নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
প্রসঙ্গঃ কবি নজরুলের মৃত্যু দিবস......
আমরা সবাই জানি, ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট কবি নজরুল ইন্তেকাল করেন। আমার সৌভাগ্য কবির জানাযায় এবং কবরস্থ করার সময় উপস্থিত থাকার।
কবি নজরুল ইসলামের জন্ম তারিখের মতো মৃত্যুতারিখ নিয়েও আছে নানা বিভ্রান্তি।
অনেকেই দ্বিধান্বিত হয়ে যায়, আসলে কবির মৃত্যুর তারিখ কবে, ২৭ আগস্ট না ২৯ আগস্ট? খ্রিস্টিয় সন অনুসরণ করলে ২৭ আগস্ট কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুদিবস নয়। আর যদি বাংলা সনকে অনুসরণ করি, তাহলে ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র, কবি নজরুলের মৃত্যুদিন। ২৭ আগস্ট আর ২৯ আগস্টের একটা বিতর্ক, বিভ্রান্তির কারণ আমাদের এক দু’দিনের বাংলাপ্রেমের ফসল। এর পেছনের রহস্যটা একটু বর্ণনা করলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
উল্লেখ্য ড.মেঘনাথ সাহা প্রস্তাবিত একটি বাংলা দিন পঞ্জিকা মৃদু সংস্কারসহ তৎকালীন বাংলা একাডেমি প্রণীত ও সামরিক জান্তা এরশাদ সরকারের গৃহীত নিয়ম অনুযায়ী ১৯৮৩ সাল থেকে জাতীয়ভাবে সনাতন বাংলা পঞ্জিকাকে পরিহার করে। তখন থেকে আধুনিক নতুন বাংলা দিনপঞ্জিকা অনুসরণ করা হচ্ছে। এই পঞ্জিকার প্রচলনের সময় ইংরেজি দিন পঞ্জিকাকে মাপকাঠি ধরে অধিবর্ষজনিত এবং বিশেষ বিশেষ নক্ষত্রমণ্ডলীর সৌরজগতের অতিক্রমণের সময় হিসেবের বিচ্যুতি সমূহকে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে সমৃদ্ধ এবং আধুনিক করা হয়েছে।
তাই জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী সনাতন পঞ্জিকা অনুসারে ১২ ভাদ্র পালন করা হয়। বাংলা পঞ্জিকা স্থির হয়ে যাওয়ার কারণে ১২ ভাদ্র ইংরেজি পঞ্জিকাতে ২৭ আগস্ট হয়ে যায়। আর যেহেতু আমরা সনাতন পঞ্জিকা অনুসারে নজরুলের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে থাকি, তাই অনেকেই ভেবে বসে নজরুলের মৃত্যুবার্ষিকী ২৭ আগস্ট। এভাবেই বিভ্রান্তির সৃষ্টি।
আমাদের সংবাদমাধ্যমগুলো বাংলা তারিখকে ধরে ২৭ আগস্ট কবি নজরুল ইসলামের মৃত্যুদিবস হিসেবে পালন করে। অথচ এই বাংলা তারিখের হিসেব রাখার বিষয়টি শুধুমাত্র রবীন্দ্র-নজরুলের জন্ম-মৃত্যুবার্ষিকীতেই সীমাবদ্ধ। আমাদের সংবাদমাধ্যমগুলো তাদের সব কাজে ইংরেজি তারিখ ব্যবহার করে। আজও করেছে। তারা নজরুলের মৃত্যুদিনের যে খবর ছেপেছে তার ডেটলাইনে বাংলা তারিখ ব্যবহার করেনি। করেছে ইংরেজিকে। অথচ নজরুলের মৃত্যুদিন ইংরেজি তারিখ অনুযায়ী ২৯ আগস্ট। তারা যদি ২৭ তারিখকেই নজরুলের মৃত্যুদিন বলে মানে তবে তাদের নজরুলের মৃত্যুদিনের নিউজের ডেটলাইনে বাংলা তারিখটা ব্যবহার করা উচিত ছিল। ইংরেজি নয়। কারণ বাংলা সনের ১২ ভাদ্র কবি নজরুলের মৃত্যুদিন।
উইকিপিডিয়া, বাংলা বিশ্বকোষসহ অন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কবির মৃত্যুদিন ২৯ আগস্ট লেখা আছে। এদের অনেকেই ইংরেজি তারিখের পরে বন্ধনীর ভিতরে বাংলা তারিখটি উল্লেখ করেছে।
সংবাদমাধ্যমগুলোর কথা বাদ দিয়ে যারা নজরুল গবেষক পরিচয়ে গর্বিত, বা আমাদের বাংলা একাডেমির চোখেও কি বিভ্রান্তিটা ধরা পড়ে না? তারা কি বোঝেন না এই দুই নীতির কারণে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন? কারণ আমরা আমাদের জীবনের সবক্ষেত্রে যেখানে এখন ইংরেজি তারিখ ব্যবহারে অভ্যস্ত সেখানে একদিন বিশেষ ব্যক্তির ক্ষেত্রে বাংলা তারিখ অনুসরণ করতে হবে কেন? এই বিশেষ ব্যক্তিত্বরা যেদিন জন্মেছেন বা মৃত্যুবরণ করেছেন সেদিনের কি কোনো ইংরেজি তারিখ ছিল না?
তবে এই বিভ্রান্তি দূর করা যে খুব কঠিন, তা কিন্তু নয়। হয় নজরুল, রবীন্দ্রনাথের জন্ম, মৃত্যু দিবস ইংরেজি সন, তারিখ অনুসরণ করে পালন করা, নয়তো আমাদের ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে সরকারি, রাষ্ট্রীয় সব কাজে, সব ক্ষেত্রে বাংলা সনের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা। এই নজরুলের জন্মতারিখ নিয়ে ভ্রান্তি, বিভ্রান্তি গোলযোগের একমাত্র হেতু নজরুলের জন্ম, মৃত্যুদিন পালনের জন্য বাংলা সন, মাস, তারিখ অনুসরণ করা। অথচ আমরা কি বাংলা সন তারিখ জানি, না মানি? পঞ্জিকা, ক্যালেন্ডার না দেখে শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষই বলতে পারবে না আজ বাংলা মাসের কত তারিখ।
আমরা যেখানে রাষ্ট্রীয়, সরকারি, বেসরকারি সব কাজে সারাবছর ইংরেজি তারিখকেই প্রাধান্য দেই, ইংরেজি তারিখ ব্যবহারে অভ্যস্ত সেখানে রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম এবং মৃত্যুদিন পালনে বাংলা সন, তারিখ ব্যবহার করা হচ্ছে কোন যুক্তিতে?
এই একদিনের বাংলাপ্রীতি চরম বিভ্রান্তির জন্ম দিয়ে চলছে। আমরা আমাদের মহান শহিদ দিবস ৮ ফাল্গুন পালন করি না, পালন করি ২১ ফেব্রুয়ারিতে, বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বরে, স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস ২৬ মার্চে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত দিবস, জাতীয় শোক দিবস পালন করি ১৫ আগস্টে।
এ রকম সব জাতীয় দিবস পালন করি খ্রিস্টিয় সন, মাস, তারিখ অনুসরণ করে। সেখানে কেন, কোন যুক্তিতে, কার বুদ্ধিতে নজরুল, রবীন্দ্রনাথের জন্ম, মৃত্যুদিন বাংলা সনকে অনুসরণ করে পালন করতে গিয়ে বিভ্রান্তির জন্ম দিচ্ছি? অনায়াসে যা সংশোধন করা যায়, তা সংশোধন না করে ঝুলিয়ে রাখছি কেন? কোন যুক্তিতে? আমাদের উচিত সবক্ষেত্রে বাংলা সন নয়তো খ্রিস্টিয় সন যে কোনো একটির অনুসরণ করা। তা হলেই বিভ্রান্তি কাটবে।
এসব বিভ্রান্তি দূর করার জন্য সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। পাঠ্যবইয়ে এ বিষয়গুলো উল্লেখ্য করা উচিত, যেন কেউ বিভ্রান্তির শিকার না হয়।
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: মোবাইল ফোন থেকে পোস্ট দিলেই কিছু না কিছু জটিলতা দেখা দেয়। প্রায় ২০ মিনিট চেষ্টা করে এডিট করতে পারলাম।
ধন্যবাদ।
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪০
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
২৭ আগস্ট বিশ্বাস করে কতভাগ মানুষ? জানাযায় কত মানুষ হয়েছিলো, আনুমানিক?
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: সম্ভবত কেউই বিশ্বাস করেনা, যেহেতু বাংলা একাডেমী চাইয়ে দিয়েছে তাতে রাস্ট্রীয় সমর্থন থাকায় কেউ কিছু বলছেনা।
জানাযায় অসংখ্য লোক হয়েছিলো। সেই দিন অল্প অল্প বৃষ্টি ছিলো, তারপরও ধারনা করছি- লক্ষাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।
৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৩
জটিল ভাই বলেছেন:
প্রিয় ভাইয়ের নজরুল প্রেম দেখে ভালো লাগলো
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: মনে পড়ে, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জানাযা এবং দাফন অনুষ্ঠানে আমিও শরীক হয়েছিলাম। কবি মাসজিদের পাশে সমাহিত হয়ে চেয়েছিলেন এবং তাঁর এ ইচ্ছেটা প্রকাশ করে তিনি একটি গীতিকবিতাও লিখেছিলেন। তদনুযায়ী তাঁর এ ইচ্ছের প্রতি যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়েছিল। মানবতার কবি, প্রেমের কবি, দ্রোহের কবি'র দাফন অনুষ্ঠানে প্রচুর জনসমাগম হয়েছিল।
জাতীয় কবি'র জন্ম ও মৃত্যু তারিখ নিয়ে কোন প্রকার দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকা উচিত নয়। আশাকরি, কর্তৃপক্ষ সকল দ্বিধা দ্বন্দ্বের অবসানকল্পে যথাবিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বিষয়টির উপর আলোকপাত করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: জ্বি, কবি মসজিদের পাশে সমাহিত হতে চেয়ে লিখেছিলেনঃ
মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই।
যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই।।
আমার গোরের পাশ দিয়ে ভাই নামাজীরা যাবে,
পবিত্র সেই পায়ের ধ্বনি এ বান্দা শুনতে পাবে।
গোর-আজাব থেকে এ গুনাহগার পাইবে রেহাই।।
কত পরহেজগার খোদার ভক্ত নবীজীর উম্মত
ঐ মসজিদে করে রে ভাই, কোরান তেলাওয়াত।
সেই কোরান শুনে যেন আমি পরান জুড়াই।।
কত দরবেশ ফকির রে ভাই, মসজিদের আঙ্গিনাতে
আল্লার নাম জিকির করে লুকিয়ে গভীর রাতে,
আমি তাদের সাথে কেঁদে কেঁদে
(আল্লার নাম জপতে চাই)।।
আমরা সবাই জানি, কবির মৃত্যুর তারিখ ২৯ আগষ্ট। কিন্তু কয়েকজন আঁতেল বাংলামাস প্রেমীর কারণে কবির মৃত্যু দিবস সারম্বড়ে পালন করছি ২৭ আগষ্ট! বাংলাদেশের সকল কার্য্যক্রম পরিচালিত হয় ইংরেজী সন/তারিখ মেনে ।শুধু কবি গুরু এবং বিদ্রোহী কবির জন্ম মৃত্যু তারিখটাই বাংলা মাস/তারিখ মেনে করে জাতীয়ভাবে একটা ভেজাল লাগিয়ে দিয়েছে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ২:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সারাদেশে আজ নজরুল প্রয়াণ দিবস পালিত হলো, মিডিয়াতে অনুষ্ঠানাদি হলো।
রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলে জন্ম ও মৃত্যুদিবস বাংলা তারিখ অনুযায়ী পালিত হতে দেখা যায়। এর সাথে ব্যবসায়িক ও আনুষ্ঠানিক বিষয়াদি সম্পৃক্ত হয়ে থাকতে পারে, যে-কারণে বাংলা বাদ দিয়ে ইংরেজি তারিখে যেতে পারছে না।
দেশে আরো কিছু উৎসব ইংরেজি তারিখ অনুযায়ী হয় না, যেমন ১লা বৈশাখ, আমাদের দুই ইদ, পূজা, মহররম, ইত্যাদি। সেই হিসাবে এদের দুজনের দিবস বাংলা তারিখ অনুযায়ী চলতে পারে। এরা বাংলা ভাষাত প্রধান কবি। বাংলার মর্যাদার প্রশ্নেই সম্ভবত তাদের দিবসগুলো বাংলা তারিখ অনুযায়ী পালিত হচ্ছে।
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: বাংলা মাসের শুরু বৈশাখ মাস, সেক্ষেত্রে ১লা বৈশাখ উজ্জাপণ হতেই পারে। আমাদের দুই ঈদ পালিত হয় আরবী মাসের চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। পূজা উজ্জাপণ হয় বাংলা মাসের তিথির উপর ভিত্তি করে। মহররম উজ্জাপিত হয় মহরম মাসে। দুই কবির জন্ম০মৃত্যু বার্ষিকীও বাংলা মাস হিসেবে করে পালন করার কোনো আপত্তি থাকতোনা- যদি ইংরেজী সন/মাস এর সাথে সমন্বয়ের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে আমজনতার বিভ্রান্তি দূর করে দিতো।
৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৩:৫৪
ককচক বলেছেন: আমরা পাঠ্যবইয়ে মুখস্ত করেছি, জাতীয় কবির মৃত্যু তারিখ ১৯৭৬ সালে ২৯ আগস্ট/ ১২ ভাদ্র ১৩৮৩। বাংলা তারিখ মনে রাখার তেমন প্রয়োজন পড়ে না, ফলে ব্যাপারটা বুঝা যায়না।
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: বিষয়টা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় ২৯ আগষ্ট মৃত্যু দিন জেনেও কেনো ২৭ আগষ্ট মৃত্যু দিবস পাওলন করছি- তখন। এই বিষয়টা ব্যাখা দেওয়া উচিত স্কুলের পাঠ্য বইয়ে।
৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৩৬
বিটপি বলেছেন: বাংলা একাডেমি হচ্ছে কতগুলো অশিক্ষিত বর্বর ছোটলোকের মদ গাঁজার আসর। তারা ভুলেই যায় যে বাংলা কেবল বাংলাদেশীদের একক সম্পত্তি নয়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ১০ কোটির উপর বাঙালি আছে - বাংলাতে তাঁদেরও হোক আছে। এরা ইচ্ছেমত ক্যালেন্ডার চেঞ্জ করে, উদ্ভট বানানে আমাদের অভ্যস্ত করার চেষ্টা করে আর বছরে একটা বই মেলা আয়োজন করে আমাদেরকে একটু চিয়ার আপ করার চেষ্টা করে। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির স্বার্থে ছোটলোকদের এই আড্ডাখানা বন্ধ করা এখন সময়ের দাবি।
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন: এই অপকর্মের মূল হোতা হচ্ছে হাজার বছরের প্রচলিত 'ঈদ' বানান "ইদ" করার মহান ভাষা বিজ্ঞানী 'বাংলা আকামমেডি'র প্রয়াত মহা পরিচালক সাহেব।
৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৫৯
বিটপি বলেছেন: ঈদ কেবল হাজার বছরের প্রচলিত বানান নয়, বানানরীতি অনুসরণ করলেও দেখা যায় দীর্ঘ স্বরের বানান দীর্ঘ ঈ দিয়েই হয়। ইংরেজী Eagle বাংলায় ঈগল; আরবী عيد বাংলায় ঈদ, আরবী إِيمَان বাংলায় ঈমান - এগুলো স্বাভাবিক বিষয়। সার্কুলার জারী করে আমাদের যারা বাংলা বানান শিখাতে চায় - এরকম গাধা মার্কা লোক দিয়ে বাংলা একাডেমি চলে কি করে বুঝলাম না। ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত ৮ই ফাল্গুন এখন হয়ে গেছে ৯ই ফাল্গুন। রবী ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস আমরা পালন করি ২২ আগস্ট, আর ভারতে করে পরেরদিন। এই তুঘলকির কোন অর্থ আছে?
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার উদাহরণ দিয়ে কয়েকটা শব্দের বানান রিতী ব্যাখ্যা করার জন্য ধন্যবাদ। রবি ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস, পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশ আর ভারতে একদিন আগে পরে পালনের ক্যাচাল সূত্র হচ্ছে বাংলা একাডেমী প্রণীত "বাংলা দিন পঞ্জিকা" এবং ইন্ডিয়ান "সনাতন পঞ্জিকা"র দিন গননার পদ্ধতির ফসল। আমরাও বাংলা একাডেমী প্রণীত "বাংলা দিন পঞ্জিকা" অনুসরণের আগে পর্যন্ত "সনাতন পঞ্জিকা" অনুসরণ করতাম- যার জন্য কোনো সমস্যা হতোনা। সমস্যা শুরু হয়েছে- বাংলা একাডেমী প্রণীত "বাংলা দিন পঞ্জিকা" অনুসারে দিন গননার পদ্ধতি অনুসরণ করার পর থেকেই।
৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:২২
রানার ব্লগ বলেছেন: পৃথিবীতে যতো গুলা আদি অকৃত্তিম ভাষা আছে তার মধ্যে বাংলা অন্যতম !! এই ভাষা নিয়ে বাংলা একাদেমির ছাতা মাতা বেকুব কিছু লোক ছেলে খ্যালা কেন করছে কে জানে এবং সাহস পায় কই থেকে তাও জানি না। নজরুলের জন্ম মৃত্যু বার্ষীকি নিয়ে এতো ঘোট পাকানর কি আছে তাও জানি না। এই সব করে তাহারা কি প্রমান করতে চায় তাহাই কৌতুহলের বিষয় !!!!
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ইহাকেই বলে পণ্ডিতি ফলানো! "সম্পাদক" নিয়ে একটা গল্প শুনেছিলামঃ একজন সম্পাদকের কাছে যেকোনো নির্ভুল লেখা দিলেও সম্পাদক সেই লেখা লাল কালির দাঁগ দিবেনই! একবার লেখায় কন ভুল না পেয়ে লেখককে বলে দেয়- "এই লেখাটাই আবার লিখে আনুন।"
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ভেজালতো বেশ গুরুতর মনে হচ্ছে।
লেখা দুইবার করে পোস্ট হয়েছে।