নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
আমি ও আমার পৃথিবী......
আজও খুব ভোরে উঠেছি প্রতিদিনের মতো। আকাশে তখনও আলগোছে লেগে রয়েছে রাত্রির মিহি প্রলেপ। আমার চেনা পাখিরা জেগে ওঠেনি তখনও। মনটা কেমন যেন একটু বিস্বাদে ভরে আছে। মনে পড়লো, গত কয়েক দিনের ঘটনাক্রম......
জীবনকে ভাবতে হয় মৃত্যুর কাছে গিয়ে। মৃত্যুর কাছে গেলেই জীবনের মানে উন্মোচিত হয়। আমরা বুঝতে পারি; আমরা কী করছি আর কী করা উচিত।
মৃত্যুর কাছাকাছি না গিয়ে জীবনকে উপলব্ধি করে ওঠাটাই হলো শিল্প আর বাকিটা অনুভব। শিল্প আর জীবন দুটোর মাঝে একটা ফারাক থাকে। একটাতে কল্পনা বাস্তবের মিশ্রণ থাকে, অপরটাতে শুধুই গবেষণা ভিত্তিক আবিষ্কার।
এই পৃথিবীতে জন্ম নিয়ন্ত্রিত হলেও মৃত্যু এখনও নয়। প্রতিটি জীবের কোষের প্রতিদিন জন্ম-মৃত্যু হতে হতে একদিন সবটাই অকেজো হয়ে পড়ে। ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। জ্ঞানেন্দ্রিয়ের চলন শক্তি হারিয়ে যায়। আমরা বলি- ইস্, মানুষটা বড় ভালো ছিল।
এর ব্যতিক্রম হলেই মনে ধাক্কা লাগে। প্রাণে বেজে ওঠে নিবিড় ব্যাথার সুর। সে আমার কাজের মানুষ হোক বা নামকরা কেউ। নামী মানুষের ক্ষেত্রে মূহুর্তে সবাই জেনে যান। শোকের প্রাবল্য উথলে ওঠে। ক্ষুদ্র পরিসরে কেউ মারা গেলেও তাই হয়। সারাদিনের একটা মন খারাপ সঙ্গী হয়। কিন্তু মানুষ সময়ের আগে নিজের জীবনের বিরতি ঘটায় কেন!
এখন প্রশ্ন হলো, সময়টা কখন। একটা আট বছরের ছেলে পছন্দের মোবাইল না পাওয়ায় তার কি ঐ সময় উপস্থিত হয়েছিলো! একজন সত্তরোর্ধ্ব মানুষের একাকীত্বের নিবৃত্তিতে সময় উপস্থিত হয়েছিলো। নাকি ৩৪ বছরেই জীবনকে টেনে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব বোধ হয়েছিলো! কে বলবেন, কে এর ব্যাখ্যা দেবেন? এর ইউনিফর্ম ব্যাখ্যা হয় বলে, আমি বিশ্বাস করি না।
অনেক সময় জীবনে শূণ্যতা সৃষ্টি হয়। এরপরে কি ভাবে এগিয়ে যাবো, ঠিক বোধগম্য হয় না। পরের দিনের ভোর দেখতে মন চায় না। আমারই দু বার হয়েছিলো। একবার হঠাৎ বাবার মৃত্যুতে। বুঝতে পারছিলাম না, এরপর থেকে আমার ভূমিকা কি হবে। কি ভাবে থাকবো নিঃসঙ্গ পৃথিবীতে! আর একবার নিশ্চিত মৃত্যুর কিনারা থেকে ফিরে এসেছিলাম, সে অন্য গল্প।
এখন তো মন খারাপ হওয়ার কত আয়োজন। প্রিয় জনদের মৃত্যু দেখে অনেকে অবসাদে ভোগেন। কোনো সান্ত্বনাই মনে জোর আনতে পারেনি সে সময়। এমনি করেই প্রিয় গাছটির মৃত্যু হলে, প্রিয় পোষা পাখি মারা গেলে, প্রেম অবসৃত হলে, চাকরি চলে গেলে, দীর্ঘ চেষ্টা করে চাকরি না পেলে, এরকমই হাজারো কারণে মানুষ অবসাদে চলে যায়। ব্যক্তিগত জীবনে এ সবেরই সাক্ষী আমি। তখন যাই বলা হোক না কেন, অবসাদ দূর হয় না। এ অসুখ অতো সহজে সারে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজের থেকে সেরে যায়- তাই রক্ষে।
আমার কলেজ বেলায় আমারই এক প্রাণবন্ত ছাত্র একদিন বিকেলে মাঠ থেকে খেলে ফিরে ওর বাবার লাইসেন্স করা পিস্তল ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করেছিলো। অথচ ছেলেটা সব কিছু আমায় বলতো। সব কিছু। ওর নিজের মা, বাবার আবার বিয়ে করা দ্বিতীয় মা - সব কিছু। খুব কষ্ট হয়েছিল। অনেক দিন মরমে মরে গিয়েছিলাম, আমি একটুও বুঝতে পারি নি, রাজীব এ রকম করতে পারে। ভিতরের ক্ষয় বাইরে থেকে বোঝা যায় না। ধরা পড়ে না কোনো আধুনিক যন্ত্রেই।
শত কষ্টেও মানুষ ঠিক বেঁচে থাকে, থাকতে চায়। কালকে কি খাবে, তার বন্দোবস্ত নেই। তবুও মানুষ বেঁচে থাকে। আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে থাকে! অথচ কয়েক শো কোটির মালিক শিল্পপতির পুত্র আত্মহননের পথ বেছে নেয়।
বেঁচে আছি, মন ঠিক আছে বলেই আছি। যেদিন মন বিগড়ে যাবে, দুমরে মুচড়ে যাবে, রিপেয়ারিং এর বাইরে চলে যাবে সেদিন থেকে আর ফেসবুকের স্ক্রীণে আর কোনো পোস্ট থাকবে না। মৃত নক্ষত্রের মতো ভেসে বেড়াবো সীমাহীন মানসপটে।
২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪৮
উদারত১২৪ বলেছেন: মুসলিম যুবকের যে অলৌকিক ঘটনায় https://www.youtube.com/watch?v=qBg6nQ6F8K8
২১ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০৪
ইসিয়াক বলেছেন:
সবকিছুকেই সহজভাবে নিতে হবে। বেঁচে থাকাটাই আসলে আশ্চর্য ব্যপার। কত কত কষ্ট দুঃখ এলো ....... কত দুঃখ।কত অনাচার কত অত্যাচার সব সয়েছি এত দুঃখ কষ্ট নিয়ে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সত্যি কঠিন তবু বেঁচে আছি। বেঁচে থাকতে চাই। জীবন সুন্দর তাই মরতে চাই না। জানি যেতে হবে একদিন..।
২১ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার কাছে বর্তমান জীবন সুন্দর নয় বরং যন্ত্রণার।
৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৩০
শায়মা বলেছেন: বেঁচে থাকাটাই এক আনন্দের ইতিহাস।
২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি বলবো- বেঁচে থাকাটাই এক আনন্দের ইতিহাস নয়, বরং বেঁচে থাকাটাই এক আনন্দের বর্তমান।
৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জীবন কারও জন্য দুর্বিষহ হলে তার জন্য সুসংবাদ হোল যে এই জীবন অনন্তকালের জীবনের দৈর্ঘ্যের তুলনায় অতিশয় হ্রস্ব। জীবনের সাথে তুলনা করা যায় সেই ঘোড়সওয়ারের যে হাজার হাজার মাইল দীর্ঘ প্রান্তরের মাঝখানে ক্ষণিকের জন্য বিশ্রাম নিচ্ছে।
২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: বাহ খুব সুন্দর উপলব্ধি!
ধন্যবাদ।
৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: শিল্প আর জীবনের মাঝে বিস্তর ফারাক।
২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: সেটাই স্বাভাবিক।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:২৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: একদিন মরে যাবো কিন্তু তার আগে জীবনটাকে জীবনের মত করে বয়ে বেড়াতে চাই।
লেখাটা চমৎকার হয়েছে।+++++