়।"
* "If you cannot bear these stories then the society is unbearable. Who am I to remove the clothes of this society, which itself is naked. I don't even try to cover it, because it is not my job, that's the job of dressmakers."
* "দুনিয়াতে এমন মা কি সত্যিই আছে যে নিজের বাচ্চাকে চিরদিনের জন্য আলাদা করে রাখতে পারে।"
* "এমন অনেক মেয়েই আছে যারা পরাজয়ের কথা স্বীকার করবে। কিন্তু হাজারও লক্ষ মেয়ে আছে যারা মনে মনে এমন পরাজয় হাজার বার মেনে নিয়েছে।"
* "ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়া শব্দটা তো রোমান্টিক একটা শব্দ। যেখানে নারী এবং পুরুষ দুই-এরই মতামত থাকে। ভেগে যাওয়া তো এমন এক খাদ, যেখানে ঝাপ দেয়ার আগে দুজনের সপ্তরিপু একবার ঝনঝন করে নেচে ওঠে৷"
* "বেশ্যাখানায় কোন হিন্দু-মুসলমান হয় না। বড় বড় ব্রাম্মণ পণ্ডিত আর মৌলভীও এখানে এসে উন্মাদ হয়ে যায়।"
পাঠ - প্রতিক্রিয়াঃ-
মান্টোর নাম অনেক শুনলেও পরিপূর্ণ ভাবে পড়েছি 'ঠান্ডা গোশত' বইটি। মান্টোর লেখা পাঠককে নতুন করে ভাবতে শিখাবে। জীবনের অন্য রূপটাকে দেখতে শিখাবে। মান্টোর গল্পগুলো জীবনবোধের কথা বলে, মানুষের চরম অসহায়ত্বের কথা বলে, নারী সত্ত্বার বেঁচে থাকাটাই যে একটা অভিশাপ সেই কথা বলে, সমাজের অন্ধকার দিকের কথা বলে, মানুষের ভেতরের রূপটাকে ফুটিয়ে তুলে এবং সাম্প্রদায়িকতার কথা বলে।
আর হ্যা, বলে নেয়া ভালো যে মান্টোর লেখা পড়া এবং ধারণ করার জন্য মানসিক শক্তির দরকার। কেননা যেই গল্পই পড়েন না কেন পুরোটা গল্পই একদম সহজ-স্বাভাবিক মনে হলেও একটা লাইনে আপনি এমন ধাক্কা খাবেন যে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে যাবেন। তবে দাংগাবাজদের কাছে ভালো লাগবেনা, কারণ সাম্প্রদায়িক দাংগাবাজদের মুখোশ মন্টো তার লেখায় খোলাসা করে দিয়েছেন। এই বইটি পড়লে ইন্ডিয়ায় বর্তমান মুসলিম নিধন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকালীন সময়ের অবস্থাটা বুঝবেন এবং গল্পগুলার গভীরতা আপনি মাপতে পারবেন। তবে দেশভাগ সংক্রান্ত লেখা যদি আগে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই গল্পগুলো আপনাকে নতুন করে ভাবাতে বাধ্য করবে।
অনিক শাহরিয়ার বইটি অনুবাদ করেন এবং আনন্দম প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে৷
সাদাত হাসান মন্টোর ‘ঠান্ডা গোশত’ গল্প গ্রন্থের সবকয়টি গল্পের সারাংশঃ
আগেই বলেছি -'ঠান্ডা গোশত' গল্প গ্রন্থে মোট আটটি গল্প আছে৷ গল্পগুলো হচ্ছে- খুলে দাও, কালো সালোয়ার, শাহদৌলার ইঁদুর, টোবা টেক সিং, লাইসেন্স, গুরুমুখ সিং এর উইল, খোদার কসম এবং ঠান্ডা গোশত। গল্প গ্রন্থের ধারাবাহিকতায় প্রতিটি গল্পের সার অংশ তুলে ধরছিঃ-
'খুলে দাও' -গল্পে বৃদ্ধ সিরাজউদ্দিন রিফিউজি ক্যাম্পের ঠান্ডা মাটিতে শুয়ে আছেন। চারিদিকে প্রচন্ড কোলাহল কিন্তু সিরাজউদ্দিন কিছুই শুনতে পাচ্ছেন না। বারবার তার চোখে ভাসছে একটা ভয়ংকর দৃশ্য। আগুন, লুটপাট, মানুষের ছোটাছুটি, একটা স্টেশনে প্রচন্ড গোলগুলি...তারপর রাত এবং সখিনা। ঐ সময়টাতেই সিরাজউদ্দিন বউ সখিনার মা নিজের প্রাণ দিয়ে সিরাজউদ্দিনকে বলেছিল সখিনাকে নিয়ে পালিয়ে যেতে। পালানোর সময় খেয়াল ছিল না কিন্তু যখন এই রিফিউজি ক্যাম্প এলো সিরাজউদ্দিন তখন কোথাও খুঁজে পেল না সখিনাকে৷
'কালো সালোয়ার' - খোদাবক্স একজন ফটোগ্রাফার৷ইংরেজদের ছবি তুলেই আয় রোজগার করে৷ কোন একভাবে তার সুলতানার সাথে পরিচয় হয় এবং তারপর থেকে দুজনে একসাথেই থাকে। আম্বালায় দুজনেরই ব্যবসা বেশ ভালোই জমে উঠেছিল। সুলতানার দেহব্যবসায় খদ্দেরের অভাব পড়ে না আর ফটোগ্রাফিতে ইংরেজ বাবুদের কাছে খোদাবক্সের নামের জুড়ি মেলা। অজানা এক কারনে খোদাবক্স সুলতানাকে সাথে নিয়ে দিল্লী চলে আসে। কিন্তু দিন যায়, সপ্তাহ যায়, মাস যায় জমানো টাকা এমনকি সুলতানার গয়নাগুলো পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে হয় কিন্তু তাদের ধান্ধা বা ব্যবসা আর জমে না। সামনেই মহরম তাই সুলতানা খোদাবক্সের কাছে অনুনয় করে একটা কালো সালোয়ারের জন্য৷ কিন্তু খোদাবক্সের কাছে একটা ফুটাপয়সাও নেই।
'শাহদৌলার ইঁদুর' - সেলিমার বিয়ে হয়েছিল একুশ বছর বয়সে। কিন্তু বিয়ের পাঁচ বছর হয়ে যাওয়ার পরও সেলিমার কোন ছেলেপেলে হয়নি। এ নিয়ে সেলিমার দুঃখের কোন সীমা নেই। সেলিমার থেকে বয়সে পাঁচ বছরের ছোট ফাতেমার কোলেও একটা ফুটফুটে সন্তান আছে অথচ এই মেয়েকে সবাই বন্ধ্যা ডাকতো। ফাতেমা জানায়, গুজরাটে শাহদৌলার মাজারে প্রার্থনা করলে সন্তান হয় তবে প্রথম সন্তান শাহদৌলা সাহেবের জন্য কুরবান করতে হয় মানে সেখানে রেখে আসতে হয়। কথামতো কাজ করে সেলিমার সন্তান আসে তার কোলজুড়ে কিন্তু শর্ত মানতে নারাজ সেলিমা। নাড়ি ছেড়া সন্তানকে কোন মা পারবে এভাবে ফেলে রেখে আসতে? সেলিমা তাই ভাবে।
'টোবা টেক সিং' - দেশ বিভাগের ২/৩ বছর পর দুই দেশের সরকারেরই হঠাৎ করে মনে হলো দেশের নাগরিকদের সাথে পাগলদের ভাগ করা হয়নি। তাই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো একটা নির্দিষ্ট দিনে হিন্দু পাগলদের হিন্দস্তানে আর মুসলিম পাগলদের পাকিস্তানে পাঠানো হবে। এই খবর শুনে পাগলরা আরো বেশী পাগলামী শুরু করলো। এদের মধ্যে একজন ছিলেন ভিসন সিং। তবে সবাই তাকে টোবা টেক সিং নামেই চিনে। কেননা কথিত আছে, টোবা টেক নামক জায়গার জমিদার ছিল সে। একদিন হঠাৎ করেই মাথায় গণ্ডগোল দেখা দেয়। তারপর থেকেই এই পাগলাগারদে পড়ে আছে। হিন্দুস্তান আর পাকিস্তান নামক এই দ্বন্দ্বে টোবা টেক সিং আরো অনেক বেশী চিন্তিত হয়ে পড়ে তার টোবা টেক নামক ঐ জায়গা নিয়ে। কিন্তু কেউ বলতে পারে টোবা টেক কোথায় পড়েছে।
'লাইসেন্স' - অব্বু একজন কোচোয়ান। ওর ঘোড়া আর টাঙ্গার খ্যাতি শহরজোড়া। একদিন নিতি নামক এক সুন্দরী অব্বুর টাঙ্গায় চড়ে বসে৷ আর ঠিক তখনি অব্বু ঠিক করে নেয় এই মেয়েকেই বিয়ে করবে৷ নিতিও মনে মনে রাজি হয়ে যায়। সুখেই কাটে দুজনের সংসার। কিন্তু হঠাৎ একদিন নিতির পরিবার মামলা ঠুকে দেয় অব্বুর নামে। অব্বুর জেল হয়ে যায়। অব্বুর টাঙ্গা চালিয়ে রোজ সন্ধায় এসে পয়সা দিয়ে যেত দীনা। কিন্তু অসুস্থতায় অব্বু যেদিন মারা গেল তারপর থেকেই দীনা নিতিকে বিবাহের প্রস্তাব দিতে লাগলো। নিতি একের পর এক কোচোয়ানের দ্বারস্থ হয় কিন্তু দিনশেষে সবাই নিতিকে বিবাহ নাহয় শরীর ভোগের প্রস্তাব দেয়।
'গুরমুখ সিং এর উইল' - মিয়া আব্দুল হাই অবসরপ্রাপ্ত সাব-জজ। এক ছেলে আর এক মেয়ে নিয়েই তার সংসার। আর আছে পরিবারের বেশ পুরানো এক বৃদ্ধ চাকর। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলছে, ক্ষণে খুন-খারাবী, রাহাজানি হচ্ছে। থেকে থেকে ভেসে আসে 'হর হর মহাদেব' কিংবা 'আল্লাহু আকবার' স্লোগান। এ এক ভয়ঙ্কর অবস্থা। মিয়া সাহেব ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে পড়েন, ওদিকে বাড়ির বৃদ্ধ চাকরটাও চলে যায় কোথাও, মেয়েটা বয়সে বড় তাই ছোট ভাই আর বাবাকে নিয়ে বেশ চিন্তায় ভুগছে ও। এমনি সময় দরজার কড়া নাড়ে কেউ।
'খোদার কসম' - সময়টা উনিশ'শ আটচল্লিশের শুরু। খুব সম্ভবত মার্চ মাসের ঘটনা। এক অফিসারের মুখে একটা গল্প শুনেছিলেন গল্পকথক। নতুন শহরে এসে সে এক বৃদ্ধা মুসলমানকে দেখেছিল। উদাস চোখ, ময়লায় জটপাকানো চুল, পরনে জোড়াতালি দেয়া কাপড়। না নিজের প্রতি, না জগত সংসারের প্রতি মহিলার কোন খেয়াল আছে। কিন্তু তার চোখ দেখেই বুঝা যায় সে কাউকে তন্ন তন্ন করে খুঁজছে।
'ঠান্ডা গোশত' - ঈশ্বর সিং এর সাথে কুলবন্ত করের একটা সম্পর্ক আছে। হোক তা দৈহিক, হোক তা মনের দিক থেকে। তবে দেখতে বড়সড় কুলবন্তকে মাঝে মাঝে ভয় পায় ঈশ্বর সিং নামক শক্তপোক্ত ঐ পুরুষ মানুষটাও। রাত বাড়ে প্রেমের মাতালতা বৃদ্ধি পায়, কুলবন্তের দেহ নেশাচরের মতো পেতে চায় ঈশ্বর সিংয়ের স্পর্শ। কিন্তু শত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ঈশ্বর সিং দৈহিক সুখ দিতে অপারগ হয় আর সেই রাগে ক্ষোভেই ঈশ্বরের গলায় কৃপাণটা চালিয়ে দেয় কুলবন্ত। ফিনকি দিয়ে ছোটে রক্ত। একটা দাঙ্গার ঘটনা শেষ মুহূর্তের কলমের আঁচরে কোথায় নিয়ে যেতে পারা যায় এই গল্পটা তার উদাহরণ।
০৬ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি সবসময় মুগ্ধ।
২| ০৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ওমন মাও আছে.... সারাজীবন সন্তানদেরকে দূরে রাখতে পারে।
০৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন:
৩| ০৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:১৩
রেজাউল করিম সাগর বলেছেন: আমার প্রিয়তম লেখকদের মধ্যে একজন সাদাত হাসান মান্টো! এমন চোখা কলমের মালিক হইতে পারা আসলেই অসাধারণ ব্যাপার।
০৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
৪| ০৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক হলেও সত্য, এই লেখকের কোনো লেখা আজও পড়ি নি।
নিজের দৈন্যতা আমাকে কষ্ট দেয়।
০৭ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: পড়লে আরো আপসোশ হবে-কেনো আরো আগে পড়িনি বলে!
৫| ০৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:০৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: গল্পগুলো ভালো হয়েছে মনে হয় আপনার লেখা পড়ে । আপনি সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন
০৭ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: মূলত গল্পগুলো যত ভালো আমি তার খুবই কম বর্ণনা করতে পেরেছি।
৬| ০৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৩৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: আজ খুব মান্টোর কথা মনে হচ্ছিল। আপনার লেখাটা দেখে ট্যালিপ্যাথির মতন মনে হলো । এত গভীরতা যার লেখায়।
এক সময় মান্টোর গল্পগুলো পড়া হতো খুব বেশি। বিছানার পাশে মান্টো আর কৃষণ চন্দর থাকত সব সময়।
ঠাণ্ডা গোস্ত গল্পের উপর একটা সিনেমা দেখেছিলাম তিন চার বছর আগে। প্রায় ভুলে যাওয়া গল্পের স্মৃতিতে তীক্ষ্ণ ছড়ের টান পরেছিল। তারপর থেকে আবার পড়ার ইচ্ছা কিন্তু বই কই পাই।
আপানার ছোট ছোট বিবরন আবার মনে পরে গেল।
আহা্ লাইসেন্স গল্পের কাহিনী থেকে কি এখনও নারী বেড়িয়ে আসতে পেরেছে।
০৭ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: মন্টোর গল্পগুলো পুরোনো হয়ে গিয়েছে কিন্তু ঘটনাগুলো আজও সমাজে বিদ্যমান।
৭| ০৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৩৩
কল্পদ্রুম বলেছেন: দেশভাগকে সাহাদাত হাসান মান্টো মেনে নিতে পারেননি। ধর্মীয় গোঁড়ামি নিয়ে তাই দুই পক্ষকেই সমানতালে বেইজ্জতি করেছেন তার লেখায়৷ফলে লোকটা কোনদিকেই তেমন প্রিয়পাত্র হয়ে উঠতে পারেননি। প্রিয়পাত্র হওয়া যে তার জন্য জরুরি ছিলো না। সেটার প্রমাণ পাওয়া যায় তার লেখা এত বছর পরেও টিকে আছে। এই যুগেও আমরা তার লেখা পড়ে বুঝতে পারছি।
০৭ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: এক লাইনেই মন্টোর সঠিক মূল্যায়ণ করেছেন।
ধন্যবাদ।
৮| ০৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৪৬
মা.হাসান বলেছেন: মান্টোর লেখা পড়া এবং ধারণ করার জন্য মানসিক শক্তির দরকার।
খুব সত্য কথা।
৬ এবং ৭ নম্বর মন্তব্যে লাইক।
সাম্প্রদায়িকতার কথা মনে হলে কেন যেন আমার আনোয়ার পাশার কথা মনে পড়ে যায়। কৃষণ চন্দ্র বা মান্টোর মতো শক্তিশালী না, তবে আমার সময়ের সাথে অনেক বেশি রিলেট করতে পারি।
০৭ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: কৃষণ চন্দর-মন্টো দুজনেই একই ধাচের লেখক হলেও মন্টোর লেখায় সার্পনেস অনেক বেশী।
আনোয়ার পাশার বই আমার পড়া হয়নি। পড়ার জন্য বই খুঁজবো।
ধন্যবাদ।
৯| ০৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:১৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: মান্টোর জীবনটাই একটা মস্ত গল্পো। প্রতিটিা গল্পই সুন্দর। শেয়ারে ধন্যবাদ।
০৭ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ০৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৩৯
জুন বলেছেন: আপনার লেখায় মান্টোকে আবার পড়া হলো । বই এর পোকা আমি এক সময়ে অনেক বই পড়েছি তাঁর মাঝে সাদাত হোসেন মান্টো আর কৃষন চন্দর ও ছিল, বিশেষ করে আমি গাধা বলছি এক সময়ে আলোড়ন তুলেছিল পাঠক মহলে।
+
০৭ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:২৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার পাঠাভ্যাস সম্পর্কে আমরা পুরনো বন্ধুরা ওকিবহাল! আমি নিশ্চিত আমার এমন কোনো বই নেই যা আপনি পড়েননি। কিন্তু আমি নিশ্চিত, আপনি পড়েছেন এমন অনেক বই আছে যা আমি পড়া দুরের কথা-নামও শুনিনি! অনেক অজানা বিখ্যাত বইয়ের রেফারেন্স আপনার থেকে ইতিপূর্বে পেয়েছি। লেখালেখির মতো পড়ায়ও আপনি অনেক অনেক বেশী এগিয়ে।
শুভ কামনা।
১১| ০৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৪৪
কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার লেখা ভাল হয়েছে! মান্টোর কোন লেখাই আমার পড়ার সুযোগ হয়নি!
০৭ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১২| ০৭ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৬
অপু তানভীর বলেছেন: এই বইটা পড়া হয় নি । আপনার রিভিউ পড়ে পড়তে ইচ্ছে হল ।
বই আগে পড়ে নিই। তারপর আপনার রিভিউটা আরেকবার মিলিয়ে নিবো !
০৮ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৩০
শাহ আজিজ বলেছেন: খুব ভাল একজন লেখক মানটো । খুব বাস্তব ভিত্তিক ঘটনাবলি নিয়েই যার অসাধারন বিচরন । ৪৫ বছর আগে ওর গল্প পড়ে মুগ্ধ আমি , ঠাণ্ডা গোশত ।