নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
চলনবিল.........
"অপার ঐশ্বোর্যের মাধুর্যে ঘেরা
আমাদের চলনবিল,
উত্তাল পানি জোস্নারাতে
করে ঝিলমিল।
ভরা পানির আনন্দে সবাই
করে কোলাহল,
চারেদিকে ছুটে বেড়ায়
মাঝি মাল্লার দল।
চলমান এই পানির মাঝে
নানান মাছে ভরা,
শুকনো হলেই ধু-ধু করে
বিশাল আকৃতির চরা।
শস্য শ্যামলা ফসলে আবার
ভরে যায় তার বুক,
ফসলের উল্লাসে সবার মাঝে
বয়ে আনে সূখ।"- এই কবিতাই যেনো চলনবিলের প্রতিচ্ছবি।
আমাদের একজন প্রতিবেশী, আমাদের পারিবারিক সুহৃদ স্বজন। সিরাজগঞ্জের লোক। একবার তাঁদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। তিনি আমাদের নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন চলনবিল।
বর্ষার চলনঃ
বিশাল জলাধার। অসংখ্য মতসজিবীরা মাছ শিকারের ব্যাস্ত। একতারাতে সুর তোলার মতো কোনও বাউল গান গেলে পাল তোলা ছোট ছোট নৌকা চলে যাচ্ছে দূর দুরান্তে। মনে মনে এই সব শব্দে কোনও ভাটিয়ালি সুর লাগাতে লাগাতে ভাবি, এ জন্মে হয়তো হল না। পরের জন্মেই তা হলে দেখব যাব চলনবিল। তুমি আকাশকে বলতে যেও না, আমি তোমার কে, বাতাসকেও বলো না....
ভাবনা কোনও অঙ্ক মেনে হয় না। বর্ষায় গ্রাম বাংলায় সব ভরা নদী। কিন্তু চলনবিল? সে তো অন্য! তার চলনেই জাদু। সে জাদুতে অনেক সৌন্দর্য, গা হিম করা সৌন্দর্য। বিল এখানে নিছক বিল নয়। সমুদ্রের মতো বিস্তার। ঘনঘোর বর্ষায় সমুদ্রের মতোই গর্জন বিলের। এত ভয়ঙ্কর সুন্দর হয়, এত রোমাঞ্চকর হয়- বাস্তবে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন!
পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর জেলার অংশ নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় বিল এই চলনবিল। শুনেছি চল্লিশটির বেশি ছোট বড়ো নদী ওই বিল ছুঁয়ে গিয়েছে। করতোয়া, আত্রাই, গুড়, বড়াল, মরা বড়াল, তুলসী, ভাদাই, চিকনাই, বরোনজা, তেলকুপি- কত সব নাম নদীদের। ভারতের দিনাজপুরের আত্রেয়ী নদী থেকেই এই চলন বিলের সৃষ্টি। ভারতীয়রা বলে আত্রেয়ী নদী, বাংলাদেশে আমরা বলি আত্রাই নদী। সে নদীর নাড়ি কেটে চলনবিলের জন্ম।
সিরাজগঞ্জ থেকে নাটোর পর্যন্ত যে বিশাল রাস্তা রোমান্টিক গতিতে চলে গিয়েছে, তার পাশে পাশে চলে চলনবিল। আর একটা ট্রেন লাইনও চলে গিয়েছে বিলের গা ঘেঁষে। সেখান দিয়ে যে ট্রেন যায়, তার একটা ট্রেনের নাম কাব্যিক, খুব রোমান্টিক- "চিত্রা এক্সপ্রেস"। চিত্রা নক্ষত্রও বোধহয় আকাশ থেকে দেখে চলনবিলের পাশ দিয়ে চিত্রা এক্সপ্রেসের যাত্রা। বিল সাধারণত শান্ত হয়। অথচ এ বিলে ঢেউ লেগেই থাকে। তাই বোধহয় নাম চলন।
আমার অন্যতম প্রিয় শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাসের গলায় ‘আলোর অমল কমলখানি’ রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনার স্মৃতি মনে পড়ে। সে গানে কয়েকটা লাইনে ছিল, ‘ললিত রাগের সুর ঝরে তাই শিউলি তলে/ তাই তো বাতাস বেড়ায় মেতে, কচি ধানের সবুজ ক্ষেতে।’ দেবব্রত ‘বেড়ায় মেতে’ শব্দটাকে নিয়ে দু’বার খেলা করে আলতো করে ছেড়ে দিতেন তৃতীয়বার। কী চমৎকার সেই শব্দ ছোঁড়ার খেলা!
এ বিলের চলন দেখলে আমার মতো বেসুরো গলায়ও গান গাইতে ইচ্ছে করে। পানির ঢেউয়ের উপরের বাতাস। এ বিলের চলন- দেখলে বুকের মধ্যে কেমন ছলাত ছলাত করে। মেঘ আর আকাশ মিশে গিয়েছে বিলের পানিতে। দূরে, বহু দূরে। এ বিলের মধ্যে অসংখ্য নদীর মতো অনেক বিলও মিশে যায় খুব স্বচ্ছন্দে। গোটা বাইশ বিলের পানিরাশি কোথায় চলে যায় দূরগত পাখির মতো। বর্ষার সময় ১৩ কিলোমিটার একদিকে, অন্য দিকে ২৪ কিলোমিটার।
শুনেছি, প্রথম চলনবিলের আয়তন ছিল প্রায় ১ হাজার ৮৮ বর্গকিলোমিটার। তারপর কমতে কমতে কত? সেটাও ঠিক স্পষ্ট নয়। কারও হিসেবে ১৪২৪ বর্গকিলোমিটার। ছেলে বেলায় বইতে পড়ে ছিলাম, ২০৭২ কিলোমিটার। কেউ বলছে, ১১৫০ বর্গ কিলেমিটার। সেটাই বা কী কম?
আষাঢ় থেকে ভাদ্র, বিলের মধ্যে এক একটা গ্রাম হয়ে ওঠে দ্বীপ। বুকের মধ্যে বেজে ওঠে একতারার টুং টাং। চেনা গ্রামীণ ভাটিয়ালির সুর। ডুবে থাকা গ্রামীণ দ্বীপে অজস্র হাঁস ডেকে ওঠে প্যাকপ্যাক করে। আছে পরিযায়ী পাখিরাও। অকুতোভয় কিশোরেরা ওই ঢেউয়ে ঢেউয়ে ডিঙি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে অনেকটা দূরে।
চলনবিলের ওপর মেঘ করে এলে কৃষ্ণকায়া বাংলা যেন বুকের মধ্যে খেলা করতে থাকে। সে রূপের বর্ণনা করি কী করে? করা যায় না। আদিগন্ত পানির উপর বাতাস বেড়ায় মেতে, বেড়ায় মেতে, বেড়ায় মেতে.........। বর্ষার পানি নেমে গেলে সেখানেই ধানের চাষ অজস্র মানুষের। তখন সবুজ ক্ষেত এবং নীল পানি মিলে এক শিল্প হয়ে ওঠে। জানিনা আবার কবে দেখতে যাব চলন বিল।
২১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমার ক্ষীণদৃষ্টিতে বিল আর হাওরের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নাই বললেই চলে। তবুও গুগল ঘেটে দেখলাম কিঞ্চিৎ পার্থক্য উল্লেখ করলেও সমষ্টিগত ভাবে বিল আর হাওর একই।
"হাওর হলো বিস্তৃত প্রান্তর, জলাভূমি যা ভূআলোড়নের ফলে সৃষ্টি হয়। মৌসুমী বৃষ্টির সময় অর্থাৎ বর্ষাকালে পানিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বছরের অধিকাংশ সময় হাওরগুলো পানির নিচে অবস্থান করে। শুষ্ক মৌসুমে অধিকাংশ পানি শুকিয়ে গিয়ে সেই স্থানে সরু খাল রেখে যায় এবং শুষ্ক মৌসুমের শেষের দিকে সম্পূর্ণ শুকিয়ে যেতে পারে। শুষ্ক মৌসুমে হাওরের পুরো প্রান্তর জুড়ে ঘাস গজায়, গবাদি পশুর বিচরণক্ষেত্র হয়ে উঠে। হাওরে আগত পানি প্রচুর পলিমাটি ফেলে যায় যা ফসল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
অন্যদিকে বিলে সংগায় বলা হহ্যেছে-
বিস্তীর্ণ আবদ্ধ স্বাদুপানির জলাশয়কে বিল বলা হয়। বিল পুরাতন নদীর গতিপথের ধার ঘেঁষে সৃষ্টি হয়। বিল মূলত নিম্নভূমি যেখানে অতিরিক্ত পানি এসে জমা হয়। শুকনোর মৌসুমে অধিকাংশ বিলে কোন পানি থাকে না। তখন সেই এলাকা চাষাবাদ ও গবাদিপশুর চারণক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একটু বৃষ্টি হলে বা বর্ষা মৌসুমে এসব নিম্নভূমি পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সাধারণত বিলের গভীরতা বেশি হয় না। বেশিরভাগ বিলই জলাভূমির মত।"
২| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩৩
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: ঝিলমিল চলনবিলের জল শুভেচ্ছা রইল দাদা
২১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
৩| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪২
জটিল ভাই বলেছেন:
যাক্, আপনিও কাব্যের প্রতি মনযোগী হচ্ছেন দেখে ভালো লাগলো
২১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাইজান, আমি কদাচিত কবিতা লিখি সত্য। কিন্তু এই পোস্টে ব্যবহার করা কবিতা আমার লেখা নয় বলেই "- " কমা দিয়ে বন্দী করে দিয়েছি।
ধন্যবাদ।
৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
চলন বিলে বেড়ানো হয়নি। আসলে বিলতো বাড়ির কাছেই দেখেছি ছোট বেলায় তাই তেমন আকর্ষণ বোধ করি না বেড়াতে যাবার।
যাইহোক, ছবিগুলি এতো ছোট করেছেন কেনো?
২১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন: খাল-বিল, হাওর-বাওর, নদী-সাগর আমাকে টানে..... ছবিগুলো গুগল থেকে নিয়েছি।
৫| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ইশ এসব কবে দেখবো আল্লাহই জানেন। খুব ভালো লাগলো
২১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: "দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে দুই পা ফেলিয়া একটি ধানের শিষের ওপরে একটি শিশিরবিন্দু।"- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কবিতাটির পঙক্তিগুলোর মাঝে প্রকৃতিকে খুঁজে পাওয়া যায়। আপনি নিশ্চই জানেন, দেশে ঘুরে বেড়ানোর জন্য অনেক সুন্দর জায়গা আছে। আগে দেশটাকে দেখুন।
৬| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২৬
জটিল ভাই বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ভাইজান, আমি কদাচিত কবিতা লিখি সত্য। কিন্তু এই পোস্টে ব্যবহার করা কবিতা আমার লেখা নয় বলেই "- " কমা দিয়ে বন্দী করে দিয়েছি।
তা বুঝেছি আগেই। আর আপনি লিখেছেন বলিনি। বলেছি আপনার ছড়া প্রেমের কথা। ব্লগে যে হারে ছড়া আমদানি হচ্ছে তাতে ছড়া প্রেম না থাকলে ব্লগিং করা মুশকিল হয়ে যাবে
২১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আমিও কবিদের সাথে শামিল হতে চেষ্টা করবো
৭| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৪৪
শাওন আহমাদ বলেছেন: কি সুন্দর উপস্থাপন! চলনবিলে আমার দাওয়াত রইলো। যদিও আমি পানি ভীষণ ভয় পাই। নৌকায় না ঊঠলাম পাড়ে দাড়িয়েই না হয় দেখব।
২১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩১
জুল ভার্ন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৮| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন! লেখার পেছনে একটা কাব্যিক মন এবং ক্রিয়াশীল মননের আবহ (vibes) অনুভব করলাম। + +
২২ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেওয় স্বজন।
৯| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধ চলনবিল ও স্মৃতিকাতরতা এবং ভাইজান আপনার অভিব্যক্তি। সুন্দর লিখেছেন। ফেবুতে আমি ছবির কথা বলেছি,আপনি এখানে কিছু দিয়েছেন। তবে আপনার হাতের ছবি এর চেয়ে বেশি সময় সুন্দর বলে আগে থেকেই দেখেছি । যাইহোক তবুও সুন্দর।
২২ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: সাধারনত আমি অন্যের তোলা ছবি আমার কোনো লেখায় তেমন একটা ইউজ করিনা। চলনবিলের এই ভ্রমণ কাহিনী দুই বছর আগের। তখন অনেক ছবি আমি তুলেছিলাম- সেগুলো সব ডিলিট হয়ে গিয়েছে। তাই কয়েকটা ছবি গুগল থেকে নিয়েছি- যা সাইজে ছোট। ধন্যবাদ।
১০| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪৭
রযাবিডি বলেছেন: চলন বিল, অসাধারণ একটি জায়গা।
২২ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার কাছেও খুব ভালো লেগেছে- ভরা বর্ষায় এবং শীতের সিজনে যখন বিল শুকিয়ে ধানের চাষ হয়।
১১| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আজ থেকে ২৮ বছর আগে বগুড়া-নাটোর সড়কে বহুবার যাতায়াত করতে হয়েছিল। তখন ভরা বর্ষার মৌসুমে রাস্তার সমান্তরালে হিল্লোলিত পূর্ণযৌবনা চলন বিলের রূপমাধুর্যে মুগ্ধ হয়েছিলাম। শারদীয় পূর্ণিমা রাতে সে সৌন্দর্য অপরূপ স্নিগ্ধ আভায় দীপ্ত হয়। কিন্তু খুব বেশি মানুষ সে সৌন্দর্য অবলোকন করতে সাহস পেত না, কারণ তখন নন্দীগ্রাম এবং মান্দা নামের এলাকাগুলো ডাকাত অধ্যুষিত বলে কুখ্যাত ছিল। তাদের ভয়ে গভীর রাতে প্রকৃতিপ্রেমীরা সেখানে ভিড়তে দ্বিধান্বিত থাকতো।
২২ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: এতো সুন্দর করে ২৮ বছর আগের ভয়াবহতা তুলে ধরেছেন.... জেনে আমার এখনো ভয় লাগছে- অমন নির্জনতায় আমরাও ডাকাতের পাল্লায় পড়লে কিছুই করার ছিলো না ভেবে। আমার কাছেও খুব ভালো লেগেছে- ভরা বর্ষায় এবং শীতের সিজনে যখন বিল শুকিয়ে ধানের চাষ হয়। দুই সিজনের দুই রকম সৌন্দর্য!
১২| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:০৩
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা।
২২ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:০২
কামাল৮০ বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা,ভাল লাগলো পড়ে।হাওড় ও বিলের মধ্যে পার্থ্ক্য কোথায়।