নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নার্সিসিজম....

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:৪৩

নার্সিসিজম....

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পৃথিবীতে মানুষের প্রিয়তম মুহূর্ত হল আয়নায় নিজের মুখ দেখা। মানুষের নিজের মুখের চেয়ে প্রিয় আর কিচ্ছু নেই যা কোটি কোটি বার দেখেও আশ মেটেনা(যদিও এই কাজটি আমি শেভ করার সময় ছাড়া কদাচিৎ আয়নায় নিজেকে দেখি)।
নার্সিসাস নামে এক গ্রীক দেবতা ছিলেন। নার্সিসাস ছিলেন ভয়ঙ্কর রকমের সুপুরুষ। তিনি এতই সুপুরুষ ছিলেন যে প্রত্যেক গ্রীক রমণী তাকে কামনা করত, তার সান্নিধ্য লাভ করতে চাইত। সে ছিল জলপরি লিরিওপি ও নদী দেবতা সেফিসাসের সন্তান।
এহেন নার্সিসাসের সান্নিধ্য কামনা করলেন বনদেবী অফিউস। তিনি নার্সিসাসের কাছে কাতর আকুতি করলেন, দেবতার সান্নিধ্য লাভের জন্য। এদিকে নার্সিসাস তখন অন্য নারীতে মুগ্ধ। তিনি প্রত্যাখ্যান করলেন বনদেবীকে। প্রত্যাখ্যাত হয়ে রাগে, দুঃখে, অপমানে অফিউস ছুটে গেলেন অদৃষ্ট'র দেবতা নেমেসিসের কাছে।
ক্রুদ্ধ নেমেসিস অভিশাপ দিলেন নার্সিসাস কে, 'তোমার এই রূপ'ই তোমার মৃত্যুর কারণ হবে'।
দিন যায় রাত যায়- নার্সিসাসকে প্রেম নিবেদন করে চলে একের পর এক নারী। নার্সিসাস প্রজাপতির মতো উড়ে বেড়ায় এক নারী থেকে অন্য রমণীতে।

একদিন এক নদীর তীরে হাঁটতে হাঁটতে স্বচ্ছতোয়া পানিতে নার্সিসাস দেখতে পেলেন নিজের প্রতিবিম্ব। দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলেন। একদৃষ্টে তাকিয়ে রইলেন নিজের প্রতিবিম্বের দিকে। নিজের রূপে তিনি এতই বিমুগ্ধ হয়ে গেলেন যে ওই স্থান ছেড়ে আর অন্য কোথাও যেতে পারলেন না। অবশেষে আহার নিদ্রাহীন আত্মমুগ্ধ নার্সিসাস ওই স্থানেই প্রাণত্যাগ করলেন।
এই যে আত্মঘাতী আত্মমুগ্ধতা, এই হল নার্সিসিজম।এও একধরণের মানসিক বিকৃতি।

নিজের রূপ শুধু নয়। নিজের কথা, নিজের কাজ, নিজের সঙ্গী, নিজের শখ...এমন অনেক কিছু মাত্রাতিরিক্ত আত্মবিভোরতাই নার্সিসিজম।
শুধু ব্যক্তিমানসিকতা নয়, এই আগুনে ঘি ঢেলে চলেছে ভোগবাদী ও পুঁজিবাদী আন্তর্জাতিক চক্র।

এই চেষ্টাটা শুরু হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরেই। যৌথ পরিবারগুলো ভাঙতে থাকা দিয়ে শুরু। তারপর নিজের গাড়ি, নিজের ফ্ল্যাট, নিজের ইচ্ছে নিয়ে সমাজকে ভুলে থাকা, সামাজিকতা ভুলে থাকা মানুষের বেড়ে চলা অবসেশন। সামাজিক ভাবে আজ যেটা চূড়ান্ত পর্যায়ে দাঁড়িয়ে। প্রাথমিক উদ্দেশ্য সোজাসাপটা বাণিজ্যিক। প্রতিটি মানুষ নিজের পৃথকতায় উল্লসিত হতে আরো বেশি ভোগ্যদ্রব্য কিনে বাজার বাড়ায়, ততই বণিকের সুবিধা। যৌথ-সম্পদ নিয়ে তার যেন হীনমন্যতা ও অসন্তোষ তৈরী হয়। সে নিজেকে আলাদা করে যাতে অহেতুক বিজ্ঞাপিত করতে পারে, তার একটা ট্রেন্ড সেটিং। আসল উদ্দেশ্য মানুষকে মানুষের থেকে মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন করা। তাকে একাকীত্বে ঠেলে দিয়ে দুর্বল করা। তাকে ভোগবাদী করে তুলে, শাসকের বিরুদ্ধে সমাজে স্পর্ধিত-প্রতিবাদী ভাবনা কিংবা আচরণকে নিস্তেজ করে রাখা। কারণ বিচ্ছিন্ন, বিভ্রান্ত, বিহ্বল মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ। তাই পুঁজিবাদী শিকারী কষ্ট করে এখন আর শিকারের পিছনে ছোটে না, তার কাজ শুধু অগভীর দেখনদারিত্বের মানসিকতাটাকে বেশ করে তোল্লাই দিয়ে শিকারকে তিলে তিলে আত্মহত্যাপ্রবণ করে তোলা।

আজকের তরুণ প্রজন্ম সেলফি অ্যাডিক্টেড(আমার ফ্রেন্ড লিস্টের এক শ্রেণীর বুড়ো-বুড়িরাও কম যায়না)। তারা অবিশ্রান্ত ভাবে একের পর এক সেলফি তুলছে।
শুধু মানুষ না, শিম্পাঞ্জিদের মানসিক গঠনও এক- ওরাও আয়নায় নিজেকে দেখতে খুব পছন্দ করে। এই যে অসহায় আত্মমুগ্ধতা, এই যে নিজেকে নিয়ে বিভোর হয়ে থাকার চূড়ান্ত অসামাজিকতা, এই যে সেলফিসের মত সেলফি তোলা- এর মূল কারণ বহুজনের মধ্যে থেকেও একাকীত্ব, নিজের বর্তমান অবস্থা নিয়ে অসন্তুষ্টি।

ঠিক এক জায়গা থেকেই শুধু নিজেকে দেখে যাওয়া এবং নিজেকে দেখানো। নিজের সঙ্গে প্রেম করা, নিজেকে নতুন করে খুঁজে বেড়ানোর প্রাণপণ প্রচেষ্টা। এই মানসিক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের সর্বত্র। সমস্ত সেলফি অ্যাডিক্টেড মানুষ যেন এক কারাগারে বন্দী, যেখান থেকে তাদের মুক্তি নেই। এটাও নার্সিসিজম। এও একধরণের মানসিক বিকৃতি কিম্বা মানসিক বিকার।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:১২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: িনজেই নিজের প্রেমে পড়া । এটা মাত্রাতিরিক্ত হলে খুবই ভয়ঙ্কর।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:১৬

জুল ভার্ন বলেছেন: সমাজে অমন ছাগলের অভাব নাই

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:১৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পুঁজিবাদী সমাজের বিভৎস চেহারাটা তুলে ধরেছেন।এখন আর কোন প্রতিবাদও নাই।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:৩১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: নার্সিসাসের সময় কালে মনে হয় একাধিক বিবাহের প্রচলন ছিল না ;) । প্রচলন না থাকুক অন্তত নিজেকে কামনাকারী রমনীদেরকে কিছুটা সে চাইলেও তৃপ্ত করতে পারতো =p~ । যাক, তার জন্য আমাদের দুঃখ করার কিছু নাই; যা দুঃখ করার তা তো আমার মায়ের পূত্র-কন্যাদের জন্য করতে হয়।

বর্তমান সমাজের বিশাল দুরারোগ্যপূর্ণ একটি সমস্যা হচ্ছে সেলফি। যা একজন মানুষের ভেতরে থাকা নার্সিসিজমের প্রতিফলন। খুব সুন্দরভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এই সমস্যার সুস্থতার ভেতর কিন্তু একজন মানুষের বিবেকের বেঁচে উঠা। আর বিবেকের সক্রিয়তাই সমাজের সকল অনিয়ম প্রতিহত করার প্রধান হাতিয়ার। তাছাড়া বিবেকহীন মানুষ কখনো ব্যক্তিজবনেও শান্তি পায় না। সুতরাং আমাদের নিজ ব্যক্তি জীবনের শান্তির জন্য হলেও বিবেকের সক্রিয়তা আবশ্যক৷ আর এই বিবেকের সক্রিয়তার জন্য প্রয়োজন নার্সিসিজম থেকে বেরিয়ে আসা।


আমার কেন যেন মনে হচ্ছে, এটা মানুষের জন্মপরবর্তি একটি স্বভাবজাত বিষয়। যেরকম মানুষের স্বভাবজাতে থাকে পশুর কিছু গুণ। মানুষ ধীরে ধীরে মায়ের স্পর্শে, সমাজের মাধ্যমে, একাডেমিক- নন একাডেমিক শিক্ষার মাধ্যমে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে সফল হয়৷ তবে সবাই যে সফল হয়, এমন না। তারাই সফল হয়, যারা শিক্ষাকে তার বাস্তবিক জীবনের সাথে প্রয়োগ করতে পারে।
এটাও ঠিক যে, মানুষের সেই নার্সিসিজমের স্বভাবটাকে ঠিকিয়ে রাখতে আমাদের পুঁজিবাদেরর চেষ্টা সবচেয়এ অধিক। আমার মনে হয় না নার্সিসিজম তৈরির পেছনে তারা কাজ করছে। তারা বরং মানুষের সেই স্বভাবটাকেই সক্রিয় করার মাধ্যমে নিজেদের সম্রাজ্যের বিস্তার ঘটাচ্ছে। তাই তো আমরা শিক্ষিত দেখি তবে বাস্তবিক অর্থে শিক্ষার প্রয়োগ ঘটায় এমন মানুষকে দেখি না।


শাহযাদ ফেরদাউসের শাইলকের বানিজ্য বিস্তার পড়েছেন নিশ্চয়। সেই গ্রন্থে তিনি পুঁজিবাদের আগ্রাসন নিয়ে এতো সুন্দর একটি উপন্যাস লিখেছেন যেখানে পুঁজিবাদের নিষ্ঠুরতম আচরণ ফুটে উঠেছে সূর্যের আলোর ন্যায়। আমাদের সবার জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত পুরোটা নিয়ন্ত্রণের অধিকার নিতে চায় পুঁজিবাদ।
'শাসকের বিরুদ্ধে সমাজে স্পর্ধিত-প্রতিবাদী ভাবনা কিংবা আচরণকে নিস্তেজ করে রাখা। কারণ বিচ্ছিন্ন, বিভ্রান্ত, বিহ্বল মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ। তাই পুঁজিবাদী শিকারী কষ্ট করে এখন আর শিকারের পিছনে ছোটে না, তার কাজ শুধু অগভীর দেখনদারিত্বের মানসিকতাটাকে বেশ করে তোল্লাই দিয়ে শিকারকে তিলে তিলে আত্মহত্যাপ্রবণ করে তোলা।'
আপনার এই কথার সাথে আমি সম্পূর্ণ সহমত।


অনুরোধ থাকবে, এরকম লেখা কন্টিনিউস রাখুন।
শুভকামনা জানবেন।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:২৩

জুল ভার্ন বলেছেন: নার্সিসিজমের প্রত্যক্ষ উদাহরণ সেলফি বাজ পাব্লিক। আপনার সুন্দর মন্তব্য আমার পোস্টের বিষয়বস্তু সমৃদ্ধ করেছে। অনেক কৃতজ্ঞ। শুভ কামনা।

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৩২

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: নিজেকে নিয়ে বিভোরতা অতিমাত্রায় থাকলে তা ব্যক্তি, সমাজ সবার জন্যই ক্ষতিকর। এমনটা হলে নিজেকে সন্তুষ্ট করার অভিপ্রায়ে মানুষ যেকোনো অপরাধ করতেও দ্বিধা করবে না। মানুষের একাকীত্ববোধ জাগ্রত করে দিয়ে তাকে সমাজবিচ্ছিন্ন করে দিয়ে তার মগজধোলাই করা সহজ হয়, যার ফলে তার কাছে পণ্য বিক্রি করতে পারে বেনিয়ারা। নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সমাজ, রাষ্ট্রের অসংগতি চোখে পড়ে না ব্যক্তির। সেলফি একটা ভয়ংকর রোগ। লাশের সাথে সেলফি তুলতে দেখেছি মানুষকে। আবার রেললাইনে দাঁড়িয়ে চলন্ত ট্রেনের সাথে সেলফি তুলতে গিয়ে মরার কথাও শুনেছি।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৮

জুল ভার্ন বলেছেন: ফেসবুকে সব থেকে বেশী বিরক্তিকর সেলফিবাজদের নোংরামো।

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: নার্সিসিজম রোগের কেতাবি ‘নাম নার্সিসিস্টিক পারসোনালিটি ডিজওর্ডার’ বা ‘এনপিডি’।বাংলায় বলা যেতে পারে ‘অতি আত্ম-প্রেম জনিত ব্যক্তিক আচরণ বিচ্যুতি’।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৯

জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: জিউসের পত্নী দেবী হেরার সাথে কিছু শত্রুতাবশত ইকোর কপালে জুটেছিলো এক নিদারুণ অভিশাপ! ইকো কখনো নিজে থেকে প্রথমে কোনো কথা বলতে পারতেন না, তিনি অন্যের কথার শেষ অংশটুকুর পুনরাবৃত্তিই করতে পারতেন শুধু। ভাগ্যের আরেক পরিহাস, এই ইকোও গভীর প্রেমে পড়লেন নার্সিসাসের।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩০

জুল ভার্ন বলেছেন: আগে জানতামনা। জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৩৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বেশ লিখেছেন।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩১

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: রোগ নির্ণয়-তো হল কিন্তু এ রোগ থেকে মুক্তির ওষুধটা তো বাতলে দিতে হবে।
নিজেকে ছাড়া আর কাকেই ভালবাসবেন বলেন? দিনশেষেতো আমার সেই আমিই- আশেপাশের অতিপ্রিয় সব মানুষগুলোর মুখোশ এক এক করে উন্মোচন হয়ে গেলে, নিজেকে নিয়ে থাকা ছাড়া আর উপায় কি বলুন?

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩২

জুল ভার্ন বলেছেন: মুক্তির একমাত্র ঔষধ আত্মমর্যাদাবোধ, ব্যাক্তিত্ববোধ।

৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০২

শায়মা বলেছেন: সবাই কম বেশি নিজেকেই ভালোবাসে। তবে নার্সিসাসের মত অতি ভালোবাসা হয়ে গেলে সমস্যা। সেলফি খালাম্মা খালুরা যেমনই সমস্যা তেমনই বিরক্তিকরও বটে।

যাইহোক একটা কথা মনে পড়ে গেলো। ব্লগে এক পন্ডিৎনি একবার লিখলো এই নার্সিসাস নাকি রমনী ছিলো। :P

সেই কথা তাকে শুধরিয়ে দিতে বললেও সে বললো শোধরাবো না যান কি করবেন করেন.....

হা হা হা হা এটাও নার্সিসিজমের মতই আরেকটি মানসিক রোগ। নিজেরে হনু ভাবা রোগ।

যাক নিজেরে হনু ভাবা মানুষ বেয়াদপ বটে তবে যেহেতু ভীতু কাজেই নিজের গন্ডিতেই লম্ফ ঝম্ফ মারে। :)

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ওভার স্মার্ট পণ্ডিতনীরা অমনই ক্যালাস হয়।

১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।

নার্সিসাসের ক্যারেক্টারিস্টিক্স থেকেই নার্সিসিজম বা নার্সিসিস্ট এসেছে। সেলফি আন্টি বা আঙ্কেলরা নার্সিসিজমে আক্রান্ত হলেও সমাজ ও রাষ্ট্রে, বা আন্তর্জাতিক লেভেলে যারা ডেঞ্জারাসলি নার্সিসিস্ট হয়ে নার্সিসিজম প্র্যাক্টিস করে যাচ্ছেন, তাদের হাত থেকে একসময় কেউ রক্ষা পাবে না। পৃথিবী আতঙ্কে আছে তাদের কারণে।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের সাথে সহমত প্রকাশ করছি।

১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪০

পদ্মপুকুর বলেছেন: পশ্চিমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই যে নিউক্লিয়াস ফ্যামিলির শুরু, বিভিন্ন ধর্মীয় অনুশাসন, সামাজিক মূল্যবোধের মধ্য দিয়ে আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত তা টিকে থাকলেও ভেতরে ভেতরে ক্ষয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন এত বেশি আত্মকেন্দ্রিক, আত্মপ্রেমী হয়ে গেছি যে আমাদের গ্রিক দেবদেবীরা থাকলে হয়তো নতুন কোনো টার্ম তৈরী হয়ে যেত এখন।

মোস্তাফিজ তমাল ভালো বলেছেন।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:১০

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:১৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:০১

নতুন বলেছেন: বর্তমানে নিজের ঢাক নিজেই পেটায় জনগন কারুন অন্যের হাতে দিলে ফাটাইয়া ফেলতে পারে।

আর বর্তমানে মানুষ জ্ঞান শিক্ষার চেয়ে সোসাল মিডিয়াতে মগ্ন বেশি থাকে। তারা বোঝেনা যে তারা সোসাল মিডিয়ার মালিকের জন্য টাকা কামিয়ে দিচ্ছে মাত্র।

নিজেকে জানো অনেক আগেই জ্ঞানী মানুষ বলেছিলেন সেটা বর্তমানের কতজন জানে? মানুষ যখন জ্ঞানী হয় তখন অহংকার মুক্ত হয়, নিসিসিজমেও ভোগে না।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:১৩

জুল ভার্ন বলেছেন: সোস্যাল মিডিয়ার মালিকের জন্যই আমরাও আমাদের আদিখ্যেতা দেখানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। ধন্যবাদ ভাইজান।

১৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:০৯

ডাব্বা বলেছেন: প্রতিটি সরকার নার্সিসিস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.