নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
সামাজিক অনুষ্ঠান তথা বিয়ে বাড়ির খাওয়ার অভিজ্ঞতা....
যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠানের মধ্যে আমাকে যেটা সবথেকে টানে সেটা হল খাওয়াদাওয়ার অনুষ্ঠান, তা যতটা না খাবার জন্য তার থেকে অনেক বেশী খাদকদের আচরণ দেখতে। আমার দৃষ্টিতে কমন কিছু দৃশ্যমান বিষয় তুলে ধরছিঃ-
** অসুস্থ খাদক:- এনারা চরম রোগগ্রস্থ। বিয়েবাড়ি/ কমিউনিটি সেন্টারে ঢুকে থেকে জনে জনে নিজের রোগের ফিরিস্তি দেন। প্রেসক্রিপশন পকেটে নিয়ে খেতে বসেন। ডাক্তার কি কি খেতে ওনাকে বারন করেছেন সেটা টেবিলের বাকি লোকেদের শোনান। তারপরও এনারা খেতে আসেন উনি "না এলে সবাই দুঃখ পাবেন!"
** স্বল্পাহারী:- এনারা শুরু থেকেই তোতাপাখির মত আওড়াতে থাকেন... "অল্প"- নুন লেবু থেকেই ডায়লগ চালু। ভেজিটেবল দিতে এলেও বলবেন "অল্প"( অর্ধেকটা দিতে বলবেনা)। "অল্প", "অল্প" করলেও একবারও "না" বলবেন না। চারবার মাংস নেবেন, তিনবার পোলাও। তবু শেষে হাত ধোয়াতে এলেও বলবে "অল্প"!
** বুভুক্ষু:- জগতে সবক্ষেত্রেই চেক এন্ড ব্যালেন্স লাগে। বিয়েবাড়িতেও লাগে। তাই স্বল্পাহারীর পাশের সিটেই এমন দুএকজন পাবেন যাদের খাওয়া দেখলে আপনি নিজেই দুপিস মাংস কম নেবেন আয়োজকের খাবারে টান পরতে পারে ভেবে। এনারা কোনো রাখঢাক করেন না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধুমায়ে খান!
** অপব্যয়ী:- এনারা গিফ্টের পয়সার পাঁচগুন উসুল করার উদ্দেশ্যেই খাবারের মাঠে নামেন। যে পরিমাণ খাওয়া অপচয় করে আসন ছাড়েন, তা দিয়ে আরামসে চারটে কুকুরের চারদিন পেট ভরে।
** শীঘ্রপতন:- উল্টোপাল্টা ভাববেন না। এনারা বিয়েবাড়িতে ঢুকেই কফি, সালাদ, কোল্ড ড্রিংকস, বোরহানি ইত্যাদি খেয়ে পেট ডাঁই করে ফেলে। আসল খাবার জায়গায় বসে আর কিছুই খেতে পারেন না!
** বিদঘুটে:- এনাদের খাওয়া দেখলে আপনার নিজের খাওয়া থেকে ভক্তি উঠে যাবে। এনারা সোজাসাপ্টা কিছু খেতেই পারেননা। মাংসের ঝোলে ফিরনী, দৈ মিশিয়ে হাতের কবজি ডুবিয়ে খাবে। লেবু গ্লাসে কচলে নুন মিশিয়ে খাবেন।
** মাংসাশী:- এনারা টার্গেট সেট করে খেতে বসেন যে মুরগি বা ছাগলের বংশলোপ করিয়েই ছাড়বেন! শুরু থেকে টুক টুক করে বাচ্চা মুরগীর মত খাবে; কিন্তু মাংস খাওয়ার সময় দেখে মনে হবে দু সপ্তাহের অভুক্ত হায়নায় হাড় চিবোচ্ছে!
** মিষ্টিলাভার:- এনারা বাকি সব নর্মালি খান। কিন্তু মিষ্টির ক্ষেত্রে আলাদাই আত্মা ভর করে। অনায়াসে দশটা রসগোল্লা, ফিরনী, দই মেখে হাভাতেদের মতো খাবে।
** খুঁতখুঁতে:- এটা সবচেয়ে ইমপর্টেন্ট এবং বিয়েবাড়ির বেশিরভাগ পাব্লিক এই শ্রেণীর। এনারা শুরু করবেন স্যালাদের 'শসা হাইব্রিড' বলে। তারপর একের পর এক অভিযোগ- পোলাওয়ে ঘি কম, মাংসটা বেশী সিদ্ধ কিম্বা পুরাই কাচা মাংস বলে! এমনকি আইসক্রিমে গরম কম ইত্যাদি ইত্যাদি। এবং শেষে বলতে বলতে উঠবেন- "এটা মিনারেল ওয়াটার না, ডাঁহা ওয়াসার পানি!"
** আর এক শ্রেণীর লোক থাকে যারা ওয়েটার গুলোকে বিরক্ত করতে ভালোবাসে। একটা খাবার দিয়ে যেই না অন্য দিকে ঘুরেছে অমনি ওটার চাহিদা। লেবু দিয়ে গেল তখনই দুটো নিতে পারে কিন্তু তা নেবে না।একটু পরে লেবু লেবু করবে। তখন স্বাভাবিক ভাবে দেরি তো হবেই। কিন্তু থামতেই চায না....
** আর একশ্রেণীর অতিথি আছেন, যারা অনুষ্ঠানে এসেই একটা টেবিলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবেন। পরিমিত খাবার খেয়ে চুপচাপ চলে যান। এই শ্রেণীর অতিথিগণই সত্যিকারের অভিজাত।
আপাতত এগুলো মনে পড়ল।
এবার আপনি ভাবছেন আমি কোন দলে?
আমি হলাম 'পর্যবেক্ষক' শ্রেণীর।
এনারা নিজের খাওয়া ছেড়ে আশেপাশে চোখ চালাতে বেশি পছন্দ করেন এবং বেরিয়ে পরিচিতদের সাথে আলোচনা করবেন ..... "দেখেছো, ওই হলুদ জামা আর ওর ভুটকি বৌটা পুরা দুই বাটি মাংস গপাগপ গিলেছে! আর পাঁচ নম্বর টেবিলের শুটকা মেয়েটা রাক্ষসের মতো গিলেছে!"
১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: কিছু বলেননি!
২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:১৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: অনেক প্রকার খাদক আছে । বিয়ে বাড়িতে গেলে দেখা যায়।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:২৩
জুল ভার্ন বলেছেন: বেশীর ভাগই অসুস্থ্য খাদক।
৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:১৯
ইসিয়াক বলেছেন:
হা হা হা ...।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:২৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভালোই পর্যবেক্ষণ করেছেন। কেতাদুরস্ত পোশাকধারীদের মাঝেও অনেক অভব্য আচরণ লক্ষ্য করেছি।
স্বল্পাহারী, মিতভাষী ব্যক্তিদের মাঝে বসে খেতে পারাটা ভাগ্যের ব্যাপার।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি লক্ষ্য করেছি- ওইসব কেতাদুরস্ত পোশাকধারীদের মধ্যেই কদাচার বেশী।
৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৬
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: কিশোর-যৌবনে মাংশাসী ক্যাটগরিতে ছিলাম মনে হয়।তবে দিন বদলাইছে ধীরে, এখন চুপচাপ চারটা খেয়ে আর বেশি করে আড্ডা মেরে আসি।
পর্যবেক্ষক সাহেবের লেখা অনেক মজারু হইছে।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ @ফুয়াদের বাপ!
৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:১১
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আমি শুধু আধা চামচ পোালাও আর দুইটা কাচ্চির মাংস খাই।
বোরহানী না জর্দা মিষ্টি পান এমনকি রোস্টও না।
শুধু অতটুকুন কেনো জানো ? যদি লিপিত্তিক নত্ত হয়ে যায়। সেই ভয়ে।
আমার কাছে বিয়েবাড়ির সাজুগুজু দেখা আর বউটা দেখা বিশেষ আনন্দের। তবে আজকাল বউ আর বরের ছবিতোলার জন্য নানারুপে নানা রঙ্গে নানা ঢঙ্গে এইদিক ঐ দিক সেইদিকে ঘুরে চলে হেঁটে বেড়ানোর জ্বালায় শান্তিমত বউটাকে দেখতেও পারি না
৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন:
৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৫৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সামাজিক মানুষের সামজিক খাওয়া দাওয়ার আপনার পর্যবেক্ষণমূলক ফলাফল সবগুলিই সঠিক । তবে ভাই অসামাজিক-বুভুক্ষ- হাড়হাভাতে কিছু মানুষের খাওয়া দেখলে আসলেই নিজেকে মানুষ হিসাবে ভাবতেও লজ্জা লাগে আর সাথে উদ্বেগ বাড়ে আয়োজকদের জন্য যে এরকম ৫/১০ হলে তাদের সব কিছুতেই টান পড়বে ও অপমান হতে হবে তাদের এই ভেবে । তবে উনাদের কোন লজ্জা বা অনুভূতি জাগেনা এরা আরামসে চোখ বন্ধ করে হাড়-মাংস চিবাতে থাকেন হায়েনার হাসিতে - কুকুরের মত।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন।
ধন্যবাদ।
৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:০২
নতুন বলেছেন: প্রতি অনুস্ঠানে দুই একজন খাদক থাকবেই যারা বলবে মাংসের গামলা টেবিলে রেখে দেন। দইয়ের খুটি টেবিলে রেখে দেন।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:২৬
জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা, তেমন খাদক সব অনুষ্ঠানেই আছে।
১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিয়ে বাড়ীতে গেলে বিয়ের আনন্দ উপভোগ করুন; খাওয়া হলো আনন্দের একটা অংশ; কে কি খাচ্ছে, সেটা নিয়ে মাথা ঘামালে আপনি বিয়ের আনন্দ মিস করে চলছেন।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: হা হা হা! খাদকদের আচরণ দেখাও কম আনন্দের নয়
১১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আমাকে দাওয়াত দিন। অনেকদিন দাওয়াত খাই না। করোনা লকডাউনে শরীর বসে গেছে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: মহাখালী ডিওএইচএস এলাকায় অফিস টাইমে এলে নক করবেন-একসাথে লাঞ্চ করবো।
১২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৪৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অপব্যয়ীদের দেখলে মেজাজ বেশি খারাপ হয় আমার। খেতে পারবি না, তো নষ্ট করিস কেন?
১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
১৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:০৭
কামাল১৮ বলেছেন: যা খায় তার থেকে বেশি ফেলে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: নিজের বাড়িতে সবটুকু চেটেপুটে খেলেও সামাজিক অনুষ্ঠানে এসে খাওয়ার সময় অপচয় করা কুস্বভাব।
১৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:২৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: এরা এতো খাবার নষ্ট করে যে খাবার শর্ট পড়ে । আমি এলাকায় অনেক দেখেছি।
২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:২৬
জুল ভার্ন বলেছেন: খুব কমন দৃশ্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: