নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
আরব্য রজনীর গল্প শুরুর গল্প....
'আরব্য রজনী'র গল্প কমবেশী সবাই পড়েছেন৷ ১০০১ টা না পড়ুক- আলিবাবা, আলাদিন বা সিন্দাবাদের মতন বহুল পঠিত গল্প পড়েনি এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর৷ কিন্তু এই আরব্য রজনী শুরু হল কি করে?
বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম সেরা সম্পদ 'আলিফ লায়লা উল লায়লা' বা 'সহস্র এক আরব্য রজনী'। কোন নির্দিষ্ট লেখক বা কবির লেখা নয়। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লেখক বা কবির কল্পনায় সমৃদ্ধ হয়েছে এই কাহিনী। হিজরি তৃতীয় থেকে দশম শতাব্দী পর্যন্ত এর সৃষ্টিকাল। অপূর্ব সুন্দর এই গল্পগুলোর পরতে পরতে জড়িয়ে আছে প্রেম, ভালবাসা, ত্যাগ, বীরত্ব, মহত্ত্ব। অন্যদিকে ঘৃনা, হিংসা, ব্যাভিচার, নীচতার সম্যক পরিচয় পাওয়া যায়৷
বহু বছর ধরে মধ্য এশিয়াতেই আবদ্ধ ছিল এই গল্পকথা৷ ইউরোপের মানুষের সাথে প্রথম এর পরিচয় ঘটান এন্টনি গল নামে এক ইংরেজ৷ ১৭০৪ থেকে ১৭১২ পর্যন্ত মোট চার খন্ডে অনুবাদ করেন আরব্য রজনীর ইংরেজি অনুবাদ 'অ্যারাবিয়ান নাইটস্'।
রজনীর গল্পগুলো আরব দুনিয়া ঘুরে সংগ্রহ করে প্রথম সমগ্র গল্প যিনি আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় পরিচিত/ প্রকাশ করেন তিনি স্যার রিচার্ড এফ বার্টন৷ এছাড়াও ই ডব্লু লেনেও ইংরেজিতে অনুবাদ করেন বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম সেরা সম্পদ আলিফ লায়লা উল লায়লা বা সহস্র এক আরব্য রজনী৷ বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেছেন অনেকেই। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন - রবীন্দ্র জৈন, নিসার শাহ, শুভাষ গুপ্ত, চঞ্চল কুমার ঘোষ সহ আরো অনেকেই৷
পারস্যের সুলতানের প্রত্যেক রাতের বিয়ে আর সকাল হলেই নতুন বউকে শিরোচ্ছেদ করত। উপায় নেই দেখে সুলতানের উজিরের বড় মেয়ে নিজেই রাজী হয় সুলতানকে বিয়ে করতে...৷ সাথে সুলতানের অনুমতি নিয়ে সঙ্গে আনে ছোট বোনকে। প্রত্যেক রাতে একটা গল্প বলতে শুরু করত যা শেষ হতে হতে রাতভোর হয়ে যেত৷ ফলত বাকী অংশটুকু শুনতে আবার পরের দিনের জন্য বেঁচে যেত৷ এভাবে কেটে গেল ১০০১ রজনী। সৃষ্টি হল বিশ্ব সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ- এক সহস্র এক আরব্য রজনীর গল্প৷ কিন্তু এই গল্পের শুরুর শুরু কোথায়? সুলতান কেন রোজ নতুন নতুন বিয়ে করে সকাল বেলাতেই কতল করতো নব বিবাহিতা স্ত্রীকে?
পারস্যের সুলতানের দুই ছেলে, শাহরিয়ার আর শাহজামান৷ সুলতানের মৃত্যুর পর পারস্যের সিংহাসনে বসলেন শাহরিয়ার আর সমরখন্দের সিংহাসনে শাহজামান৷ বছর কুড়ি কেটে গেল। শাহরিয়ার তার ছোট ভাইকে দেখার ইচ্ছে হল। রাজ এত্তেলা নিয়ে সমরখন্দে ছুটে এলেন উজির শাহজামানকে নিমন্ত্রন করতে।
বড়ভাইয়ের আমন্ত্রন খুশীমনে গ্রহন করে উজিরের হাতে রাজ্যের শাসনভার বুঝিয়ে রওনা হলেন পারস্যের পথে। রাস্তায় হঠাৎ মনে পড়ল, বড়ো ভাইয়ের জন্য এক বহুমূল্যবান উপহার ভুলে ফেলে এসেছেন প্রাসাদে। তখন মাঝরাত। কাউকে সঙ্গে না নিয়ে একাই ফিরে এলেন প্রাসাদে।
প্রাসাদে ফিরে নিজের কামরায় ঢুকেই তাজ্জব! তারই বিছানায় রসুই ঘরের বাবুর্চির সাথে সঙ্গমে মত্ত তার প্রধান বেগম। বিশ্বাসঘাতকতা সহ্য হল না, তরবারীর কোপে দুজনের শিরোচ্ছেদ করে চুপিচুপি প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে পড়লেন। ভোর হওয়ার আগেই নিজের লোকলস্করের সাথে মিশে রওনা হলেন পারস্যের পথে৷ দীর্ঘ যাত্রার পর এসে পৌছলেন পারস্যে৷
বহুদিন পর ভাইকে পেয়ে খুব খুশী শাহরিয়ার৷ রাজ্য জুড়ে বইয়ে দিলেন খুশীর ফোয়ারা৷ কিন্তু শাহজামানের তাতে মন নেই৷ বিশ্বাসঘাতিনী বেগমের কথাই তার মনপ্রান জুড়ে৷ ভাইয়ের বিষন্নতা দেখে সুলতান জিজ্ঞাসা করলেন কি হয়েছে, কেন মন খারাপ? কিন্তু নিজের বেগমের বিশ্বাসঘাতকতার কথা বলতে সায় দিল না শাহজামানের মন৷ শাহরিয়ারও আর চাপাচাপি করলেন না৷ বরং আয়োজন করলেন শিকারের৷ কিন্তু শাহজামান রাজী হলেন না যেতে। অগত্যা সুলতান ভাইকে রেখেই চলে গেলেন শিকারে।
একাকি প্রাসাদে ঘুরে বেড়াচ্ছেন শাহজামান। মনপ্রান জুড়ে বেগমের কথা৷ ঘুরতে ঘুরতে এসে পড়লেন প্রাসাদের বাগানে৷ হঠাৎ দেখেন সুলতানের প্রধান বেগম উদ্যানে এলেন দশজন অপূর্ব সুন্দরী দাসী আর দশজন দাস নিয়ে৷ এসেই কিছুক্ষন পর একজন করে দাস দাসী উদ্যানের বিভিন্ন জায়গায় মেতে উঠল শারিরিক আনন্দে৷ একা হয়ে যাওয়ার পর বেগম ডাক দিলেন, "মুসাদ বেরিয়ে এসো..."।
বেগমের ডাকে বাগানের এক কোন থেকে বেরিয়ে এল বিশাল চেহারার কাফ্রী৷ বেগমের কাছে এসে তাকে মাটিতে শুইয়ে দুজনে মেতে উঠল আদীম খেলায়....
দেখে শিউরে উঠল শাহজামান। তার ভাইয়ের মতন পুরুষশ্রেষ্ঠর বেগমেরও এই অবস্থা! তার বেগমও দ্বিচারিনী? বিশ্বাসঘাতিনী শুধু একা তাঁর স্ত্রীই নন... এই দূর্ভাগ্য সকলেরই! ধীরেধীরে মনে প্রশান্তি ফিরে এল তার৷
পরেরদিন শিকার থেকে ফিরে ভাইকে হাসিখুশী দেখে খুশী হয় শাহরিয়ার। স্নেহের ভাইকে জিজ্ঞেস করল, "কি কারণে এক দিনেই-তোমার মন খুশী?"
সামান্য ইতস্তত করেও সমস্ত ঘটনা খুলে বলল শাহজামান৷ নিজের বেগমের কথা, বিশ্বাসঘাতকতা, জোড়া হত্যা, মানসিক বিষাদ, মুসাদের সঙ্গে বেগম সুলতানের প্রেমলীলা....সব খুলে বলেন শাহজামান।
নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না সুলতান শাহরিয়ার৷ ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে ভাইয়ের সাথে পরামর্শ করে আবার শিকারে যাওয়ার কথা রটিয়ে দিলেন রাজ্যে৷ রাতে শিবির থেকে সবার অলক্ষে লুকিয়ে দুই ভাই প্রাসাদে ফিরে এসে লুকিয়ে রইলেন বাগানের এক কোনে৷ আবার আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি...বেগম সুলতানা আর কাফ্রি মুসাদ....
নিজের চোখে নিজ বেগমের ব্যাভিচার দেখে ভেঙে পড়লেন সুলতান। সেদিনই ভাইকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন.... ঘুরতে ঘুরতে এসে পৌছলেন সমুদ্রের কাছে৷ পথশ্রমে ক্লান্ত হয়ে এক গাছের নীচে বিশ্রাম নিতে বসলেন দুইজন।
এমন সময় হঠাৎ শান্ত সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠল। এক বিশাল জলস্তম্ভ সমুদ্র পেরিয়ে এগিয়ে আসল ডাঙার দিকে। ভয় পেয়ে গেল দুইভাই৷ উঠে বসল গাছের উপর৷ পাতার আড়াল থেকে খেয়াল করতে লাগলেন সব কিছু...
জলস্তম্ভ কাছে আসতেই দেখা গেল এক ভয়ঙ্কর জিন৷ মাথার উপর বিশাল এক সিন্দুক৷ তাতে সাতটা তালা লাগানো। গাছের তলায় এসে বসল জিন৷ একে একে সাতটা তালা খুলতেই সিন্দুক থেকে বেরিয়ে এল এক অসাধারণ সুন্দরী৷ জিন তার সাথে কিছুক্ষন শারিরিক খেলায় মেতে সুন্দরীর কোলেই ঘুমিয়ে পড়ল৷ একটু পরেই নাকডাকা শুরু হল জিনের৷ ঘুম গভীর দেখে আস্তে আস্তে নিজের কোল থেকে জীনের মাথাটা নামিয়ে রেখে এদিক ওদিক তাকাতে নজর পড়ল গাছের উপর বসা দুই দুই সুদর্শন সুপুরুষের দিকে৷ ইশারা করতেই নেমে এল দুজন।
রমনীর পরিচয় জিজ্ঞাসা করায় জানাগেল যে তাকে বিয়ের আসর থেকে তুলে এনেছিলো জিন৷ তাকে ভোগ করেও তৃপ্ত নয়, তাই সিন্দুকে বন্দী করে রাখে যাতে অন্য কারুর সাথে সম্পর্কে জড়াতে না পারে। এই কথা বলে দুই ভাইকে আমন্ত্রন জানাল তার সাথে শারিরিক মিলনের জন্য৷ দুই ভাই রাজী না হওয়ায় ভয় দেখাল... জিনকে ডেকে তুলে বলবে যে দুজনে কুৎসিৎ ইঙ্গিত করেছে... গতান্তর না দেখে দুই ভাই মেনে নিল তার প্রস্তাব।
শারিরিক সম্ভোগের পর সুন্দরী দুই ভাইয়ের আঙটি চেয়ে নিয়ে এক ছোট থলের মধ্যে রেখে দিল শিকারের চিহ্নস্বরুপ। গুনে গুনে বললো- এভাবেই সম্ভোগের চিনহ ৫৭০ টা আঙটি জমিয়েছে সে...
দুই ভাই হতবাক!
এত শক্তিশালী জিনও সিন্দুকে রেখে নিজের স্ত্রীর বহুগামিতা থেকে রক্ষা করতে পারছে না- আর তারা তো সামান্য মানুষ! কিসের জন্য সবকিছু ত্যাগ করবে তারা? সেদিনই ফিরে এল নিজের রাজ্যে৷ প্রাসাদে ঢুকেই সুলতান বেগম আর দাসদাসীদের কোতল করার হুকুম দিলেন৷ তারপর উজিরকে ডেকে বললেন সেই রাতেই সুলতানের শাদির জোগাড় করতে।
এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ের সাথে সুলতালের শাদী হল। সারারাত সুলতান মেতে থাকল নতুন বেগমের সাথে। সকাল হলেই ডাক পড়ল উজিরের৷ তার হাতে তুলে দেওয়া হল সুলতানের ফরমান - নতুন বেগমের শিরোচ্ছেদ!
দ্বিতীয় কারো সাথে বেগম যাতে সম্ভোগে যেতে না পারে এবং কেউ যাতে সুলতানের বেগমেকে ভোগ করতে না পারে তার জন্য শুরু হল এক নির্মম হত্যালীলা৷ শাহজামানও নিজের রাজ্যে ফিরে বড়ো ভাইয়ের পদাঙ্ক অনুসরন করলেন।
...রাজ্যে হাহাকার উঠল। যাদের বাড়িতে বিবাহযোগ্যা কুমারী মেয়ে আছে কেউ নিশ্চিন্ত নন... কবে সুলতানের শমন নেমে আসে কার উপর!
একদিন সমস্ত নগর ঘুরের কোন সুন্দরী মেয়ের খোঁজ পেলেন না উজির। বিষন্ন মনে ফিরে এলেন ঘরে৷ নতুন বেগম না পেয়ে তাকেই না কোতল করে বসে সুলতান!
ভীত বিমর্ষ বাবাকে দেখে তার বড়মেয়ে শাহরাজাদ কাছে এসে দাঁড়াল৷ সব শুনে নিজে রাজী হল সুলতানকে শাদি করতে৷ উজির রাজী না হয়েও শেষে মেয়ের জেদে রাজী হলেন৷ শাহরাজাদের সাথে শাদি হয়ে গেল সুলতানের৷
সোহাগ আদরে রাতের প্রথম অর্ধ কেটে যায়৷ হঠাৎ সুলতান দেখে শাহরাজাদের চোখে পানি। কারন জিজ্ঞাসা করায় শাহরাজাদ বলেন যে তার নিজের ছোটবোন দুনিয়াজাদের জন্য মন কেমন করছে... আর কোনদিন দেখা হবেনা প্রিয় বোনের সাথে! সঙ্গে সঙ্গে সুলতানের আদেশে আনা হয় দুনিয়াজাদকে।
তিনজনে গল্প করতে করতে একসময় পূর্বপরিকল্পনা মতো দুনিয়াজাদ বড়ো বোনের কাছে গল্প শোনার আবদার জানায়৷ সুলতানের অনুমতি নিয়ে গল্প শুরু করে শাহরাজাদ। তারপর গল্পে গল্পে রাত কেটে যায় কিন্তু শেষ হয়না গল্পের। শেষটুকু শোনার লোভে বেগমের শিরোচ্ছেদ স্থগিত রাখেন সুলতান৷ আবার পরের রাত, আবার পরের রাত.... গল্পের পর গল্পে কেটে যায় ১০০১ রাত। সুলতানের পক্ষে সম্ভব হয়না এরকম বিদুষী রমনীকে কতল করা৷ এরই মধ্যে সুলতানের অলক্ষে শাহরাজাদ জন্ম দেয় তিন পুত্রের৷ সব দেখে খুশী মনে সুলতান ডেকে পাঠান ভাই শাহজামানকে। এই একাকিত্ব আর নৃশংসতা ভাল লাগছিল না তারও। তার সাথে দুনিয়াজাদের শাদি করিয়ে দিলেন সুলতান৷ তারপর যা হয়, সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগল .....
পুনশ্চঃ গল্পের পিছনের গল্প 'আলিফ লায়লা' থেকেই নিয়েছি। কিন্তু মূলবিষয়বস্তু ঠিক রেখে, কিছু রগর শব্দ বাক্য বাদ দিয়ে আমি আমার মতো করে লিখেছি।।
২৪ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি দুই বার পুরো বইটা পড়েছি।
২| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:২৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: রূপ কথা, আগের দিনের রাজা বাদশা রানীরা অসৎ চরিত্রের ছিলো বেশীই..। সুলতান সুলেমান দেখতে গিয়ে কেমন জানি ঘেন্না ধরে গেছে রাজা বাদশার প্রতি
ভালো লাগলো
২৪ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: সুলতান সুলেমানদের উত্তরসুরী এখনো গোটা মধ্য প্রাচ্যে স্পেশালী শেখ ও খলিফা শাসকদের মধ্যে বিরাজমান।
৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: একসময় এক আকাশ আগ্রহ নিয়ে এইসব রুপ কথা পড়েছি। শুনেছি। দেখেছি।
এখন আর এই সমস্ত রুপকথা ভালো লাগে না। বয়স হচ্ছে তো।
২৪ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: যত রুপকথাই পড়েছি- আলিফ লায়লার রুপকথাই শ্রেষ্ঠতম।
৪| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৫৪
ওমেরা বলেছেন: বই পড়েনি তবে আরব্য রজনীর শুরুর গল্প সহ অনেক গল্পই শুনেছি ছোট বেলায়।
২৪ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৪১
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
২৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:২২
আমি সাজিদ বলেছেন: তাহলে আরব্য রজনীর গল্পগুলোর সূচনাই হয়েছে ব্যাভিচারের মাধ্যমে ( গল্পের পেছনের গল্প)। কিন্তু কেন সুলতানদের বহুবিবাহ ও বহুগামিতা বাদ দিয়ে শুধু তাদের স্ত্রীদের আদিমখেলার গল্প বলা হয়েছে? আরব্য রজনীর লেখকেরাও কি নারীদের ছোট করেছেন?
চমৎকার পোস্ট। প্লাস দিয়ে গেলাম৷
২৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: শ্লীল-অশ্লীল পুরোটাই লেখকের স্বাধীনতা এবং সময়ের সামাজিক চিত্র বিবেচনা করছি।
ধন্যবাদ।
৭| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অবিবাচিত (Un-Censored) আরব্য রজনীর গল্প স্কুল জীবনে পড়েছিলাম। সম্ভবত সেবা বা অন্য কোনও অনুরুপ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বই ছিল। কাহিনীগুলি উপভোগ্য নিঃসন্দেহে।
২৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: অবশ্যই উপভোগ্য কাহিনী এবং অসম্ভব সুন্দর উপস্থাপন। তার জন্যই আলীফ লায়লা শত শত বছর ব্যাপী বেষ্ট সেলার তালিকায় আছে।
৮| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩১
মেরুভাল্লুক বলেছেন: আরব্য রজনীর শুরুর গল্পটাও আরব্য রজনীতেই ছিল। ছোটদের ভার্সন বড়দের ভার্সন দুটোই পড়েছি। কিন্তু বড়দের বাংলা ভার্সন টাও অনেক রাখ ঢাক করে লিখা। আসল ইংরেজীটা পড়ার ইচ্ছা আছে।
২৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ইংরেজীটাই আসল।
৯| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫
মেরুভাল্লুক বলেছেন: @আমি সাজিদ,
নারীদের অবস্থান তখনকার সমাজে যেমন ছিল গল্প গুলো সেভাবেই তৈরী হয়েছে। এসব গল্প কেউ লিখে নি, এসব গল্প লোকমুখে তৈরী হয়। সিল্ক রূটের মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। আপনি এখনকার চোখ দিয়ে তখনকার সমাজ দেখলে হবে না।
২৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
১০| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৯
মুহাম্মদ ফয়সল বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন, নিজের ভাষায় লেখাতে আরো ভালো লেগেছে।
এটা পুরোটাই গল্প। এর বিষয়বস্তু নিয়ে শুধু শুধু মন্তব্য করাটা আমার কাছে যুক্তিসংগত মনে হয়না। মধ্যপ্রাচ্যের দোষ দিয়ে কি লাভ, আমাদের দেশে কি সব সাধুবিধুষীদের বসবাস!
২৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: এই কালচার দুনিয়া জুড়েই ।
১১| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৩১
কল্পদ্রুম বলেছেন: এই বইটা নিয়ে স্কুল লাইফের মজার স্মৃতির কথা মনে পড়ে গেলো।রিচার্ড সাহেবের বইটার কভার বেশ পরিশীলিত।বাংলায় অনূদিত বইটার কভার আরো রোমাঞ্চকর ছিলো।এখানে গল্পগুলোর উৎস কিংবা উদ্দেশ্য কি সেগুলো বাদ দিলে একদম প্রথম পাঠেই এটা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম যে কিভাবে একটা গল্পের ভিতর দিয়ে আর একটা গল্প তৈরি হচ্ছে।একটা গল্পের চরিত্র নিজেই একটা বিশাল গল্প ফেঁদে বসছে।সেখানে আরো চরিত্র আসছে।এই চরিত্রগুলো গল্প কথক নিজে যেই প্লটের ভিতর আছে সেটার পরিণতিতেও প্রভাব ফেলছে।
এই রিচার্ড বার্টন সাহেব কি কামাসূত্রেরও অনুবাদক?
২৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: কামসূত্র একেবেরেই যৌণতার কলা কৌশল-যেখানে গল্প মূখ্য বিশয় নয়। অন্যদিকে আরব্য রজনী/আলীফ লায়লা গল্প নির্ভর অসাধারন উপস্থাপন শৈলী।
১২| ২৫ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৮:৪১
নয়া পাঠক বলেছেন: সহস্র এক আরব্য রজনী! বইটি নেট থেকে সংগ্রহ করে নিজ উদ্যোগে প্রিন্ট নিয়ে বেশ কয়েকবার পড়েছি। সুখপাঠ্য বই। তবে রগরগে বর্ণনাগুলো বইটিকে লুকিয়ে রাখতে বাধ্য করে।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি বিষয়ে বেশ গুছিয়ে লেখার জন্য।
২৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:১৭
ইসিয়াক বলেছেন: বেশ ছোটবেলাতে পড়েছি । তবে লুকিয়ে লুকিয়ে।
২৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি ছেলে বেলায় পড়ার সুযোগ থাকলেও পড়িনি-যখন বয়জেষ্ঠ্যরা বলেছেন-এটা বড়দের বই।
ধন্যবাদ।
১৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৩৭
নীল আকাশ বলেছেন: লেখা আগেই পড়েছিলাম। খুব সুন্দর লেগেছে।
২৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: অন্য কারোর লেখা পড়েছিলেন?
১৫| ২৭ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৩২
অপু তানভীর বলেছেন: আরব্য রজনীর আসল গল্পের বইটা আমার কাছে রয়েছে । আঠারো পৃষ্ঠার বেশি বিশাল এক বই । বইয়ের দুইশ দশ কি এগারো পেইজ পর্যন্ত আমি পড়েছি । বাকিটা যে কবে পড়ে শেষ করবো কে জানে !
২৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আরব্য রজনী দুই হাজার একশত একুশ পৃষ্ঠার বই।
১৬| ২৮ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৩
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আরব্য রজনী বা হাজার রাতের কিচ্ছা । আমার অনেক প্রিয় একটি বই । কিন্তু অনেক এডাল্ট বিষয় বস্তুর কারণে এড়িয়ে চলি । তবুও দুই তিনবার পড়া হয়েছে সেই স্কুলে থাকতে ।
২৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: এডাল্টদের বই-স্কুল জীবনেই তিন বার পড়েছেন!
শব্বাস!!!
১৭| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৩:৪৯
অনল চৌধুরী বলেছেন: আরবদের অসভ্য বর্বর বরে প্রমাণর চেষ্টা করা হরেও তাদের যে সাহিত্যচেতনা ও গভীর জীবনবোধ ছিলো, আরব্য রজনীর গল্পগুলি তার প্রমাণ।
কিন্ত সুন্দরী জিনের স্ত্রী হলো কিভাবে ?
৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আধুনিক সাহিত্যের সুতিকাগার বলা হয় আরবী সাহিত্যকে।
গল্প উপন্যাসে সব কিছুই সম্ভব যা বাস্তবে অসম্ভব।
ধন্যবাদ।
১৮| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:১৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নাম আরব্য রজনী হলেও সম্ভবত পারস্যে অরিজিন।
অরিজিনাল কাহিনী সম্ভবত পার্শি ভাষায় ছিল।
তবে আপনি লিখেছেন ভাল, পড়তে পড়তে অনেক কিছু মনে পড়ে গেল।
ধন্যবাদ।
১৯| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:০৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আরব্য রজনীর গল্প আমি বইতে পড়িনি তবে বিশ ত্রিশটা গল্প শুনে পরে আবার বলে বেড়াতাম আষাঢ় মাসে আমাদের দাওয়ায়( বার বাড়ী) সাধারন কৃষকদের মাঝে। তখন আমি স্কুলের ছাত্র।এছাড়া আমি ভাল পুথি পড়তে পারি।এক জীবনেই কত পরিবর্তন দেখলাম এমন কি নিজের জীবনের।