![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
ঢাকা শহরে টাকা উড়ে....
"ঢাকা শহরে টাকা উড়ে"- শুধু ধরতে জানতে হবে! এই যেমন ঘরে বসেই সাড়ে তিন হাজার টাকা কামাই করলাম!
কিভাবে?
রাস্তার পাশে বাড়ি তাই ধুলোবালি বেশী। ডাস্ট পরে এসি এয়ার ফ্লো কমে গিয়েছে। একটায় ঘড়ঘড় শব্দও হয়। গত দুই বছর সার্ভিসিং করার জন্য এসি কোম্পানিগুলো করোনা পরিস্থিতির ধুয়োতুলে লোক পাঠায়নি- তার উপর ওদের চার্জ অনেক বেশী। ফেসবুকে ক্লিনিং কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেখে ওদের সাথে যোগাযোগ করি। ওদের সার্ভিসিং রেইটঃ
১ টন-১.৫ টন ক্যাপাসিটি- ৮০০/-
২টন ক্যাপাসিটিঃ ১০০০/-
৩ টন ক্যাপাসিটিঃ ১২০০/-
৪ টন ক্যাপাসিটিঃ ১৫০০/-
এর বেশী ক্যাপাসিটির রেইট উল্লেখ করছি না- যেহেতু সেগুলো আমার জন্য প্রযোজ্য নয়)।
আর একশ্রেণীর এসি ক্লিনার আছে ফেরিওয়ালাদের মতো। ওরা কোনো একটা ঠিকানা ব্যবহার করে,
"হোম সার্ভিস! হোম সার্ভিস!!
যত্ন সহকারে এসি, ফ্রিজ, ফ্যান সার্ভিসিং করতে" যোগাযোগ করুনঃ নাম....., মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে ছোট ছোট স্টিকার বাড়ি, দোকান এবং বাড়ির সামনে দৃশ্যমান লাইটপোস্টে লাগিয়ে দিয়ে যায়.... (এই শ্রেণীর লোকেরা চোর বাটপার এবং হাতসাফাই করে। আমাদের বিল্ডিংয়ের একজনের গ্যাসের চুলা ঠিক করতে এসে ৮০,০০০/- দামের মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে গেছে)।
পরিচিত এক ক্লিনিং কোম্পানি থেকে লোক এসে চারটা এসি(১০ টন) এক দাম ৩৫০০/- চায়। আমি তিন হাজার টাকা বললেও ওরা রাজি হয় নাই।
আশুরার ছুটির দিন.....দুই ছেলেও বাসায় আছে। ইউটিউবে এসি ক্লিনিং এর উপর একটা ভিডিও দেখি....... ভিডিও দেখে নিজেই এসি ক্লিন করার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমার পুরনো সংসার। ঘরেই স্টেয়ার, ব্লোয়ার মেশিন ছাড়াও বিভিন্ন রকম ক্লিনিং ব্রাশও আছে। যে এসিটায় ঘড়ঘড় করে শব্দ হয় সেই এসির ফ্রন্ট কভার, ডাস্ট কভার, ফিল্টার নিজেই খুলে বাথরুমে হ্যান্ড শাওয়ার দিয়ে পরিস্কার করি। ব্লোয়ার মেশিনে মূল অংশ পরিস্কার করি। আমাকে কাজ করতে দেখে দুই ছেলেও এসে আমাকে সহায়তা করে(মূলত দুই ছেলে মিলেই চারটি এসি ক্লিন করে, শুরুটা আমি করলেও)। আর সব কিছুতে অতিঊৎসাহি ৬ বছরের নাতনী আমাদের এসিস্ট্যান্ট। প্রফেশনাল এসি ক্লিনারদের চাইতে যত্নে এবং সুন্দর করে তিন ঘন্টায় চারটা এসি সার্ভিসিং শেষ করি।
Believe It or Not!
ঘরে বসে সাড়ে তিন হাজার টাকা আয় করেছি, হোক সেটা নিজের কাজ নিজে করে, কাউকে পেমেন্ট তো করতে হয়নি!
আজ সিলিং ফ্যান পরিস্কার অভিযান চলবে। সেভ হবে আরও দুই হাজার টাকা!
১২ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: এভাবে নিজের ছোটখাটো কাজগুলো করায় একধরনের ভালো লাগা যেমন আছে তেমনি কিছুটা সাশ্রয় হবে।
২| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর উদ্যোগ। এভাবেই অনেক সাশ্রয় করা সম্ভব। আমাদের মিতব্যয়ী হওয়া দরকার।
১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি মোটামুটি নাগালের মধ্যে কাজগুলো নিজেই করতে চেষ্টা করি। আমাদের বিল্ডিংয়ে দুটো ফ্যামিলি আছে যারা একটা লাইট লাগাতেও ইলেক্ট্রিসিয়ান ডাকে
৩| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৪
মামুinসামু বলেছেন: অনেক সুন্দর পোস্ট। শুভকামনা রইল আপনার প্রতি।
সবারই এমন কাজ করা উচিত। যতটা পারা যায়, নিজের কাজ নিজে করা অনেক ভাল।
১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: নিজের কাজ নিজে করায় লজ্জার কিছু নাই। সেই স্কুল জীবন থেকে অদ্যাবধি আমি আমার সকল পরিধেয় কাপড় নিজেই ওয়াশ করি। খাবারের পর আমি আমার প্লেট গ্লাস নিজেই পরিস্কার করি। অবশ্যই এসব ছোট ছোট কাজগুলো নিজেদেরই করা উচিৎ। তবে বৈদ্যুতিক কাজের জন্য প্রফেশনাল লোক ডাকা উচিৎ।
৪| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: বাঃ এখন অনেক কিছুতেই এইসব ফাউ এক্সপার্টদের প্রয়োজন নেই।
এরা সবাই ভয়ঙ্কর লোভী। ঢাকার লোকজনরে বলদ ভাবে।
সেদিন আমার সিঙ্কের লাইন আটকে গিয়েছিল। লাইনের জমে থাকা চর্বি পরিস্কার করে মিস্ত্রি চায় ৫ হাজার!!! চিন্তা করেন
১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: কোরবানির পর প্রায় সকলের বাসার সিনক৷ ওয়েস্ট ওয়াটার লাইন, বেসিন লাইন চর্বিতে ব্লক হয়ে গিয়েছে..... আমাদের বাসার সবগুলো লাইনই আমি পরিস্কার করেছি। আমাদের বাসায় চারটা এটাসড বাথরুম যার যারটা সে-ই পরিস্কার করে। কমন বাথরুম বিল্ডিংয়ের পরিচ্ছন্নতা কর্মী পরিস্কার করে।
৫| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০৮
কামাল৮০ বলেছেন: একদিন ঘর মুছার জন্য দুই মহিলা আসলো।এক দেড় ঘন্টার মধ্যে সব জকজকে তকতকে করে ,আড়াইশ ডলার নিয়ে চলে গেলো।মেয়ে বললো,ওরা কিকি জিনিস কেমন করে ব্যবহার করে সব শিখে নিলাম।পরে আর ওদের ডাকতে হয় নাই।নিজের কাজ নিজে করাই ভালো।যদি সম্ভব হয়।বয়স হয়েছে, ভারিজিনিস সাবধানে নামাবেন, যেমন এসি।
১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: করোনা কালে ঢাকা শহরে কারোর বাসায় বুয়া ছাড়া না....প্রায় সব বাড়িতেই সব ধরনের কাজ নিজেদের করতে হয়েছে। হ্যা ভারী জিনিস আমাদের মতো বয়সীদের হ্যান্ডেল করা অত্যন্ত ঝুঁকি পূর্ণ।
৬| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৩১
অপু তানভীর বলেছেন: আমিও এমন কাজ করে টাকা আয় করি । ঢাকায় পরিচিত অনেকেই বছরে দুই তিন বার পেস্ট কন্ট্রোল খবর দেয় । তারা বাসায় এসে তেলাপোকা ছাড়পোকা মেরে চলে যায় । আমি প্রতি তিন মাসে একবার ৪০ টাকার ফিনিশ পাউডার কিনি । তারপর সেটা ফ্লাটের সব কোনায় নিজেই দেই । পরে এক দিন পরে নিজেই সেগুলো পরিস্কার করে ফেলি । পেস্ট কন্ট্রোলের টাকা বেঁচে যায় আমার !
১৩ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: এই কাজটা আমার বাসায়ও বরাবর নিজেরা করি।
৭| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
্ওয়েল ডান।
নিজের কাজ নিজে করলে পয়সা তো বাঁচেই নিজের উপর আস্থা্ও বাড়ে। পরিতৃপ্তির কথা তো আছেই।
মনে হয়, আমরা অনেকেই ছোটখাটো অনেক কাজ নিজেরাই করি।
১৩ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাইজান, আমার ব্যক্তিগত কাজগুলো যেমন, কাপড় ধোয়া,ইস্ত্রী করা, জুতায় কালি লাগানো, বেড ঠিক করা- এই কাজগুলো সেই ক্লাস সেভেন থেকেই করে আসছি। সংসার জীবনে খাবার পর নিজের প্লেট-গ্লাস পরিস্কার করার কাজটা আমিই করি। আমি নিয়মিত বাজারঘাট করি এবং দড়দাম করে কেনাকাটা করি। আমার অনেক বন্ধুদেরই দেখি অফিসে যাবার সময় এবং ফিরে এসে কোট-টাই খোলার জন্য স্ত্রীর কিম্বা অন্যের সহযোগীতার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে- যা দেখলে আমার পিত্তি জ্বলে যায়! আসলে নিজের কাজ নিজে করার আনন্দ উপভোগ করতে হয়- যা আপনি আমি করি।
শুভকামনা।
৮| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: নিজের কাজ নিজে করতে পারলে সেটাই সবচেয়ে তৃপ্তিদায়ক।
১৩ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:০৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এইকাজ মাঝে মাঝে আমিও করি। তবে মাঝে মাঝে আয়েত্বের বাইরে চলে যায়।