নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

Parenting styles and their effects on children .......

০৭ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৩০

Parenting styles and their effects on children .......

ছেলেমেয়ে মানুষ করার ধরণ এবং ছেলেমেয়ের ওপর তার প্রভাব
"যদি আপনার সন্তান কখনোই আপনাকে অপছন্দ না করে থাকে, তবে আপনি কখনওই অভিভাবক হন নি"
সাধারণত প্রত্যেক শিশুর প্রাথমিক তদারককারী তার বাবা মা-ই হয়ে থাকেন। ফলে শিশুর জীবনের একেবারে গোড়া থেকেই তাদের প্রভাব অত্যন্ত গভীর এবং সুদূরপ্রসারী হয়ে থাকে। অভিভাবকেরা কিরকম স্টাইলে parenting করবেন, তার ওপর শিশুর ব্যক্তিত্বের গঠন অনেকটাই নির্ভর করে। বিশেষ করে তাদের আত্মমূল্যায়ন ও আত্মবিশ্বাস এর ওপর বাবামায়ের প্রভাব সাংঘাতিক। জীবনের সফরে তারা কিরকম করে নিজেদের চালনা এবং প্রকাশ করবে, তা অনেকটাই অভিভাবকেরা নিজেদের অজান্তেই ঠিক করে দেন।
ছেলেমেয়ে মানুষ করার ধরণ বা Parenting style বেশ কয়েক রকমের হয়ে থাকে। মোটের ওপর যে কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে তা হয়, তা হলো:
১. Responsiveness vs unresponsiveness / সন্তানের মানসিক শারীরিক এবং আবেগের চাহিদার প্রতি সংবেদনশীলতা বা সাড়া দেওয়ার প্রবণতা কেমন।

২. Demanding vs undemanding / সন্তানের জন্য যেসব নিয়ম বেঁধে দেন, সেগুলির পালন হওয়ার কতটা প্রত্যাশা করেন এবং পালন না হলে যেসব পদক্ষেপ নেন তার ধরণ কেমন..
এর ওপর ভিত্তি করে parenting style কে চার প্রকারের বলে ধরা হয়:

১. Authoritative: এরা সন্তানের কাছে পরিমিত এবং ন্যায্য দাবি রাখেন। তার আশা আকাঙ্খা ভালো মন্দ অসুবিধে প্রশ্ন এসবে রীতিমতো উষ্ণ সাড়া দেন। নিয়মশৃঙ্খলার বিষয়ে এরা রাশ আলগা না করলেও একরোখা নন। সন্তানের সাথে এ নিয়ে আলোচনা করেন, তাকে ব্যাখ্যা করে বোঝান। পরিস্থিতি সাপেক্ষে শিথিল বা নমনীয় হতে পারেন। অন্ধ আনুগত্য প্রত্যাশা করেন না। গা জোয়ারী শাস্তির বদলে সদর্থক মানবিক পদক্ষেপ নেন।
এদের সন্তানদের যথেষ্ট সক্ষম, হাসিখুশি এবং সফল হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। এছাড়াও এদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ সবচাইতে সুন্দর হয়। এদের ব্যবহার যথেষ্ট ভালো হয়। সহমর্মিতা ও সহযোগের গুণাবলী দেখা যায়। বাবামায়ের সাথে সন্তানের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সমস্ত শিশু বিশেষজ্ঞ মোটামুটিভাবে একমত যে এই স্টাইলটিই সাধারণভাবে সবচেয়ে উপযোগী, কাঙ্খিত এবং graceful ও বটে।

২. Authoritarian or Disciplinarian: এদের সন্তানের কাছে খুব বেশিরকম প্রত্যাশা বা দাবি রাখেন। কিন্তু তাদের সুবিধে অসুবিধে এসবে তেমন সাড়া দেন না। অত্যন্ত কড়া এবং শীতল প্রকৃতির হন। নিঃশর্ত ও প্রশ্নহীন আনুগত্য দাবি করেন। "আমি বলছি, অতএব করবে" এরকম ফরমান জারি করেন। হুমকি দেওয়া, অপদস্থ করা এবং অন্যান্য কঠোর শাস্তির মাধ্যমে সন্তানের ভালো করতে চান। সন্তানের আবেগকে খুব একটা কনসিডার করেন না। সন্তানের প্রতি আবেগ প্রদর্শনকে নিজের চারিত্রিক দুর্বলতা মনে করেন।
এদের সন্তানদের মধ্যে সামাজিক মেলামেশায় অপটু হওয়ার, ও অকর্মণ্য হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। নিজেদের ঠিকমতো প্রকাশ করতে পারে না। পরিণত বয়সে সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধাগ্রস্থ হয়, ভালোমন্দের বিচার ঠিকমতো নিজে করতে শেখে না। এছাড়াও তারা হীনমন্যতা টেনশন ও ডিপ্রেশনেও ভোগে।

৩. Permissive বা Indulgent type: এরা সন্তানের কাছে তেমন একটা প্রত্যাশা করেন না। তাদেরকে তাদের মতোই চলতে দেন। খুব একটা পরামর্শ বা গাইডেন্স দেন না। তাদের সমস্ত আবেদনে বেশ ভালোরকমই সাড়া দেন। প্রায় বন্ধুর মতো মেশেন। সন্তানের নিয়মশৃঙ্খলা মানা নিয়ে সামান্যই মাথা ঘামান। অনেকের মতে এরা সন্তানের কাছে অপ্রিয় হতে চান না, তাই না বলতে পারেন না। ফলে নিয়ম না মানা বা দুর্ব্যবহারের পরিণতি সম্পর্কে তারা সচেতন হতে পারে না।
এদের সন্তানেরা খুব একটা স্ট্রেসের মধ্যে থাকে না। তবে তাদের মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণ ও নিয়মশৃঙ্খলা মানার বিষয়ে যথেষ্ট ঘাটতি দেখা যায়। এরা প্রচণ্ড বায়না বা দাবী করে থাকে। সময়ের সদ্ব্যবহার করতে পারে না। প্রাপ্তি বা সাফল্য কমই হয়। অসামাজিক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।

৪. Uninvolved or Neglectful type: এরা সন্তানের একেবারে ন্যূনতম চাহিদা যথা খাবারদাবার, জামাকাপড় এবং আশ্রয়ের বাইরে অন্যান্য প্রয়োজনের প্রতি উদাসীন বা নিস্পৃহ হন। সন্তানের কাছ থেকে তেমন কিছু আশাও করেন না। এটা যে ইচ্ছে করে করেন সবসময় তা নয়। কারও কারও এটা স্বভাবগত, কেউ হয়তো মনরোগে ভোগেন, কেউ কেউ জীবনযুদ্ধে ভীষণই বিধ্বস্ত থাকেন।
এদের সন্তানেরা অল্প বয়সেই কিছুটা আত্মনির্ভরশীল হয় এবং নিজের কাজ নিজেই করতে শেখে। তবে অভিভাবকের সাথে বিশেষ আবেগের সম্পর্ক গড়ে ওঠে না। বহু ক্ষেত্রেই নিজেরা বাবা মা হলে নিজের সন্তানের প্রতিও একধরণের নিস্পৃহ থাকে।

সন্তানকে নিয়ে বাবা মায়ের প্রাথমিক পরিকল্পনা যা হওয়া সমীচীনঃ
সৃষ্টিকর্তা কোন দম্পতিকে যখন একটি সন্তান দেন তখন সেই দম্পতি সন্তানকে নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করেন। সন্তানকে ডাক্তার বানাবেন, ইঞ্জিনিয়ার বানাবেন, প্রফেসর বানাবেন, ব্যাংকার বানাবেন- ইত্যাদি। এই ধরণের পরিকল্পনা খারাপ কিছু নয়। তবে এই পরিকল্পনা করার আগে সন্তানকে নিয়ে প্রাথমিক যেই পরিকল্পনা করা সমীচীন সেটি হচ্ছে—“সন্তানকে সত্যবাদী বানাবো, আদব কায়দা শিখাবো, গুরুশ্রদ্ধা শিখাবো, নির্লোভ হওয়ার শিক্ষা দিবো, অহিংসার ধারক হওয়ার শিক্ষা দিবো, নিরহংকার হতে শিখাবো, সময়ানুবর্তিতা-নিয়মানুবর্তিতা- শৃংখলা শিখাবো, গঠনহীন সমালোচনামুক্ত হওয়া শিখাবো, সার্বজনীন মৌলিক সদাচরণসমূহ শিখাবো, সর্বোপরি সৃষ্টিকর্তাকে ভয় করা শিখাবো"- ইত্যাদি। ইতিবাচক এসব মৌলিক বিষয়াদি না শিখিয়ে যদি সন্তানকে শুধু ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রফেসর, ব্যাংকার……..ইত্যাদি বানানো হয় তাহলে সেই সন্তান পরবর্তীতে বাবা মায়ের জন্য ‘সাহেব’ সাজার সম্ভাবনাই বেশী কারণ তখন মানুষ হওয়ার মৌলিক মানদন্ড সন্তানের জীবনে কাজ নাও করতে পারে। নোংরা বীজটা বাবা মা নিজেরাই শৈশবে সন্তানের মধ্যে অজান্তে রোপন করে দেন।

সচেতন অভিভাবকেরা চাইলে নিজেদের parenting style বদলাতে বা ফাইন টিউনিং করতেই পারেন। এতে করে তারা নিজেরাও যেমন আরও সুন্দর হয়ে উঠতে পারেন, তেমনি নিজের সন্তানকেও আরও সুন্দরও সফল হতে সহায়তা করে পৃথিবীকে উপহার দিতে পারবেন।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:১৫

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে পোস্ট করেছেন।শিশুর মানসিক বিকাশ ও বেড়ে ওঠায় সঠিক প্যারেন্টিং এর গুরুত্ব বেশি।

০৮ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৫৯

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৭ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩২

অক্পটে বলেছেন: ভাল লেখা, ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

০৮ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৫৯

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০৭ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযুগী লেখা।

০৮ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৫৯

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০৭ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০২

অন্তরন্তর বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট। একটা কথা আপনার সাথে দ্বিমত করি তাহলো সৃষ্টিকর্তাকে ভয় না ভালবাসতে শিখাবো। আমি দেখি আমাদের ধর্মীয় বক্তারা বেশিরভাগ শুধু ভয় আর শাস্তির কথা বলেন কিন্তু ভালবাসার কথাটা খুব কম বলেন।ভয় কচি মনে খারাপ প্রভাব ফেলে বলে আমার মনে হয়। অনেক শুভ কামনা।

০৮ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে দ্বিমত করছিনা।

ধন্যবাদ।

৫| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: পিতা মাতার সব কিছুই ছেলেমেয়েরা পায়। একজন শিশুর সব রহস্য লুকিয়ে থাকে ডিএনএ'তে।

চারটা পয়েন্টই গুরুত্বপূর্ন।

০৮ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৩:১২

অনল চৌধুরী বলেছেন: বাংলাদেশের বেশীরভাগ অভিববাবক সন্তান মানুষ করার অযোগ্য।
অত্যাচারী অবিভাবকদের শাস্তির ব্যাবস্থা এবং তাদের কাছ থেকে সন্তানের দায়িত্ব নিয়ে রাষ্ট্রে পরিচালনায় বড় করার নিয়ম চালু করা উচিত।

০৮ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:০২

জুল ভার্ন বলেছেন: রাস্ট্রের চাইতে পরিবার লক্ষ কোটিবার ভাল।

৭| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

০৮ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৫৩

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৩৬

নীল আকাশ বলেছেন: এটা নির্বাচিত পোস্ট হবার মতোই লেখা। আমি নিজেও এটাকে আরেক জায়গায় নির্বাচিত করেছি।
অসাধারণ লেখা।

০৯ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৫৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

আমার লেখা নির্বাচিত/ অনির্বাচিত, কেউ পড়লো কিম্বা পড়লোনা-তা নিয়ে ভাবিত নই।

৯| ১২ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৪:০২

অনল চৌধুরী বলেছেন: রাস্ট্রের চাইতে পরিবার লক্ষ কোটিবার ভাল- এজন্যউ রাষ্ট্রের তত্বাবধানে বড় হয়ে উন্নত দেশের লোকজন সৎ নীতিবান দেশপ্রেমিক আর বিদেশে আগ্রাসনের সমর্থক হয়।
আর বাংলাদেশের পরিবারে বড় হয়ে লোকজন এসব করে নিজেদের দেশের মানুষের উপর।

১৩ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৩৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ১৮ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩৩

করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। সাম্প্রতিক কালে নানা ঘটনা দেখে মনে হয় কোথায় গোলমাল... Parenting খুব গুরুত্বপূর্ণ সন্তানের মানস গড়ে দেবার জন্য। পরিবেশের প্রভাব আছে, কিন্তু মানুষের আচরণ কেমন হবে এটা মনে হয় নির্ভর গড়ে বেড়ে ওঠার সময় সে কেমন Parenting পেয়েছে তার উপর। মাঝে মাঝে তখন শুনি সন্তান বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায়, তখন ভাবি এদের Parentingএ গলদ কোথায় ছিল... সন্তানেরা বড় হয়ে যাবার পর এখন ভাবি Parenting এ কী কী অন্যরকম করলে ভালো হতো...

চমৎকার পোস্টে লাইক।

১৮ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যটা আমার পোস্টকেই সমৃদ্ধ করেছে।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.