নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
স্মৃতি, স্বপ্ন ও ভালোবাসার শহরঃ বরিশাল।
বরিশাল শহরটি খুব ঝকঝকে বা আধুনিক শহর ছিলনা কোনো সময়ই। কিন্তু প্রচুর গাছপালা, পুকুর, খাল নিয়ে নিরিবিলি মোটামুটি সুন্দর বাসযোগ্য শহর ছিল বরিশাল।
এখন?
শহরের মুল আকর্ষণ বিবির পুকুর অনেকাংশে ভরাট করে কৃতিমতা আনা হয়েছে, হাতেম আলী কলেজের পশ্চিম পাশের বিশাল দীঘিটি মাটি ভরাট করে হাউজিং হয়েছে, সদর রোডস্থ্য পুরাতন হাসপাতালে অস্তিত্ব বিলীণ হবার পথে, কালীবাড়ি রোড, নতুন বাজার, কলেজ রোড, গোরস্থান রোড, সিএন্ডবি রোড, কলেজ এভিনিউর অসংখ্য পুকুর ভরাট করা হয়েছে। সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, বরিশাল কলেজের সামনে, পাশের বড় বড় পুকুরগুলো ভরাট করে বানানো হয়েছে আবাসিক প্রকল্প। নবগ্রাম রোডের ঐতিহ্যবাহি সেই খালটি এখন আর নেই। সেই খালের বুকের উপর এখন বিশাল পাকা স্ট্রর্ম সুয়ারেজ ড্রেন এবং উপরে আধুনিক রোড! ঝাউতলা, কাউনিয়া, আমানতগঞ্জ -বেলতলা রোডের পাশের পুকুর জলাভুমি এখন ধূলিধূসর বিরানভুমি। সাগরদী, রুপাতলী এলাকা এখন আধুনিক বরিশাল।
শতবর্ষী কাকলী(জগদীশ) সিনেমা, হাসপাতাল রোডস্থ্য সোনালী সিনেমা হল ভেংগে সেখানে এখন শপিং কমপ্লেক্স এবং মাল্টি স্টোর্ড হাউজিং কমপ্লেক্স। সদর রোডের এখন যে অভিসার সিনেমা হল সেই সিনেমা হলটি পাকিস্তান আমলে দীপালি সিনেমা হল নামে আমার সেঝ চাচার মালিকানাধীন ছিলো। যা এখন বন্ধ। শাজাহান চৌধুরীর মালিকানার চকবাজার রোডের অত্যাধুনিক বিউটি সিনেমা হল এখন নাই।
অভিজাত ফজলুল হক এভিনিউর দুই পাসে বারোয়ারী ব্যাবসার নানান কিসিমের দোকানপাট। পোর্ট/বান্দ রোড থেকে বরিশাল লেডিস পার্ক, সাগরদী, রুপাতলী, জেলা স্কুল, পুলিশ লাইন, আলেকান্দা এবং জর্ডন রোডের বিশাল বিশাল ছায়া তরুবৃক্ষ এখন আর নেই। নেই নাবালক জমিদার বাড়ির(হীম নীড়, ফেয়ারী হাউস) পদ্ম পুকুরে ফুটে থাকা বর্ণীল পদ্ম। বাংলাদেশে আমার দেখা শহরগুলোর মধ্যে বরিশাল শহরেই সব থেকে বেশী পুকুর ছিল। কিন্তু এখন বরিশালে পুকুর খাল, ডোবা-জলাশয় খুঁজেও পাওয়া যায়না।
অক্সফোর্ড মিশন ক্যাম্পাস, বিএম স্কুল, বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে কিম্বা এর আশে পাশে এখন আর কৃষ্ণচুড়ায় আগুণ লাগেনা। অক্স ফোর্ড মিশন স্কুলের সামনেই আমার দাদা-পিতার আদি নিবাস। পাশাপাশি দুটো ভবন, একসময়ের বরিশাল শহরের অভিজাত ভবন হিসেবে পরিচিত থাকলেও এখন রুগ্ন জীর্ণ অবস্থায় বাড়ির মালিকের জন্য হাহুতাশ করছে। বরিশাল শহরের পশ্চিম প্রান্তে বিশাল এলাকা জুড়ে আমার নানা বাড়ি(হুদা ভিলা, শহীদ কর্ণেল নাজমুল হুদা পরিবার। আমার ৮ জন মামা ছিলেন। চার মামা ঢাকায় স্থায়ীভাবে বাস করতেন আর চার মামা থাকতেন বরিশালে। মামা-খালারা কেউ বেঁচে নেই। আমার মামাদের প্রত্যেকের নামের শেষ অংশ "হুদা") এখন পরিত্যক্ত বিরানভূমি। নানা বাড়িতে আমার এক মামা ৭৫ সন পর্যন্ত স্বপরিবারে থাকতেন, আর দাদা বাড়িতে দুরসম্পর্কের এক আত্মীয়। উভয় বাড়ির মুল দ্বায়িত্ব কেয়ার টেকারদের উপর। তারপরেও কোনো এক অজানা আকর্ষনে সেই ছেলে বেলা থেকে ১৯৭৫ সন পর্যন্ত সুযোগ পেলে আমি বারবার চলে যেতাম দুই বাড়ির সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য। ছেলে বেলা দাদার রেলী সাইকেলে কিম্বা ভেসপায় করে বরিশাল শহরে ঘুরতাম এবং সপ্তম শ্রেনীতে পড়ার সময় থেকে আমার মামাত ভাইয়ের ফিফটি সিসি হোন্ডা মটর সাইকেলটি-যা আমার জন্য বরাদ্ধ থাকতো বরিশাল গেলে। এখনও বছরে-দুই বছরে একবার যাওয়া হয়।
বরিশালের একমাত্র সরকারী পার্কটি সিটি কর্পোরেশনের আধুনিকায়নের নামে গাছপালা শুণ্য। যেখানেছিল সুন্দর সুন্দর ইউক্যালিপ্টাস, শিশুগাছ, বকুল,কৃষ্ণচুড়া গাছ-সেখানে এখন বসানো হয়েছে-সিমেন্টের বেঞ্চী আর শিশুদের জন্য কিছু রাইডার।
বিকেলে বরিশালের কীর্তণখোলা নদীর তীর ছিল সবস্তরের মানুষের অন্যতম আকর্ষন। এখন সেখানে জনারণ্য। সেই শিশু কালে যখন বরিশালে যেতাম তখন দেখেছি-কচু পাতায় বৃস্টির ফোঁটা, শীত কালে শিশির বিন্দু, বর্ষায় ব্যাঙ্গের ডাক, ব্যাংগাচি, প্রজাপতি, কলমিলতা, বাবুই পাখির বাসা, পালতোলা নৌকা, স্টীমারের হুইসেল, হাওয়াইমিঠা, কাঠি লজেন্স, কটকটি(বরিশালের ভাষায় কডকডি), হটপেটিস, ঘটি গরম(একটা বহনযোগ্য বাক্সের ভিতরে কাঠকয়লা জ্বালিত চুলায় গরম গরম চানাচুড়, হট পেটিস-যাকে বলা হতো 'ঘডি গ্ড়ড়ড়ড়ম'-যা এখন কিছুই নেই।
সব সময় মিষ্টি প্রিয় আমির বরিশালে অন্যতম আকর্ষন ছিল কোর্ট বিল্ডিং কম্পাউন্ডে "গড়বরান"র মিস্টির দোকানের সুস্বাদু রসগোল্লা। অমন সুস্বাদু রসগোল্লা আমি আজ পর্যন্ত অন্যকোথাও খাইনি। আরোছিল 'শশী মিস্টান্ন ভান্ডার'র মিস্টি! গড়বরান মিস্টির দোকানটি কয়েক হাত বদল হয়ে এখন আর নেই, শশী মিস্টান্ন এর এখন বড়ো ভবন আছে- কিন্তু মিষ্টির সেই স্বাদ আর নেই!
পূর্ব বগুরা রোডে কবি জীবনানন্দ দাশের ধানসিঁড়ি বাড়িটির অস্তিত্ব অনেক আগেই বিলুপ্ত হয়ে শেষ স্মৃতিচিনহ ধানসিঁড়ি সাইনবোর্ডটাও ঢাকা পরেছে বিভিন্ন স্থাপনায়।
বরিশাল শহর এখন অটোরিকশার শহর বললে ভুল বলা হবেনা। বিভিন্ন ব্যানারে শহর জুড়ে শুধু রিকশা আর রিকশা। কিছু রিকশার পিছনে কবি জীবনান্দ দাশের ছবিও ব্যবহার করা হচ্ছে।
এভাবেই শেষ হয়ে যাচ্ছে আমার স্বপ্নের শহর। হয়ত আমার এবং আমার থেকে প্রবীণদের মৃত স্বপ্ন থেকেই নতুন প্রজন্মের শিশুদের মনে নতুন স্বপ্নের নির্মাণ হচ্ছে। সেই শিশুটিও হয়ত একদিন তার স্বপ্নের মৃত্যুর কথা লিখবে। এভাবে একপ্রজন্মের মৃত স্বপ্নের মাঝে আরেক প্রজন্মের নতুন স্বপ্নের নামই কি প্রগতি? নাকি প্রগতি হচ্ছে পুরনো স্বপ্নের সাথে নতুন স্বপ্ন যোগ হওয়া.....
(স্টীমারের ছবিটা নিয়েছি ইন্টারনেট থেকে)
২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ভাই।
একদা রুপসী বাংলার মুখচ্ছবি ছিল যে বরিশাল সেই বরিশাল শহরটা এখন যান্ত্রিক হয়ে গিয়েছে। মানুষের মধ্যেও আন্তরিকতা নাই। চাঁদমারী থেকে স্টীমার ঘাট পর্যন্ত লাল সুড়কি বাঁধানো সেই পথ, সেই পথের পাশের সারি সারি পাম গাছ আর তার ফাঁক দিয়ে কীর্তন খোলায় পাল তোলা নৌকার ভেসে যাওয়া..... বর্তমান প্রজন্মের কাছে সত্যিই এখন স্বপ্ন মনে হবে। বরিশাল শহর জুড়ে এখন শুধু এক অশিক্ষিত সন্ত্রাসী মেয়রের ছবি আর বিলবোর্ডে ঢেকে গিয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য।
শুভ কামনা।
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৫৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: উন্নয়নের নামে সব শহরের মত আপনার প্রিয় বরিশালও হারিয়েছে তার প্রকৃত ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
শেষ প্যারায় সুন্দর বলেছেন।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০০
শায়মা বলেছেন: আমি বরিশালে গিয়েছিলাম দুদিনের জন্য।
খুব মায়াময় একট শহর।
এখন নিশ্চয় অনেক বদলেছে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: কত বছর আগে গিয়েছিলে আপু?
দিনে দিনে বদলে যাচ্ছে বরিশাল শহর।
৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০৮
শায়মা বলেছেন: ২০০৫ এ
২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: ১৫ বছরে বরিশাল অনেক বদলে গেছে-যা চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না।
৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বরিশালে খুব একটা দেখা হয়নি। গিয়েছি একবার।
স্টিমারেও চরেছি একবার, সে এক বিশাল ইতিহাস....
২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৮
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: ২০০৩-২০০৮, কর্মসূত্রে ৫ বছর কাটালেও বরিশালে মানে পুরো বরিশাল বিভাগ জুড়েই আমার অনেক স্মৃতি, অনেক বন্ধু স্বজন আছে!
ছোট শহরের এ মাথা থেকে সে মাথা সারাদিন-সারারাত ঘুরে বেড়িয়েছি! তখন এটাকে আমার নিজের শহর বলেই মনে হত! অবশ্য আমার চলাফেরা দেখে সবাই তাই ভাবতো!
তাদের টানে সবশেষ ২০১৫ সালে গিয়েছিলাম। আবারও যাবার ইচ্ছে আছে সবাইকে নিয়ে। হয়তো শীঘ্রই যাব ইনশাআল্লাহ।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: বরিশাল নিয়ে আপনার স্মৃতিচারণ ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ।
৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:০৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই, সভ্যতার বিবর্তনের সাথে সাথে ও মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাদের অপরিমেয় চাহিদার জোগানের জন্য নতুন নতুন কিছু জিনিষ যেমন জীবনের চলার পথে যোগ হয় তেমনি পুরণো অনেক কিছু হারিয়ে যায় কালের অতল গহববরে ।
আপনার লেখা পড়ে দীর্ঘশ্বাসের সাথে সাথে মুখে উচচারিত হলো, " আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম "।
একটা জিজ্ঞাসা ভাই, "প্রথম ছবিটা কি BIWTC র স্টিমার অস্ট্রিচ বা লেপচা " ?
২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা স্টীমার লেপচার ছবি। ঐ স্টীমার থেকেই ২০১৮ সনের ২৭ অক্টোবর আমাকে সাদা পোষাকধারীরা তুলে নিয়ে যেয়ে ১১ দিন গুম করে রেখেছিলো .......
৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বরিশাল দেখিনি, সিলেট ছাড়া কোনো বিভাগই দেখিনি। স্মৃতিময় পোস্ট
শুভকামনা
২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা কতো দেশ বিদেশ দেখি কিন্তু "দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর থেকে দুই পা ফেলিয়া - ধানের শীষে একফোঁটা শিশির বিন্দু!"
৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৪১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বাবার চাকরিসূত্রে বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, বাগেরহাট গড়ে ২/বছর করে থাকতে হয়েছে। বছর তিন আগে সহকর্মীরা মিলে বরিশাল গিয়েছিলাম। লঞ্চ জার্নিটা সবচেয়ে ভালো লেগেছে এবার।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: তাহলে আপনার জীবনের সাথে অংগাগিং ভাবে জড়িয়ে আছে বৃহত্তর বরিশালের ফ্লেভার!
বরিশাল- ঢাকা লঞ্চ জার্নি সত্যিই অসাধারণ। আমার খুব ভালো লাগে লঞ্চের ক্যাটারিং সার্ভিস।
১০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:০৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: যে সময়ের কথা আপনাকে নস্টলজিক করে, মনে হয় সেই সময়ের বরিশাল আমি গিয়েছিলাম। দেখেছিলাম ছিমছাম শহর, গাছগাছালী ছাওয়া ঘন অন্ধকার,তার মাঝে সাগর দূর্গাসাগর, স্টিমার ঘাট, ব্রজমোহন কলেজ আর জীবনানন্দ দাশের বাড়ি সবই দেখেছিলাম ভালো লেগেছিল।
বাংলাদেশের সব শহরই এখন অপরিকল্পিত দালান কোঠায় আগের চেহারা হারিয়ে ফেলছে ।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারণ নস্টালজিয়া!
আপনার মন্তব্য পাড়ে মনে হচ্ছে- আমার চোখে আপনি বরিশাল দেখছেন কিম্বা আপনার চোখে আমি বরিশাল দেখছি! জীবনানন্দ দাশের ধানসিঁড়ি বাড়ি থেকে আমাদের বাড়ির দূরত্ব তিনশো মিটার।
ঠিক বলেছেন, উন্নয়নশীল বর্ধিষ্ণু বাংলাদেশ তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলেছে ইট পাথরের মাঝে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৬
সানাউল্লাহ সাগর বলেছেন: আহা বরিশাল। প্রিয় বরিশাল শহর। যৌবনের প্রথম প্রেম!
২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার শৈশব কৈশোরের বরিশাল হলেও স্মৃতিতে অম্লান।
১২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বরিশাল শহরের কাছে রহমতপুরে ( ঢাকা থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে) অনেক বছর থেকেছি। বরিশাল শহর হয়ে অনেক সময় গিয়েছি।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের অনেক আত্মীয় স্বজনরা আছেন রহমতপুর-বাবুগঞ্জ এলাকায়। আপনার বর্নিত স্থানের কাছেই বরিশাল ক্যাডেট কলেজের পিছনে আমাদের পারিবারিক কিছু সম্পত্তি আছে....দুই দিন আগেও গিয়েছিলাম।
১৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঐ জায়গাটাকে ৭ মাইল বলত। ৭ মাইল থেকে আপনাদের জমির পাশ দিয়ে দৌড়াতাম মনে হয়।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: রাইট। সাত মাইল রেন্ট্রিতলা বেশ পরিচিত যায়গা। আপনি কি এক্স ক্যাডেট?
১৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহারে! কি দিন গেছে সেদিন। আবেগমথিত স্মৃতিচারণায় বিষন্ন ভালোলাগা রইলো।++
এর আগে নুরু ভাইয়ের লেখায় বরিশাল সম্পর্কে জেনেছি। কিন্তু এমন আবেগময় লেখা আলাদাভাবে মনকে টলিয়ে দিয়ে গেল।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।
১৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:২৪
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: স্বাধীনতার পরে পরে বেশ কবছর ছিলাম বরিশাল শহরে।আনিস পরিবহন প্রথম ঢাকা বরিশাল বাস সার্ভিস চালু করে।অনেকগুলো ফেরি পার হতে হতো।৭৪ পর আর যাওয়া হয় নাই।সেই সময়কার অনেক স্মৃতি আছে।পুরো জেলাটাই প্রায় ঘুরে বেরিয়েছি তিন চার বছরে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: তাহলে আপনিতো আমাদেরই লোক মানে আমরা আমরাইতো!
১৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৪১
ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার স্মৃতি কথা।
এভাবেই একদিন বদলে যায় সব। সাজে নতুন সাজে নতুন রূপে । একসময় কালের পরিক্রমায় সেই নতুন পুরানো হয়। কুশীলব বদল হয়। এটাই মনে হয় জগতের নিয়ম।
পোস্টে ভালো লাগা।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন।
ধন্যবাদ।
১৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:০৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: বরিশাল যাইনি কখনো। গরবরান এর রসগোল্লার কথা পড়ে খেতে ইচ্ছা করছে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: সময় সুযোগ করে যাবেন। আগে নিজের দেশটাকে দেখুন। গরবরানের মিষ্টির দোকান এখন আর নেই ভাই।
১৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জি বড় ভাই।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: কোন ইয়ারে ছিলেন?
ঐ কলেজের বাংলার শিক্ষক কিরন মন্ডল, কাজী শামসুল আলম আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী ছিলেন(পরবর্তীতে দুজনেই প্রিন্সিপ্যাল হিসেবে অবসর নেয়) এবং একদা ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক আহমেদ মাঈনুল হাসান আমার ভাগ্নে। বর্তমান সেনা প্রধান বরিশাল ক্যাডেট কলেজের এডজুট্যান্ট ছিলেন। আমিও এক্স ক্যাডেট ক্লাবের মেম্বার হিসেবে বরিশাল ক্যাডেট কলেজের অনেক সিনিয়র ক্যাডেটদের চিনি। আমার পেশাগত জীবনে আমি বরিশাল ক্যাডেট কলেজের ডাইনীং হল, অডিটরিয়াম
নির্মাণ করে ছিলাম।
শুভ কামনা।
১৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:২২
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আমি ছয় বছর বরিশালে ছিলাম।ছয় বছরেই অনেক পরিবর্তন দেখেছি চোখের সামনে। যা দেখে এসেছি তাও পাবো না পরে গেলে।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: এখন বছর ঘুরতেই সব কিছু বদলে যায়-সেখানে ছয় বছর অনেক সময়।
২০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমি বাংলাদেশের অনেক শহর গিয়েছি। কিন্তু বরিশাল শহর দেখে মুগ্ধ হয়েছি। খুব সুন্দর এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:০০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমরা ১৯৮৫ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত ছিলাম। যাদের নাম বলেছেন ওনাদের পাইনি মনে হচ্ছে। ওনারা সম্ভবত এই সময়ের পরে এসেছিলেন। আমরা ৮ম ব্যাচের। মাহফুজ স্যার (জেসিসি) এবং ওনার স্ত্রী সেলিমা মেদাম আমাদের রসায়ন শিক্ষক ছিলেন। স্যার কয়েক মাস আগে মারা গেছেন করোনাতে। মেদামের ক্যান্সার হয়েছিল। এখন ভালো আছেন। আপনি সম্ভবত জেসিসির। মাহফুজ স্যারকে চেনার কথা। স্যার খুব ভালো ও বন্ধুভাবাপন্ন ছিলেন। শিল্পী কামরুল হাসানের ভাই ফয়জুল হাসান আমাদের শিক্ষক ছিলেন। বর্তমান সেনা প্রধান আমাদের পরে হয়ত এডজুটেনট হয়েছিলেন। এক্সকারশনের সময় আপনাদের কলেজে গিয়েছিলাম ১৯৯০ সালে। সেখানকার গেস্ট হাউজে ছিলাম। রিয়াজ ভাই আর রায়হান ভাইকে নিশ্চয়ই চেনেন।
ডাইনিং হল আর অডিটোরিয়াম ভালো বানিয়েছিলেন। অডিটোরিয়াম বেশ সাউন্ড প্রুফ ছিল। দুইটা স্থাপনাই অনেক টেকসই ছিল। এখন হাউজ ভেঙ্গে নতুন করে বানানো হচ্ছে। আপনাকে ধন্যবাদ ভালো মানের কাজের জন্য। ঐখানের অনেক জমির মালিক শুনেছি রাশেদ খান মেনন পরিবার। আমাদের কলেজে একবার রাশেদ খান মেনন এসেছিলেন। আপনি ক্যাডেট কলেজে পড়া অবস্থাতে সম্ভবত মুক্তি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। এই জন্য আপনাকে অভিনন্দন।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি যাদের কথা উল্লেখ করেছি তারা প্রত্যেকেই ৮৫ সনের আগে বিসিসি'তে ছিলেন। আমরা সবাই ৮৩-৮৪ সনে মাস্টার্স পাস করেছি এবং ওরা দুইজন ক্যাডেট কলেজে জয়েন করে।
হ্যা আমি জেক্সা সিক্সথ ব্যাচ। রিয়াজ রায়হানকে চিনি।
এক্যুস্টিক(সাউন্ড প্রুপ) এর উপর আমি একটা কোর্স করেছিলাম। সেই অভিজ্ঞতায় প্রায় একই সময়ে আমি বিসিসি ছাড়াও পাবনা, সিলেট রংপুর, মির্জাপুর ও ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের অডিটোরিয়াম ও ডাইনিং হলের কাজগুলো করেছিলাম।
রহমপুর বাবুগঞ্জ থানার বিশাল এলাকা জুড়ে রাশেদ খান পরিবার ভূস্বামী।
হ্যা আমি জেসিসি থেকে দশজন সিনিয়র ক্যাডেটদের সাথে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে জয়েন করেছিলাম। টুয়েলভ ক্লাসের ক্যাডেট ছিলেন আমার কাজীন তার নেতৃত্বে আমরা পালিয়েছিলাম......সে এক লম্বা ইতিহাস!
আপনাদের কলেজের মেস ম্যানেজার জাকির হোসেনদের বাড়িতে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি আশ্রয় নিয়েছিলাম.....সেই উপকারের কথা আমি ভুলিনি বলে তৎকালীন এজি মেজর জেনারেল সাদেকুর রহমান চৌধুরীকে রিকোয়েস্ট করে জাকিরকে মেস ম্যানেজার পদে চাকুরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম।
২৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি তখন কোন ক্লাসে পড়তেন?
০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৬
জুল ভার্ন বলেছেন: নাইনে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
নষ্টালজিক করে দিলেন। বরিশাল আমারও শহর- জন্মস্থানও। আপনার লেখায় বরিশালের প্রতিটি স্থানের বর্তমান হালের কথা পড়ার সাথে সাথে চোখে সেই স্থানগুলোর পুরোনো ছবি ভেসে উঠেছিলো। কি অনিন্দ্য সুন্দর ছিলো সে সব জায়গা। চাঁদমারী থেকে স্টীমার ঘাট পর্যন্ত লাল সুড়কি বাঁধানো সেই পথ, সেই পথের পাশের সারি সারি পাম গাছ আর তার ফাঁক দিয়ে কীর্তন খোলায় পাল তোলা নৌকার ভেসে যাওয়া..... স্বপ্নের মতো মনে হয় এখন।
বরিশাল এখন আর সেই টলটলে তন্বীটি নেই, ইট-পাথরের কৃত্রিমতায় এখন তার রূপ যাত্রাদলের কষ্টসাধ্য জবর-জং রঙের প্রসাধনী মাখা হাড় জিরজিরে সখিদের মতো।
"প্রগতি কি" নিয়ে লেখার শেষের প্রশ্নটি, শেষের প্যারাতেই সুন্দর করে বিশ্লেষণ করেছেন। ( কপি করা যায়না বলে তুলে দিতে পারা গেলনা।)