নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
যেতে পারি, কিন্তু কেন যাবো?
সব স্পন্দন কি শুধু মেটাফোরেই কথা বলে? মাঝে মাঝে মনে হয় না সমস্ত শিল্প-বিবৃতিইতো আসলে সূক্ষ্মতম অনুভূতির এক অক্ষম অনুবাদ?
ঐ যে নিভু নিভু সংবেদ! ওটাইতো ওর আসল শক্তি! লড়াই আর লড়াই! অনিবার্য এক চরম সত্যের বিরুদ্ধে। যদি বলি, হাতের তালুর পরম যত্নে নিশ্চিন্ত এক টুকরো কম্পমান অনিশ্চয়তা, তাহলে তার থেকে জীবনের অক্ষম অনুবাদ আর হয় না! অথবা ধরুন, পদ্মপাতায় জলফোঁটার ঐ টলটলে সংবেদ! অনিশ্চয়তার স্পর্শ ছুঁতে পেরেছে। কিন্তু আগ্রাসী অন্ধকারের বিরুদ্ধে ঐ তিরতিরে মোমশিখার অসম লড়াইটা? কে দেবে তার স্পর্শ?
নাহ!
সমস্ত কথনবিশ্বকেই বড্ড ঠুনকো আর একমাত্রিক লাগে যেন বিবৃতির সে প্রত্যক্ষতায়! তাই বহুমাত্রিক মেটাফোর চাই। একমাত্র তখনই অন্য শিল্প- মাধ্যমেও জীবনের স্পন্দন কবিতার মত বিশুদ্ধ সৃজন হয়ে উঠতে পারে।
ঐ এক টুকরো বাতির ভিশ্যুয়াল মেটাফোরটার কথা ভাবুন। তারকোভস্কির পেনাল্টিমেট ছবি Nostalghia(Nostalgia)। মূল প্রোটাগনিস্ট একজন রাশিয়ান লেখক- কবি! অভিনয় করবেন ইয়ানকোভস্কি। সত্যিকারের সৃজনশীল শিল্পীর কাছে সৃষ্টি তাঁর মাধ্যমের নিছকই নান্দনিক উচ্চারণ নয়! জীবনের প্রগাঢ় নিঃশ্বাস প্রশ্বাস।
তারকোভস্কি ইয়ানকোভস্কিকে বললেন- শোনো, একটা দৃশ্যকল্পেই জীবনের সবচেয়ে সংবেদী পাঠকে ধরতে চাই। অথচ একটা শটও কাটব না! সম্পাদনার শল্যচিকিৎসা ছোঁবে না এ স্পন্দন! কেন? কারণ নিঃশ্বাস কে টুকরো করে ধরা যায় না। জীবনকে টুকরো করে জুড়লে প্রযুক্তির নন্দন হবে হয়তো। শিল্প হবে না। শিল্প হলেও তা জীবনকে ছুঁতে পারবে না। জীবনের ঐ তিরতিরে আর্তিটা এক শটেই চাই আমার। আমার জীবনের সেরা শট হোক সেটা!
বাকিটা অভিনেতার লড়াই। জীবনেরও। কোনও সজ্জিত পরিক্রমণ নয় ; সে এক সযত্ন আবর্তন।
Cinema Narrative এর প্রাসঙ্গিক অংশটা কী ছিল?
পরিত্যক্ত খাদানে বন্ধুর প্রতি শেষ শ্রদ্ধায় দেশ থেকে দূরে, বিদেশে স্বেচ্ছানির্বাসিত এক কবির দীপযাত্রা! ক্লান্ত ও ধ্বস্ত পদক্ষেপ! মুখে উৎকন্ঠা আর মমত্বের আর্তি! হাতে জীবনের প্রতিভূ হয়ে একটুকরো ভরন্ত আকাঙ্ক্ষা। তিরতিরে! দেদীপ্যমান! কখনো তালুর পরম মমতার আড়ালে, কখনো বা পোশাকের! যাবতীয় অনিশ্চয়তার লড়াই তখন অন্ধকারের বিরুদ্ধে। আগ্রাসী হাওয়া-বাতাসের বিরুদ্ধেও! দীপযাত্রার অনিবার্য বৃত্তায়নের শেষে ভেঙে পড়বেন কবিও।
কিন্তু পরিচালক কোথায় তখন?
ঐ ভিস্যুয়াল মেটাফোর ততক্ষণে নির্বাক গ্রাস করে ফেলেছে তাঁর সমস্ত চেতনা! তিনি তখন ক্যামেরার পিছনে নান্দনিক অন্তর্ছন্দে নেই। দৃশ্যকল্পের কৌণিক অভিঘাত, মোটিফের অনুপুঙ্খ -- সেসব থেকে অনেক দূরে! শিল্পবোধের জারণে তাঁর চেতনার নির্মাণ- পুনর্নিমাণ-- সবকিছুই কখন যেন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে! বরং অভিনেতার শরীর, শৈলি, মনে ছড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর হৃদস্পন্দনের রঙরেখ আর নিঃশ্বাসের সরগম! উঁহু, তার থেকেও হয়তো আরো গভীরের কিছু! প্রোটাগনিস্ট-কবির সত্তায় ঢুকে পড়েছেন ভূতগ্রস্তের মতো পরিচালক নিজেই! জীবনের প্রগাঢ় উপলব্ধি কখন যেন হারিয়ে দিয়েছে শিল্পের নন্দনকে!
আসলে অতগুলো ইন্দ্রিয়সংবেদ ছুঁয়ে মেটাফরিক নন্দনও নিছকই গৌণ তখন। বৃহত্তর সত্যটা হলো তারকোভ্স্কি ছুঁয়ে ফেলতে পেরেছিলেন জীবনকে।
ততক্ষণে এক হয়ে গেছেন কবিবন্ধু, প্রোটাগনিস্ট কবি, আর স্রষ্টা পরিচালক; এক অতীন্দ্রিয় সমাপতনে! অনিশ্চয়তা আর অনিশ্চয়তা! ঘাত- প্রতিঘাতে, স্বপ্ন- হতাশায়, লগ্ন-চ্যুতিতে, সে অনিশ্চয়তার অনিবার্য স্পর্শকাতর অভিযাত্রাই জীবন!
বিবৃতির প্রগলভতায় আর প্রতিভাসের অনুপুঙ্খে জীবন হয়তো বা আলাদা আলাদা! কিন্তু, শিল্পদৃষ্টির সে আপেক্ষিকতা ও নান্দনিক সমীকরণের মূল সূত্রকে তুচ্ছ করে অনিশ্চয়তার অমোঘ নির্যাসে জীবন আসলে একই। লালনের মমতাতেও।
হে জীবন, তোমার লড়াইটা তোমারই।
অন্ধকারের বিরুদ্ধে তোমার লড়াই অনির্বাণ শিখায় জ্বলতে থাকুক।
কে নিতে পারে সে যন্ত্রণার ভাগ?
তবুতো এক দীপ থেকে প্রজ্জ্বলিত হয় আরো দীপ।
আলোর ভাগ কমে না তাতে এতটুকু!
আর তাই আজ নিঃস্বার্থে নিজেদের বিপন্ন করেও অন্যের প্রাণের লড়াইয়ে রাস্তায় পড়ে আছেন শয়ে শয়ে ঈশ্বর!
ধুলোমাটির পৃথিবীতে এই মনুষ্যত্বটুকুই একমাত্র ঐশী নিশ্চয়তা, তোমার অনিশ্চয়তা ছুঁয়ে থেকেও।
২৬ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাইজান, বর্তমানে সত্য সুবচন নির্বাসনে! সত্য মানুষকে পথ দেখায়, সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস জোগায়, বাধার পাহাড় ডিঙাতে শক্তি দেয় আর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর রাস্তা সুগম করে দেয়। সত্যের পথে থেকেই যেমন বহু জাতি পৃথিবী দাবড়ে বেড়িয়েছে, তেমনি সত্যের পথ থেকে দূরে সরে গিয়ে বহু জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে। আজকের পৃথিবীতে সত্য কোথায়? সে কি পথ হারিয়েছে? আমরা তো দেখছি চারদিকে অসত্যের (মিথ্যার) টক্সিন ছড়ানো-ছিটানো।
২| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৪৬
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: খুব সুন্দর লেখেছেন দাদা ভাল থাকবেন
২৬ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:১৭
শাওন আহমাদ বলেছেন: যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো? টাইটেল টা বেশ ছিলো।
২৬ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: এতো লম্বা একটা লেখায় শুধু টাইটেলটাই বেশ ছিলো!
৪| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৩৬
শাওন আহমাদ বলেছেন: আগে তো টাইটেল চোখে পড়েছে তারপর না লিখা তাই টাইটেলের প্রশংসা করলাম আর আপনার লিখা তো লিখাই। আপনি যে ভালো লিখেন তা কি বলার অপেক্ষা রাখে?
২৬ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সময় পেলে আবার আসছি...
২৬ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: হাজিরা প্রত্যায়ন করা হইলো।
৬| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:১৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জীবন মানে যুদ্ধ। দারুন বলেছেন।
২৬ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।
৭| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৬
কামাল৮০ বলেছেন: বিজ্ঞান হলো সত্য জানার একমাত্র পথ।ভাব নয়
২৬ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৩২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তাইতো!
কেনো যাবো?
২৬ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২৩
জুল ভার্ন বলেছেন: কই আর যাবো - "মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত"!
৯| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০৩
বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: আজকের আধুনিক বিজ্ঞান সৃষ্টি রহস্যের প্রকৃত সত্য থেকে কত দূরে?
২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: সৃষ্টির রহস্য বের করা কত দূরে সেটা আমার মতো অবিজ্ঞান নাদানের পক্ষে কল্পনাও করা অসম্ভব। তবে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ কিছু অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে। টাইমমেশিনে এত বিরাট সময় ভ্রমণ করে সময়েরও আগে গিয়ে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড কীরকম ছিল, গ্রহ-নক্ষত্রদের সৃষ্টি কীভাবে হয়েছিল, তা খুঁজে বের করা একমাত্র জেমস ওয়েবের পক্ষেই সম্ভব হয়েছে। আরও অনেক কিছু অন্বেষণ করা বাকি জেমস ওয়েবের। কারণ, আরও অপ্রত্যাশিত কিছুর অন্বেষণ করার প্রত্যাশা একমাত্র পুরণ করতে আরও হাজার বছর লাগবে। আমার ধারণা, সৃষ্টির রহস্য ভেদ করা খুব সহজ নয়। তবে একদিন আরও অনেক কিছুই আবিস্কার করা সম্ভব হবে বলেই বিশ্বাস।
১০| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:২২
রানার ব্লগ বলেছেন: বিজ্ঞান আমাদের কে আলোর পথ দেখিয়েছে। নতুবা আমরা যে আধারে ছিলাম সে আঁধারেই পড়ে থাকতাম।
২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: ভৌত বিশ্বের যা কিছু পর্যবেক্ষণযোগ্য, পরীক্ষণযোগ্য ও যাচাইযোগ্য, তার সুশৃঙ্খল, নিয়মতান্ত্রিক গবেষণা ও সেই গবেষণালব্ধ জ্ঞানভাণ্ডারের নাম বিজ্ঞান। কাজেই বিজ্ঞানের উপর ভরসা রাখতেই হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আদি থেকে লড়াইটা অনুভবটা এমনই ছিল। এমনই হয়ে আসছে।
ফেরাউন, নমরুদ, ইসা মূসা ইব্রাহিম মোহাম্মদ
লড়াইটা যেমন অসম তেমনি তীব্র আবেদনে ভরপুর
যারা অনুভব করেছে যোগ দিয়েছে মুক্তির লড়াইযে
জীবন পূর্ন হয়েছে সংবেদনশীল অনুভবে।
এ এক দারুন খেলা
তুমি হাকিম হইয়া হুকুম করো
পুলিশ হইয়া ধরো
সর্প হইয়া দংশন করো
ওজা হইয়া ঝাড়ো- সেই গানে কিছুটা সন্ধান মেলে