|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 জুল ভার্ন
জুল ভার্ন
	এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
মহামারীতে উপমহাদেশ তুলনামূলক নিরাপদের কারণঃ
ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সংক্রমণ মহামারীতে দুনিয়ার অনেক দেশের চাইতে উপমহাদেশের দেশগুলোতে সংক্রমণের শিকার কম হয়েছে। অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা, রাস্ট্রীয় উন্নয়ন, মানবাধিকার, সুশাসন, সামাজিক নিরাপত্তা সহ নাগরিক অধিকারে ইউরোপ বা আমেরিকার সাথে আমাদের উপমহাদেশের অনেক কিছুতেই তুলনা চলে না সত্য। কিন্তু রোগ প্রতিরোধে আমাদের সংস্কৃতির অবদানও কিছুকম না। উপমহাদেশে ভাইরাস সংক্রমণের হার তুলনামূলক কম হবার কিছু সামাজিক ঐতিহ্য সংক্রমণ প্রতিরোধের কাজ করে। যেমনঃ-**
১) আমরা আমাদের পরিধেয় কাপড় ওদের থেকে অনেক বেশী পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখি এবং নিজেরা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকি।  
২) নিয়মিত প্রতিদিন গোসল করি। গরমকালে ২ বারও হয় অনেকের।
৩) বাইরে থেকে বাড়ী ফিরলেই ভাল করে হাত পা মুখ ধুয়ে ফেলি।
৪) বিছানার চাদর প্রতি দুই দিনের মধ্যে অবশ্যই ধুয়ে রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করা হয়।
৫) রোজ ঘর মোছা হয়।
৬) টয়লেটের পর শুধুমাত্র টিস্যু কাগজ ব্যবহার করি না। সাবান পানি দিয়ে শৌচ কর্ম করি।
৭) আমরা হলুদ, আদাসহ নানা রকম মশলা খাই, যা রোগ প্রতিরোধে ভেষজ ঔষধের কাজ করে। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের অনেক বেশি।
৮) আমরা সাধারণত রোজকার রান্না রোজ খাই।
৯)  আমরা বেশীর ভাগ মানুষ ফাস্ট ফুড কম, তাজা শাক সব্জী বেশী খাই।
১০) শীতকালের পোশাক কাচা হয় আর লেপ কম্বল রোদে দেওয়া হয়।
১১) আমাদের বারো মাসে ছয়টি ঋতু। ওদের চারটি ঋতু। ফলে প্রতিটি ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরকে আবহাওয়া সঙ্গে অনেক বেশী লড়াই করতে হয়, যা আমাদের শারিরীক সহ্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
১২) আমাদের দেশ এবং উপমহাদেশ এখনো যন্ত্র নির্ভর হয়নি, মানুষ কায়িক পরিশ্রম বেশী করে।
১৩) রোগ প্রতিরোধী তুলুসী পাতা, নিম পাতা, হরিতকি, বহেড়া, আমলকি, শজনে প্রভৃতি কেউ কেউ ধর্মীয় বা সংস্কার গত ভাবেই খায়।
১৪) আমরা অতিথি আপ্যায়নে গালে গাল মিশিয়ে কিম্বা ঠোঁট মিশিয়ে একেবারেই স্বাগত কিম্বা বিদায় জানাই না, বড়োজোর করমর্দন করি। হিন্দুরাতো দুর থেকে নমস্কার করে।
১৫) তাবলীগ জামাত ছাড়া ভ্রাতৃত্ব দেখাতে আমরা এক পাত্রে সবাই মিলে খাবার খাই না। খাবারের পরিমান কম হলেও আমরা আলাদা আলাদা পাত্রে রেখে খাই- এইসব সামাজিক সংস্কৃতি যেকোনো সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
** (লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার ব্যাক্তিগত উপলব্ধি, কাউকে আঘাত করতে নয়)
 ১৪ টি
    	১৪ টি    	 +০/-০
    	+০/-০  ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  বিকাল ৩:০০
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  বিকাল ৩:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
২|  ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ১১:১৫
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ১১:১৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভৌগলিক অবস্থান, প্রাতহিক কর্ম প্রক্রিয়া, প্রকৃতিক পরিবেশ ইত্যাদি দিক দিয়ে আমরা অন্যদের চেয়ে অনেক বেশী ভালো অবস্থানে আছি।
  ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  বিকাল ৩:০১
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  বিকাল ৩:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: সহমত।
৩|  ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ১১:৪৭
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ১১:৪৭
নতুন বলেছেন: * আমাদের দেশে বিসিজি টিকা দেওয়া আছে জাতীয় ভাবে এটা ফুসফুসের অনেক রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। 
* আমাদের দেশে নিউমোনিয়া গরম কালে কম ছড়ায়। 
* আমাদের দেশের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্ভবত একটু বেশি। 
ইউরোপের মানুষের চেয়ে এলার্জি, পেটের অসুখ আমাদের দেশের মানুষের কম হয়। আমাদের হোটেলে এলার্জি, পেটের সমস্যার অভিযোগ বেশি করে ইউরোপের গেস্টরা। একই খাবার সবাই খায় কিন্তু যখন ইউরোপের গেস্ট বেশি থাকে তখন এই রকমের অভিযোগ তারাই বেশি করে। 
  ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  বিকাল ৩:০২
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  বিকাল ৩:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে একমত।
৪|  ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  দুপুর ১২:০৫
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  দুপুর ১২:০৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: পেপারে দেখলাম দক্ষিন এশিয়ায় সংক্রমণ বেড়েছে। দেশে ৭০/৮০ জন মরছে আর কত বেশী হবে
  ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  বিকাল ৩:০৪
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  বিকাল ৩:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: বৈশ্বয়িক জনসংখ্যা বিবেচনায় আমাদের অবস্থান সত্যিই ভালো।
৫|  ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  দুপুর ১:৩৯
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  দুপুর ১:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: করোনার প্রথম ধাপে মৃত্যুহার কম দেখে মনে হয়েছে আমাদের এন্টিবডি অধিক শক্তিশালী। এর পেছনে আপনার কথাগুলো যৌক্তিক মনে হয়।
আমাদের গ্রামদেশে সংক্রমণের হার অনেক কম। সেখানে মানুষ খোলামেলা জায়াগায় থাকেন, ফলে ভাইরাস ইফেক্টিভ হওয়ার জন্য যথেষ্ট সুযোগ পায় না। শহরে গিজগিজ করে মানুষ, জায়গা হলো বদ্ধ। করোনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
গড়পড়তা, আমাদের দরিদ্র মানুষেরা প্রতিদিন গায়েগতরে অনেক খাটেন, রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করার ফলে তাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক বেড়ে যায়। যে শ্রমিক/কৃষক বৃষ্টির মধ্যে ক্ষেতে কাজ করেন, তার সর্দি হয় না। অনভ্যস্ত একজন মানুষের মাথায় সামান্য বৃষ্টির ফোঁটা পড়লেই সর্দিতে কাতর হয়ে পড়েন।
  ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  বিকাল ৩:০৪
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  বিকাল ৩:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
৬|  ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  দুপুর ১:৪৯
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  দুপুর ১:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার যুক্তিগুলি মনে হয় ঠিক আছে। আমরা রোগজীবাণুর মধ্যে থাকি বেশী। ফলে আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশী। বস্তিগুলিতে বা গ্রামে কেন এই রোগ বেশী ছড়াচ্ছে না এটা নিয়ে আমাদের গবেষণা করা উচিত। আমাদের এই অঞ্চলের মানুষের ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সামর্থ্য অন্য উন্নত অঞ্চলের চেয়ে কম। ফলে আমাদের দেহ ওষুধ নির্ভর না হয়ে নিজেরা রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে অভ্যস্ত।
আমার মনে হয় এলকোহল একটা কারণ। এই অঞ্চলে এলকোহল পান করা মানুষের হার অনেক কম। আমাদের চেয়ে ভারতে এলকোহলসেবী বেশী ফলে ওদের আক্রান্তের হার বেশী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে এলকোহল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষতি করে। এলকোহলের নিউমোনিয়া এবং অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।  
বয়স্ক মানুষ উন্নত বিশ্বে বেশী। ফলে তারা আক্রান্ত হচ্ছে বেশী। 
করোনার কোন ধরণের ভ্যারিয়েন্ট আক্রমন করছে কোন অঞ্চলে এটাও মাথায় রাখতে হবে। আমাদের দেশে আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট আসার পর সঙ্ক্রমন অনেক বেড়ে গেছে।
  ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  বিকাল ৩:০৬
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  বিকাল ৩:০৬
জুল ভার্ন বলেছেন: সহমত প্রকাশ করছি এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৭|  ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  বিকাল ৪:০৬
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  বিকাল ৪:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে সব আল্লাহর ইচ্ছা। আমাদের কারো কিচ্ছু করার নেই।
  ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ৭:৫১
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ৭:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: তাতো বটেই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ১০:২৩
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ১০:২৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মোটা দাগে সবগুলো ঠিক।পরিস্কার জামা কাপড় শীত প্রথান দেশের লোকেরাও পড়ে।ঘাম না হওয়ার কারনে জামা কাপড় ময়লা কম হয়।