নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার হাত.........

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০৬

আমার হাত.........

মিশনারী স্কুলের ছাত্র ছিলাম। ক্লাস থ্রী বা ফোরে, ঠিক মনে নেই, পাদ্রী মিজ এর প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলাম- শরীরের সেরা অঙ্গ হাত। ক্লাস মিজ এবং সহপাঠী বন্ধুরা হইহই করে উঠলো! মিজ অন্য সহপাঠীদের কাছে করে জানতে চাইলেন- শরিরের সেরা অংগ কি?
মস্তিস্ক, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, চোখ এমনকি মুখ- পেটের নাম উঠে এলো।
হাতের পক্ষে কেউ নাই! যুক্তি দেখালাম, "হাতকে যা বলি তাই করে, সুতরাং হাতই সেরা।" সেদিন মিজ কিম্বা বন্ধুরা একমত নাহলেও আমার আজও বিশ্বাস- হাতের ধারে কাছে কেউ নেই।

আমার হাত নিয়ে আমার অহংকার একটু বাড়াবাড়ি পর্যায়ের। দেখতে নয়, কাজের জন্য। দেখনদারি হাত নয় বলে আমার যে কষ্ট আছে বা ছিল এমনও নয়। বরং ছোট থেকেই আমার এই সাধারণ হাতকেই আমি অসাধারণ ভাবতাম। আমাদের ছেলে বেলা পাঞ্জা লড়ার খেলাটা খুব বেশী প্রচলিত ছিলো। আমি আমার সব বন্ধুদের পাঞ্জায় হারিয়ে দিতাম!

অংকে আমি খুব দুর্বল ছিলাম। মাঝেমধ্যে কঠিন অঙ্ক পারলে হাতে চুমু খেতাম লুকিয়ে লুকিয়ে, "পেরেছিস অঙ্কটা" বলে.....মার্বেল খেলায়, ক্যারম খেলায় জিতে হাতে চুমু খেতাম হেরে যাওয়া বন্ধুদের চোখের সামনে!

কল্পনাবিলাসী আমি পড়ার ফাঁকে ফাঁকে খাতার পিছনে সহস্র অবাস্তব কল্পনা করতাম আর তাদের সত্যি করতে শুরু করলো হাত। হাবিজাবি ছবিতে আঙ্গুলগুলো মায়া জগতের মায়াজাল বুনতো আর আমি ভাসতাম, সেই রোমান্টিকতায়।

রোমান্টিকতা!
অবাস্তব?
আমার অবাস্তব জগতে স্বচ্ছন্দ বিচরণের সেই শুরু। তারপর সারাজীবন কতজনই বলেছেন, "সব মিথ্যে, তুমি মিথ্যের অলীক জগতে থাকো, কিস্যু হবে না, কিস্যু পাবে না জীবনে।"
সত্যিই জীবনে অনেক কিছুই পাইনি। অনেক কিছুই পাব না। দরকার নেই পাবার- সবাই কি সব পায়!
যাক হাত নিয়ে বলছিলাম।

একটু বড় হয়ে আমার হাত আমায় আদর করতে শুরু করলো। সে এক অদ্ভুত গোপন, আবছা ভয় আর রোমাঞ্চে ভরা। জীবনে প্রথম মনে রাখার মত রোমাঞ্চ এনেছিল হাত......।

সেই কিশোর বয়সে এই হাত বন্দুক তুলে নিয়েছিলো দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য। এই হাত বংগবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের হাত ছুঁয়েছিলো। জিয়াউর রহমানের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করলো। আমার স্কুল কলেজ এর এডজুটেন্ট থেকে এডজুটেন্ট জেনারেল, প্রিন্সিপাল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যাঞ্চেলরের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করলো।

তখনও এই হাত কবিতা লিখতে শুরু করেনি। শুরু হলো যখন ভয়ে ভয়ে প্রথমবার এক কিশোরী প্রেমিকার হাত ছুঁয়েছিলো। আমি বুঝলাম নারীর হাতের স্পর্শ ছাড়া কবিতার জন্ম হয় না। কিশোরীর হাতের স্পর্শে আমার হাত কবিতা লিখতে শুরু করলো। শুধু কবিতা লেখেনি, কতদিন কতবার এই হাত মানুষের রক্ত ছুয়েছে। মনে পড়ে ১৯৮৯ সনে ১৫ই জানুয়ারী চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ফেরার পথে টংগীর মাজুখান নামক একটা যায়গায় মুখোমুখী দুই ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৫০ যাত্রীর প্রাণহানী এবং চার শতাধিক যাত্রী আহত হবার কথা। আমিও ছিলাম সেই ট্রেনের যাত্রী। সৌভাগ্যবশত আমি লাশ হইনি বরং অসংখ্য রক্তাক্ত মানুষের সেবা শুশ্রুষা করেছে আমার হাত। ছিটকে পড়া ৫/৬ বছরের একটি রক্তাক্ত বাচ্চাকে কোলে নিয়ে খুঁজে পেয়েছিলাম ওর মৃত মায়ের লাশ। দুই হাতদিয়ে পাগলের মত বাচ্চাটির বাবার জীবন খুজছিল রক্তাক্ত মুখগুলোতে হাত বুলিয়ে।

সদ্য কৈশোর উত্তীর্ণ আমার হাত কবিতা লিখেছিলো, আমার প্রথম প্রেমিকার শরীরে। শুধু কাগজে নয়, তার পিঠ জুড়ে আমি আঁকি প্রতিস্পর্দ্ধি এক ছবি। আমার এই হাত নারীদের উপত্যকা জুড়ে লেখে কবিতার ছত্র।
এই হাত ছবি আঁকে তোমার কপালে, তোমার চোখের পাতায়, কপোলে, ঠোঁটে, থুতনিতে, বুকের গভীর গভীরতর দুঃখে।
এক অদ্ভুত ঘোরের মধ্যে আঁকা হয়ে যায় তোমায় আশ্লেষে আদরের ছবি!

আমার মুষ্টিবদ্ধ হাত শাসন করে দুঃশাসনকে, আমার আঙ্গুল গলা নামাতে বাধ্য করে অকারণ স্পর্দ্ধাকে।
আমার হাত অন্যায়কে বাধা দেয়। আমার দুই হাত সুন্দরকে হাততালি দিয়ে স্বাগত জানায়।
আমার হাত সন্তানের মাথায় হাত রেখে বলে, "ভালো মানুষ হও।"

তবে স্বীকার করতে বাঁধা নাই- হাতের সব কাজই মস্তিস্ক প্রসূত।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১২

কামাল৮০ বলেছেন: শরীরের কোন অঙ্গই কাজ করবেনা মস্তিস্ক কাজ না করলে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: জ্বি মস্তিস্কই সব কিছুর পরিচালক। কিন্তু হৃদয় উতসারিত যা কিছু সেগুলোর সাথে মস্তিস্কের গুরুত্ব কম।

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


"হাতের সব কাজই মস্তিস্ক প্রসূত।" তবে মগজই সেরা !

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৯

জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৪

অপু তানভীর বলেছেন: সত্যিই আপনার হাতই আপনার সেরা অঙ্গ !

আমার পিঠ সেরা অঙ্গ বলতে পারেন । পিঠ ঠেকিয়ে বিছানাতে শুয়ে থাকতে আমার বড় ভাল লাগে । পারলে সারাদিন শুয়ে থাকতাম! :D

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: যার যেভাবে সুবিধা! =p~

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
হাত নিয়ে দারুন একটি লিখা। আসলে যার যে অঙ্গ নাই সে বুঝে সেই অঙ্গের মর্ম।+++

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২০

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: যত সব হাতের কাজ হাত ছাড়া কি আর চলে
ভাল থাকবেন দাদা--------

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৬

জুল ভার্ন বলেছেন: হাতের কাজ হলো নির্দেশ পালন করা।

ধন্যবাদ।

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আরে বাহ!!
ভিন্ন রকম লেখা হয়েছে ভাইজান।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৮

জুল ভার্ন বলেছেন: যে যতই ভালো লিখুন- ব্লগে সিন্ডিকেট ছাড়া লাইক-কমেন্টস পাওয়া যাবেনা। আবার অনেক সেলিব্রেটি ব্লগার আছেন- তাদের মানসিক দীণতাই হচ্ছে কারোর ভালো লেখা ইগনোর করা.......

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
সিন্ডিকেট নিয়ে আপনাকেতো আগে মাথা ঘামাতে দেখি নাই!!
একটা সময় আমি মন্তব্য করতামনা বললেই চলে।
হঠাত একটি পোস্টে একজন ব্লগার বললেন- আপনি অন্যের পোস্টে মন্তব্য করেন না, এটি ঠিক না।
আমার টনক নড়লো। আমি একটু একটু করে মন্তব্য করা শুরু করলাম।
ধর্ম-তর্ক-রাজনীতি-কবিতা ইত্যাদি পোস্ট বাদ দিয়ে একটু একটু করে মন্তব্য করতে শুর করলাম। পরে যখন একটু এটু কবিতা পড়া শুরু করলাম তখন কবিতাতেও মন্তব্য করতে শুরু করঅম।
এখনো মন্তব্য করি। কে কোন সিন্ডিকেট সেটা আমি বুঝে উঠতে পারি না। তবে আমি যাদের পোস্ট মন্তব্য করি তারা মাঝে মাঝে আমার পোস্টে মন্তব্য না করলে একসময় তাদের পোস্টেও মন্তব্য করা বাদ দিতে শুরু করলাম।
আমি একাই এক সিন্ডিকেট। আমার পোস্টে মন্তব্য না করলে আমি তার পোস্টে মন্তব্য করবো না।
দুই একটি ব্যতিক্রম ছাড়া।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৭

জুল ভার্ন বলেছেন: সিন্ডিকেট নিয়ে আপনাকেতো আগে মাথা ঘামাতে দেখি নাই!! - ঠিক বলেছেন, সিন্ডিকেট নিয়ে মাথা ঘামাতাম না, এখনও ঘামাইনা-এটাই সত্য। আপনার প্রথম মন্তব্যে শুধু বাস্তবতা তুলে ধরলাম।

তবে আমি যাদের পোস্ট মন্তব্য করি তারা মাঝে মাঝে আমার পোস্টে মন্তব্য না করলে একসময় তাদের পোস্টেও মন্তব্য করা বাদ দিতে শুরু করলাম। আমার পোস্টে মন্তব্য না করলে আমি তার পোস্টে মন্তব্য করবো না।
দুই একটি ব্যতিক্রম ছাড়া।
- বেশ কয়েকজন অত্যন্ত পুরনো ব্লগার আছেন- যারা আমার পোস্ট দেখেন এবং কদাচিত মন্তব্যও করেন। কিন্তু তারাই আমার ভালো লেখা পড়ে এড়িয়ে যান। যদিও আমি সেইসব ব্লগারদের লেখায় নিয়মিত মন্তব্য করি।

আমি কারোর পোস্টে মন্তব্য করলে সেই মন্তব্যের জবাব না দিলে তার পোস্টে দ্বিতীয়বার মন্তব্য করিনা- এটা আমার স্বার্থপরতা নয়, আত্মসম্মানের বিষয়।

ধন্যবাদ।

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: বাপরে! হাত নিয়ে একহাত লিখে ফেললেন। আপনার লেখার হাত এতো সুন্দর যে আপনার শরীরের সেরা অঙ্গ আপনার হাত-ই। যদিও আমার মতে শরীরের প্রতিটি অঙ্গই অনেক গুরুত্বপূর্ন। একেক অঙ্গের এক এক রকম উপযোগীতা।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৫

জুল ভার্ন বলেছেন: শোনেন ফুয়াদের বাপ, আপ্নেরে একটা কথা কই- হাত কিন্তু শুধু মস্তিস্কের নির্দেশ পালন করে। শরীরের প্রতিটি অঙ্গই অনেক গুরুত্বপূর্ন। একেক অঙ্গের এক এক রকম উপযোগীতা। -এটাই হলো আসল কথা।

৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনার লেখা মানেই সুন্দর হতে সুন্দরতম। চমৎকার লিখেছেন এবং তার যুক্তিগুলোও জোরালোভাবে তুলে ধরেছেন । প্রতিটি অঙ্গই শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ--তার ভিতর হাত একটি। আমি যেমন মনে করি চোখ না থাকলে আমি কিভাবে এই সুন্দর পৃথিবী দেখবো !!! এটাও তো ঠিক হাত না থাকলে কি আর ঠিকভাবে কাজ করতে পারতাম !! অবশ্যই নয়--।

অনেক অনেক দোয়া রইলো|

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৯

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার লেখা মানেই সুন্দর হতে সুন্দরতম -যতদিন লিখবো এই স্বীকৃতির মর্যাদা রক্ষা করতে সচেষ্ট থাকবো।

প্রতিটি অঙ্গই শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ--তার ভিতর হাত একটি। আমি যেমন মনে করি চোখ না থাকলে আমি কিভাবে এই সুন্দর পৃথিবী দেখবো!!! এটাও তো ঠিক হাত না থাকলে কি আর ঠিকভাবে কাজ করতে পারতাম!! অবশ্যই নয়--। -এটাই হলো আসল সত্য, চিরন্তন সত্য।

দোয়া করবেন।
আপনার জন্যও শুভ কামনা।

১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুণ ! সৃজনশীল লেখা বলে একেই। নিজের অভিজ্ঞতা কে কী দারুণ নিপুণতায় আমাদের কাছে রেখে গেলেন জীবন চিত্র ।
অনেক অনেক ভালোলাগা লেখায়।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় মনিরা আপু।

১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩০

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


যে যতই ভালো লিখুন- ব্লগে সিন্ডিকেট ছাড়া লাইক-কমেন্টস পাওয়া যাবেনা।

আমরা যারা আপনার লেখায় লাইক কমেন্টস করলাম তারা কোন সিন্ডিকেট এর লোক??

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২২

জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা যারা আপনার লেখায় লাইক কমেন্টস করলাম তারা কোন সিন্ডিকেট এর লোক??

অনেস্টলী বলছি, আপনাদের মতো গুটিকতক ব্লগার/ পাঠকই আমার লেখার সমঝদার। খেয়াল করে দেখবেন, আমার পোস্টে যারা মন্তব্য করেন তারা ক্যাচালের ধার ধারে না, বরং একেবারেই নিরপেক্ষ ভাবে পাঠক হিসেবেই মন্তব্য করেন। প্রমাণ আপনি নিজেই, আমার সাথে ব্যক্তিগত ভাবে আপনার কোনো প্রকার যোগাযোগ কোনো দিন হয়নি। এমনকি আমি আপনার পোস্টে কোনো দিন মন্তব্য না করলেও আপনি প্রায়শই আমার পোস্টে মন্তব্য করে আমাকে লেখায় উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন নিরবে নিভৃতে।

ধন্যবাদ।

১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা! অমন করে কে কবে স্বীকার করেছে হাতের প্রথম রোমাঞ্চের কথা ;)

দারুন কাব্যিক উপস্থাপনায় হাতের অসামান্যতা দারুন ভাবে অনুভুত হলো।
মস্তিস্ক যতই নিয়ন্ত্রন করুক- প্রকাশ মাধ্যমতো সেই হাতই :)

বাংলা গান মনে পড়লো হাত রচনা পড়ে

এ দুটি হাত চিরদিন থাক
হয়ে মোর গয়না
ভালবাসার মণিহারের
তুলনা হয়না।

+++

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১০

জুল ভার্ন বলেছেন: ......কী গভীর মনোযোগী পাঠক.....!!!

"একজন ভালো পাঠকই একজন ভালো লেখক"- সেটা আপনার লেখা পড়েই গত ১৫ বছর যাবত প্রমাণিত হয়েছে!

১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,




চমৎকার করে এই লেখাটি আপনার মস্তিষ্কে জন্ম হলেও আপনার হাতখানিই কিন্তু তাকে আলোর মুখটি দেখিয়েছে!
আমিও কিন্তু হাতের আঙুল দিয়েই টিপেটিপে এই মন্তব্যখানি লিখেছি। শিওর, আপনিও হাত দিয়ে আপনার ল্যাপি বা ডেক্সটপ খুলে একসময় এই মন্তব্যখানি দেখবেন। :)

হাতের তো অনেক কারিশমাই বললেন কিন্তু "হাত সাফাই" জাতীয় কিছু বললেন না যে !!!! :P

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৫

জুল ভার্ন বলেছেন: প্রিয় জী এস ভাইজান, হাতের পক্ষে সব কাজই করে আংগুল। আপনার মন্তব্যের জবাব দিচ্ছি আংগুল দিয়ে...'হাত সাফাই' নেগেটিভ কাজ, তাই ওই দিক এড়িয়ে গিয়েছি..
মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।

১৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ফুটবলারদের যেমন স্বর্ণের পা আছে, আপনারও স্বর্ণের হাত থাকা দরকার।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার হাত খুব সাধারণ হাত....স্বর্নের হাত হলে লুটেরাদের খপ্পরে পরে প্রাণটাই যেতো....

১৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: ম্যারাডোনা ' হ্যান্ড অফ গড' গোল এর কথা মনে পড়ে গেল।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩২

জুল ভার্ন বলেছেন: কোথায় ম্যারাডোনা, আর কোথায় মরা গরু! =p~

১৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩০

মিরোরডডল বলেছেন:




দেখনদারি হাত, এ আবার কি?

এক অদ্ভুত ঘোরের মধ্যে আঁকা হয়ে যায় তোমায় আশ্লেষে আদরের ছবি!

বাহ !

তবে স্বীকার করতে বাঁধা নাই- হাতের সব কাজই মস্তিস্ক প্রসূত।

হুম ! এটাই সঠিক ।



০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: 'দেখানদারি'- শব্দের অর্থবহ বাক্য হলো- যাহা দেখানো গর্বের বিষয়।

ধন্যবাদ।

১৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৬

মুক্তা নীল বলেছেন:
হাত নিয়ে এতো চমৎকার বিশ্লেষণ আমি মনে হয় আগে কখনোই পড়ি নাই । আপনার লেখাটা এ নিয়ে দু'বার পড়লাম এবং খুব ভালো লাগলো , ধন্যবাদ ভাইয়া ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আজকাল ভালোকে যেখানে ভালো বলে স্বীকার করার মতো উদারতাও দেখানোর মতো মানুষের খুব অভাব, সেখানে এমন উদার মনে প্রসংশার জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।

১৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শরীর বাইরের অঙ্গগুলি আমাদের কথা শোনে। কিন্তু শরীরের ভিতরের অঙ্গগুলি আমাদের কথা মত চলে না।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৫৭

জুল ভার্ন বলেছেন: শরীরের ভেতরের অংগগুলো আমাদের কথামতো চলেনা বঅলেই তো যত্তসব রোগশোক!

১৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৬

অপ্‌সরা বলেছেন: আমারও মনে হয় আমার দুই হাত বড় মূল্যবান।

সারাদিন অবশ্য আমি তাদেরকে এক মিনিটও রেস্ট দেই না।

সারাদিন কিছু না কিছু করাই তার কান ধরে।

তবুও আমারও মনে হয় মস্তিস্ক যাই করাক হাত না থাকলে আমি কি করতাম আর মস্তিস্কের কথা শুনে!!! :||

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০১

জুল ভার্ন বলেছেন: সারাদিন যে ব্যাটা/বেটি (যদি মস্তিষ্ক পুরুষ হয় তাহলে ব্যাটা, আর মহিলা হলে বেটি) তোমার হাতদুটো ব্যতিব্যস্ত রাখে সে-ই অদৃশ্যে থেকে তোমাকে, আমাকে, আমাদের সবাইকে পরিচালনা করে।

২০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৩৪

সোহানী বলেছেন: আপনার মনে আছে কি না, আমাদের ছোটবেলায় একটা গল্প ছিল শরীরের বিভিন্ন অংশের কাজ নিয়ে। সব অংশ নিজেদের গুনগান করে আর ব্রেইনকে দোষারোপ করে বসে বসে খাওয়ার জন্য। তারপর ব্রেইনকাজ করা বন্ধ করে দেয়.............।

অনেকদিন পর গল্পটা মনে পড়লো।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৪

জুল ভার্ন বলেছেন: সেই গল্পের সূত্র ধরেই তো ক্লাসের মিজ আমাদের প্রশ্ন করেছিলেন - শরীরের সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ অংগের নাম কি?

২১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৭

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: মন্তব্য লিখসিলাম একটা,
আবার কাইটা দিলাম- সেন্সর বোর্ড আটকায়া দিতে পারে ভাইবা।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪২

জুল ভার্ন বলেছেন: নিষিদ্ধ বলেই জানার কৌতূহল বেড়ে গেলো! ফেসবুকের মতো মেসেঞ্জার ফ্যাসিলিটি থাকলে বলতাম- মেসেঞ্জারে পাঠাতে.... =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.