নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
একজন জাতীয়তাবাদী বীর এবং.....
পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার জনক আবদুল কাদির খান দেশের জন্য জীবনবাজি রেখে নিউক্লিয়ার বোমা তৈরীর সূত্র চুরি করা একজন দুঃসাহসিক পদার্থবিদ। দুনিয়ার সব চাইতে বিপদজনক নিউক্লিয়ার স্মাগলারের সত্য কাহিনী অবলম্বনে লেখা বই "দ্যা ম্যান ফ্রম পাকিস্তান" এর মূল লেখক ডগলাস ফ্রাঞ্জ ও ক্যাথেরিন কলিন্স। মূল ইংরেজি বইয়ের বাংলা রুপান্তর করেছেন শেখ আবদুল হাকিম। বাংলায় রুপান্তর মানে হুবুহু ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ নয়। মূল বিষয়বস্তু ঠিক রেখে নিজের মতো উপস্থাপন করেছেন শেখ আবদুল হাকিম। একথা বলার কারণ, আমি মূল ইংরেজি বইটি বছর কয়েক আগে পড়েছিলাম এখন বাংলা রুপান্তর পড়লাম।
জীবনে যত যত গোয়েন্দা গল্প উপন্যাস পড়েছি তার প্রায় সবই লেখকদের কল্পনাশ্রয়ী হলেও 'দ্যা ম্যান ফ্রম পাকিস্তান' গোয়েন্দা উপন্যাসের সব চরিত্রই বাস্তব, সব কর্মই সত্য।
ভালো লেগেছে পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার জনক আবদুল কাদির খানের দেশ প্রেম, জাতীয়তাবাদী আদর্শ। হতাশ হয়েছি অমন একজন মানুষের কাছেও যশ খ্যাতি সম্মান সব অর্জনও মাত্রাতিরিক্ত উচ্চাভিলাষ ও আর্থিক লোভের কাছে পরাজিত হতে দেখে। তবে কাদির খান অনৈতিক যা কিছু করেছেন, তার সবই ততকালীন রাজনৈতিক নেতা আর সামরিক উর্ধতন কর্মকর্তাদের সমর্থন, অনুমোদন ও সহযোগিতায়ই করেছেন। কিন্তু পতন হয়েছে শুধু কাদির খানের একার, বিনিময়ে অন্য সবাইকে বাঁচিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অবাক হয়েছি ইরানের আলীরেজা জাফরজাদের বিশ্বাসঘাতকতায়। কিভাবে পারে দেশের স্বার্থ বিরোধী এহেন কাজ করতে!
উপসংহারঃ বড় কাজের দায়িত্ব নিতে সাহসের সাথে দেশপ্রেম, জ্ঞান বুদ্ধিও থাকতে হবে। যেকোনো কাজের ভালো ফলাফলের ভাগীদার সবাই কিন্তু বিপদে পরলে একজনকেই 'বলীর পাঠা' হতে হবে।
(দুই বছর আগে ফেসবুকে লিখেছিলাম। পরমাণু বিজ্ঞানী আবদুল কাদির খান আজ ইন্তেকাল করেছেন)
১০ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি মনে করি -আমাদেরও এটমবোমা থাকলে ভালো হতো।
২| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইরানের আলী রেজা কিভাবে বিশ্বাসঘাতকা করলো?
১০ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: উনি মূলত ডাবল এজেন্ট ছিলেন।
৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭
কোলড বলেছেন: He was not a physicist but a metallurgist. There is a fundamental difference between a scientist and an engineer.
১০ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:০৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বইটা আমি সপ্তাহখানিক আগে পড়ে শেষ করেছি। দুর্দান্ত লেগেছে। কাহুটাতে বোমা ফ্যাক্টরি বানানো, আন্তর্জাতিক কালো বাজারের খোঁজ, আফগানস্থান নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পলিসি মেকিং...
উচ্চাভিলাষী কাদির খানের সারাজীবনে চারিত্রিক স্খলন হয়নি এটা উল্লেখযোগ্য দিক। ডাচ স্ত্রী এবং দুই কন্যাসহ তার পরিবার নিয়ে খুব সামান্যই জানা গেছে। জুলফিকার আলী ভুট্টো থেকে শুরু করে পারভেজ মোশাররফের সাথে পর্যন্ত কাদির খানের কাজ করার অভিজ্ঞতা বইটিতে বেশ ভালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
বইটার সীমাবদ্ধতা হলো, পশ্চিমা দৃষ্টিতে কাদির খান তুলে ধরা হয়েছে।
১০ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার পাঠপ্রতিক্রিয়া শতভাগ সঠিক।
৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আমি মনে করি -আমাদেরও এটমবোমা থাকলে ভালো হতো।
-জাপানীরা কি আপনার চেয়ে কম বুঝেন? তারা তো মনে করছে না যে, তাদের বোমার দরকার আছে।
১০ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: 'জাপানীরা কি আপনার চেয়ে কম বুঝেন?'- প্রশ্নটা অভব্য। আপনি বোধহয় জানেনই না যে, বিনয়, ভদ্রতা, সৌজন্যবোধ- একান্তই পারিবারিক শিক্ষা। আপনি আপনার পরিবার থেকে সেই শিক্ষা অর্জন করতে পারেননি।
কারোর অভব্য মন্তব্যের জবাব দিতে ইচ্ছে করে না।
৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৩
বংগল কক বলেছেন: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
পাকিস্তানের এটমিক বোমা প্রোগ্রামে সম্ভবত ২২ টা ল্যাবরেটরি ছিল। একেক ল্যাবে একেক টাইপের কাজ হত। সেন্ট্রিফিউজ বানাতে এসে পাকিস্তানিরা আটকে গিয়েছিল। ইউরেনিয়াম রিফাইনারি সেন্ট্রিফিউজ নাকি ৩৬ হাজার আরপিএম এ নিখুঁত ভাবে ঘুরতে হয়, সাধারণ ক্লাসিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং দিয়ে এটার নকশা করা যায় না। উচ্চ স্তরের গনিতের সাহায্য নিয়ে নাকি এই জিনিস বানাতে হয়।
আব্দুল কাদির খান ততকালীন ইউরোপিয়ান কোন একটা পরমানু গবেষনা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। সেখানে নাকি উনার কাজ ছিল পরবর্তি প্রজন্মের সেন্ট্রিফিউজের নকশা নিয়ে। সম্ভবত সেই নকশা চুরি করে উনি পাকিস্তানে নিয়ে আসেন। উনার তত্বাবধানে একটি ল্যাবে সেন্ট্রিফিউজ তৈরী হয়। বাকি ল্যাব গুলির নেতৃত্ব দেন ড. মুনির খান (পাকিস্তানের পারমানবিক বোমা প্রোগ্রামের আরেক কিংবদন্তি, যদিও উনি কাদির খানের মত এত এক্সপোজার পান নাই)
ভাঁড়তের চেয়ে পাকিস্তানের নিউক্লিয়ার প্রোগামের গভীরতা অনেক বেশী। পাকিস্তানিরা ছোট আকৃতির ট্যাকটিক্যাল নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে (নাসের মিজাইলের ওয়ারহেড), যা অনেক দেশ এখনও পারে নাই। ভারতের কোল্ড ওয়ার ডক্ট্রিনের জবাবে নাসের মিজাইল সিসটেম তৈরী করা হয়। যাতে ভারত আচমকা পাকিস্তানকে অন্ধকারে রেখে স্থল বাহিনী নিয়ে বর্ডার ক্রস করে পাকিস্তানে ঢুকে পড়লে ভারতীয় বাহিনীর আরমার্ড কলাম একটা নাসের মিজাইল মেরেই মাটিতে গেড়ে ফেলা যায়। কোল্ড ওয়ার ডকট্রিনে কোল্ড ওয়াটার (ঠান্ডা পানি) ঢেলে দেয়ার মত আরকি।
এমনকি এরকম গুজবও শোনা গেছে যে পাকিস্তানিরা নাকি কাঁধে বহন যোগ্য পারমানবিক রকেট তৈরীর চেষ্টা করতেছে। (আমেরিকান ডেভি ক্রুকেট এর পাকিস্তানি ইকুইভ্যালেন্ট)
ছবিতে ডেভি ক্রুকেট: A Davy Crockett at the Aberdeen Proving Ground, Maryland, 1961
ছবিতে নাসের মিজাইল:
১০ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৯
কামাল১৮ বলেছেন: উনি সুন্নি মুসলমান হলে আরো অনেক বেশি সম্মান পেতেন।
১০ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার কেন মনে হলো যে, বাংলাদেশের বোমার দরকার আছে? উহা কোথায় ফেলা হবে?
১০ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার কেন মনে হয়েছে তা আপনাকে ব্যাখ্যা দেবোনা।
৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৯
অধীতি বলেছেন: আব্দুল হাকিমের লেখা ভাল লাগে। বইটা পড়বো। বাংলাদেশেও দরকার।
১০ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আবদুল হাকিম সাহেবও সম্প্রতি ইন্তেকাল করেছেন।
ধন্যবাদ।
১০| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:০৩
*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: পাকিস্তানের পরমাণু বোমার কারনে ভারত আতংকে থাকে- মাথা গরম পাকিস্তান কখন আবার পরমাণু বোমা মেরে বসে। বৈরি পাক-ভারতের মধ্যে শক্তির ভারসাম্য এনেছে পরমাণু বোমা। বিজ্ঞানী কাদির খান একজন সত্যিই বীর।
১১ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
১১| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৩৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বইটি পড়া হয়নি।
১১ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারন একটা গোয়েন্দা বই-যা সম্পুর্ণ সত্য ঘটনা নিয়ে লিখিত।
১২| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো পড়লাম।
১১ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন:
১৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:৩১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: একজন নিখাদ দেশ প্রেমিক
১১ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: নিঃসন্দেহে।
১৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৫৫
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে বইটা পড়ার আগ্রহ জন্মালো ! দেখি সংগ্রহ করে পড়তে হবে ।
১১ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি রকমারি থেকে নিয়েছিলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটম বোমা পাকিস্তানের দরকার ছিলো না।