নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
প্রিয় জীবন......
জীবন তোমাকে কষ্ট দিতে চাইলে তুমিও জীবনকে দেখিয়ে দাও- তুমি কতটা কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা রাখ। তুমি হয়তো এখন জীবনের অনেক খারাপ একটা সময় পার করছ অথবা অনেক আনন্দের একটা সময় পার করছ। আজ তোমার জীবনের ভালো অথবা খারাপ সময় যাই হোক না কেন এটাই জীবনের শেষ অংশ নয়। এটা শুরুর গল্প ও হতে পারে, অাবার এই থেকে অাবার শুরু হতে পারে জীবনের এক দুর্দান্ত সূচনা।
আজকের গল্পটা কারোর জীবনের শেষ গল্প নয়। আমি জানি এই ধরনের অসহায় ও ভীষণ কষ্টকর সময়গুলো পার করা কতটা কষ্টকর! হ্যাঁ, নিজেকে এই সময় মানিয়ে নেয়াটা এতটা সহজ নয়। তবুও একটু কষ্ট করে আমার লেখা গুলো মন দিয়ে পড়। কারন, তুমি নিজেই বুঝতে পারবে এই সময়গুলো স্থায়ী নয়, এই সময়গুলো চলে যাবে। সুখময় জীবন হাতছানি দিয়ে ডাকছে তোমায়, তাই সুদিনের প্রত্যাশায় স্বপ্ন দেখ- শয়নে, স্বপনে ও জাগরনে।
আজ তোমার খারাপ সময় যাচ্ছে, এর মানে এই নয় যে তোমার জীবনে আর কখনো ভালো সময় আসবে না।আজ তুমি কাঁদছো এর মানে এই নয় যে তুমি অনন্তকাল ধরে কেবল কাঁদবে বা আর কখনো হাসবে না। দুঃখ কষ্ট আমাদের জীবনে শুধু আমাদেরকে কষ্ট দেয়ার জন্যই আসে না। বরং জীবনের দুঃখ-কষ্টগুলো অামাদের জীবনের পরম সত্য অনুধাবন ও উপলব্ধিতেও সাহায্য করতে অাসে- তাই ভেঙ্গে পরো না, উঠে দাঁড়াও এবং দৌঁড়াও জীবন জয়ের প্রত্যাশায়।
দুঃখ কষ্ট আমাদেরকে জীবন সম্পর্কে জানাতে আসে।আমাদের আসে-পাশের মানুষ গুলোর ভিতরের চেহারাটা অামাদেরকে চিনিয়ে দিতে আসে। তোমার জীবনের সব থেকে কাছের মানুষটাকে চিনিয়ে দিতে আসে। কে তোমার শত্রু আর কে তোমার বন্ধু সেটা জানিয়ে দিতে আসে। তাই, খারাপ সময়ে উঠে দাঁড়াও চিনে রাখ শত্রু ও বন্ধুকে যা সুদিনে তোমাকে বাস্তবতা চেনাবে।
তুমি এতোদিন যাকে প্রিয় বন্ধু বা প্রিয়জন বলতে গলা ফাটিয়ে ফেলছ সে হয়ত তোমার সত্যিকারের বন্ধু নাও হতে পারে। কারন,তোমারর খারাপ লাগার সময় সব বন্ধুর চোখে অশ্রুবিন্দুর দেখা নাও পেতে পার।
তোমার খারাপ সময়ে সব বন্ধুরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবে না। শুধু মাত্র সত্যিকারের বন্ধুরাই তোমার খুশির জন্য নিজের খুশিগুলো বাজি রাখতে পারবে। হ্যাঁ, জীবনের সব থেকে খারাপ সময়গুলোকে নিজের জীবনকে শেষ করে দেয়াটা সব থেকে সহজ একটা কাজ। কিন্তু কয়েকটা দিন পর, খারাপ সময়টা কেটে যাওয়ার পর একটা ভালোদিনের প্রত্যাশা করাটা ততটা সহজ নয়। আজ তুমি অনেক কষ্টে থাকলেও কদিন পরই হয়তো জীবনজয়ের হাসিখুশিতে ভরে উঠবে জীবন। তাই সময় যত কঠিনই হোক না কেন, অাঁকড়ে ধরো জীবন জয়ের প্রত্যাশাকে।
আজ তুমি প্রচুর পরিমান খারাপ ও ভীষণরকম একটা কঠিন সময় পার করলেও ক'দিন পর দেখবে তোমার জীবনেও একটা ভালোলাগার সময় আসবে স্বাভাবিক ভাবেই। তুমি কখনো অন্য কারো চিন্তা ভাবনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের জীবনের প্রতিটা বিষয়কে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। মানুষ শুধু একটা জিনিসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সেটা হলো তার প্রত্যাশা। তাই নিজ প্রত্যাশা পূরণে অটল থাক, জীবনের জয় কে হাতের মুঠোয় তুলে অানতে।
একটু ভেবে দেখ,
মানুষের জীবনে প্রতিটা কষ্টের কারন হচ্ছে এই প্রত্যাশা। যখন মানুষের প্রত্যাশা গুলো পূরণ হয় না ঠিক তখনই মানুষ কষ্ট পায়। তাই কারো উপর খুব বেশি প্রত্যাশা রেখ না। শুধু জীবনজয়ের একান্ত নিজের স্বপ্নেতেই বিভোর থাক। দেখবে, জীবন জয়ের বরমাল্য তোমারি হাতে।
কারো উপর প্রত্যাশা করার থেকে নিজেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখ। দুঃখ ও কষ্টের সাথে যুদ্ধ করতে শিখ। সু'সময়ের বন্ধু আর দু'সময়ের বন্ধুগুলোকে চিনে রাখ। কারন, জীবন একদিন ঠিক বদলে যাবেই, খারাপ সময় গুলোও কেটে যাবে। জীবন তোমাকে একবার আঘাত করলে তুমিও জীবনকে দুইবার আঘাত কর। জীবন তোমাকে কাঁদাতে চাইলে তুমি হাসতে থাক প্রাণ ভরে। তবুও হাল ছেড়ে দিও না, কঠিন সময়ে জীবনের হাল শক্ত করে ধরে বসে থাক একাগ্রমনে। দেখবে দুঃখ হেরে যাবে তোমার কাছে, তুমি জয়ী হবে জীবনের কাছে।
জীবনের সাথে যুদ্ধে পরাজয় মেনে নেবে না। ধৈর্য্য ধরো, দেখবে জীবনের গল্পটা বদলে যাবে। হ্যাঁ, বদলে যাবে। অার এই বদলে যাওয়া জীবনটাই হবে তোমার অর্জন।
ভালো থেকো, খুব ভালো থেকো, জীবনজয়ী হও। এভাবেই আমরা প্রত্যেকেই হয়ে উঠতে পারি আমাদের জীবন জয়ের রূপকার।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: কিন্তু বুড়োদের লেখায় পাঠপ্রতিক্রিয়া নাই। অবশেষে আপনিই প্রথম মন্তব্য করে মন্তব্যের খড়া ভংগ করলেন-সেইসংগে লাইক দিয়ে ধন্য করেছেন! ধন্যবাদ।
২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: জীবনমুখী উপলব্ধী
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৬
অপু তানভীর বলেছেন: আমি জীবনে যতবার মানুষের উপরে প্রত্যাশা করেছি ততবারই কষ্ট পেয়েছি, হতাশ হয়েছি । তাই এখন কারো কাছ থেকে কোন প্রকার প্রত্যাশা করি না । যা আশা ভরশা সব নিজের কাছেই ।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ব্যক্তি নির্বাচনে সঠিক না হওয়ায় এবং কতিপয় ব্যক্তির জন্য সমাজের বৃহত অংশকে দায়ী করা যাবেনা।
৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দুঃখের যেমন শেষ আছে, সুখের শেষ আছে। কোন কিছুই অনন্তকাল চলবে না। টাইম ইজ দা বেস্ট হিলার।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: কখনো কখনো আমাদের মনে হয়, কেনো আল্লাহ মানুষকে কষ্টনির্ভর করে সৃষ্টি করেছেন? কষ্ট না থাকলে জীবনটা কত সুন্দর হতো। এমন ভাবনা যে ভুল তা বলা হয়েছে এই দুই আয়াতে-
"অবশ্যই কষ্টের সাথেই সুখ রয়েছে। আবারো বলছি, অবশ্যই কষ্টের সাথেই সুখ রয়েছে"- সূরা ইনশিরাহ, আয়াত ৫-৬।
যে যতটুকু কষ্ট করবে, পরিশ্রম করবে, সেও বিনিময় স্বরূপ ততটুকুই আনন্দ পাবে। কারণ, ‘কষ্টের সাথেই সুখ আছে’।
৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ বড়জোর ৫০/৬০ বছর বাঁচে। খুব বেশী হলে ১০০ শ' বছর।
তবু মানুষ পৃথিবী রক্ষার জন্য আন্দোলন করে।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: নেক্সট জেনারেসনের জন্য।
৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
জীবন যখোন আপনাকে কান্নার শতেক কারন দেখায়, তখোন জীবনকে হাযারো কারন দেখান যে, আপনি হাসতেও জানেন ।
তাই মনে হয়, ক'টি বছর কেটে গেলো জীবনের সেটাই হিসেবের কিছু নয় , শেষতক হিসেবটা হলো বছরগুলোতে কেটে যাওয়া আপনার জীবনটা কেমন ।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্য- আমার পোস্টের সারমর্ম।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০১
শেরজা তপন বলেছেন: দারুন কিছু উপদেশ ও মানসিক শান্তি প্রাপ্তির বার্তা দিয়েছেন!
ধন্যবাদ
সেজন্যইতো বলে ' বয়সে বাড়ে বিজ্ঞতা'