নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
লোভ এবং পাপ......
আজকের জুম্মায় ইমাম সাহেব মানুষের জীবনে লোভ ও লালসা সম্পর্কে বয়ান করেছেন। প্রথমেই তিনি লোভ ও লালসার পার্থক্য বুঝিয়েছেন। তারপর লোভ লালসা সম্পর্কে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেছেন। শ্রুতি নির্ভর বয়ান গুছিয়ে লিখতে পারবোনা তবে এলোমেলো ভাবে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করবো....
লোভঃ লোভ হচ্ছে মানুষের অন্তরে লুকানো ইচ্ছা বা বাসনা। অন্যায্য কিছু পাওয়ার ইচ্ছাই লোভ। যেমন, অন্যের ধনসম্পদ দেখে যেনো তেনো ভাবে তেমন ধনসম্পদ লাভের আকাংখা।
লালসাঃ লোভের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে লালসা।
আরবিতে একটি প্রবাদ আছে- ‘আল-ইনসানু হারিছুন ফিমা মুনিয়া’, অর্থাৎ নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি মানুষ লালায়িত থাকে। এটি মানুষের একটি মন্দ স্বভাব। সুকৌশলে, সুশোভিত এবং অতি সৌন্দর্যমন্ডিত করে মানুষ দ্বারা এ কাজ করাতে তার জুড়ি নেই। মানুষকে নানা লোভ দেখিয়ে অন্যায় পথে পরিচালিত করা, অভাবের ভয় দেখিয়ে গর্হিত কাজে লিপ্ত করা, ধন-দৌলতের প্রতি প্রলুব্ধ করে অন্যায়ভাবে সম্পদের পাহাড় গড়তে উদ্বুদ্ধ করা, মানুষকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার কলাকৌশল শেখানো, অন্যায়ভাবে পরস্পর ঝগড়া-বিবাদ, খুন-খারাবি, জোরপূর্বক অন্যের সম্পত্তি দখল, জালিয়াতি, প্রতারণা, প্রবঞ্চনা ইত্যাদি।
লোভ-লালসা মানুষকে অন্ধ করে তার বিবেক-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে তাকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং ভালো-মন্দ, পাপ-পুণ্য বিচারের ক্ষমতা নির্মূল করে ফেলে। তাই লোভ মানুষের চরম শত্রু, জীবনের বিনাশ সাধনই এর কাজ।
লোভী মানুষ সর্বদা বঞ্চিত ও অপমানিত হয় লোভ, হিংসা, অহংকার বহু পাপের জন্ম দেয়। লোভ-লালসা হচ্ছে মানুষের চরিত্রের দুর্বলতম ও হীনতম বৈশিষ্ট্যের একটি। যার সাহায্যে সৃষ্টি হয় অন্যায় ও অবৈধ কাজের বিভিন্ন রাস্তা।
জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষই প্রবৃত্তির এই অদৃশ্য শক্তিশালী চাহিদার শিকার হয়।বলোভ মানুষের পারিবারিক জীবনে, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৃষ্টি করে নানা সমস্যা এবং নিরাপত্তাহীন অশান্তির অস্বস্তিকর পরিবেশ।
সহোদরের মাঝে ধন-সম্পদ নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ, ভাই-বোনের সম্পর্ক নষ্ট, আত্মীয়-স্বজনের সম্পর্কে বিচ্ছেদ এবং পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে মামলা-মোকাদ্দমা এবং দুর্নীতিতে জড়িত হওয়ায় ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা পালন করে- সর্বনাশী লোভ। লোভ-লালসার প্রকৃতিতে আত্মসমর্পণ করে অন্যায়ভাবে অপরের ধন-সম্পত্তি আত্মসাৎ করায় এবং মানুষের মান-সম্মান ধূলিসাৎ, এমনকি অন্যদেরকে হত্যা করতেও দ্বিধাবোধ করে না।
পার্থিব জীবনে স্বাবলম্বীর প্রত্যাশায় ও প্রচেষ্টায় অবৈধভাবে ধন-সম্পত্তি উপার্জনের আসক্তিতে মানুষ সততা ও ন্যায়ের জীবন ভুলে যায়। প্রচুর পরিমাণে ধন-সম্পত্তি থাকলেও তার কোনো তৃপ্তি নেই সে আরও বেশি চায়। বর্তমান সমাজ ও রাস্ট্রে অন্যায় ও পাপাচারের উৎস রূপে লোভ-লালসা মানুষকে যে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করছে, তা বিচার-বিশ্লেষণের অপেক্ষা রাখে না।
লোভ মানুষের অধঃপতনের অন্যতম কারণ। লোভ একটি নৈতিক ত্রুটি। লোভ মানুষের জীবন থেকে সুখ কেড়ে নেয়। লোভী মানুষ আল্লাহতায়ালার কোনো নিয়ামতের শোকরিয়া আদায় করে না, বরং আল্লাহ তাকে যা দান করেছেন তার চেয়ে সে আরও অনেক বেশি কিছু চায়।
লোভ, হিংসা, অহংকার বহু পাপের জন্ম দেয়। লোভ পরিত্যাগ করে একজন আদর্শ মানুষ হওয়ার জন্য ইসলাম তথা পবিত্র কোরআন-হাদিসে বিভিন্ন ভঙ্গিতে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। ইসলামের মৌলিক শিক্ষাই হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার ভয়, আদর্শের অনুশীলন, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জন, আত্মসমালোচনা, আত্মশুদ্ধি ও বিবেকের শিক্ষাকে রপ্ত করার অভ্যাস সৃষ্টি করতে হবে। তা নাহলে ধ্বংস অনিবার্য।
লোভী মানুষ দু’টি উৎকৃষ্ট গুণ হতে বঞ্চিত। ফলশ্রুতিতে সে দু’টি দোষের অধিকারী।
(এক) লোভী মানুষ জীবনে পরিতৃপ্ত হওয়া থেকে বঞ্চিত, ফলে সে জীবন থেকে প্রশান্তিকে হাতছাড়া করে।
(দুই) লোভী মানুষ যেহেতু আত্ম সন্তুষ্টি হতে বঞ্চিত, ফলে সে অপরের বিশ্বাসকে অমর্যাদা করে।
আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন আমাদের সবাইকে লোভ লালসা থেকে মুক্ত থেকে সৎ মানুষ হবার, ভালো মানুষ হবার তৌফিক দান করুন।
আমীন।
২২ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: "আপনি ভালো তো জগৎ ভালো"!
২| ২২ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বর্তমানে লোভী লোকেরা তো বেশ আছে দেখছি। চাকরীর প্রয়োজনে আমাকে অনেক সময় দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারী কর্মকর্তাদেরকে টাকা দিয়ে সন্তুষ্ট করতে হয়। আমাদের সব ঠিক থাকার পরেও ওনাদের টাকা দিতে হয়। কিন্তু আমি তো দেখি এদের লোভের কোন সীমানা নাই। কিন্তু বহাল তবিয়তেই আছে। অনেকে আবার এটা থেকে দান, সদাকা এবং জনকল্যাণ মুলক কাজ করেন।
মসজিদের হুজুররা দান গ্রহণ করার সময় উৎস নিয়ে বেশী প্রশ্ন মনে হয় করেন না।
২২ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: হুজুররা দান নেয়, ঘুষ নেয়না।
৩| ২২ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৫
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ষড়রিপুর ফাঁদ।
২২ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: তা বলা যায়।
৪| ২২ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
লোভ লালসা এইগুলো চরিত্র হননকারী। লোভ লালসা মানুষকে ডাস্টবিনের নর্দমার কীটে রূপান্তর করে। অথবা বলা যেতে পারে, “লোভ লালসায় মানুষ আর ডাস্টবিনের নর্দমার কীটের মাঝে তফাৎ নেই”।
২২ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
৫| ২২ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭
নতুন বলেছেন: সমাজে বেশির ভাগ মানুষই জ্ঞানী না। তারা তাদের সল্প জ্ঞানে লোভ, ইগো, ইর্ষা যে তাদের জীবন পরিচালনা করছে সেটা বুঝতে পারেনা।
তারা বোঝে না লোভ করে সে যে অন্যায়টা করছে তাতে কি সে আসলেই সুখি হতে পারবে? তারা যে সম্পদ গোছাতে সারা জীবন ব্যায় করে তা তার মৃত্যুর পরে কোন কাজে লাগেনা।
আর আমাদের সমাজে মানুষকে আসলে এই জ্ঞানগুলি দেবার কোন প্রতিস্ঠানিক ব্যবস্থা নাই। স্কুল কলেজে সাটিফিকেট দেয় মাত্র।
২২ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন! ❤️
৬| ২২ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১০
কামাল৮০ বলেছেন: আল্লাহ আমাদের মুক্ত করবে এই আশায় থেকেই আমাদের এই অবস্থা।
২২ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি বিজ্ঞান, যুক্তি পছন্দ করি। কিন্তু সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস এবং আস্থায় বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করিনা।
৭| ২২ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪০
কামাল৮০ বলেছেন: স্পিনোজার সৃষ্টি কর্তাকে আমার বেশ লাগে।
২২ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: গুগল আর ইউটিউব নির্ভর জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা।
৮| ২২ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৩২
কামাল৮০ বলেছেন: আমি গুগল ব্যবহার করি না।স্পিনোজার দর্শন সম্পর্কে আমার ভালো জানাশুনা।গুগলের সব কথা ঠিক না।
২৩ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: যে ভাবে 'স্পিনোজার দর্শন' পড়েছেন সেভাবে একটু কোরআন পড়ার অনুরোধ করছি। গুগল নিয়ে আমার ধারণাও অত্যন্ত হতাশা জনক- যা নিয়ে কিছুদিন আগে আমি ফেসবুকে লিখেছিলাম।
৯| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:১৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লোভ করলে পাপ হয়,
পাপ করলে মৃত্যু হয়।
২৩ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:২৩
জুল ভার্ন বলেছেন: "কুল্লু নাফসিন জাইকাতুল মাউত"- লোভী, নির্লোভী, সৎ হোক কিম্বা পাপী সকলের জন্যই মৃত্যু এক অনিবার্য সত্য। দুনিয়াতে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব হলেও মৃত্যু থেকে বাঁচতে চাওয়ার কোনো সমাধান নেই। নির্দিষ্ট সময় যখন চলে আসবে তখন চোখের পলক পড়ার আগেই মৃত্যু সংঘটিত হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:১০
মোগল সম্রাট বলেছেন: এই দেশের এতো সংখ্যা গরিষ্ঠ এসলাম ধর্মের মানুষেরা গত ৫০ বচ্ছর ইসলামের এই অধ্যায় আবিস্কার করতে পারেনাই মনে হয়। কেননা দ্যাশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মোছলমানেরা কতোবার দুর্নীতিতে চেম্পিয়ান হইলো ভুইল্লা গেছি।