নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আটঘর কুড়িয়ানার পেয়ারা....

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:০১

আটঘর কুড়িয়ানার পেয়ারা....

"ধান-নদী-খাল, এই তিনে বরিশাল"- প্রসিদ্ধ হলেও বরিশালে পেয়ারা, আমড়া, নারিকেল, সুপারিও প্রচুর ফলে। অবশ্য সেটা বৃহত্তর বরিশালের ইতিহাস। বৃহত্তর বরিশাল ভাগ হয়ে এখন ছয়টি জেলা হয়েছে। যথা- বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী ও বরগুনা। বৃহত্তর বরিশালে ঐতিহ্যও এখন ভাগ বাটোয়ারা হয়ে গিয়েছে।


একদা দেশে পেয়ারার মূল চাষাবাদ হতো বরিশাল জেলায় এবং সেই পেয়ারা দেশের বড়ো একটা চাহিদার যোগান দিতো। পেয়ারা চাষের মূল এলাকা বর্তমানে পিরোজপুর জেলার সরুপকাঠী থানা এবং ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার কিছু এলাকা। বৃহত্তর বরিশালের সেই ঐতিহ্যবাহি পেয়ারা বলতে গেলে প্রকৃতিক দান। যা চাষাবাদ করে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহার করা হতোনা। সেই পেয়ারা 'আটঘর কুড়িয়ানার পেয়ারা' নামেই স্থানীয় ভাবে পরিচিত। তবে এখন হাইব্রিড পেয়ারাও ব্যপক ভাবে চাষ হচ্ছে। আটঘর কুড়িয়ানার পেয়ারার আলাদা একটা স্বাদ এবং ঘ্রাণ আছে যা অন্য পেয়ারা থেকে সহজেই আলাদা করা যায়।

আমার ছাদ এবং বারান্দায় তিনটি পেয়ারা গাছ আছে। যার একটা আটঘর কুড়িয়ানা থেকে আনিয়েছিলাম। সেই গাছে এ বছর ১৪ টা পেয়ারা ধরেছে। পেয়ারাগুলো মোটামুটি বড়ো হতেই গাছটা ছাদ থেকে বারান্দায় নিয়ে এসেছি। হাইব্রিড থাই পেয়ারা গাছে ২৮ টা এবং রাজশাহী জাতের গাছে ৪৫ টা পেয়ারা ধরেছে।

আমার ছাদবাগানের নতুন জাতের থাই পেয়ারা পাকলে ভেতরে গোলাপি এবং লাল রঙ হয়। কিন্তু স্বাদ ঘ্রাণ নাই বললেই চলে বরং পানসে। রাজশাহী জাতের পেয়ারা সুস্বাদু তবে ঘ্রাণ কম। অন্যদিকে বরিশালের (বর্তমান পিরোজপুর জেলার সরুপকাঠী- নেছারাবাদ থানাধীন আটঘর কুড়িয়ানা) পেয়ারা অত্যন্ত সুস্বাদু এবং অত্যাধিক সুঘ্রাণ। দুই ছেলে ও নাতনীকে আটঘর কুড়িয়ানার কাচা এবং পাকা পেয়ারার আলাদা স্বাদ বোঝাতে তিনটা পেয়ারা গাছেই পাকানো হয়েছে।

আটঘর কুড়িয়ানা শুধু পেয়ারার জন্যই বিখ্যা নয়। আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এই এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা ট্রেনিং দেয়া হতো। এই এলাকাটা মূলত হাওর/বিল এলাকা। চারিদিকে ছোট ছোট খাল এবং গভীর পেয়ারা বাগান বেষ্টিত। এলাকার ৭০ ভাগ বাসিন্দাই সনাতনধর্মাবলম্বী। অত্যন্ত দূর্গম এলাকা বিবেচনায় এখানে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়স্থল ছিল। যারা এখানে ট্রেনিং নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় অপারেশন করে আবার এই এলাকায় ফিরে আসতেন। মুক্তিযোদ্ধাদের ধারণা ছিলো- এই দূর্গম এলাকায় পাক সেনারা আসবেনা। কিন্তু সেই ধারণা বিফল প্রমাণীত করে পাকসেনারা বারবার এই এলাকার নিরীহ জনতার উপর বর্বর হত্যা ও ধর্ষণযহজ্ঞ চালিয়েছে। এলাকার নারীমুক্দেতি যোধাদের একটা সাহসী একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করবোঃ-
"ডেডলাইন ১১ জুলাই, একাত্তর। বৃষ্টি পড়ছে টিপ টিপ। রাতের অন্ধকারে কোমরে রিভলভার আর হ্যান্ড গ্রেনেড গুঁজে নৌকায় উঠে বসেন দুই তরুণী। লক্ষ্য কুড়িয়ানার কাছে লঞ্চঘাটে নোঙর করা পাকবাহিনীর ৩টি ছোট গানবোট। একটা গানবোটে ছিল কুখ্যাত ক্যাপ্টেন এরশাদ। গানবোটের সার্চলাইটের আলোয় আলোকিত নদীর জল। কিছুক্ষণ পর দুই নারী মুক্তিযোদ্ধা নৌকা থেকে নেমে কচুরিপানায় আড়াল করে নিঃশব্দে সাঁতার কেটে এগিয়ে চললেন। সামনেই মৃত্যু দূত। সামান্য ভুলেই মেশিনগানে ঝাঁঝরা হয়ে যাবে শরীর।

আরেকবার সার্চ লাইটের আলো এসে পড়ার আগেই তারা মিশে যান মাঝখানের গানবোটের সঙ্গে। আর সময় নষ্ট নয়। দাঁত দিয়ে গ্রেনেডের পিন খুলেই ছুঁড়ে মারেন গানবোটের ওপর। মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের গোলায় পরিণত হয় গানবোটটি। তীরের দিক থেকে হামলা হয়েছে ভেবে সেদিকে গুলি ছুড়ে অন্য লঞ্চ দুটিতে থাকা পাকসেনারা। কৌশলে ঘাটের পাশের সিঁড়ির অন্ধকারে আশ্রয় নেন ২ সাহসী তরুণী। গুলি থেমে গেলে ফিরে যান মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে। যাকে হত্যা করতে জীবন বাজি রেখে ওই দুঃসাহসী অভিযান চালিয়েছিলেন সেদিনের তরুণী বীথিকা বিশ্বাস ও শিশির কণা। কিন্তু সেই কুখ্যাত খুনি এরশাদ বেঁচে যায়। তবে মারা যায় কয়েকজন পাকসেনা।

মহান একাত্তরে নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন দেশের নারীরা। কেউ লড়েছেন অস্ত্র হাতে, কেউ যোদ্ধাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন পাকবাহিনীর গোপন খবর। কেউ চিকিৎসক হিসেবে, সেবিকা হিসেবে আবার কেউ রাঁধুনী হিসেবেও কাজ করেছেন স্বাধীনতার জন্য। তবে নারীরা যে পরিমাণ অবদান রেখেছেন সেই সম্মান তারা পাননি। ইতিহাস মনে রাখেনি বীথিকা বিশ্বাস ও শিশির কণার মতো সাহসী মুক্তিযোদ্ধাকে। বিজয়ের পর বিয়ের সূত্রে ভারতের ওড়িষায় চলে যান বীথিকা বিশ্বাস। আর শিশির কণা পিরোজপুরে সরকারের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে চাকরি নেন।"
-("-"এই অংশটুকু মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে সংগৃহীত)।

দেশে খেতাবপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দুজন আর গেজেটভুক্ত নারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৩২২ জন। উল্লেখ্য যে, আটঘর কুড়িয়ানা এবং বৃহত্তর বরিশাল জেলায় নারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৮৮ জন! ক্যাপ্টেন সেতারা(বীর প্রতীক) মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন হায়দার বীর উত্তম এর ছোট বোন। ক্যাপ্টেন সেতারা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ৯ নম্বর সেক্টরের সাব সেক্টর হেড কোয়ার্টার বুকাবুনিয়ায় এসেছিলেন- তখন তাঁকে স্বচক্ষে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমারও।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: পেয়ারার ছবি সুন্দর হয়েছে, দেখেই লোভ হচ্ছে।

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ। 'দেশ প্রেমিক বাংগালী'র মুক্তিযুদ্ধের অংশটুকু ভালো লাগেনি?

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:২০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অবশ্যই ভালো লেগেছে; আজ যদি দেশ স্বাধীন না হতো তাহলে আমাদের অবস্থান যে কোথায় থাকতো তা চিন্তাও করতে পারিনা।

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩১

জুল ভার্ন বলেছেন: কি হতো আর কি হতোনা সেটা বুঝতে কোনো সমস্যা হয়না। যে চেতণায় মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো- ব্রিহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে তা এখনও অপূর্ণ। এখন কিছু মানুষের ভাগ্যন্নয়ন হয়েছে- বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ধন্যবাদ।

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৪৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


পেয়ারার ভিতরে গোলাপি/লাল অনেক দিন খাওয়া হয় না এসব।

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২৩

জুল ভার্ন বলেছেন: এখন আমাদের দেশে বারো মাস বিভিন্ন জাতের পেয়ারা পাওয়া যায়- তাই কম বেশী খাওয়া হয়।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:০৭

হাসান রাজু বলেছেন: পেয়ারা কাঁচাই বেশি টেস্টি। পাকা পেয়ারা হালকা টক হয়, ভিতরের শক্ত বিচি গুলোর অত্যাচারে পেয়ারার স্বাদ উপভোগ করা যায় না । তবে পাকা পেয়ারার ঘ্রাণ কড়া হয়। বছরে যে সময় টুকু পেয়ারা থাকে না তখন আফসোস হয়, অপেক্ষা । এখন সারা বছরই পেয়ারা পাওয়া যায়। তাই সেই আবেগটা নাই।

স্বাধীনতা। পেয়ারার মতই। প্রথম প্রথম স্বাধীনতার পর পর মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস টাই ছিল অসাধারণ। আস্তে আস্তে ৫০ পার হল। চাওয়া পাওয়ার ফারাকে স্বাধীনতার ফল একটু একটু টক টেকছে। তবে ৫০ বছর ধরে একটা মুক্ত দেশের নাগরিক ভাবতে গর্বে বুক ফুলে উঠে। যখন পরাধীন ছিলাম তখন শুধু আফসোসই করতাম, যদি স্বাধীন হতাম। এখন আমরা স্বাধীন, তাই মুক্ত থাকার অর্থটা কমই বুঝি আমরা।

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২৬

জুল ভার্ন বলেছেন: সব পেয়ারাই পাকলে টক হয়না- জাত ভেদে কিছু পেয়ারা পাকলে যতসামান্য টক হয়। আবার সব পেয়ারার বিচিও শক্ত হয়না। তুলনা মূলক আমাদের দেশীয় পেয়ারার বিচি শক্ত হয়।

আপনি বলেছেন- প্রথম প্রথম স্বাধীনতার পর পর মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস টাই ছিল অসাধারণ। আস্তে আস্তে ৫০ পার হল। চাওয়া পাওয়ার ফারাকে স্বাধীনতার ফল একটু একটু টক টেকছে। তবে ৫০ বছর ধরে একটা মুক্ত দেশের নাগরিক ভাবতে গর্বে বুক ফুলে উঠে। যখন পরাধীন ছিলাম তখন শুধু আফসোসই করতাম, যদি স্বাধীন হতাম। এখন আমরা স্বাধীন, তাই মুক্ত থাকার অর্থটা কমই বুঝি আমরা। -এটাই বাস্তবতা।

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পরিশালের পেয়ারা খেতে আসলেই মজা।

মুক্তিযোদ্ধা বিথীকা ও শিশির কণার গৌরবময় ঘটনা শেয়ারে ধন্যবাদ। তাদের অবদানের জন্য স্যালুট।

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩৯

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ সরকার।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৩২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখা আমাকে খুব টানে। মনোযোগ সহকারে বারবার পড়ি।

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে জানতে আপনার মতো পড়ার এমন অনুভূতি আমাদের সকলের মধ্যে গড়ে উঠুক। শুভ কামনা।

৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আটঘর কুড়িয়ানার পেয়ারা
বরিশালের গর্ব। এই পেয়ারার
সুনাম দেশের সর্বত্র। সুঘ্রান ও
মিষ্টি স্বাদের এই পেয়ারার
সিজনে পেয়ারার দাম কমে
যার যা ভোক্তাদের রসনা তৃপ্তির
সহায়ক হয়।

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২৬

জুল ভার্ন বলেছেন: আটঘর কুড়িয়ানা এলাকার পেয়ারা চাষিরা ন্যায্য মূল্য পায়না বলেই এলাকার ভোক্তাদের লাভ।

৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:০৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ‌
এই লাল পেয়ারার স্বাদ আর ঘ্রাণ অতুলনিয়।

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২৭

জুল ভার্ন বলেছেন: সত্যিই তাই।

৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: প্রথমেই পেয়ারার ছবি দেখে লোভ লাগলো! পরে পেয়ারার রসময় বর্ণনা শুনে আটঘরিয়ার পেয়ারা খাবার জন্য মন উতলা হয়ে গেল।

এমন দুজন নারীর বীরত্বের কাহিনী শুনিনি আগে কখনো। তাদের স্যালুট এবং ধন্যবাদ আপনাকে তথ্যগুলো শেয়ার করার জন্য

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩৩

জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপসোস হচ্ছে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন হয়না। গত একযুগে কমপক্ষে ৫০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়েছে। আবার হাজার হাজার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়েছে দলীয় বিবেচনায়। গতকালই পত্রিকায় পড়েছি, পিরোজপুর জেলার ভান্ডাড়িয়া উপজেলার ৩০ জন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে বাদ দিয়েছে শুধু শনাক্তকরণ কমিটির চাহিদা মতো টাকা দেওয়া হয়নি বলে!

১০| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১০

কামাল৮০ বলেছেন: আমরাই প্রথম মুক্তাঞ্চল গড়ে তুলি ঐ এলাকায়।আওয়ামী লীগ নেতা মনিদা,ফনিদা,শশাঙ্ক পাল সহ আরো অনেকে ছিল আমাদের সাথে।৬/৭জন নারীর ছিল ।আমি নিজে ৫/৬ মাস ছিলাম।আশেপাশের কয়েকটি থানা সফল ভাবে লুট করি।আর্মিরা বহুবার আক্রমন করেও আমাদের তাড়াতে ব্যর্থ হয়।সর্বশেষ চেষ্টা হিসাবে শর্শিনার হাজার হাজার মাদ্রাসার ছাত্র সাথে রাজাকার ও আর্মির সহযোগিতায় শুরু হয় পেয়ারা বাগান কাটা।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৩৬

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার ধারণা- ঐ সময়কে কেন্দ্র করে আমরা পারস্পরিক পরিচিত হবো..... আটঘর কুড়িয়ানার সকল না হলেও বেশীরভাগ মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন সিরাজ শিকদার অনুসারী। তিনিই ঐ এলাকাটা নিয়ন্ত্রণ করতেন। কমরেড রতন সিং(বাতেন/খোকন) নামে কাউকে চিনতেন/জানতেন?

হ্যা, ১১ জুলাই গান বোটে আক্রমণ করার পর রাজাকার, শর্শীনার মাদরার ছাত্র এবং স্থানীয় লোকদের দিয়ে প্রায় কয়েক হাজার একর যায়গার পেয়ারা বাগান-বনভূমি ধ্বংশ করে দিয়েছিলো।

১১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৫৯

বিটপি বলেছেন: বরিশাল গেরিলা যুদ্ধের আদর্শ স্থান বলে এদিককার যুদ্ধে নারীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। বরিশাল অঞ্চলের বিখ্যাত হেমায়েত বাহিনীতেও অনেক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাঁর স্ত্রী নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, কিন্তু আত্মহত্যা করার কারণে তাকে কোন খেতাব দেয়া হয়নি।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:২৩

জুল ভার্ন বলেছেন: বরিশাল অঞ্চলে নয়, বীর মুক্তিযোদ্ধা(পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাবিলদার ছিলেন) হেমায়েত উদ্দীনের নেতৃত্বে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলেন। কোটালিপাড়ায় তিনি একাধিকবার পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বীরত্বের জন্য বীর বিক্রম খেতাব পান। তাঁর প্রথম স্ত্রী হাজেরা খাতুন আত্মহত্যা করেননি, তিনি মুক্তিযুদ্ধকালে শহীদ হন। স্বাধীনতা যুদ্ধে হেমায়েত বাহিনীর নারী মুক্তিযোদ্ধা(বীরাংগনা) সেনেকা রানীকে ছাড়াও আরও একজন নারী মুক্তিযোদ্ধাকে তিনি বিয়ে করেন। সম্ভবত ২০১৬ সনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

১২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: টুকরো টুকরো গোলাপি রঙের পেয়ারাগুলো দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল! সেই সাথে জানা হলো মুক্তিযুদ্ধের অজানা ইতিহাস।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বিথীকা ও শিশির কণার জন্য রইলো অভিবাদন আর শ্রদ্ধা।
আমার জানা শোনা পরিচিতদের মধ্যেও আজ অনেককে দেখি মুক্তিযোদ্ধা সনদপ্রাপ্ত হয়েছেন। গত ত্রিশ চল্লিশ বছরে তাদের মুখে কখনোই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া সম্পর্কে কোন কথা শুনি নি।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৪২

জুল ভার্ন বলেছেন: গত একযুগে কমপক্ষে ৫০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়েছে, আবার হাজার হাজার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়েছে শুধু মাত্র দলীয় বিবেচনায়। চার জন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সচিব, দুইজন মন্ত্রীসহ উদাহরণ- অসংখ্য। পত্রিকায় পড়েছি- ২৬২ জন সাবরেজিস্টার নিয়োগ পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে- যাদের অনেকেরই স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বয়স ৫ বছরের কম ছিলো! বর্তমান মন্ত্রী সভার একজন সদস্য যিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম তালিকাভক্তির জন্য আবেদন করেছেন- স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিলো ৮ বছর! বিশয়টা মিডিয়ায় তোলপাড় হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাঁর আবেদন বিবেচিত হয়নি।

প্রিয় শ্রদ্ধেয় স্বজন, আমি খুব কাছে থেকে অজস্র মুক্তিযোদ্ধাদের দেখেছি- যাদের পরনে লুংগী, ছেড়া শার্ট/গেঞ্জি গামছার বাইরে কিছুই ছিলোনা- অথচ এখন টেলিভিশনের পর্দায় সকল গলাবাজ মুক্তিযোদ্ধারা সুটেট-বুটেড!

১৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৯

বিটপি বলেছেন: সেনেকা রানী তো নারী মুক্তিযোদ্ধা নন, উনি ছিলেন বীরংগণা। হাজেরা খাতুন ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু রাজাকারেরা তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলে তিনি আত্মহত্যা করেন।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৪৮

জুল ভার্ন বলেছেন: বেশ কয়েক বছর আগে ৭১ টিভির একটা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত উদ্দীনের সাক্ষাতকারে তাঁর মুখে শুনেছিলাম- হাজেরা খাতুন রাজাকারদের সাথে ধস্তাধস্তির সময় রাজাকাররা তাকে মেরে ফেলেছিলো। আর সেনেকা রানী বীরংগনা...তাঁকে সেপ্টেম্বর মাসে কোটালীপাড়া পাকিস্তানী ক্যাম্প থেকে উদ্ধার করে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং তিনি তালিকাভূক্ত মুক্তিযোদ্ধা।

১৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২৫

অপু তানভীর বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের এই ঘটনা গুলো যেন কতশট গল্পকেও হার মানায় ! আমি যতবার পড়ি ততবার অবাক হই । কত সাহাসিকতার সাথে তারা যুদ্ধ করেছিলেন !
সত্যিই কত শত মুক্তযোদ্ধাদের রাষ্ট্র মনে রাখে নি । নিরবে তারা দেশ ছেড়ে চলে গেছেন যে দেশের জন্য তারা প্রাণ বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন । এখন চাটুকার আর ভুয়া যোদ্ধাদের রাজত্ব !

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: রাস্ট্র মনে রেখেছে সুবিধাবাদী তেলবাজ মুরগী সাপ্লায়ারদের.....যারা এখন সুটেট-বুটেড হয়ে টিভিতে টকমারায়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.