নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইলিশ সম্পর্কে কতটুকুই জানি......

৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪৮

ইলিশ সম্পর্কে কতটুকুই জানি......

সাগরে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পরছে.... বিক্রেতাদের কাছে "সব ইলিশই পদ্মার"- আসলে সব ইলিশ পদ্মার নয়। ইলিশ মাছের বাজারে দুইটি শব্দের খুব প্রচলন আছে- "ককসিট ইলিশ" আর "লাইনের ইলিশ"। "ককসিট ইলিশ" হচ্ছে চট্টগ্রাম কক্সবাজার টেকনাফের ইলিশ। অর্থাৎ সাগরের কিম্বা লবণ পানির ইলিশ। "লাইনের ইলিশ" হচ্ছে মিঠা পানির ইলিশ।

(১) বাজারে যতো ইলিশ তার অধিকাংশ ইলিশ বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের ইলিশ। চট্টগ্রাম কক্সবাজারের ইলিশ সামুদ্রিক ইলিশ। চাঁদপুরের পদ্মার বিখ্যাত ইলিশ আছে, কিন্তু সেটা অল্পই। মানে আমরা পদ্মার ইলিশ, পদ্মার ইলিশ শুনি বটে, এটা আসলে সঠিক নয়।

(২) বাংলাদেশে ইলিশের বাড়ি বলা হয় চাঁদপুর জেলাকে। চাঁদপুর হচ্ছে পদ্মা-মেঘনার মিলনস্থল। সেখানেই সবচেয়ে বেশি উন্নত মানের ইলিশ পাওয়া যায়। তবে চাঁদপুরে মেঘনার ইলিশও আছে, পদ্মার ইলিশও। কিন্তু তুলনামূলক ভাবে মেঘনা সমুদ্রের বেশি কাছে, পদ্মা একটু দূরে। তাই মেঘনার ইলিশ স্বাদে হেরে যায় পদ্মার ইলিশের কাছে। সাগরের ইলিশ মিঠা পানির বড় নদীর ভিতরে যতই ঢুকবে, ততই ইলিশের বেশি স্বাদ। গোয়ালন্দের ইলিশ যে কারণে বেশী স্বাদের।

(৩) নদীর পানিতে প্ল্যাংটন নামে জলজ উদ্ভিদ খেলে ইলিশের স্বাদ বেশি হয়। যত প্ল্যাংটন খাবে, তত বেঁটে ও মোটা হবে ইলিশ। তত চর্বি হবে। গা থেকে ঝরে যাবে সামুদ্রিক লবণ।

(৪) বাংলাদেশে ইলিশ সংরক্ষণ শুরু হয়েছে ২০০৩ সালে বিএনপি সরকারের আমলে। ইলিশ বাঁচানোর জন্যই বিশেষ দফতর। বিস্তর গবেষণা চলে বাংলাদেশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে। ইলিশ রপ্তানি থেকেও আসে বিশাল অংকের বৈদেশিক মুদ্রা।

(৫) ২০২০ সালের হিসেব বলছে, বিশ্বের মোট ইলিশের ৮৬ শতাংশ বাংলাদেশের ইলিশ। বাংলাদেশে জাটকা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। সব মাসে ইলিশ ধরা যায় না। কেউ তা করলে কড়া শাস্তি। নদীতে নদীতে কোস্ট গার্ড, নৌপুলিশের কড়া তৎপরতা চলে- যদিও চুরি করে নিষিদ্ধ সময়েও ইলিশ ধরা হয়। আবার জেলেদের যাতে জীবন যাপনে সমস্যা না হয়, তার জন্য চার মাস ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। কয়েক লক্ষ জেলে পান চালের সঙ্গে টাকাও।

(৬) নিয়মিত চোরাচালান এবং রপ্তানির বাইরেও পূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে 'উপহার হিসেবে' কোলকাতায় হাজার হাজার টন টন ইলিশ পাঠানো হয়। ফলে বাংলাদেশের বাজারে অনেক বেড়ে যায় ইলিশের দাম। আটশোর ইলিশ বিকোচ্ছে চোদ্দোশোয়। স্বাভাবিক, আমাদের দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ। আমজনতার ভাষ্যমতে ‘যারা বিপদে টিকা দেয় না, পেঁয়াজ চালান আটকে দেয়, তিস্তার পানি দেয় না, তাদের জন্য এত দরদ ভালো নয়’ - যুক্তিটা ফেলে দেওয়ার নয়।

(৭) বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ইলিশ ধরা পড়ে বরিশালের ভোলায়। ভোলার পরেই বরগুনা। তারপর থাকবে পটুয়াখালি, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার। অধিকাংশ সাগরের ইলিশ। ছয় নম্বরে চাঁদপুর- ইলিশের বাড়ি। এখান থেকেই হয়তো ভালো স্বাদের ইলিশের প্রাপ্তি শুরু। আমার কাছে সব চাইতে বেশী স্বাদের ইলিশ বরিশালের বিষ খালী, সন্ধ্যা নদী এবং ফরিদপুরের মধুমতী নদীর।

(৮) বাংলাদেশে ইলিশ নিয়ে অসংখ্য রেসিপি। তবে সব চাইতে বেশী আলোচিত "ইলিশ পাতুরি"! আমার পছন্দ ইলিশ পোলাও। পুরনো ঢাকার মানুষের পছন্দের ইলিশ বিরিয়ানিও আমার ভালো লাগে। পহেলা বৈশাখ "পান্তা ইলিশ" একটা কর্পোরেট ফ্যাশন কিম্বা উচ্ছন্নে যাওয়া লোকের আতলামী/বখাটেপনা ছাড়া আর কিছুইনা।

(৯) ইলিশ সুরক্ষা করায় বাংলাদেশ এতটাই সচেষ্ট, নানা নদীতে বেড়ে গিয়েছে ইলিশ। ১৫ বছর আগে, দেশে ২৪টি নদীতে ইলিশ মিলত। এখন সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়ে ৬৫। মানে ৬৫ নদীতে ইলিশ মেলে।

(১০) ইলিশ মাছের সাইজ অনুযায়ী এক এক সাইজের ভিন্ন রকম স্বাদ হলেও ৯০০-১২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ সব চাইতে সুস্বাদু। ইলিশের পেটে বেশী বড়ো সাইজের ডিম হলে স্বাদ কম হয়। আবার ডিম ছেড়ে দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ইলিশের স্বাদ কম হয়।

(১১) কৈশোরে ইলিশ নিয়ে একটা ছড়া কাটতাম- "ইলিশ মাছের তিরিশ কাঁটা/বোয়াল মাছের দাড়ি/ইয়াহিয়া ভিক্ষা করে/শেখ মুজিবের বাড়ি।"

এত কিছুর পরেও আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের কাছে ইলিশ অধরাই থেকে যায়। এই ইলিশ কিনে খাওয়ার দু:সাহস দেখাতে পারেনা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ। অথচ এটাকে আমাদের জাতীয় মাছ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ইলিশের ভরা মরসুমে কতজন মানুষের সাধ্যে কুলোয় একটা ইলিশ ৬০০/৯০০/১০০০ টাকায় কিনে একবেলা খেতে? এই মাছ আমাদের দেশে বুর্জোয়া, দুর্নীতিবাজ আর কালোটাকার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় মাছ কেন সাধারণ গরীব, শ্রমজীবী মানুষ কিনতে পারে না তা ভেবে দেখা উচিত।

(ইলিশ মাছের ছবি নিয়েছি গুগল থকে)

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০৩

কামাল৮০ বলেছেন: ইলিশ মাছ খেতে খুব স্বাধ।এটুকু জানাই আমার জন্য যথেষ্ট।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: পছন্দের জিনিস সম্পর্কে একটু বেশী জানার কৌতূহল থেকেই এই লেখা। বছর খানেক আগে ইলিশ নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম- সেটা ইলিশ মাছ শিকার দেখতে যেয়ে।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:২০

শাহ আজিজ বলেছেন: পাথরঘাটা এবং আমতলীর ইলিশ খেয়েছেন কখনো ?আমি একবার মংলার চিংড়ি ঘেরে একজনকে পেলাম যিনি ঐ এলাকা থেকে খুলনাতে ইলিশ সাপ্লাই করেন । আমতলীর ইলিশ গর্দান পিঠ চওড়া এবং রান্নার সময় পাশের বাড়িতে ইলিশের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে । ঐ মাছ বরিশাল এবং খুলনাতে বেশি যায় । দু এক বার খেতে গিয়ে ইলিশের তীব্র গন্ধে বুঝলাম এটা আমতলীর ইলিশ । মিঠা আর লোনা পানির সঙ্গমস্থলে যে মাছ বেড়ে ওঠে তার স্বাদ অসাধারন হয় । বিষুবীয় সব এলাকায় ইলিশ হয় কিন্তু স্বাদে ভিন্ন হয় । স্বাদের কারনে বাংলাদেশের ইলিশ বিখ্যাত । পদ্মা মেঘনা তথা হিমালয় থেকে মিষ্টি পানি আমাদের জন্য আশীর্বাদ যেমন অভিশাপ তেমনি বটে ।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪৭

জুল ভার্ন বলেছেন: জ্বি ভাই, আমলাতী এলাকার আন্ধার মানিক নদী এবং রাবেনাবাদ চ্যানেলের ইলিশ স্বুস্বাদু। বলেশ্বর, পায়রা, সন্ধ্যা নদীতেও স্বুস্বাদু ইলিশ পাওয়া যায়। আমি শতভাগ "মাছে ভাতে বাংগালী" দেশের সকল মাছের জন্য প্রসিদ্ধ এলাকার খোঁজখবর রাখি! পাথরঘাটা এলাকার নদী এখন শতভাগ লোনা পানি- তাই মাছের স্বাদ কমে গিয়েছে এবং পরিবেশ বৈচিত্র বিপর্যয়ের কারণে এখন আর ইলিশ মাছের সেই ঘ্রাণ নাই।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩

শায়মা বলেছেন: আমি ইলিশ বলতে জানি সর্ষে ইলিশ, ভাঁপা ইলিশ, ইলিশ পোলাও, ইলিশ পাতুরী। এই চার আমার বেশি পছন্দের।

তারপর আছে কাঁচকলা দিয়ে ইলিশ, কুমড়ো বড়ি দিয়ে ইলিশ, কাঁটা গলানো ইলিশ, স্মোকড ইলিশ ভাঁজা ইলিশ ভর্তা ইলিশ বাপরে এত রকম রেসিপি মনে হয় আর কোনো মাছের নেই।

যাইহোক এখন থেকে বেটে আর মোটু ইলিশ ছাড়া ইলিশ খাবোই না!!!!!!

৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৫১

জুল ভার্ন বলেছেন: ইলিশের যেকয়টা ঐতিহ্যবাহী পদের কথা উল্লেখ করেছো- তাতেই বোঝা যায় তোমার 'ইলিশ জ্ঞান' অত্যন্ত সমৃদ্ধ!
হ্যা ইলিশ কেনার সময় ঘাড় মোটা এবং বেটে/চওড়া ইলিশ কিনতে হবে।
শাহ আজিজ
ভাইও বেশ ভালোই ইলিশ বিশেষজ্ঞ!

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্লাংটন সম্পর্কে জানা ছিল না।

ইলিশ মাছ আমাদের দেশের জন্য একটা আল্লাহর বিশেষ উপহার। অন্য দেশের ইলিশ সম্ভবত এত সুস্বাদু হয় না।

কোলকাতায় ইলিশ পাঠানোর কোন মানে হয় না। কারণ মমতা দিদি বাংলাদেশকে কখনও কোন সুবিধা দেন না।

পান্তা ইলিশ এটা একটা সাংস্কৃতিক বিকৃতি।

সরকারের ইলিশ সংরক্ষণের উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য।

অপ্রিয় সত্য হোল ইলিশ হোল অভিজাত মানুষের মাছ। এটার একটা সমাধান করা দরকার।

সর্ষে ইলিশ ভালো লাগে।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: অবশ্যই ইলিশ আমাদের গর্ব! এমন সুস্বাদু ইলিশ আর কোথাও পাওয়া যায়না। তবে আমাদের ইলিশের সাথে বাংলাদেশ-বার্মা সীমান্ত নাফ নদীতে মোটামুটি ভাল মানের ইলিশ পাওয়া যায়।
কাতার, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, লাওস, ভিয়েতনামেও কিছু ইলিশ পাওয়া যায়। যা দেখতে ইলিশের মতো হলেও ইলিশ নয়। ওই মাছের নাম সার্ডিনা।

কোলকাতায় ইলিশ-আম না পাঠিয়ে উপায় আছে! বাংলাদেশের সৃষ্টিই হয়েছে ইন্ডিয়ার সেবক হবার জন্য..... তা নাহলে আমরা আমাদের দেশের সড়কে যে টোল দেই, শুল্ক দেই-সেই তুলনায় আমাদের সড়ক, নৌ বন্দর ট্রাঞ্জিটের নামে ফ্রি ব্যবহার করছে!

এমন সমাধানই দিবে- বাংলাদেশের কেউ আর ইলিশ খেতে পারবেনা।

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:১৩

রানার ব্লগ বলেছেন: বরগুনার বিষখালি নদীর ইলিশ অনেক সুস্বাদু !!! মিস্টি পানির ইলিশ !!!

৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩৩

জুল ভার্ন বলেছেন: বিষখালী নদী এবং সেই নদীর ইলিশ সম্পর্কে আপনার ধারণা আছে নিশ্চয়ই। বিষখালী নদী শুরু হয়েছে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থেকে একদম ঝালকাঠী জেলার সুগন্ধা নদীর মোহনা পর্যন্ত- যার দুরত্ব প্রায় ৪০ মাইল। একদা গোটা বিষখালী নদীর পানিই মিঠা পানি ছিলো। নাব্যতার কারণে এখন বরগুনা থেকে তালতলী-কাকচিড়া এলাকা পর্যন্ত লোনা পানি চলে এসেছে। ভড়া বৃষ্টির মৌসুম ছাড়া আগের মতো ইলিশ মাছ পাওয়া যায়না।

৬| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:২২

অপু তানভীর বলেছেন: ইলিশের দোপেয়াজি আর ইলিশ ভাজি সব থেকে বেশি পছন্দ । বিশেষ করে ইলিশের ডিম ভাজি সব থেকে বেশি পছন্দ । হোটেল গুলোতে ইলিশ খাওয়া হয় তবে সেগুলো সাইজে ছোট আর স্বাদও তেমন না । বাসায় গেলে বাড়ির রান্না করা ইলিশ খাওয়া হয় । বাপের ফুড সাপ্লাইয়ের কাজের কারণে প্রায়ই ইলিশ সাপ্লাই দিতে হয় । সেই হিসাবে নিয়মিত বাসাতেও ইলিশ আসে বড় সাইজের ।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার সব থেকে বেশী পছন্দ শর্ষে ইলিশ। সব ধরনের ডিমওয়ালা মাছ(মাছের ডিম) পছন্দ করি। শিং মাছের ডিম ভালো লাগে। তবে ইলিশের ডিমের সাথে কোনো তুলনা নাই।

৭| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩৯

কোনেরোসা বলেছেন: +++++++++++

৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৩

জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৮| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৪৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: ইলিশ আমার প্রিয় মাছ। আমি অনেক ধরনের মাছ খেয়েছি এই ইহকালে। সামুদ্রিক মাছ, কাকড়া থেকে শুর করে কাচা অক্টোপাস, ইলিশের মত পৃথিবীতে কোন মাছ খেয়ে শান্তি পাইনি! ইলিশের ডিম এত স্বাদ, অতুলনীয়। তবে ইলিশ দেশে বিদেশে সব জায়গায় অনেক বেশী দাম। বিদেশেও এক কেজি রুই মাছ যদি ৪ ডলারে হয়, ইলিশ ২০ ডলারের উপরে!

৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি শতভাগ মাছে ভাতে বাংগালী হলেও সব মাছ পছন্দ নয়। দেশীয় সব ধরনের ছোট মাছ, সব ধরনের চিংড়ি পছন্দ করি। সবার সেরা ইলিশ- যা নিয়ে কোনো বিতর্কের সুযোগ নাই। আমাদের দেশেও ইলিশ মাছের দাম বেশী। আজ একটু আগেই পত্রিকায় পড়লাম ইলিশ মাছের গুনাগুন নিয়ে একটা লেখা, যা আপনার মন্তব্যের সৌজন্যে তুলে দিলামঃ-

প্রতি ১০০ গ্রাম ইলিশে রয়েছে ২৫ গ্রাম প্রোটিন, ২০৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ৩ দশমিক ৩৯ গ্রাম শর্করা, ২ দশমিক ২ গ্রাম খনিজ ও ১৯ দশমিক ৪ গ্রাম চর্বি। আরও রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, নায়সিন, ট্রিপ্টোফ্যান, ভিটামিন বি১২, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামসহ অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলস।

উপকারিতাঃ
ইলিশে অন্যান্য মাছের তুলনায় স্যাচুরেট চর্বির পরিমাণ কম ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি (ইপিএ ও ডিএইচএ) অ্যাসিড বেশি থাকে, যা রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড কমিয়ে দ্রুত ভালো চর্বি বাড়াতে সাহায্য করে। এতে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে।

ইলিশের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের কারণে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এতে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।

ইলিশের ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বেশ ভালো কাজ করে। এ ছাড়া চর্বিসংক্রান্ত সব সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে।

ইলিশের ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ৪০ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। ইলিশে থাকা ভিটামিন ‘এ’ রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ইলিশে এল-আরজিনিন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মাংসপেশি ও টিস্যু তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ইলিশে যে প্রোটিন থাকে, তা কোলাজেনসমৃদ্ধ। কোলাজেন হচ্ছে অদ্রবণীয় প্রোটিন, যা কোষের যোগাযোগক্ষমতা বাড়িয়ে কোষের সার্বিক কার্যকারিতা বাড়ায়। এ ছাড়া ইলিশে ভিটামিন সি থাকে, যা ত্বক সুস্থ রাখে। এর কোলাজেন ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

৯| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৭

শাহ আজিজ বলেছেন: কাচকলা ইলিশ অপূর্ব মেন্যু । কাচকলার কারনে পেট ছেড়ে দেয় না B-)



আমি বড় ইলিশ শুধু লবন মাখিয়ে পানিতে সেদ্ধ করে খেয়েছি , ভোলা যাবেনা সে স্বাদ ।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০৫

জুল ভার্ন বলেছেন: কাচা কলা ইলিশ, পোটল ইলিশ, শর্ষে ইলিশ কিম্বা জাস্ট হলুদ মেখে ভাজা ইলিশ প্রত্যেকটারই ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ!
ভাইজান, উত্তোরাধিকার সূত্রে হলেও আমি খোদ ইলিশের এলাকার মানুষ। তাজা ইলিশের প্রতিই লোভ এবং অভ্যস্থ। নোনতা ইলিশ একেবারেই খেতে পারিনা।

১০| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: চমৎকার। তথ্যবহুল উত্তরের জন্য ধন্যবাদ।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:১৫

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১১| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:১৮

মোগল সম্রাট বলেছেন: ইলিশের সরবরাহ কম বাজারে। সব নাকি ইন্ডিয়া পাচার হয়ে যাচ্ছে। জানেন নাকি কিছু?

৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:২৮

জুল ভার্ন বলেছেন: না জানিনা, আপনার মন্তব্যেই জানলাম।

১২| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৩২

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল পোস্ট। অনেক কিছু জানা গেল।

**নদীর পানিতে প্ল্যাংটন নামে জলজ উদ্ভিদ খেলে ইলিশের স্বাদ বেশি হয়। ---ঠিক আছে। তবে প্লাংটন উদ্ভিদ ও প্রাণী দুটোই হতে পারে। আর ইলিশ শুধু ফাইটোপ্লাংটন মানে উদ্ভিদ-জাতীয় প্লাংটনই নয়, জুওপ্লাংটন বা প্রাণী-জাতীয় প্লাংকটনও খায়। যদিও ফাইটোপ্লাংটনের হারই বেশি, মনে হয় মোর দ্যান ৯৮%....বাকিটা জুওপ্লাংটন।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:১৫

জুল ভার্ন বলেছেন: প্ল্যাংটন বিষয়ে আমি বিস্তারিত জানতাম না। আপনার মন্তব্য পড়ে বিস্তারিত জানলাম। কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই এতদ্ববিষয়ে বিস্তারিত লিখে আমার পোস্ট সমৃদ্ধ করার জন্য। ❤️

১৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৪৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
লেখাটি খুবই ভালো হয়েছে।
সহজ সরল ভাবে প্রচুর তথ্য পাওয়া গেলো। ভালো লাগলো পড়ে।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:১৬

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ দস্যু ভাই ❤️

১৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
১৯৭৬ সালে যখন ঢাকায় আসি তখন ১০০ টাকাক ৫টি প্রমান
সাইজের ইলিশ কিনেছি। অর্থাৎ ২৫ টাজা করে ৪টি ইলিশ
কিনলে একটা ফ্রি দেয়া হতো। সে মাছ ভাজা হলে মাছ থেকে
যে তেল পাওয়া যেতো তা অনেকদিন ধরে গরম ভাতে খেয়েও
ইলিশের মজা নিতাম। তখন ইলিশ সম্পর্কে অনেক কিছু
জানতাম এখন সব ভুলে গেছি। শুনেছি জেলেরা এখন ঝাকে
ঝাকে বড় সাইজের ইলিশ ধরছে কিন্তু বাজারে দামের তারতম্য
খটেনাউ। তাই ইলিশের দিকে বদ নজর দেইনা!

৩০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০১

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি ছাত্র জীবনে বাজারঘাট করিনি। সংসার জীবনের শুরুতে ইলিশ মাছের দাম মনে নেই। তবে ছেলে বেলায় কোনো বাড়িতে ইলিশ মাছ ভাজি করলে কয়েক বাড়ি থেকে ইলিশ মাছের ঘ্রাণ পাওয়া যেতো। ইলিশ মাছ দিয়ে ভাত খেলে হাত ধোয়ার পরও ঘ্রাণ থাকতো। এইসব গল্প যখন ছেলেদের সাথে করি তখন ছেলেরা বলে- "তুমি ইলিশ মাছ দিয়ে ভাত খেয়ে ভালো করে হাত ধুতে না- তাই হাতে ইলিশের ঘ্রাণ হাতে লেগে থাকতো"!

১৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমাদের এলাকায় পানি খোলা নামে একটা পদ আছে ইলিশের আপনার আর শায়মার সব পদ বাদে।
হালকা হলুদ লবণ কাঁচা মরিচ সামান্য পেয়াজকুচি সরষের তেল আর প্রচুর পানি। হ্যাঁ কেউ কেউ অল্প আদা রসুন বাটা ও মেশায়। যদি বেঁটে আর গর্দান মোটা ইলিশ মিলে যায় আসাধারন স্বাদ।

৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৩৮

জুল ভার্ন বলেছেন: ইলিশের পানি খোলা রেসিপির কথা আমি আগে শুনিনি। পানি খোলা রেসিপি একদিন ট্রাই করবো।

১৬| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:০২

শেরজা তপন বলেছেন: @ মনিরা সুলতানা- পানিখোলা খেয়েছি। ধনেপাতা দিলে স্বাদটা আরেকটু বাড়ে কি?
@ আখেনাটেন- ধন্যবাদ বিষয়টা জানা ছিল না। জেনে নিলাম, ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।

গতকাল ফেবুতে পড়েছিলাম। আপনার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার পরশে অনেক কিছু জানলাম শিখলাম।
এ ব্যাপারে @ শাহ আজিজ ভাই এর অভিজ্ঞতাও বেশ।

৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪০

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৭| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ইলিশ শুধু খেয়েই গিয়েছি এতোদিন কিন্তু ইলিশের এতো তথ্য জানা ছিলনা।

৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:২৭

জুল ভার্ন বলেছেন: এখন থেকে ইলিশ খাওয়ার সময় অনুভব করবেন- আপনি কি খাচ্ছেন =p~

১৮| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আজকে বাজারে গিয়ে ইলিশের দাম জিজ্ঞেস করলাম।এক কেজি ওজনের মাছের দাম ১৬০০টাকা।তার আশেপাশের দাম ১৩০০/১৪০০টাকা।৭০০টাকাতেও প্রায় এক কেজি ওজনের মাছের সন্ধান পেলাম।হাত দিয়ে দেখলাম একদম নরম হয়ে গেছে।এই মাছ কাটতে গেলেই সব খসে পড়বে। যাইহোক শেষে ৫০০টাকা দরে পার্সে ও একই দামে সাড়ে সাতশোর একটি ভেটকি নিয়ে চলে এলাম।
সবশেষে বলার আমাদের যে কোন একটি ইলিশ হলেই হবে গাইবান্ধার ইলিশের স্বাদ আমাদের কাছে স্বপ্নই বৈকি।তবে ইলিশ সম্পর্কে তথ্যবহুল পোস্টে ভালোলাগা রইলো।
শুভেচ্ছা ভাইজান আপনাকে।

৩১ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪

জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা বাংলাদেশীরা হলাম সত্যিকারের মাছে ভাতে বাংগালী। তাই মাছ হলেই হবেনা- মাছ কোথার, কোন নদীর সেইসবও বিবেচনায় রাখি! পার্সে, ভেটকী(আমরা বলি কোরাল মাছ) আমাদের এখানেও এমনই দাম।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.