নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আম নিয়ে পাক - ভারত বিবাদ....

২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:২৩

আম নিয়ে পাক - ভারত বিবাদ....

আম অত্যন্ত সুস্বাদু ফল। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছেও আম খুব পছন্দের। সেই আম নিয়েই একটি বিবাদ আছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। হাজারো বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে দ্বন্ধ থাকলেও আম নিয়ে বিবাদ কিন্তু ব্যতিক্রমীই। অত্যন্ত তুচ্ছ এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক থেকে কূটনৈতিক স্তর পর্যন্ত একটি ঠান্ডা লড়াই রয়ে গিয়েছে অমীমাংসিত ভাবে গত চল্লিশ বছর ধরে।

ঘটনার সূত্রপাত ১৯৮১ সালে। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াউল হক ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব রেড্ডিকে কয়েক ঝুড়ি 'রাতাউল' আম পাঠান। সঙ্গে পাঠান একটি ম্যাসেজও। বলেন, তাঁর দেশের ‘স্পেশাল ম্যাঙ্গো 'রাতাউল'। সেই আম খেয়ে ইন্দিরা এতটাই আপ্লুত হয়ে পড়েন, যে তিনি রাতাউল আমের প্রশংসা করে জেনারেল জিয়াকে খোলা চিঠি লেখেন, তাতে সার্টিফিকেট দেন, ওই সুস্বাদু আম শুধু পাকিস্তানেই ফলে।

অতি সাধারন এই সৌজন্য বার্তার ঘটনা থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। ইন্দিরা গান্ধী যে এমন চিঠি দিয়েছেন, তা জানাজানি হতেই উত্তরপ্রদেশের রাতাউল জেলার আমচাষীরা ছুটে আসেন তত্‍কালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

বারবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে কার্যত ধর্নায় বসেন তাঁরা। তাঁদের দাবি ছিল, এই আম কোনোভাবেই পাকিস্তানের হতে পারে না। কারণ উত্তরপ্রদেশের ওই গ্রামে আফাক ফারিদি নামে এক ব্যক্তি প্রথম এই আমের চাষ শুরু করেন ব্রিটিশ শাসনকালে। এরপর, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় ওই আফাক ফারিদির সন্তান নাতি রাতাউল আমের বেশ কয়েকটি চারা সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তান চলে যান। মুলতানে গিয়ে তিনি ওই আম ফলান। নিজের বাবার স্মৃতিতে তার নাম দেন আনোয়ার রাতাউল। তারপর থেকেই মুলতানি আমের রমরমা আর আমের রাজা ওই আনোয়ার রাতাউল আম। পাকিস্তানে ওই আমের ওপর স্ট্যাম্পও বার করেছে।

তাঁদের গ্রামের বাগানে ফলে থাকা আমের ওপর পাকিস্তানের এই দাবী স্বাভাবিকভাবেই চটিয়ে দেয় রাতাউলের বাসিন্দাদের। তাঁরাও এক বাক্স আম ইন্দিরা গাঁধীকে পাঠিয়ে অনুরোধ করেন, ওই আম যেন পাক প্রেসিডেন্টকে উপহার দেন তিনি। ভারতীয়দের বক্তব্য, বাগপত ও আশপাশের এলাকার ২,০০০ বিঘারও বেশি জায়গায় শুধু রাতাউল আম ফলছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই আম খেয়ে বড় হয়েছেন তাঁরা। তাহলে কী করে তাঁদের গ্রামের নামে রাতাউল আম পাকিস্তানের হয়ে যায়?

এই ঘটনা শোনার পর কিছুটা বিপাকেই পড়েন ইন্দিরা গান্ধী। যদিও, বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়, তাঁর মৃত্যুর পরও এই রাতাউল আমের মালিকানা নিয়ে বহু টানাটানি হয়েছে। কিন্তু, সুরাহা মেলেনি। ফলে, বিশ্ব আম উত্‍সবের সময় যখনই এই দুই দেশ মুখোমুখি হয়, তখনই তাদের মধ্যে রাতাউল আম নিয়ে শুরু হয় ঠান্ডা লড়াই। কিন্তু, আম তুমি কার?

সে প্রশ্নের উত্তর এখনও অমীমাংসিতই রয়ে গেছে।

তথ্যসূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪৭

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: আম তুমি কার উত্তরে এককথা বলা চলে আম তুমি মুখের পেটের এবং টয়লেটের
ভাল থাকবেন----দাদা

২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০৪

জুল ভার্ন বলেছেন: সকল খাদ্যের পরিনতি একই....

২| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটার মধ্যে সিআইএর কোন ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।

২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: পৃথিবীর সব কন্সপাইরেসির মধ্যেই মার্কিন ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার হাত হাকে। অন্যদিকে উপমহাদেশের এবং সার্কভুক্ত দেশগুলোর সব খারাবীর মধ্যেই ইন্ডিয়া থাকে।

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪৯

রানার ব্লগ বলেছেন: এদের ধরে আফ্রিকা পাঠিয়ে দিন ওখানে আম রাস্তায় গড়াগড়ি খায় কেউই খাই না।

২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আফ্রিকার আম সুস্বাদু নয়, তাই গাছের নিচে ঝরে পরে পচে।

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই খবর তো আগে কোখনো শুনি নাই।

২৩ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৪

জুল ভার্ন বলেছেন: এই ঘটনা বলা যায় ভারত পাকিস্তানের ঐতিহাসিক ঘটনা।

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মমতা দি কে সম্ভবত বাংলাদেশ থেকে আম পাঠানো হয়েছে। মমতা দি আবার এটা ভারতের আম দাবি করে না বসে।

২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: শুধু মমতা দিদিকেই নয়, মোদিকে এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রীকে এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকেও আম পাঠিয়েছে।

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৪২

কামাল৮০ বলেছেন: পোষ্ট পড়ে যতটুকু জানাগেল,এই আমের আধিনিবাস ভারতেই।পরবর্তীতে পাকিস্তানে যায়।

২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১০

জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা আমের আদি নিবাস ভারতের আসাম। তবে দেশ বিভাগের আগে আসাম আমাদের দেশেরই অংশ ছিলো। সেই হিসেবে আমের আদি নিবাস বাংলাদেশ বলেও দাবী করা যায়।

৭| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আম খেয়ে রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করে,ভালোই।

২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১৩

জুল ভার্ন বলেছেন: উপমহাদেশে 'ম্যাংগো পলিটিক্স', চীনের 'পিংপং পলিটিক্স', কিউবান 'হাভানা সিগার পলিটিক্স' আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ইতিহাসের অংশ।

৮| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইজান এই পোস্টটি কি আপনি আগে কখনো দিয়েছিলেন? পোস্টটি পড়া লাগছে। মনে হয় আপনার কোনো পোস্ট থেকে বিষয়টি জেনেছিলাম।

২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩০

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার স্মরণ শক্তির প্রসংশা না করে পারছিনা। হ্যা দুই বছর আগে ফেসবুকে লিখেছিলাম। গতকাল ফেস্টিভ্যাল মেমোরি সেই পোস্ট ফিরিয়ে দিয়েছে। এখন চেক করে দেখলাম - আপনি সেখানে চমৎকার একটা মন্তব্য করেছিলেন।

৯| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৫১

কামাল৮০ বলেছেন: দেশ বিভাগের আগে সবটাই ভারত ছিল।আমাদের দেশ তাদের দেশ বলে কিছু ছিল না।

২৪ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৫:২৫

জুল ভার্ন বলেছেন: তখন ছিলো ভারতবর্ষ। আমরা ছিলাম ভারত বর্ষের বাংলা। বাংলার অধীনে ছিলো বর্তমান বাংলাদেশ ছাড়াও আসাম ও ভারতের বর্তমান পশ্চিম দিনাজপুর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.