নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
সিঙ্গাড়ার জন্ম বৃত্তান্ত
*******************
কেউ কোনো দিন শুনেছেন, রাজপ্রাসাদ থেকে কোনো অভিজাত ব্যাক্তির জন্য অন্যান্য উপহার সামগ্রীর সাথে উপঢৌকন হিসেবে পাঠানো হয় সিঙ্গাড়া?
দোলপূর্ণিমার সন্ধ্যায়, কৃষ্ণনগরের রাজা মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের দরবার থেকে বাইশটি সুসজ্জিত হস্তী ভেট নিয়ে গিয়েছিলো উমিচাঁদের কাছে - বিশাল আকৃতির বাইশটি স্বর্ণথালা ভর্তি বাইশশোটি সিঙ্গাড়া। ভারতীয় খাদ্য হিসেবে সিঙ্গাড়ার সাথে রবার্ট ক্লাইভের প্রথম সাক্ষাৎ হয়, এই মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রেরই সৌজন্যে।
শহুরে অভিজাত পরিবারের বৈঠকখানায় অভিজাত মেহমানদারী থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লার রেস্টুরেন্ট, টং দোকান থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের জরাজীর্ণ চায়ের দোকানের সামনে নড়বড়ে বাঁশের বেঞ্চে রাখা তেলচিটে কালো ভাঙ্গা ডালায় সর্বক্ষণ মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের প্রধান হালুইকরের স্ত্রীর উদ্ভাবন নাশতায় খাদ্যপণ্যটি সর্বত্র সর্বদা সর্বগামী।
১৭৬৬ সালে কৃষ্ণনগরের রাজা মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের রাজপ্রাসাদের রাজ-হালুইকর(প্রধান শেফ), কলিঙ্গ তথা বর্তমান ওড়িষ্যা থেকে আগত গুণীনাথ হালুইকরের ষষ্ঠপুত্র গিরীধারী হালুইকরের স্ত্রী ধরিত্রী দেবী আবিষ্কার করেছিলেন সিঙ্গাড়া।
মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি শাক্ত সাধক রামপ্রসাদ, স্বয়ং সন্ধ্যাপুজো সেরে প্রতিসন্ধ্যায় বসতেন একথালা সিঙ্গাড়া নিয়ে।
মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের মধুমেহ(ডায়বেটিস) রোগী। তাই রাজচিকিৎসক রোগাক্রান্ত রাজাকে খাদ্য তালিকায় অল্প অল্প খাবার বারবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু মহারাজ ছিলেন ভোজন প্রিয়। রাজার পছন্দের রাজবাড়ির হালুইকর যতবারই রাজসভায় লুচি মিষ্টান্ন পাঠায় রাজা ঠাণ্ডা লুচি বারংবার ফেরত পাঠায়। অগ্নিশর্মা হয়ে শূলে চড়ানোর হুকুম দিলেন হালুইকরকে। অনেক অনুনয় বিনয় করে নিজের প্রাণ রক্ষা করেছেন হালুইকর। কিন্তু রাজা আদেশ দিয়েছেন - হালুইকরকে তিনরাত্রের মধ্যে রাজ্য ছেড়ে যেতে।
হালুইকরের স্ত্রী ঠিক করেছে দেশত্যাগের আগে একবার দেখা করবে রাজার সাথে। সেইমতো সকালে রাজদরবারে এসে প্রণাম জানিয়ে রাজামশাইকে জানায় - 'আমি এমনভাবে লুচি তরকারি করতে পারি, যা রাজা আধঘন্টা বাদে খেলেও গরম পাবেন। এজাতীয় লুচি এবং তরকারি তৈরীর কিছুক্ষণ বাদে খাওয়াই দস্তুর।'
রাজা কিঞ্চিৎ কৌতূহলী হয়ে হালুইকরের স্ত্রীকে পাঠালেন পাকশালে। জানিয়ে দিলেন যখন রাজসভা থেকে খবর যাবে তৎক্ষণাৎ পাকশাল থেকে খাবার পৌঁছনো চাই। হালুইকরের স্ত্রী মাথা নত করে মহারাজকে জানিয়েছিলো - 'খাদ্যদ্রব্য রাজসভায় তৎক্ষণাৎই পৌঁছবে, কিন্তু অনুগ্রহ করে তিনি যেন কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে খান - অন্যথায় মহামান্য রাজকীয় জিহ্বা পুড়ে যেতে পারে।'
রাজ-পাচক আলুর তরকারি, পাঠার কলিজা ভুনা করে পাকশালে দাঁড়িয়ে, হুকুম এলেই লুচি ভাজতে হবে। ময়দার খামির মাখা রয়েছে হাতের সামনে। হালুইকরের স্ত্রী পাচককে ময়দার তাল থেকে লেচি কেটে লুচি বেলে, কাঁচা ময়দার ভেতর লুচির জন্য তৈরি সাধারণ তরকারি, কলিজা ভরে সমভুজাকৃতি ত্রিভুজের গড়ন বানিয়ে আড়ষ্ঠ রাজ পাচকের সামনে নিজেই প্রস্তুত হলেন। রাজাজ্ঞা আসতেই তরকারি- কলিজার পুর ভর্তি দশটি ত্রিভুজাকৃতির লুচির ময়দা ফুটন্ত ঘি ভর্তি কড়াইতে ফেলে, নিমেষের মধ্যে সোনালী রঙের ত্রিভুজগুলি তুলে নিয়ে স্বর্ণথালায় সাজিয়ে নিজেই চললো রাজসভায়।
মহারাজ এরূপ অদ্ভুত দর্শন খাদ্যবস্তু দেখে স্তম্ভিত। হালুইকরের স্ত্রী অত্যন্ত বিনীতভাবে জানালো - খাদ্যদ্রব্যটির নাম সমভুজা। মহারাজ যেন সম্পূর্ণ বস্তুটি মুখে না ঢুকিয়ে একটি কামড় দিয়ে দেখেন - ঠাণ্ডা না গরম এবং অনুগ্রহ করে স্বাদটি জানান।
মহারাজ স্বাদ জানাননি। তিনি তিনছড়া মুক্তো মালা খুলে হালুইকরের স্ত্রীর হাতে দিলেন। রাজবাড়ির হালুইকরের দণ্ডাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেন। প্রায় ছ'মাস পর হেসে উঠেছিলেন মহারাজ, শান্তি পেয়েছিলো তামাম প্রজাকুল।
সিঙ্গাড়ার জন্য ইতিহাস স্বীকৃতি দিয়েছে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রকে। সিংগাড়া প্রিয় খাদকেরা ভুলে গেছে সিংগাড়া প্রস্তুতকারী প্রধান হালুইকরের স্ত্রী ধরিত্রী বেহারার নাম।
ইংরিজিতে বলে, কমন সেন্স মেকস্ আ ম্যান আনকমন। ধরিত্রীদেবী সাধারণ বুদ্ধি খাটিয়ে আবিষ্কার করেছিলেন এই অসাধারণ খাদ্যদ্রব্যটির, যেটি সেই ১৭৬৬ সাল থেকে ছড়িয়ে পড়েছে দুই বাংলা ছাড়িয়ে গোটা ভারতবর্ষে।
ঐতিহাসিকদের মতে, এর বহু আগে, নবম শতাব্দীতে পারস্যের অধিবাসীরা যব এবং ময়দার তালের সঙ্গে গাজর মটরশুঁটি রসুন ও মাংস মেখে তেলে ভেজে খেতো, যাকে বর্তমান সিঙ্গাড়ার জনক হিসাবে ধরা হয়। সুদূর পারস্য থেকে ভারতবর্ষে এসেও তাঁরা ময়দার তালে মাংসের কুঁচি ঢুকিয়ে তেলে ভেজেই খেতেন। এরও বহুপরে তাঁরা ভারতবর্ষের উত্তরপূর্ব উপকূলে বিভিন্ন মশলা সহযোগে তৈরি আলুর তরকারি, ময়দার ভেতর ঢুকিয়ে ঘিয়ে ভাজার পদ্ধতিতে চমৎকৃত হ'ন।
ডায়বেটিক পেশেন্টদের ঘন ঘন খিদে পায়। চিকিৎসাবিজ্ঞান উন্নত হয়েছে। ডাক্তাররা বলছেন, অনেকক্ষণ অন্তর একসাথে প্রচুর পরিমানে না খেয়ে, ক্যালোরি মেপে কিছুক্ষণ অন্তর অল্পসল্প খাবার খেতে। কিন্তু সেযুগে ডাক্তারবাবুদের হৃদয় ছিলো বিশাল। মধুমেহ রোগীরা তখন তেল ঘি মশলা, ভাজা খেলেও তাঁরা রাগ করতেন না, সর্বপরি রাজার খাবারে রাগ করে কার ঘাড়ে কয়টা মাথা! নিশ্চিতভাবেই আজকের যুগে ডাক্তারগন আঁতকে উঠবেন যদি দেখেন কোনো ডায়াবেটিক পেশেন্ট প্রতিঘন্টায় সিঙ্গাড়ায় উদরপূর্তি করছেন। যা রাজসভায় রাজ-সম্মুখে পরিবেশিত হয়, তার কৌলীন্য প্রশ্নাতীত হবে - এই তো স্বাভাবিক।
ভাষাবিদদের মতে, সমভুজা--< সম্ভোজা--< সাম্ভোসা--< সামোসা।
মতান্তরে, সমভুজা--< সম্ভোজা--< সিভুসা--< সিঁঙুরা--< সিঙ্গাড়া।
*****************************
তথ্যসূত্রঃ A Historical Dictionary of Indian Food by K.T. Achaya
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: শুনেছি তবে আমি বিস্তারিত জানিনা, বিস্তারিত লিখবেন আশা করি। উনি যেমনই হোক সিংগাড়ায় ওনার অবদান অস্বীকার করা যাবেনা।
২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সিঙ্গারা সম্পর্কে জানতে পারলাম
ধন্যবাদ আপনাকে। ভিতরের আলু আমি খেতে পারি না
ফেলে দিয়ে খাই
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আর আমি শুধু আলুটাই খাই। সিংগাড়ার শক্ত অংশ ফেলে দেই।
৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৪
শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল সংগ্রহ । শিঙ্গাড়ার আবিস্কার বেশ চমকপ্রদ । এখন ঢাকায় বেশ কটি স্পটে ভাল শিঙ্গাড়া বানায় । অনলাইনে অসাধারন শিঙ্গাড়ার সমাহার । আমি শিঙ্গাড়া ভালবাসি তবে তার ভেতর ডাবলি , বাদাম, নারকেল থাকতে হবে । কৃষ্ণচন্দ্র হয়ত আমার রেসিপি জানতেন না । এটার সাথে তেতুল চিনির মিশ্রনে যে টক বা সস বানানো হয় তা অপরিহারয্য ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: কি আর করা!
সেই কৃষ্ণ চন্দ্রও নাই, সেই সিংগাড়াও নাই। এখন যা পাই তাই খেয়ে তৃপ্ত হই। ভাই, এখন অফিসে বসে সিংগাড়া খেতে খেতে এই মন্তব্য লিখছি!
৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সিঙ্গারা আমার খুব প্রিয়। এই মুহূর্তে আমার সামনে দুইটা সিঙ্গারা আছে। কিছুক্ষণ ওটা আর সেখানে থাকবে না। জায়গা মত চলে যাবে। হালুইকরের স্ত্রী ধরিত্রী দেবীকে আমার পক্ষ থেকে অনেক ধন্যবাদ এই চমৎকার খাদ্যদ্রব্য উদ্ভাবনের জন্য। আপনাকে ধন্যবাদ সিঙ্গারার জন্মবৃত্তান্ত বয়ান করার জন্য। ভালো থাকবেন।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ। আমিও এখন আমিও সিংগাড়া খাচ্ছি
৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ইতিহাসটি করুণ এবং মজার, দুটিই। রাজার এই সিঙাড়া পছন্দ না হলে তো কালুইকর মারা যেতেন
ভালো লাগলো ইতিহাস।
সমুচা ও সিঙাড়া একই গোত্রের। সামোসা বা সমুচা একই ভাবে এসেছে কিনা তা জানতে ইচ্ছে করছে।
সিঙাড়া ও পুরি আমার খুবই প্রিয়। সপ্তাহের ৩/৪ দিনই সিঙাড়া খাওয়া হয়। আমারও ডায়াবেটিস এটা খাওয়া ক্ষতিকর জেনেও খাচ্ছি
শুভেচ্ছা রইল জুল ভার্ন ভাই।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রিয় সোনা ভাই, সিংগাড়া থেকেই সামুচার আবির্ভাব মনে করাই যেতে পারে। একই ভাবে হয়ত মোঘলাই পরোটার উতপত্তি হয়ে থাকবে। পুরি(ডাল পুরি) আমারও খুব প্রিয়। আমার ডায়বেটিস নাই তবে সিংগাড়া সমুচা, পুরি খেলেই গ্যাস ওঠে তবুও খাই-বিশেষ করে অভিসের নাশাতায়।
শুভ কামনা নিরন্তর।
৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৩
অপু তানভীর বলেছেন: সিঙ্গারার উৎস তাহলে এই ! এটা তো জানা ছিল না । এতো পছন্দের একটা খাবার আর তার উৎপত্তি সম্পর্কে জানা ছিল না ।
ইতিহাস জেনে আনন্দ পেলাম ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৪
জাদিদ বলেছেন: আপনি যেটা লিখেছেন, সেটাই হয়ত সিংগারা আবিষ্কারের সবচেয়ে অথেনটিক ইতিহাস। তবে একবার পড়েছিলাম, এই সিংগারা মূলত আবিষ্কার করেন এক কিষানী। তার সন্তানদেররা খেলনা ছাড়া খাবার খেতে চাইত না। তখন তিনি বুদ্ধি করে বিভিন্ন আকৃতির কিছু খাবার বানান যার ভেতরে আলু আর সবজির পুর আর বাইরে ময়দার খামি। এইভাবে পরে সিংগারা সামুচা আবিষ্কার হয়। আমার কাছে এটা খুব একটা গ্রহনযোগ্য মনে হয় নাই।
আমি মনে করি ভালো সিংগারা সবাই বানাতে পারে না। যেমন ধরেন গুলশান ২ অঞ্চলে সেরা সিংগারা পাওয়া যায় বার্লিন নামক একটা দোকানে। গুলশান ১ নাম্বার ডিএনসিসি মার্কেটের সামনে ফুলের দোকানগুলো পার হয়ে একটা পত্রিকা স্ট্যান্ড আছে যা বর্তমানে খাওয়ার দোকানে পরিনত হয়েছে। তাদের সিংগারা আর মুরগি ভাজা বেশ ভালো।
পুরো ঢাকায় বিভিন্ন অঞ্চলে সিংগারা একেক রকম। আলুর সিংগারার ভেতরে বাদাম বা ডাবলি থাকলে মেজাজ খারাপ লাগে। আমি একটা সিংগারা খেতাম আগে দুপুর বেলা যেখানে ওরা আলুর সাথে ধনে পাতা ব্যবহার করত। উফ! কি যে অদ্ভুত আর দুর্দান্ত স্বাদের জিনিস! দাম মাত্র ৫ টাকা। এই দোকানেই আবার মুরগির গিলা কলিজা ও আলু দিয়ে একটা সিংগারা বানানো হতো, সেটাও দারুন স্বাদ। দাম মাত্র ১০ টাকা।
তবে সম্ভবত ঢাকার সবচেয়ে বিখ্যাত সিংগারা পাওয়া যায় ডেইলি স্টার অফিসের বিপরীতে। সেখানকার কলিজা সিংগারা খুবই বিখ্যাত। এছাড়া সিআইডি অফিসের বিপরীতে রাস্তায় গলিতে দারুন একটা সিংগারা পাওয়া যায়। মোহাম্মদপুরে জাকির হোসেন রোডে একটা কলিজার সিংগারা পাওয়া যেত যার দাম আজ থেকে ৩/৪ বছর আগেও ছিলো ২৫/৩০ টাকা। দুর্দান্ত স্বাদ।
আর আমাদের কলাবাগান গ্রীন রোড অঞ্চলে ভালো সিংগারা পাওয়া যায় বসুন্ধরার পিছে, মাঝে মাঝে আইবিএ ক্যান্টিনের গেটের দক্ষিনে আর গ্রীন রোডে সকল সিংগারা আমার কাছে কাছে এ্যাভারেজ। দুই একটা দোকান ভালো।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধ এই মন্তব্যটা আমার পোস্টের সম্পুরক।
অপূর্ব!
৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সিঙ্গাড়ার জন্ম বৃত্তান্ত জানা হলো আপান পোস্ট থেকে। তাই + যদিও লেখাটি সম্ভবতো কপি-পেস্ট।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার লেখারই পুণঃপ্রকাশ। দুই বছর আগে ফেসবুকে লিখেছিলাম। আর লেখায় তথ্যসূত্র উল্লেখ করেছি।
৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
বর্তমান সময়ে, সিংগারা ভালো খাবার নয়; ইহাকে ভাজি না করে, বেইক করে তৈরি করলে, ইহা সঠিক খাবারে পরিণত হবে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: সিংগাড়া কখনোই ভালো খাবার নয়-তা যেভাবেই তৈরী করা হোক। তবে আমাদের দেশে এটা অত্যন্ত প্রচলিত নাশতার উপকরণ।
১০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১
জ্যাকেল বলেছেন: সিংগারা খেতে খুব ভাল কিন্তু যে তেল দিয়ে বানানও হয় সেটা দেখলে আর মন খেতে চাবে না।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ভালো তেলেও ভাজি করে কিন্তু কোনো সিংগাড়াই স্বাস্থ্য সম্মত নয়।
১১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০৯
আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: আমার খুবই প্রিয় একটা খাবার। ভারতের অবাঙালি রাজ্যে সম্ভবত এই সিঙ্গারাকেই সমুচা বলে, ঠিক না? লেখায় ৯ম + দিলাম
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা, ইন্ডিয়ার অনেকে এলাকাতেই সিংগাড়াকে সমুচা বলে।
ধন্যবাদ।
১২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৬
রাজীব নুর বলেছেন:
আমার বন্ধু শাহেদ জামাল সিঙ্গারা খাচ্ছে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রমাণসহ হাজির!
১৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জাদিদ ভাই খাদ্য রসিক মানুষ। উনার মন্তব্য পড়ে খুব ইচ্ছে করছে ওই সব দোকানে গিয়ে চেখে দেখতে।
সিংগাড়া আমার পছন্দের খাবার। দোকানে গিয়ে সকালের বানানো সিংগাড়া বিকালে খেতেও আমার খারাপ লাগতোনা।
যাক,সিংগাড়ার জন্ম বৃত্যান্ত জেনে ভাল লাগলো।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৩
জুল ভার্ন বলেছেন: রাইট, জাদিদ একজন ভালো খাদক। আমার কাছে সিংগাড়া তাজাটাই ভালো লাগে।
১৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সিঙ্গারার জন্ম বৃত্তান্ত পড়ে সমৃদ্ধ হলাম।
পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:১৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমারও ডায়াবেটিস তাই অনেক কিছুই খেতে বারণ কিন্তু খাবার দেখলে লোভ লাগে খেতে
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৬
জুল ভার্ন বলেছেন: যেকোনো ধরনের অসুস্থ্যতার জন্য প্রিয় খাবার বাদ দেওয়ার পক্ষে নই। প্রিয় খাবারগুলো খেয়েই যেনো মারা যাই।
১৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৫৭
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: রাজা কৃষ্ণচন্দ্র সিঙ্গারা প্রমোট না করলে কি ভয়াবহ অবস্থা হতো ভেবে দেখুন ? আমরা এই সমভুজের অতুলনীয় স্বাদ থেকে হয়তো চিরতরে বঞ্চিত হতাম !
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৬
জুল ভার্ন বলেছেন: রাজা কৃষ্ণ চন্দ্র কী জয়!
১৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:২৫
হাবিব বলেছেন: সিঙ্গারা আমার অতীব পছন্দনীয় একটি খাবার
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: জীবনটা ভর সিঙ্গারা নিয়ে কতশত স্মৃতি যে জমা হয়ে আছে!!!
সোনার থালায় সিঙ্গারা দেবার বিষয়টায় চমৎকৃত হয়েছি।
বেশ কিছু তথ্য যদিও জানা ছিল তবে সব মিলেতকৃতদারুন হয়েছে। লিখুন আরো
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।
১৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২৫
বিটপি বলেছেন: @রাজীব নুর, শাহেদ জামালের কথা এতদিন কেবল পড়েই এসেছি, আজ স্বচক্ষে দেখলআম এবং নিশ্চিত হলাম - ইনিই ব্লগার কুশন।
২০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৭
জুন বলেছেন: সকাল ১০/১১ টার সময় এক কাপ চায়ের সাথে সিংগাড়া খাওয়া জীবনেও ছাড়তে পারবো না মনে হয়।
তাঁর উৎপত্তির কথা জেনে ভালোলাগলো ।
+
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: "ছা-ছপ-ছিজ্ঞাড়া" ত্রয়ের মধ্যে চা ই প্রিয়।
২১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সেই নারীর নাম ইতিহাস হয়েছে সাথে রাজার নামও। কিন্তু সেতো বিশ্বাসঘাতক রাজা ঘৃনাভরে মানুষ তারে স্মরণ করবে।
সুন্দর পোস্ট।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪২
বিটপি বলেছেন: রাজা কৃষ্ণচন্দ্র একজন বেঈমান রাজা। যতদিন তার নাম উচ্চারিত হবে, ততদিন স্বদেশের সাথে তার কৃত গাদ্দারির কথা মানুষ ঘৃণাভরে স্মরণ করবে।