নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
"I hate politics" এবং.....
যে জাতির তরুণ-তরুণীর মেজরিটি অংশ পলিটিক্যাল ভিউতে লিখে—
"I hate politics"
"No interest"
তারাই এখন তাদের স্বজনরা হাসপাতালে অক্সিজেন পাচ্ছে না, ভেন্টিলেটর পাচ্ছে না, হাসপাতালে বেড পাচ্ছে না, এইসব বলে ফেসবুকে মাতম করছে...
হতভাগা!
পলিটিক্স বোঝোনি, নিজেকে নিউট্রাল প্রমাণ আঁতলামোর চেষ্টা করেছো... কেউ মরলে একটা RIP লিখে দায়িত্ব সেরেছ...
আমরা যখন মিছিলে মিটিংয়ে, কথায় লেখায় কোনো দলের হয়ে কথা বলেছি, রাস্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় জনগণের হক বাকস্বাধীনতা, ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে বলেছি/লিখেছি, তখন তোমরা লুটেরাদের বিরুদ্ধে কথা না বলে "Besarkari kore dile bhalo hobe" বলে পণ্ডিতি ফলিয়েছো... ১০০ কোটির ফ্লাইওভার ১০০০ কোটি টাকায় বানিয়েছে দেখে বলো- "দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে", ৬০০ কোটি টাকার স্যাটেলাইট ২০০০ কোটি টাকায় কিনে বলছো- "আমরা মহাকাশ জয় করেছি"! হাতীর ঝিল দাঁড়িয়ে সেলফি খিচায়ে বলো- "বাংলাদেশ লন্ডন হইয়া গেছে"! শ্লা আবালের গুষ্টি আবাল!
তোমাদের পলিটিক্যাল কারেক্টনেস না থাকা, অন্যায়কে অন্যায় না বলতে পারা, নিজের অধিকার ভূলুন্ঠিত হবার সময়ে চুপ থাকা, ব্যাংকগুলা লুটপাট করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়া যাবার সময়ে না দেখার ভান করা, বিচারবহির্ভূত হত্যা সমর্থন করা, ধর্মের নামে বিভেদকে প্রকারান্তরে সমর্থন করা - এইসব পাপের ফসল আজকের এই দেশ।
ওরে মূর্খ, প্রিভিলেজড ছাড়া আর কেউ নিউট্রাল হতে পারেনা। অ্যাদ্দিন গায়ে আঁচড়টি লাগেনি, সরকারি হাসপাতালে যেতে হয়নি বলে রাজনৈতিক অস্থিরতার পার্কে আড্ডা দিয়ে, রেস্টুরেন্টে খেয়ে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়ে ক্যাব্লাকান্তদের 'ওয়াও!', 'অসাধারণ', মন্তব্য আর লাইক পেয়ে নিজেকে বিরাট সেলিব্রিটি ভেবে কোলাব্যাঙ এর মতো ঘোৎঘোৎ করেছো আর ফুলে পটকা মাছ হয়েছো, জনগণের দুঃসময়ে কবিতা লিখেছো ফুল- পাখি- লতা- পাতা, প্রেম ভালোবাসা নিয়ে। স্বার্থপর!
তোমাকে সৃষ্টিকর্তা মেধা দিয়েছে মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলতে, দু’চার লাইন হলেও লিখতে। তুমি বলেছো- "I hate politics" তুমি বলদের মতো লিখেছো -"No interest"!
যদি কুমিরের মতো খেয়ে খেয়ে, আর আর ছাগলের মতো জাবরকাটে বয়স পার না করে রাজনীতিটা ঠিকঠাক বুঝতে পারতিস তাহলে আজ হাসপাতালের আইসিইউ বেডও পেতে, অক্সিজেনও পেতে। সকল হত্যার বিচার পেতে। এখনো সময় আছে। পড়াশোনা করো। রাজনীতি বোঝ। অর্থনীতি বোঝ। পুরুত-ইমাম-জ্যোতিষ দিয়ে দেশ চলেনা। দেশ চলে রাজনৈতিক সিস্টেমে।
ভেন্টিলেটর বা অক্সিজেন, সব ব্যবস্থাও রাজনৈতিক সিস্টেমই করে। বাস্তবটা হলো ডাক্তার তোমাকে অক্সিজেন যোগাতে পারেনা। হাসপাতালে বেড দিতে পারেনা। কেবলমাত্র রাজনীতিই এটা ইচ্ছে করলে পারে বা ইচ্ছে করেই করে না!
বুঝতে শেখো তোমার জীবন রাজনীতি আর রাজনীতিবিদদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত। রাজনীতিই ঠিক করে দেয় যে তুমি সরকারি হাসপাতালেই জীবনের নিশ্চয়তা পাবে, নাকি নিশ্চয়তার স্বপ্ন দেখানো বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে, পরিবারকে অসহায় করে দিয়ে চিরঘুমে যাবার পথ প্রশস্ত করবে। তাদেরকে প্রশ্ন করো, তোমার অক্সিজেন নেই কেন? হাসপাতালের বেড নেই কেন? প্রশ্ন করো, তোমার ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে কেনো?
আজ আমার, আমাদের মাথার উপর খড়গ ঝুলছে, তাই তোমরা নিজেদের নিরাপদ ভেবে ফুরফুরে মেজাজে আছো! মনে রেখো- আমরা তোমাদেরই একজন ছিলাম...ফলাফল যা-ই হোক, ইতিহাস স্বাক্ষী- আমরা চেষ্টা করেছিলাম।
অতএব, তরুণ বন্ধুদের বলবো, প্রশ্ন তোলার সাহস কর, প্রতিবাদ করো। বলতে শেখ- "রাজা তুই ল্যাংটা"!
০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আল্লাহ ভরসা।
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৫২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: I hate politics
০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন:
৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সুশীলপনার ভং দেখলে পিত্তি জ্বলে যায়!
বাক স্বাধীনতা নেই, সংবাদপত্র গুলো সব সেলফ সেন্সরড (এটাও সুশীল ভং) কেউ সাহস করে লেখে না
দুটো প্রিভিলাইজেশনের্ আশায় ক্রোড়পত্র পাবার স্বপ্নে অথবা রোষানল থেকে বেঁচে থাকার হাস্যকর ব্রেকেটে নিজেরাই বানিয়ে
আগের সংবাদপত্র আর এখনকার গুলৌ পাশাপাশি রাখলেই দুধ আর পানি আলাদা হয়ে যায়!
একটা স্ট্যাটাসের জন্য মেরে ফেলে, গুম করে, তারপরো বলে বেড়াবে -এটাই মন্দের ভাল!
রাতের আঁধারে ভোট দিয়েই কেলিয়ে হেসে বলে গণতান্ত্রিক দেশ!!!
নিজের গাঁয়ে আঁচর না লাগা ভোদর গন্ডারদের এমনই হওয়া উচিত।
০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: বেঁচে থাকা কিম্বা না থাকার মালিক রাস্ট্র।
৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:১০
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ ভরসা বলে আর কত কাল চুপ করে বসে থাকতে হবে?
০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: চুপ থেকেও যদি বাঁচা যেতো!
৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নিজের গায়ের উপর এসে না পড়া পর্যন্ত আমরা মনে করি ' It is none of my business'. জাতির অধঃপতন এভাবেই হয়। একটা গল্প মনে পড়লো। বিশাল দরিয়ায় একটা বড় স্টিমারের/ লঞ্চের দুই তলাতে যাত্রীরা আছে। উপর তলার যাত্রীরা অভিজাত তাই তারা নীচের লোকদের উপরে আসতে দেয় না। কিন্তু নীচে কোন পানির ব্যবস্থা নেই। সব পানি উপরে। পানির প্রয়োজনে নীচের লোকেরা স্টিমারের তলানি ছিদ্র করে পানি সংগ্রহ করতে লাগলো। পরিণতি কি হোল আশা করি বোঝার বাকি নাই।
রাজনীতিহীন কোন সমাজ হয় না। সেটা আফ্রিকার জংলিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের অবস্থা এখন আফ্রিকার জংলীদের চাইতেও খারাপ।
৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৩
গফুর ভাই বলেছেন: আব্দুল্লাহ আবু সায়েইদ স্যার এর বই থেকে নেয়া,
একদিন উনি ঢাকা কলেজ এ ক্লাস নিচ্ছেন তখন একদল ছেলেপেলে আন্দোলন করে মিছিল করতেসে আর স্লোগান দিতেছে ঃ আমাদের দাবি মানতে হবে , মানতে হবে, তখনি সামনের দিকে বস একদল আতেল ছেলেপেলে বলে ঊঠলো স্যার দেখছেন ওরা কি করতেছে কিভাবে ক্লাস নষ্ট করছে। স্যার বলে উঠলো জান তোমাদের মাঝে আর তাদের মাঝে কোথায় পার্থক্য তা হলো ওরা দাবী আদায় করতে শিখে গেছে যা তোমারা তা পার নাই।
আসলেই তাই সত্যি আমরা যদি না আগাই রাজনিতি করতে , পুলিশ এ, আর্মি তে তাহলে তো স নষ্টদের আধিকারে চলে যাবে এবং চলেও গেছে। জীবন যাপনের দুই ধরনের পদ্ধতি আছে যা হবার হতে দেয়া নয়ত দায়িত্ব উঠাও বদলে দাও সব।
০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার উদাহরণ!
৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:২৮
করুণাধারা বলেছেন: রাজনীতি করবে!! আবরার কি রাজনীতি করতো? ও কেবল কবিগুরুর একটা কবিতা ফেসবুকে দিয়েছিল, তার পরিনতি ভেবে আমি এখনো শিউরে উঠি।
০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে সবাই আবরার!
৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:১৪
আমি রাছেল খান বলেছেন:
বাংলাদেশে ভদ্র মানুষরা রাজনীতি করে না।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: তাই নাকি? তা ভদ্রতার সংগা কি?
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৩৬
আমি সাজিদ বলেছেন: এই মধু থেকে হাতুড়ি নিয়ে বের হয়ে এলো বলে।