|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 জুল ভার্ন
জুল ভার্ন
	এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
অল আর ''কানকাটা রমজান..... [/su 
 
"Hugo Boss" ফ্যাশন জগতে অন্যতম অভিজাত ব্রান্ড। পা থেকে শুরু করে নারী পুরুষের সকল পোশাক, ঘড়ি, চশমা পারফিউম উৎপাদন ও বিপনন ব্যবসায়ী। Hugo Boss জার্মান নাগরিক। যিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সৈনিক হিসাবে অংশগ্রহন করেছিল। যুদ্ধ শেষে ১৯২৩ সালে তার বাবার টেইলারিং দোকানে কাজ শুরু করে এবং দুই বন্ধুকে নিয়ে একটি ছোট  গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি শুরু করেছিল। 
হুগো বস ১৯৩২ সাল পর্যন্ত মামুলি গার্মেন্টেস মালিক ছিল। ১৯৩৩ সালে নাৎসি দলের উত্থানের পর স্বৈরশাসক অ্যাডল্ফ হিটলারের সময় হুগো বসের ভাগ্য বদলে যায়। অর্থনীতিবিদরা বলেন, "ফ্যাসিবাদীরা পুঁজিবাদী, কিন্তু তাদেরই এগিয়ে আসার সুযোগ দেয় যারা তাদের এজেন্ডায় পুরোপুরি চলার জন্য প্রস্তুত!"
অ্যাডল্ফ হিটলার হুগো বসকে বলেছিলেন, "ইহুদিরা শত্রু। ইহুদি ও রোমান জিপসিদের হত্যা করতে হবে। আপনি কি মনে করেন?"
হুগো বস জবাব দিয়েছিল, "আপনি যা বলবেন তা ভুল হতে পারে না, আমাকে আপনার সেবার সুযোগ দিন স্যার"!
জার্মান নাজি সরকার হুগো বসকে সেনাবাহিনীর সমস্ত পোশাক তৈরির চুক্তি দিয়েছিল। S.A, SS, Waffen SS, German Air Force, German Navy, National Socialist Motor Corps এবং হিটলার ইয়ুথ ব্রিগেড এর মতো সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগীদের ইউনিফর্ম ডিজাইন ও তৈরির সম্পূর্ণ চুক্তি হুগো বস  পেয়েছিলো!
একজন সাধারণ পোশাক বিক্রেতা থেকে কয়েক বছরের মধ্যে হুগো বস জার্মানির বৃহত্তম শিল্পপতি হয়ে যায়। সেই সময় লোকেরা বলত, "হিটলারের জুতোর ময়লা হুগো বস জিভ দিয়ে চেটে পরিষ্কার করে দেয়"! ধারণা করা হয়, সেই থেকেই জুতা চাটার ঐতিহাসিক ব্যংগচিত্র কোনো শিল্পী এঁকে থাকবেন।
জুতা চাটায় দোষ নাই যদি জুতা চেটে বেশুমার অর্থ বিত্তের মালিক হওয়া যায়! জার্মান নাগরিকদের করের পয়সায় সামরিক ইউনিফর্ম তৈরি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছিল হুগো। তার উপার্জনের একটি বড় অংশ নাজি পার্টিকে দান করতো। খুশী হয়ে হিটলার তাকে ডাক বিভাগ এবং রেল কর্মীদের ইউনিফর্ম বানানোর কাজ দিয়েছিল। মুনাফার লোভে হুগো বস অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সে তার কারখানায় ফরাসি, পোলিশ এবং ইহুদি বন্দীদের দাস- শ্রমিক করে কাজ করতে বাধ্য করতো!
১৯৪৫ সালে গণহত্যার সহযোগিতা ও নাৎসি পার্টির সমর্থনের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল হুগো বসকে। এখানেও সে বিজয়ী শাসকদের জুতো চাটতে শুরু করে। তাকে ক্ষমা করার জন্য বিপুল পরিমাণ ঘুষ দেয়। হুগো বস ও তার সংস্থাকে সামান্য জরিমানা করে ক্ষমা করে দেয় প্রশাসন! 
১৯৪৮ সালে, হুগো বস অসুস্থতায় মারা যায়। তবে নাৎসি সরকারের সহায়তায় হুগো বস এর প্রতিষ্ঠান 'HUGO BOSS'  আজ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিলাসবহুল ফ্যাশন পণ্য প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতা!
১৯২৪ সনে প্রতিষ্ঠিত হুগো বস এর সদর দফতর
মেটজিনজেন, জার্মানি। বিশ্বব্যাপী ১১১৩ টিরও বেশি আউটলেট। কর্মচারীর সংখ্যা- ১৪,৬৮৫ জন।
২০১৮ সনে হুগো বসের অপারেটিং আয় ৭৩২৭৩৩ মিলিয়ন ডলার এবং নিট প্রোফিট ৬৩৪৬ মিলিয়ন ডলার। মোট সম্পদ ৮,৫১,৮৫৮ মিলিয়ন ডলার।
প্রাচীনকালে রাজা বাদশাদের সহায়তায় বণিক শ্রেণী ধন-সম্পদ অর্জন করত। সেই প্রথা এখনো চলছে ভিন্নভাবে। বর্তমানে বিভিন্ন দেশের সরকারের আশীর্বাদে কিছু লোক আমাকে, আপনাকে, আমাদেরকে শোষণ করে শিল্পপতি হচ্ছে! তারা ভিআইপি, সিআইপি। খোঁজ নিলে দেখা যাবে বেশীরভাগ ভিআইপি, সিআইপি'র অতীত ইতিহাস "কানকাটা রমজান"!
 ১২ টি
    	১২ টি    	 +১/-০
    	+১/-০  ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ১০:৫১
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ১০:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: আলবাত।
২|  ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ১০:৫২
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ১০:৫২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: হুগো বস এর সব জিনিসই অনেক দাম। বিদেশে হুগো বসের শোরুমে দেখতে গিয়েছি কয়েকবার
  ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ৮:২৩
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ৮:২৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩|  ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ১১:০৫
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ১১:০৫
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: হুগো বস্দের প্রেতাত্নাদের কবল থেকে রেহাই পাওয়ার কি কোন উপায় আছে ???
  ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ৮:২৪
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ৮:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন: না।
৪|  ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ১১:০৯
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ১১:০৯
বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: সরকারের কিছু অংশের আশীর্বাদ ছাড়া বিভিন্ন দেশে সাধারণ জনগণকে লুন্ঠন কোনমতেই সম্ভব নয়। এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের অতীত কান কাটা রমজান, কথাটা একদম সত্য।
  ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ৮:২৪
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ৮:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আলবাত।
৫|  ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১  দুপুর ১:৪৮
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১  দুপুর ১:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: জুতা চেটে ধনী হওয়া সবার পক্ষে সম্ভব না।
৬|  ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ৮:২৬
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ৮:২৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আলবাত।
৭|  ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১  দুপুর ১:০৯
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১  দুপুর ১:০৯
অধীতি বলেছেন: হুগো বস যেমন জুতো চাটার উপযোগীতা বুঝতে পেরেছিলেন আমাদের ‘কানকাটা রমজানগনও’ সেটা বুঝতে পেরেছে। মধ্যবিত্ত রুচিবোধ, শিল্পবোধ, সাহিত্যবোধ আর দায়িত্ববোধ থেকে জুতোর উপযোগীতা কাজে লাগাতে পারেনা। অথচ কোন জিনিসের কোন উপযোগীতা সেটা মধ্যবিত্তই ভাল করে জানে।
  ১৬ ই এপ্রিল, ২০২১  দুপুর ১২:২৮
১৬ ই এপ্রিল, ২০২১  দুপুর ১২:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ভালো বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ৯:৩৮
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১  সকাল ৯:৩৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটাই বাস্তবতা। শাসক গোষ্টিও এমন ধনী নিজেদের প্রয়োজনে বানায়। রাষ্ট্রের টাকা সরাসরি কোষাগার থেকে লুট না করে এদের দিয়েই লুট করে।