নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
আলোতে ঢেকে গিয়েছে যে আলো....
“তুমি কি পারবে 'মা' কবির সেবা করতে? ঐ যে দ্যাখো, উঁনি খবরের কাগজ ছিঁড়ছেন। উঁনি এখন শিশুর মতো।” এ প্রশ্নের উত্তরে উমা বলেছিলেন, “আমিতো কলকাতার হাসপাতালে শিশু বিভাগেই কাজ করেছি। কবি যদি শিশুর মতো হন, তবে নিশ্চয়ই পারবো।” - বলে কবির মাথার কাছে গিয়ে বসলেন তরুণী উমা মুখোপাধ্যায়।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সেবিকার যত্নে, মায়ের স্নেহে আগলে রেখেছিলেন যিনি, তিনি ব্রাহ্মণ-কন্যা উমা মুখোপাধ্যায় থেকে হয়ে গেলেন উমা কাজী। কবি পুত্র কাজী সব্যসাচীর স্ত্রী, বিদ্রোহী কবি নজরুলের পুত্রবধূ।
কাজী নজরুল ইসলাম নিজের "মা"বাদেও আর একজন নারীর মধ্যে নিজের মাকে খুঁজে পেয়েছিলেন! যে নারী সন্তানের মতো নির্বাক ও প্রায় স্মৃতিশক্তিহীন কবি নজরুলকে মায়ের ভালোবাসায় আবদ্ধ রেখেছিলেন। আর স্নেহ-মায়া, ভালোবাসায় দিয়ে, যে সমস্ত রকম ভেদাভেদ দূর করা যায়, তার উদাহরণ উমা কাজী!
কাজী নজরুল-এর বড় ছেলে কাজী সব্যসাচীর স্ত্রী, অর্থাৎ নজরুলের পুত্রবধূ। হিন্দু ও ব্রাহ্মণ পরিবারের কন্যা হয়েও মুসলিম পরিবারের পুত্রবধূ হয়েছিলেন ! সেই অনেক বছর আগে। উমার বাবা ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং মা বাদলা মুখোপাধ্যায়। তার জন্ম বর্ধমানের কাটোয়া গ্রামে।
সায়েন্স গ্রাজুয়েশন শেষে কলকাতার ‘লেডি ডাফরিন মেডিকেল হাসপাতাল’ থেকে নার্সিং ডিপ্লোমা ট্রেনিং নিয়ে নার্স হয়েছিলেন উমা মুখোপাধ্যায়। থাকতেন নার্সিং হোস্টেলেই। ছোটকাল, থেকেই সেবিকা হতে চাইতেন তিনি। সেখানকারই এক হেড নার্স ঊষা দেবী উমা মুখোপাধ্যায়কে এক নতুন পথের দিশা দেখান। উমাকে তিনি নিয়ে যান অসুস্থ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বাড়ীতে। কবির সেবা করার জন্য প্রয়োজন ছিল একজন সার্বক্ষণিক নার্সের। নির্বাক কবি তখন কলকাতার মানিকতলায় থাকতেন। নানা অসুস্থতায় জর্জরিত হলেও, দুই বাংলাতেই সমান্তরারালে তখন কবিকে নিয়ে উন্মাদনা!
নজরুলের স্ত্রী প্রমীলা দেবী প্রথম দেখায় উমাকে বলেছিলেন, “তুমি কি পারবে 'মা' কবির সেবা করতে? ঐ যে দ্যাখো, উঁনি খবরের কাগজ ছিঁড়ছেন। উঁনি এখন শিশুর মতো।”
সেবা ও স্নেহের পথ পরিক্রমায় উমাই হয়ে উঠলেন কবি নজরুলের প্রিয় মানুষ। তাঁকে গোসল করানো, খাওয়ানো, দেখ-ভাল করা, গল্প শোনানো। উমার হাতের স্পর্শ যেন কবির কাছে মায়ের আঁচলের মতো হয়ে ওঠে। কিন্তু এরই মধ্যে উমার সেবার মনোবৃত্তি দেখে, মিষ্টি ব্যবহার দেখে কবির বড় ছেলে কাজী সব্যসাচী উমার প্রেমে পড়ে গেলেন। উমাও সব্যসাচীকে মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসেন।
বিয়ে হল ব্রাহ্মণের মেয়ের সঙ্গে মুসলিম ছেলের। সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রেখে, উমা মুসলিম পরিবারকে আপন করে নিলেন। মুসলিম ধর্মান্তরে উমা মুখোপাধ্যায় হয়ে গেলেন, উমা কাজী। কবি ও কবিপত্নী প্রমীলা নজরুলও এমন এক মেয়েকে ঘরের বৌমা হিসেবে পেয়ে খুশি হলেন। উমা মুসলিম পদবী গ্রহণ করলেও, তাঁর নামে থেকে গেল দুর্গা'র চিহ্ন।
শাশুড়ি প্রমীলাদেবী উমা বৌমাকে নিজের মেয়ের মতোই ভালোবাসতেন। এদিকে কবি নিজেও বৌমা অন্তঃপ্রাণ। বৌমা চন্দন সাবান দিয়ে গোসল করিয়ে না দিলে গোসল করবেন না নজরুল, দাঁড়ি বৌমাই কেটে দেবে, খাইয়ে দেবে বৌমা। আদরের বৌমার কাছে শিশুর মতো আবদার বায়না করতেন কবি। এমনকি পরিধেয় জামাকাপড়ে নীল বোতলের আতর-সুগন্ধিও বৌমাকেই লাগিয়ে দিতে হবে।
উমা একদিকে নিজের নতুন সংসার সামলাচ্ছেন আর অন্যদিকে কবিকেও সামলাচ্ছেন। ধীরে ধীরে এল সব্যসাচী-উমার ঘরে তিন সন্তান,
- মিষ্টি কাজী,
- খিলখিল কাজী এবং
- বাবুল কাজী। তিন নাতি-নাতনি দাদা নজরুলের কাছেই থাকত বেশি সময়। কবিওতো শিশুর মতোই। সন্তানদের সঙ্গেই কবিকেও আসন পেতে বসিয়ে ভাত খাইয়ে দিতেন উমা কাজী।
পরবর্তীতে, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সুস্থ করতে দুটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়, যে বোর্ডের সদস্যদের কবির সমস্যাগুলি বুঝিয়ে দিতে যেতেন, উমা নিজেই। কিভাবে কবির স্মৃতিশক্তি ফেরানো যাবে, কথা বলানো যাবে, এ সব ভাল করে শুনে সেবার ধরণও বুঝে নিতেন উমা। পাশাপাশি স্বামীর খেয়াল রাখা থেকে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা, সবটাই দেখতেন উমা কাজী।
এরি মধ্যে কবিপত্নী প্রমীলা দেবী অসুস্থ হয়ে পড়লেন। শাশুড়ির সব দেখভালের দায়িত্বও নিলেন উমা কাজীই। কবির আগেই চলে গেলেন কবিপত্নী। দীর্ঘ ৩৮ বছরের সংসার জীবনের পর, ১৯৬২ সালের ৩০শে জুন মাত্র ৫২ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন প্রমীলা কাজী। তাঁকে কলকাতা থেকে চুরুলিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাজী পাহালোয়ানের দরগার পাশে কবিপত্নীকে সমাহিত করা হয়।
১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে স্বপরিবারে কবিকে বাংলাদেশে আনা হয়। ধানমন্ডির ২৮ নম্বর রোডে (বর্তমান নজরুল ইনস্টিটিউট সংলগ্ন) কবি ভবনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁরা বসবাস শুরু করেন। কাজী সব্যসাচী কর্মসূত্রে কলকাতায় থেকে গেলেও উমা কাজী কবিকে দেখার জন্য ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। ধানমণ্ডির বাড়িতে নজরুল নাতি-নাতনি নিয়ে খেলা করতেন, বাগানে ঘুরে বেড়াতেন।
কবির জন্মদিন পালন হতো বেশ বড় করে। অতিথিরা আসতেন, কবিকে সবাই মালা পরাতেন । কবি সেইসব মালা পরে খিলখিল করে হাসতেন। হারমোনিয়াম দেখিয়ে সবাইকে বলতেন গান করতে। নাতি-নাতনিরাও নজরুল সঙ্গীত গাইতেন। নির্বাক কবিই কখনও হেসে উঠতেন আবার কখনও নির্বাক হয়ে অঝোর ধারায় কাঁদতেন- একটার পর একটা নিজের সৃষ্টি শুনে। সব যন্ত্রণা যেন গানে গানে ঝরে পড়ত কবির চোখের জলে।
জীবনের শেষ দিকে বিছানাতে স্থায়ী ঠিকানা হলো কবির। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতেন উমা। তিনি যে সেবিকা থেকে ততদিনে কবির 'মা' হয়ে গিয়েছিলেন! তাই, তো এত কিছুর মধ্যেও এতটুকু ফাঁক-ফোঁকর পড়েনি! ছেলে-মেয়েদেরকে বড় করার বা শাশুড়ির অবর্তমানে সমগ্র সংসার সামলানোর বা কাজী সব্যসাচীর যোগ্য সহধর্মিণী হয়ে উঠার।
২৯ আগস্ট ১৯৭৬ ইং বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইন্তেকাল করেন। চির বিদায়ের শেষ সজ্জায় কবিকে সাজিয়েও দিয়েছেন উমা কাজী। তিন বছর পরে ১৯৭৯ সালের ২ মার্চ কলকাতায় মারা যান আবৃত্তিকার স্বামী কাজী সব্যসাচী। অকালেই চলে যান অসুখে। ফলে আরও কঠিন দায়িত্ব এসে পড়ে উমার কাঁধের উপর। তখন ম্লান হয়ে আসছে কাজী পরিবারের যশ-খ্যাতি। একা হাতে বিখ্যাত কবি পরিবারকে কঠিন লড়াইয়ের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করেন উমা। তিনি না থাকলে কাজী পরিবার আজ খ্যাতি আর পরিচিতির জায়গাটা হয়তো ধরেই রাখত পারতো না। বিখ্যাত পরিবারে বিখ্যাত সদস্যদের পেছনে কাণ্ডারীর মতো শক্তির উৎস হয়ে উঠেছিলেন এই উমা মুখোপাধ্যায় তথা উমা কাজী।
উমা নিজেই যখন দাদী-নানী হলেন, তখন তিনিও কবির মতই তাঁর নাতি-নাতনিদের গল্প বলতেন। কাজী নজরুল, প্রমীলাদেবী, কাজী সব্যসাচী সকলের কথা তিনি বলতেন নাতি-নাতনিদের। তারাও কাজী নজরুলকে ছুঁতে পারত উমার গল্পে। উমা জানতেন, উত্তরাধিকারী নবীন প্রজন্মকে কবির কাজে আগ্রহী করলে কবির কাজ বেঁচে থাকবে, আরও এগুবে তাঁর সৃষ্টি।
উমা যেন সারাজীবন কবির সেবিকা ও সাধিকা হয়ে রইলেন। এইভাবেই ৮০টি বসন্ত পেরিয়ে ইন্তেকাল করেন উমা কাজী। বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতার পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে আর শেষ দিকে স্মৃতিভ্রংশতায় ভুগছিলেন, কবির মতোই। ১৫ জানুয়ারি ২০২০ইং সালে ঢাকার বনানীতে 'কবি ভবন'-এ প্রয়াত হন ভালোবাসার মনুষ্যত্ব ও সেবার ধর্ম সারাজীবন ধরে পালন করা মানুষ উমা কাজী। বনানী কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
"একটি নজরুল জীবনীর সন্ধানে"- নজরুল গবেষক লেখক গোলাম মুরশিদ এর লেখা থেকে তথ্য উপাত্ত নিয়েছি।
ছবিঃ- গুগল। পুনঃ প্রচার।
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের আপামর মানুষের বংগবন্ধু, সকলের শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও সম্মানের বংগবন্ধু। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী লীগ করণ করে শুধু আওয়ামী লীগের বংগবন্ধু করেছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার।
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৫৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: উমা কাজি' র ব্যাপারে এত কিছু জানতাম না। অনেক ধন্যবাদ! চমৎকার তথ্য সম্বলিত লেখা।
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় স্বজন।
৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:০০
অপু তানভীর বলেছেন: কাজী নজরুলের ব্যাপারে যত জেনেছি উমা কাজী সম্পর্কে জেনেছি খুবই কম । পড়েছিলাম যে তার স্ত্রী ও পুত্রবধুরা তার সেবা করেছেন । কিন্তু সেব লেখায় উমা কাজীর নাম আলাদা ভাবে নেওয়া হয় নি । আপনার লেখায় উমা কাজীর সেবা আর অবদান আলাদা ভাবে ফুটে উঠেছে !
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: উমা কাজী সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য আছে যা নিয়ে একদা মিডিয়ায় অনেক লেখালেখি হয়েছিল.... সেগুলো যখন মেইনস্ট্রিম মিডিয়া এখন আর লিখছেনা, তাই আমিও প্রসংগটা এড়িয়ে গিয়েছি। ধন্যবাদ।
৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো লেখাটি পড়ে।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই লেখাটির জন।
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি যা লিখেছি তা প্রায় সবাই জানেন মিডিয়ার কল্যাণে।
৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবির জন্য উমা কাজীর স্যাক্রিফাইস সত্যিই অনন্যসাধারণ। কিন্তু উমা কাজীর এ অবদানের কথা তেমন আলোচিত হয় বলে মনে হয় না।
স্বাধীনতার পর কবিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধু এবং কবিকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসাবে ঘোষণা করেন।
সুন্দর পোস্ট।
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আরও ইতিহাস আছেঃ নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি হলেও অদ্যাবধি তা সরকারি গেজেট ভুক্ত হয়নি বলে নজরুল পরিবারের উত্তরাধিকারদের অনেক আপসোস!
১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করেন ৷ এর পূর্বে বাংলাদেশে অবস্থান করেছিলেন রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে। ১৯৭৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কবিকে একুশে পদকে ভূষিত করেন। ১৯৭৬ সালের ২৫ মে কবির জন্মবার্ষিকিতে তিনি কবিকে বাংলাদেশ আর্মির ক্রেস্ট প্রদান করেন। এর মাত্র দুই মাস পরেই কবি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:০২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
উমা মুখোপাধ্যায় উমা কাজী অনেক বড় মনের মানুষ ছিলেন। কাজী নজরুল ইসলাম পরিবারকে শেখ সাহেব ধানমন্ডিতে একটি বাড়ি উপহার দেন, বর্তমানে এটি নজরুল ইনিস্টিটিউট নামে পরিচিত।
মাসুদ রানা খ্যাত মরহুম কাজী আনোয়ার হোসেনের পিতা মরহুম কাজী মোতাহার হোসেনের খুবই ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। কাজী আনোয়ার হোসেন সাহেব কাজী নজরুল ইসলামের পরিবারের জন্য অনেক অবদান রেখেছেন।
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: জ্বি ঠিক বলেছেন।
৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:১০
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: মূল লেখায় কেন বঙ্গবন্ধুর নামটি নিতে পরেননি তা বুঝতে সময় লাগল এবং মন্তব্যের জবাবগুলোও পড়তে হল!
যাহোক, চমৎকার লেখা! অনেক মূল্যবান পোস্ট। উমা কাজী সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হল।
ধন্যবাদ।
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি আবার একটু বেশীই বুঝেছেন।
৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:০৬
অক্পটে বলেছেন: বিমোহিত হলাম লেখাটি পড়ে। উমা কাজীর সেবার বিষয়টা জানতাম না। খুব ভালো লাগছে জেনে। প্রথম মন্তব্যটির উত্তর যথাযথ হয়েছে।
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: সত্য লিখতে দ্বিধা নেই.....আমার মতো এক অধমের কাঁধে বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতের ছোঁয়া পেয়েছিলাম ১৪/১৫ বছর বয়সে.... যা আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পাওয়া! সেসব নিয়ে কখনো সুবিধা নিতে চাইনি.... অথচ এখন নামের আগে পিছে একাত্তর লাগিয়ে নিজেদের স্বাধীনতা আর বংগবন্ধুর সৈনিক প্রচার করে ভন্ডের দল!
ধন্যবাদ।
৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার সৌজন্যে এই পোস্টটি আগেও পড়েছি। খুব সুন্দর পোস্ট++
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: গত তিন বছরে আমার প্রায় সব পোস্টে আপনার উপস্থিতি আমাকে সম্মানিত করে....অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই। ❤️
১০| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উমা কাজী যে ত্যাগ করেছেন তা বিরল।
কবি কাজী নজরুল ইসলাম যদি আরও ৩৫ বছর লিখতে পারতেন তাহলে বিশ্ব সাহিত্যের ভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ হতো।
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আলবাত। তবে উমা কাজী শেষ বয়সে একটা ভুল করে ছিলেন.... তিনি বরিশালের এক ব্যবসায়ী নেতার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন....
১১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩০
জটিল ভাই বলেছেন:
অনেক নতুন তথ্য জানলাম প্রিয় ভাই
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:২৬
জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই সাহেব।
১২| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৩:১০
জোবাইর বলেছেন: কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে কবি ও কবি পরিবারের জন্য আত্মত্যাগকারিনী উমা কাজীকে পোস্টের মাধ্যমে আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। কোথায় যেন পড়েছিলাম এখন ঠিক মনে নেই, 'নজরুলের সাথে বাংলাদেশে তাঁর অনেক আত্মীয়স্বজন আসলেও পরে প্রায় সবাই ভারতে চলে গিয়েছিলেন। নজরুল আত্মীয়-স্বজনহীন পরিবেশে পিজি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন।' এখন মনে হচ্ছে সেই তথ্যটি ভুল।
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: কবি নজরুলের অনেক আত্মীয় স্বজন এদেশে চলে আসলেও উমা কাজী, খিলখিল কাজী ও বাবুল কাজী ছাড়া কেউই এখানে স্থায়ী ভাবে থাকেননি। অন্যরা সবাই আসা-যাওয়ার মধ্যে থেকেছে। তাদের সবাই ইন্ডিয়াতেই পেশাগত কাজে ব্যস্ততার জন্য।
আর হ্যা, নজরুল আত্মীয়-স্বজনহীন পরিবেশে পিজি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন।' এখন মনে হচ্ছে সেই তথ্যটি ভুল।
ধন্যবাদ।
১৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ ভোর ৫:২৫
কামাল৮০ বলেছেন: ব্যক্তি জীবনে কবি মুসলিম ছিলেন না।হিন্দুও ছিলেন না।কবি ছিলেন মানুষ।তার কবিতার পরতে পরতে তার প্রমান।আমরাই তাকে মুসলিম ও হিন্দু বানিয়েছি।
উমার জীবন উমার নিজের জীবন।সে কাকে বিয়ে করবে না করবে সেটা তার ব্যক্তি স্বাধীনতা।সেখানে ভুল ঠিকের কিছু নাই।
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
উমা কাজীর বিয়ে করার স্বাধীনতা অবশ্যই ছিলো। কিন্তু একজন উমা কাজী তার জীবন উঠসর্গ করেছিলেন কবির জন্য, কবি পরিবারের জন্য তাই হয়তো তার সিদ্ধান্ত তাঁর ভক্তদের মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিলো। সর্বপরি, তাঁর বিয়ের ব্যাপারটা তাদের পরিবার থেকেই অনেকের সমালোচনার মুখে পরেছিলো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৪৮
কলাবাগান১ বলেছেন: বংগবন্ধুর নাম নিতে অনেকেই দ্বিধা বোধ করে...বংগবন্ধু র ব্যক্তিগত চাওয়াতেই কবির বাংলাদেশে আগমন সেটা আপনারা না বললেও ইতিহাস মনে রাখবে