নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জোছনা করেছে আড়ি আসে না আমার বাড়ি.....

৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৩৩

"জোছনা করেছে আড়ি আসে না আমার বাড়ি"…গানটির কথায় এবং সুরে বাঙালি মজে আছে কয়েক দশক। আমরা জানি গানটি আখতারি বাঈর।


আখতারি বাঈর গানের ভালোমন্দ ব্যাখ্যা করার দুঃসাহস আমার নেই। গানের জগতে আমি শ্রোতা মাত্র। তিনি কী অসীম জীবন সংগ্রামের মধ‍্য দিয়ে নিজের লক্ষ‍্যে অবিচল থেকে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছেন… তারই একটুখানি বলার চেষ্টা করব এই পরিসরে।
পদে পদে বঞ্চনা, প্রতিবন্ধকতা, রক্ষকের লালসা, বাঈজী হিসেবে পরিচয়ের পথ বেয়ে আখতারি বাঈ ফৈজাবাদী হয়েছেন গজল সম্রাজ্ঞী "মল্লিকা-ই-গজল" বেগম আখতার।
শিশু শ্রেণীতে ফৈজাবাদের মিশন স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। ওখানকার বিখ‍্যাত মার্গসংগীতজ্ঞ এবং নৃত‍্যশিল্পী গওহরজান বিদ‍্যালয় পরিদর্শনে এসে তাঁর কণ্ঠে আমীর খশরুর ‘আম্মা মোরি ভেইয়া কো ভেজো রি কে শাওন আয়্যা’ গানটি শুনে ভবিষ‍্যদ্বাণী করেছিলেন…তালিম পেলে এ মেয়ে একদিন "মালিকা-এ-গজল" হবে। আশীর্বাদ বিফলে যায়নি।

আখতারির জীবনে মা মুশতারি বাঈ-এর প্রভাব অনস্বীকার্য। তিনি ছিলেন তাওয়ায়িক, নাচে গানে দক্ষ। আইনজীবী সৈয়দ আসগর হুসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী হলেন মুশতারি বাঈ। স্বামী সাহিত‍্য এবং সংগীতে অনুরাগী। প্রথম স্ত্রী থাকায় দ্বিতীয়বার বিয়ে করায় যা হয়! স্বামীর বাড়িতে মুশতারি বাঈয়ের স্থান হয়নি। উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদের গোলাপবাগের একটি বাড়িতে থাকেন। একসময় স্বামীর আসা যাওয়া বন্ধ হয়েযায়। মাসোহারা হয়েছে অনিয়মিত এবং প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অল্প। ১৯১৪ তে বিয়ের বছরই জন্মেছে যমজ দুই কন‍্যা। সতীনের আত্মীয়দের চক্রান্তে চার বছর বয়সে বিষ খাইয়ে মারা হয় এক সন্তানকে। ঘরেও আগুন লাগিয়ে দেয় মা মেয়েকে পুড়িয়ে মারার জন‍্য। প্রাণ বাঁচাতে গয়াতে পালিয়ে আসেন মুশতারি বাঈ। শিশু আখতারির লেখা পড়ার চেয়ে গানেই আগ্রহী। রাস্তার ভিখারীদের গাওয়া গান অনায়াসে কণ্ঠে তুলে নিয়ে আপন মনে গাইত। মা মুশতারির ইচ্ছায় ওস্তাদ ইমদাদ খানের কাছে ৭ বছর বয়সে গান শেখা শুরু।
১৯২৩ সনে আবার ফিরে এলেন ফৈজাবাদে। এখানে পাতিয়ালার ওস্তাদ আতা মোহাম্মদ খাঁ-কে পেলেন গুরু হিসেবে। দশ বছর তাঁর কাছে রেওয়াজ করেছেন। তাঁরই প্রেরণায় সংস্কৃতির শহর কোলকাতায় আসা আর জীবনের মোড় ঘুরে যাওয়া। কোলকাতা চিরকালের সাহিত‍্য সংস্কৃতির পীঠস্থান।

যমজ বোনের মৃত‍্যু আখতারিকে ধাক্কা দিয়েছিল খুব। ১১ বছর বয়সে নিজেও শিকার হন এক গুরুজীর লালসার। তেরো বছর বয়সে বিহারের এক রাজার লালসায় একটি কন‍্যার জননী হলেন আখতারি। মা মুশতারি বাঈ সেই মেয়েকে নিজ আত্মজার স্বীকৃতি দিলেন। আজীবন বেগম আখতার আত্মজার পরিচয় দিয়েছেন সহোদরা বলে।
কোলকাতায়ও সুখের জীবন ছিল না। অভাব অভিযোগ পিছু ছাড়ে না। তবে গুরু আতা মোহম্মদ খাঁ আর মায়ের আশীর্বাদ ছিল। ১৯৩৪ সনে বিহারের ভূমিকম্পে সাহায‍্যের জন‍্য কোলকাতার আলফ্রেড থিয়েটার একটি সংগীতানুষ্ঠান করে। ওস্তাদ আমান আলী খাঁ এবং তাঁর শিষ‍্য ওস্তাদ বিসমিল্লা খাঁ অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করলেন। একজন ধ্রুপদী শিল্পী না আসায় ওস্তাদ আতা মোহাম্মদ খাঁ শিষ‍্যাকে এগিয়ে দিলেন। ভীরু পায়ে মঞ্চে উঠে পরিবেশন করলেন…'তুম্ না হোতে হরজাই কুছ য়‍্যায়সি আদা পায়ি/ত‍্যক্তা হ‍্যায় তেরি আউর এক্ তামাশায়ি'...
মুগ্ধ দর্শককুলের অনুরোধে গেয়ে চললেন একের পর এক গান। নিজের লেখা উর্দু কবিতা পাঠ করলেন। উপস্থিত ছিলেন সরোজনী নাইডু। অভিভূত তিনি আশীর্বাদ করলেন নিজের খাদি উত্তরীয় পরিয়ে। জীবনের প্রথম সম্মাননা এবং স্বীকৃতি।
আর ফিরে তাকাতে হয়নি নিজের কেরিয়ারের দিকে। বিয়ে করলেন লখনৌয়ের প্রসিদ্ধ ব‍্যারিষ্টার নবাব ইস্তিয়াক আহম্মদ আব্বাসিকে। বাঈজী থেকে বেগমে উত্তরণ ঘটল। কিন্তু গান চলে গেল জীবন থেকে। কেননা বিয়ের অন‍্যতম শর্ত ছিল সেটাই। গান ছাড়া বেগম আখতারকে ভাবাই যায় না। ফলে মানসিক চাপে অসুস্থ হয়ে পড়লেন। ফলে আবার ফিরে এলেন সংগীতের জগতে।
কোলকাতার মেগাফোন রেকর্ড কোম্পানির জিতেন ঘোষ পিতৃতুল‍্য স্নেহ করতেন তাঁকে। তাঁর প্রতিষ্ঠিত মেগাফোন রেকর্ড কোম্পানিতে কাজী নজরুল ইসলাম, কাননদেবী, ওস্তাদ ফৈয়াজ খাঁ, বড়ে গোলাম আলি খাঁ, কমলা ঝরিয়া, ভীষ্মদেব চট্টোপাধ‍্যায় প্রভৃতি তাবড় তাবড় শিল্পীদের সঙ্গে আখতারি বাঈও ছিলেন।

জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের রচনা ও সুরে বেগম আখতার গেয়েছেন…'পিয়া ভোল অভিমান', 'কোয়েলিয়া গান থামা' - ইত‍্যাদি। বাংলা গানেরও রেকর্ড করেছেন। 'জোছনা করেছে আড়ি', 'এ মৌসুমে পরদেশে', 'চুপি চুপি চলে না গিয়ে', 'ফিরে কেন এলে না' …ইত‍্যাদি।
চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। "রোটি" তে নায়িকার ভূমিকায় এবং সত‍্যজিৎ রায়ের "জলসাঘর"-এ অভিনয় করেছেন আখতারি বাঈ। প্লে ব‍্যাক করেছেন ছায়াছবিতে। যদিও মা এবং গুরুদেবের বারণ ছিল। কেননা এর ঝলকানি প্রকৃত মার্গসংগীতে বাধা হবে। তবু দারিদ্র রুখতে এছাড়া আর উপায় কী!
অল ইন্ডিয়া রেডিও তে লখনৌ, কোলকাতা, দিল্লী ও আমেদাবাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দিল্লী দূরদর্শনে জন্মলগ্ন থেকেই যুক্ত ছিলেন।
৩০ বছরের দাম্পত‍্য জীবনে করাচি, কাবুল, তেহরান, লন্ডন, রাশিয়ায় বিরামহীন ছুটে চলা ছিল তাঁর। ১৯৭৪ এ ২৬ অক্টোবর পাবলিক অনুষ্ঠানে মাঝপথে থেমে যেতে হয় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। শেষ অসমাপ্ত গান…"আয়ে মোহব্বত তেরে আনজাম পে রোনা আয়া"- গানটি শেষ করতে পারেননি।
পণ্ডিত রবিশঙ্কর তাঁর নিজ আত্মজীবনীতে আকতারি বাঈ সম্পর্কে বললেন…"One of the greatest! Not only in India, but in the world caliber.……She had a great capacity to be able to reach the depth of the heart of the listener." এ কথা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে কি!

বেগম আখতার সম্মাননা পেয়েছেন অনেক। সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার, ভারত সরকারের থেকে পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ।
আজীবন প্রেমের কাঙাল ছিলেন। একাকীত্ববোধ ছিল প্রবল। পথে কাঁটা দেখে পথ থেকে পিছিয়ে আসেননি কখনো। অভাবকে দেখেছেন নিত‍্য, পাপকে দেখেছেন নানা ছলে। পথের কাঁটা দু পায়ে মাড়িয়ে চলেছেন। রক্তাক্ত হয়েছেন কতবার, তারপরেও চলা থামেনি। তবেই তিনি আজ পৃথিবীতে পরিচিত হয়েছেন গজল সম্রাজ্ঞী নামে।গানটির কথায় এবং সুরে বাঙালি মজে আছে কয়েক দশক। আমরা জানি গানটি আখতারি বাঈর।

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৪৯

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: এই গানটি ছাড়া আর কোনো গান শোনা হয় নি তাঁর। তাঁর সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।পোস্টটি পরপর দুইবার এসেছে।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৬

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

পোস্ট নিউজফিডে একবারই দেখতে পাচ্ছি! আবারও নিশ্চিত করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৫৪

নজসু বলেছেন:



তথ্যবহুল।
অনেক কিছু জানলাম প্রিয ভাই।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৫৫

নজসু বলেছেন:



তথ্যবহুল।
অনেক কিছু জানলাম প্রিয় ভাই।

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল লেখা। আখতারি বাঈ সম্পর্কে এই প্রথম জানলাম। তবে শিল্প মমতাজের জীবনী জানি

৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের শেষের লাইনটা জোশ হইছে! :)

৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:২৬

অক্পটে বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন, সবই অজানা ছিল, জানলাম তাঁর জীবন সংগ্রামকে উপলব্ধি করে ব্যথিত হলাম।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৪০

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: নিউজফিডে না। পোস্টেই রিপিট হয়েছে। তবেই তিনি আজ পৃথিবীতে পরিচিত হয়েছেন গজল সম্রাজ্ঞী নামে। এই লাইনের পর পুরো পোস্ট প্রথম থেকে আবার এসেছে। আগের ৬ নম্বর মন্তব্যটি মুছে দেয়ার অনুরোধ রইলো।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৫০

জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তমাল। আমি এডিট করে দিয়েছি-তারপরেও একটু দেখে দিবেন। আমি মোবাইল ফোন থেকে এডিট করেছি-বিস্তারিত বুঝতে পারছিনা।

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:২৪

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: এবার ঠিক হয়ে গেছে সব। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৩৯

জুল ভার্ন বলেছেন: :)

৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৩১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বলতে একটু লজ্জা লজ্জা লাগলেও বলি, আখতারি বাঈ সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। কোন গানও শুনি নাই সম্ভবতঃ। তারপরেও উনার সংগ্রামী জীবনকে স্যালিউট! আবারও প্রমাণ হলো, লেগে থাকলে সাফল্য একদিন না একদিন ধরা দেয়ই।

উনার সাথে আমাদের পিলু মোমতাজ বা হালের সাংসদ মোমতাজের জীবনীর কোন মিল পান? ;)

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪২

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার জন্মের আগে থেকেই আমাদের বাড়িতে একটা "গ্রামোফোন" আমরা যাকে বলতাম "কলের গান" ছিলো এবং এখনো আছে। ....ছেলে বেলা থেকেই বৃহত্তর যৌথ পরিবারের অনেকেই গানের শ্রোতা এবং সাশ্রীয় সংগীতের ভক্ত শ্রোতাও অনেক। বড়ো চাচা ছিলেন সাশ্রীয় সংগীতের ভক্ত। আখতারী বাঈ,পংকজ মল্লিক, সায়গল, ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলী, নওশাদ, নুরজাহান, ঈন্দু বালা, কানন বালাদের গান, বিছমিল্লাহ খাঁ, আল্লাহ রাখা, ওস্তাদ বাহাদুর খাঁ, রবি শংকর দের ঠুমরী, বাঁশী, সানাই এর সাথে পরিচিত... আমাদের ঘরে হাজারের বেশী দুস্পাপ্য রেকর্ডের সংগ্রহ দেখেছি, যা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় লোপাট হয়ে গিয়েছে।

পিলু মমতাজ স্রোতে গা ভাসানো শিল্পী ছিলেন। মমতাজ যেমনই হোক একদম রুট লেবেল থেকে উঠে আসা শিল্পী।

৯| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৪১

ওমেরা বলেছেন: উনার সম্পর্কে কিছুই জানতাম না । উনার সংগ্রামী জীবন সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪২

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:০২

রানার ব্লগ বলেছেন: দুঃখিত !!! আমি ওনার কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি !!! এবং নিজেকে অপমানিত করছি।


" জোছনা করেছে আড়ি আসে না আমার বাড়ি " এতো দিন জানতাম এটা কোন পুরুষ কন্ঠের গান !!! দুঃখিত !!!!

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪৩

জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিকই শুনেছেন। আশির দশকের শ্রোতারা "জোছনা করেছে আড়ি...."- গানটা শচীন দেব বর্মন এর কণ্ঠেই বেশঠিকই শুনেছেন। আশির দশকের শ্রোতারা "জোছনা করেছে আড়ি...."- গানটা শচীন দেব বর্মন এর কণ্ঠেই বেশী শোনা যেতো।

১১| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৮

অধীতি বলেছেন: আখতারি বাঈকে জেনে মুগ্ধ হলাম। কিন্তু শিল্পি থেমে গেলেন মাঝ পথে, আহা!

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪৪

জুল ভার্ন বলেছেন: বেশীরভাগ শিল্পীদের জীবন্ধারা এমনই। হঠাত ঝড়ে যায়, লোকচক্ষুর অন্তরালে হারিয়ে যায়। ধন্যবাদ।

১২| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৪০

জোবাইর বলেছেন: গজল সম্রাজ্ঞী বেগম আখতারের নাম আগেও শুনেছি, তবে উনার সংগ্রামী জীবন কাহিনী জানতাম না! আপনার পোস্ট থেকে অনেক কিছু জানলাম, ধন্যবাদ আপনাকে। কালজয়ী এই শিল্পীর গান শুনতে আগ্রহী পাঠক-শ্রোতাদের সুবিধার্থে দুটি ভিডিও ক্লিপ এখানে সংযোজন করলাম:




০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার!

১৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনার সম্পর্কে জানলাম। ওনার মত অনেক বাঈয়ের জীবনেই মনে হয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক উত্থান পতন বেশী। উনি কি নজরুলের গান গেয়েছেন?

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪৬

জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যাঁ আখতারী বাঈ বেশ কয়েকটি নজরুল গীতি গেয়েও শ্রোতাদের মন জয় করেছেন।

১৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্ট দিয়েছেন জনাব।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪৬

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জীবনের বৈচিত্র জীবনের মতোই অফুরান!

দারুন জীবনালেখ্য শেয়ারে ধণ্যবাদ ভায়া

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাহেব। :)

১৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট! আপনার এ পোস্টটি না পড়লে আমার কোনদিনও জানা হতোনা তার সম্পর্কে। তার সংগ্রামী জীবন কে লাল সালাম!

তার জীবন বৈচিত্র আমাকে সাংঘাতিকভাবে অভিভূত করেছে। তার মা জননী মুশতারী বাঈকেও আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। উভয়েই সংগ্রামী জীবন অতিবাহিত করেও, ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন।

স্বজনদের ষড়যন্ত্রে মাত্র চার বয়সে আখতারি বাঈ তার সহোদরাকে হারিয়েছিলেন খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে। জমজ না হলেও এ বয়সে দুই সহোদরা একে অপরের সাথে লেপ্টালেপ্টি করে থাকে, আর ওনারা তো ছিলেন জমজ বোন। কি মর্মান্তিক!
তার চেয়েও হৃদয়বিদারক ঘটনা মাত্র তের বছর বয়সে এক গুরুজীর লালসার শিকার হয়ে এক কন্যা সন্তানের জননী হওয়া এবং আজীবন সেই আত্মজাকে সহোদরার পরিচয়ে আবৃত রাখা। কি করুণ একটি পরিস্থিতির শিকার হয়েও উনি খ্যাতির শীর্ষে আরোহণ করতে পেরেছিলেন, শুধুমাত্র আত্মবিশ্বাস, আত্মত্যাগ এবং সংগ্রামী চেতনার বলে বলীয়ান হয়ে!

এত কিছুর পরেও তার জীবন থেকে মর্মন্তুদ দুর্ঘটনার অবসান হয়নি। ১৯৭৪ এর ২৬শে অক্টোবরে উনি পাবলিক পারফরম্যান্স এর মাঝপথে সঙ্গীত পরিবেশনরত অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তার সে অসমাপ্ত গানটি ইউটিউব থেকে খুঁজে নিয়ে শুনবো অবশ্যই।

পোস্টের শেষ বাক্য দুটো মুছে দিতে পারেন, কেননা ওগুলো পোস্টের প্রথমেই উল্লেখিত হয়েছে।

চমৎকার এ পোস্টে ষষ্ঠ ভাল লাগা + +।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আপ্লুত!

১৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:১২

পুকু বলেছেন: আমি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি কারন ছোটবেলা থেকে উনার মতো মহান গায়ক গায়িকাদের রেকর্ড শুনে বড় হয়েছি।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার সাথে আমিও ছিলাম এবং আছি।

১৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:০৪

সোহানী বলেছেন: অদ্ভুত কিছু জানলাম। অনেক ভালো লাগলো।

বাবার অনেক পুরোনো রেকর্ড ছিল আগে। প্রায়ই শোনা হতো এসব গান। কিন্তু এর পিছনের কষ্টটুকু জানা ছিল না।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪৯

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৩৬

শায়মা বলেছেন: সব কিছুর পরেও তাকে সফল মানুষ মনে হয় আমার।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪৯

জুল ভার্ন বলেছেন: অবশ্যই।

২০| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



গজলের রানী কিংবদন্তি শিল্পী আখতারি বাঈ শাস্ত্রীয় সংগীতের জন্য স্মরণীয়।
তাঁর গাওয়া জোছনা করেছে আড়ি গানটি বাঙালিদের ঘরে ঘরে।
এই গানটি শোনেননি এমন বাঙালি মিলবে না।
রেডিও হোক বা গ্রামোফোন পরে ক্যাসেট সিডি হয়ে ইন্টারনেট দুনিয়ায়
অজস্র শ্রোতার জন্য আজও আখতারি বাঈয়ের কণ্ঠ সমান জনপ্রিয়।
এই কিংবদন্তি শিল্পীর জীবনালেক্ষ তুলে ধরে তাঁর সমন্পর্কে আরো
অনেক আজানা কাহিনী আমাদেরকে অবহিত করনের জন্য
র্‌ইল অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৫০

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে একমত। ধন্যবাদ।

২১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:০১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
তার ঘটনাবহুল কঠিন জীবন সংগ্রাম তুলে ধরায় ধন্যবাদ।

গানের কথাগুলো কিন্তু দারুণ।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫২

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

২২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৮

করুণাধারা বলেছেন: বেগম আখতারের গান শুনেছি, কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কিছুই জানা ছিল না। আপনার পোস্ট পড়ে জানা হলো, অনেক ধন্যবাদ।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫২

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.