নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
এক বাড়িতে বাস করে ৭০০ পরিবার............
সাধারনত গ্রামের একটা বাড়িতে ৪/৫ জন থেকে সর্বচ্চ ২০/ ৩০ জন মানুষ বাস করলেও বাংলাদেশের একটি বাড়িতে ৭০০ পরিবারের প্রায় ৬০০০/৭০০০ হাজার মানুষ বসবাস করছে যুগযুগ ধরে। এই বসবাসকারী মানুষেরা এই বাড়ির ওয়ারিশ এবং পরস্পরের ঘনিষ্ট আত্মীয় স্বজন। যারা সবাই সনাতন (হিন্দু) ধর্মাবলম্বী।
বাড়িটির নাম “মেহারণ দালাল বাড়ি” এর অবস্থান চাঁদপুরের মতলব থানার নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে। আসুন জানা যাক “মেহারণ দালাল বাড়ি”র কিছূ তথ্যঃ
** - বাড়িটির দৈর্ঘ্য দেড়কিলোমিটার।
** - এই এলাকার সকল ভোটার এই একই বাড়িতে বসবাস করেন।
** - বাড়ির চারদিক ঘিরে রয়েছে ফসলি জমি। কাছাকাছি নেই অন্য কোনো বাড়ি।
** - এ বাড়িতে সুপেয় পানির জন্য রয়েছে প্রায় ৬০টি চিউবওয়েল।
** - বাড়ির মধ্যে রয়েছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং আটটি মন্দির।
** - পুরো বাড়িটি ঘিরে ১টি স্বর্ণের দোকান, ৪টি সেলুন, ২টি ফার্নিচারের দোকান, ২টি মোবাইল সার্ভিসিং দোকান এবং ৪টি মুদি দোকান।
“মেহারন দালাল বাড়ি" এই এলাকার অনেক পুরনো ঐতিহ্যবাহী বাড়ি। অনেক পরিবারের বসবাস এখানে। বাড়িটির বাসিন্দা, জমিদার ব্বংশের উত্তরাধিকার মেহারন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম দাস জানান, “কয়েক পুরুষ ধরে আমরা এ বাড়িতে বসবাস করছি। আমাদের মাঝে কোনো ঝগড়া-বিবাদ নেই। আনন্দ-উৎসব আমরা একসাথে পালন করি।”
“মেহারণ দালাল বাড়ি” মুলত একটি প্রাচীন জমিদার বাড়ি। এখনও জমিদারদের দুটি ভবন- যা কালের সাক্ষী হয়ে এখনও দাঁড়িয়ে আছে। একটির নাম 'দ্বারকাপুরি' এবং অপরটি 'আম্বিকা ভবন'। প্রথম ভবনটি নির্মাণ করা হয় ১৩৩৫ বঙ্গাব্দে এবং পরেরটি ১৩৪৪ সনে। এক সময় জমিদার পরিবারের লোকজনের বাস দিয়ে শুরু এ দালাল বাড়ির। দো’তলা দু’টি ভবনতে এখনো জমিদারের বংশধররা বসবাস করেন। বাড়ির অন্যান্য ঘরগুলো টিনের ঘর। সেখানে জমিদারদের অন্যান্য আত্মীয় স্বজন বসবাস করে। এখানে বসবাসরত বেশিরভাগ মানুষ জেলে, কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হলেও তারা সবাই জমিদার বংশের উত্তরসূরী। জমিদার বংশের পূর্ব্সূরিরা এখানে অনেক জমি দান করেছেন এবং জমিদারের আত্মীয় স্বজনগন এক সাথে এক বাড়িতে বসবাস করছেন। বংশ পরম্পরায় বাড়িটিতে বাসিন্দাদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। অপরিচিত যে কেউ এ বাড়িতে প্রবেশ করলে বের হওয়ার রাস্তাই হারিয়ে ফেলবেন।
এ ছাড়া এই ওয়ার্ডেই ২৩শ ভোটার রয়েছেন। যাদের ভোটের মাধ্যমে একজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে থাকেন। নারায়ণপুর বাজার থেকে দালালবাড়িতে আসতে প্রায় ৪ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে এখানে আসতে ২৫-৩০ মিনিট সময় লাগে।
দালালবাড়ির চারদিক ঘিরে রয়েছে ফসলি জমি- সেই জমি চাষ করে সবাই সমানুপাতিক হারে ভাগ করে নেয়। এই বাড়ির কাছাকাছি নেই অন্য কোনো বাড়ি। ফলে এই বাড়ি উপজেলার সকলের কাছে খুব পরিচিত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এখানকার মানুষ বিভিন্ন সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। বাড়িটির প্রধান প্রবেশ সড়কটিই বেহাল। বর্ষা মৌসুমে বাড়ির চারপাশ পানিতে টইটুম্বুর থাকে।
এক সময় এই দালালবাড়িতে যেতে হলে নৌকা ছিল একমাত্র ভরসা। বর্তমানে এই সড়কটি আধা পাকা রাস্তা হলেও পুরো রাস্তা ভাঙা। কোথাও কোথাও মাটি ধসে পড়েছে। শুধু তাই নয়, এত জনবহুল একটি বাড়ির জন্য নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। এ ছাড়া স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত দালালবাড়ির মানুষ।
স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ বিভিন্ন সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত দালালবাড়ির মানুষ
ব্যবসায়ী উত্তম কুমার ও শিক্ষার্থী বাধন চন্দ্র দাস বলেন, ছোট একটি বাড়িতে হাজার হাজার মানুষের বসবাস। এখানে যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই নাজুক। বর্ষার সময় পুরো বাড়ি কাদা হয়ে থাকে। তখন চলাচল করতে খুব কষ্ট হয়ে পড়ে। এ ছাড়া এখানে একটি উচ্চ বিদ্যালয় করা খুব জরুরি। এখানকার শিক্ষার্থীরা অনেক দূরে গিয়ে লেখাপড়া করতে হয়।
দালালবাড়ির বাসিন্দা একারশী ও পারবতী বলেন, নারীদের খুব কষ্ট করে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। গর্ভাবস্থায় বেশি দুশ্চিন্তা থাকে। রাস্তা খারাপ থাকার কারণে কোনো গাড়ি ভেতরে আসতে চায় না। কাছাকাছি একটি স্বাস্থ্য ক্লিনিকও নেই। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি এখানে একটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক তৈরি করে দেওয়ার জন্য।
জমিদার পরিবারের সদস্য উত্তম কুমার দাস দালাল (জমিদার) বলেন, আমাদের বংশধররা এখানে অনেক জমি দান করেছেন। এখানে একটি স্কুলও নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এটি পরিত্যক্ত ভবনে রয়েছে। নতুন করে একটি বিদ্যালয় করেছে কিন্তু ভবনের পরিসর ছোট হওয়ায় ছেলে-মেয়েরা ঠিক মতো লেখাপড়া করতে পারছে না।
চাঁদপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ মেহারন দালালবাড়ির বিষয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর সাথে বৈরী সম্পর্কের কারণে তাকে সম্প্রতি বদলী করা হয়েছে।
ছবি ও তথ্যঃ ব্যাক্তিগত যোগাযোগ, স্যোশাল মিডিয়া/ফেসবুকে রাফাত নূরের একটি পোস্ট ও বিভিন্ন নিউজ থেকে।
৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩৪
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ সহায়তা দিলে এটা আমাদের গর্বের একটা অংশ হিসেবেই টিকে থাকবে।
৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত। তবে আমার দুশ্চিন্তা- ক্ষমতাসীন ভূমি দস্যুরা কবে ঐ সম্পত্তি দখল করে নেবে.....
৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪৩
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: এখনো কি এই অবস্থা আছে
সত্যই একটা দালালবাড়ি ঐতিবাহি----দাদা
ভাল থাকবেন
৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা ভাইয়া এখনো এভাবেই আছে- যেভাবে পোস্টে লিখেছি। আমি একাধিক প্রতক্ষ্যদর্শীর সাথে কথা বলে এই পোস্ট লিখেছি। সম্প্রতি আমাদের একজন বিখ্যাত ব্লগারও মতলবের মেহারন দালাল বাড়ী ঘুরে এসেছে তার কাছেই প্রথম ঐ বাড়ী সম্পর্কে জেনেছিলাম। তারপর গুগল সার্চ করে বিস্তারিত জানতে পারলাম।
৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জুলভার্ন ভাই, ধন্যবাদ আপনার পোস্টের জন্য। একটি বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করছি। যে কোন পোস্টের তথ্যসুত্র হিসাবে 'গুগল' গ্রহনযোগ্য নয়। গুগলের মাধ্যমে আমরা হাজার হাজার রেফারেন্স খুঁজে পাই যেখান থেকে আমরা বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করি। গুগল অনেকটা পাবলিক লাইব্রেরীর মত।
ধরুন কেউ একজন একটি কবিতা পাঠ করল। এখন যদি তিনি কবিতা কোথায় পড়েছেন বা এই সংক্রান্ত কোন রেফারেন্স হিসাবে 'পাবলিক লাইব্রেরী' বলেন তাহলে সেটা আসলে সঠিক হয় না। এই ক্ষেত্রে উক্ত লেখক ও বইয়ের নাম উল্লেখ্য করে দিতে হয়।
আলোচ্য টপিকটি অনলাইনে এত হাজার হাজার পেইজ কপি করেছে যে, মূল সোর্সটি পাওয়াও কষ্টকর। এই ক্ষেত্রে আমার মনে হয় রেফারেন্স সম্পর্কে কিছুটা ব্যাখ্যা দিয়ে তারপর সোর্সগুলো উল্লেখ্য করা উচিত।
সামান্য এই কাজটি মূলত ব্লগারদের সাথে অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের পার্থক্য গড়ে দিবে।
ধন্যবাদ আবারো।
৩১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া, ইন ফিউচার এমন পোস্টে আমি বিষয়টা ক্লিয়ার করে দেবো। এই পোস্টের বিষয়বস্তু "মেহারন দালাল বাড়ি" নিয়ে কোনো উইকি নাই। তবে, "মেহারন দালাল বাড়ি" লিখে সার্চ দিলে যত সামান্য তথ্য এবং ছবি পাওয়া যায়। "এক বাড়িতে ৭০০০ পরিবারের বাস" সার্চ দিলে কিছু তথ্য পাওয়া যায়। যার জন্য একক ভাবে কোনো সূত্র উল্লেখ করতে পারছিলাম না বলেই গুগল সূত্র বলেছি। তবে আমি পোস্ট লিখেছি ব্যক্তিগত যোগাযোগ, পত্রিকার নিউজ এবং স্যোশাল মিডিয়ার তথ্যানুসন্ধান করে- সেখানে সঠিক সুত্র কি লেখা যেতো- আমি বুঝতে পারছিনা বলেই এই বিভ্রান্তি।
ব্লগের নীতিমালায় গ্রহনযোগ্য না হলে এই পোস্ট নির্দিধায় ড্রাফট করতে পারি।
ধন্যবাদ।
৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ফেসবুকে পড়েছিলাম এই ঘটনাটি
৩১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি ডিবিসি নিউজে পড়েছিলাম এবং একটা টিভি চ্যানেলে সচিত্র প্রতিবেদন দেখেছি। এই পোস্ট লেখার জন্য আরও কিছু তথ্যউপাত্ত যোগাড় করতে গুগল ঘাটাঘাটি করেও তেমন কিছু পাইনি। তারপর চাঁদপুর/মতলবের একাধিক ফেসবুক বন্ধুদের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নিজের মতো করে লিখেছি।
৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১৩
জুন বলেছেন: আমিও এই নিউজটি একটি পত্রিকায় পড়েছি। তারা সবাই জেলে সম্প্রদায়ের লোক। ভভালোবাসা বা নিরাপত্তা জনিত কারনে হয়তো তারা একসাথে বসবাস করে। এটা আমি মির্জাপুর ভারতেশ্বরী হোমসের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর অপর পাড়েও এক পুরনো জমিদার বাড়িতে দেখেছিলাম একসাথে অনেকের বসবাস। আমাকে বলেছিল আমার পরিচিতা এর প্রধান কারন নিরাপত্তা।
৩১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি ডিবিসি নিউজে পড়েছিলাম এবং একটা টিভি চ্যানেলে সচিত্র প্রতিবেদন দেখেছি। এই পোস্ট লেখার জন্য আরও কিছু তথ্যউপাত্ত যোগাড় করতে গুগল ঘাটাঘাটি করেও তেমন কিছু পাইনি। তারপর চাঁদপুর/মতলবের একাধিক ফেসবুক বন্ধুদের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নিজের মতো করে লিখেছি।
আপনি সম্ভবত মির্জাপুর মহেরা জমিদার বাড়ির কথা বলছেন। আমিও দেখেছি মহেরা জমিদার বাড়ি। টাঙ্গাইল সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে মহেড়া জমিদার বাড়ি। ঢাকা - টাংগাইল মহাসড়কে নাটিয়াপাড়া বাজার হতে আনুমানিক ৪/৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত বেশ বড় এড়িয়া জুড়ে, এখনও অনেক ভাল অবস্থায় আছে।
৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: না, ভাইয়া ড্রাফট করতে হবে না। আমি শ্রেফ আপনার মাধ্যমে সবাইকে আবারও বিষয়টি জানালাম।
দুঃখের বিষয় হচ্ছে,আপনি কষ্ট করে পোস্ট লিখবেন আবার অন্য একজন সেটা চুরি করে নিয়ে যাবে! কি মুসকিল!
৩১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি সব সময় ব্লগের নীতিমালা নিয়ে ওরিড......অন্যের ভুলের সমালোচনা করে নিজে ভুল করতে চাইনা।
৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এই বাড়ির একটি প্রতিবেদ অনেক বছর আগে কোনো একটি টিভিতে দেখেছিলাম মনে পড়ছে। ধন্যবাদ আপনাকে এটি শেয়ার করার জন্য।
৩১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা, অনেক দিন আগে আমিও প্রথম টিভিতে দেখেছিলাম "মেহারন দালাল বাড়ি" নিয়ে একটি প্রোগ্রাম। গতকাল আপনার পোস্টে আমার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আপনি যখন বললেন- "কোথাও ভুল হয়েছে.....অবিশ্বাস্য"- তখন সত্যিই আমি বিব্রত বোধ করছিলাম। শুধু মনেছিলো বাড়িটি চাঁদপুর জেলায়- তাই মনে করে কাল রাত থেকে গুগল ঘেটে ৪/৫ টা ছোট লেখা পেয়ে জোড়াতালি দিয়ে এই পোস্ট লিখলাম।
৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:১৩
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অবিশ্বাস্য কাহিনী।
৩১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: সব সম্ভবের দেশ আমার প্রিয় বাংলাদেশ।
১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
বিষয়টা আসলেই অবিশ্বাস্য। কিছুটা অতিরঞ্জনও হতে পারে। যেহেতু আমি ওখানে যাইনি তাই নিচ্ছিত হয়ে কিছু বলতে পারছি না। বেঝুন একবার ৭০০টি পরিবার মানে ৭০০টি বাড়ি! এটা সম্ভব? আমার এলাকা (উত্তর বাড্ডা তেঁতুল তলা) প্রচন্ড ঘনবসতি এলাকা। এইখানে বাড়ি আছে ১৩০টি। আর একটি গ্রামে ৭০০ বাড়ি!!!
৩১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আমরাই একমাত্র জাতি- যারা সব অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারি!
১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:২৫
ক্যাঁচাল ভাই বলেছেন:
এতো দেখছি সেই লেভেলের ক্যাঁচাল!
এমন ক্যাঁচালীয় তথ্যের জন্যে কৃতজ্ঞ
৩১ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ক্যাচাঁলের দৃষ্টিতে দেখলেতো ক্যাচাঁল মনে হবেই
১২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:০৯
মিরোরডডল বলেছেন:
আমাদের মাঝে কোনো ঝগড়া-বিবাদ নেই। আনন্দ-উৎসব আমরা একসাথে পালন করি।”
এ কথাটা সত্যি হতে পারে, আবার নাও হতে পারে ।
এতোগুলো মানুষ একসাথে থাকলে, ঝগড়া বিবাদ মাঝে মাঝে হতেই পারে, এটা অস্বাভাবিক না ।
একটা মজার গল্প শেয়ার করি, বাস্তব ঘটনা ।
আমার রিলেটিভ, বউ শাশুড়ির মাঝে অলওয়েজ একটা কম্পিটিশন হতেই থাকে ।
দুজন দুজনকে অনেক হিংসা করে ।
বিষয়টা এতোই সমালোচিত, রিলেটিভ আমরা সবাই জানি ।
তাদের যারা চেনে, সবাই জানে ।
ছেলের হয়েছে জ্বালা, একদিকে মা, একদিকে বউ ।
আরেকটি কথা, তারা অনেক অর্থবান।
একদিন আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখি টিভিতে যৌথ পরিবারের ওপর একটা প্রোগ্রাম হচ্ছে আর সেখানে সেই বউ শাশুড়ির সাক্ষাৎকার হচ্ছে ।
এ যুগেও কি সুন্দর তারা একসাথে মিলেমিশে আছে
ছেলের বউয়ের প্রশংসা করছে শাশুড়ি ।
ছেলের বউ বলছে শাশুড়ির প্রশংসা ।
ক্যামেরার সামনে দুজনের ভীষণ ভাব ।
সত্য ঘটনাতো আমরা জানি, এরা একজন আরেকজনকে সহ্য করতে পারে না ।
ইউ নো হোয়াট ?
কিছুদিন পর ছেলে বউ নিয়ে আলাদা হয়ে গেলো ।
তারপরও বউ শাশুড়ি প্রবলেম চলতেই থাকে ।
অবশেষে ডিভোর্স ।
জীবন আসলে অনেক বিচিত্র ।
বাইরে থেকে দেখে বা শুনে ভিতরের গল্পটা সবসময় বোঝা যায় না ।
থ্যাংকস জুল ভার্ন বিরল ঘটনাকে সামনে নিয়ে আসার জন্য ।
৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ঝগড়া বিবাদ মানে বড়ো রকমই কাইজ্জা-ফ্যাসাদ বুঝিয়ে থাকবে, যেভাবে নরসিংদী-ব্রাম্মনবাড়িয়ার লোকেরা তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয় নিয়ে ট্যাটা যুদ্ধে লিপ্ত হয়...., ছাত্রলীগ- আওয়ামিলীগ বন্দুক যুদ্ধে লিপ্ত হয়.... .তবে মনোমালিন্য, ছোট খাটো বিভেদ হতেই পারে।
যদি মিলেমিশে থেকেই থাকে সেটা একটা দৃষ্টান্ত বটে!
বৌ - শাশুড়ী র গল্পটা বাংগালী পরিবারের চিরায়ত বিষয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ইউটিউবে একটা বিশাল মাটির বাড়ি দেখেছি যেখানে বহু পরিবার একসাথে থাকে।
৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: নিশ্চয়ই গ্রেটার রাজশাহী অঞ্চলে?
১৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫১
আখেনাটেন বলেছেন: এই প্রথম শুনলাম....বিরাট ব্যাপার.....এ নিয়ে ভালো একটা ডকুমেন্টারি হতে পারে...
ভালো পোস্ট.....
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: অবশ্যই, এর উপর একটা ডকুমেন্টারী তৈরী করে জাতীয় আর্কাইভে সংরক্ষণ করা উচিত।
ধন্যবাদ।
১৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:২৭
পোড়া বেগুন বলেছেন:
বিনোদনের জন্য বাড়িতে একটা সিনেমা হলের দরকার আছিলো!
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: এ ব্যাপারে শো-বীজের কীর্তিমানরা বিরাট ভূমিকা রাখতে পারেন!
১৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: বাড়ির কথা আগে একদিন ফেসবুকে পড়েছিলাম । আপনার পোস্টে আরও বিস্তারিত জানা গেল । একবাড়িতে বসবাস কথাটা শুনে আসলে যেমন ভেবেছিলাম ইউটিউবে সার্চ দিয়ে দেখার পরে তেমন মনে হল না ! বড় একটা গ্রামই মনে হল । কেবল পার্থক্য হচ্ছে গ্রামের সবাই আত্মীয় । এবং ঘর গুলো একে অন্যের কাছে লাগোয়া !
তবুও বর্তমান জামানার হিসাবে এটা অনেক বড় কিছু ! এতো গুলো মানুষ এক সাথে থাকাটা বেশ চমৎকার ব্যাপার !
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: বলা যায় একগুচ্ছ গ্রাম। তবে সবকিছুই একটা বাড়ীকে কেন্দ্র করে এবং একই কম্পাউন্ডে।
ফেসবুকের লেখাটা খুঁজে পেয়েছি- লিখেছিলেন আমাদের জনপ্রিয় ব্লগার ঘুড্ডির পাইলট। ঘুড্ডির অনেক তথ্যই আমার পোস্টে উল্লেখ আছে। আসলে তথ্যগুলো সীমাবদ্ধ- সবার লেখাতেই একই তথ্য থাকবে, শুধু উপস্থাপনে ভিন্নতা।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৭
রবিন.হুড বলেছেন: অবাক করার মতো তথ্য। সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সকলের সহযোগিতা দরকার।