নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
কেমন বাংলাদেশ চাই.........
কেমন বাংলাদেশ চাই?
সেই বাংলাদেশ গড়তে কেমন জনসম্পদ চাই?
তার একটা সুপ্ত চিন্তা ভাবনা আমার মনে লালন করি। সেই চিন্তা ভাবনার আংশিক এখানে শেয়ার করছিঃ-
ভুমিকাঃ
===============
১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতার মাধ্যমে জন্ম নেওয়া তৃতীয় বিশ্বের এক দরিদ্রতম রাস্ট্র অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ইতোমধ্যে (২০১৫ সালে) lower middle income স্টেটাস পেয়ে গেছে। ইউএনডিপির সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশের LDC (least developed countries) হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে।
আপনারা জানেন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে একটা দেশকে কখন দরিদ্র, কখন নিম্ন-মধ্যবিত্ত বলা হয়।
আন্তর্জাতিক দারিদ্র সীমা (international poverty line) অনুযায়ী আপনার যদি গড়ে প্রতিদিন $1.9 অর্থাৎ আনুমানিক দৈনিক ২২৫ টাকার উপর ক্রয় সক্ষমতা (purchasing power parity exchange rate) থাকে তাহলে আপনি নিম্ন-মধ্যবিত্ত।
যেকথা বলছিলাম, ওভারঅল গ্রোথ এবং ডেভেলপমেন্ট এ বাংলাদেশের বিগত কয়েক দশকের ইমপ্রেসিভ ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে একথা সত্য, কিন্তু কোভিড পরবর্তী বৈশ্বিক বাজারের ক্রমবর্ধমান যুদ্ধ-বিগ্রহ, অর্থনীতির টালমাটাল আচরণ, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি, আমদানি রপ্তানির অনিশ্চিত যাত্রা ও প্রথাগত কর্মসংস্থানের ক্রমশ সংকোচন আমাদেরকে দাড় করিয়েছে এক নতুন বিশ্বের মুখোমুখি।
===================
কি এই নতুন বিশ্বব্যবস্থা?
===================
নতুন এই বিশ্বব্যবস্থার প্রাণ ৪র্থ শিল্পবিপ্লব যাকে ইংরেজিতে 4.0 industrial revolution বলছি।
আপনারা হয়তো জানতে চাইবেন ৪র্থ শিল্পবিপ্ল কি?
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হলো আধুনিক ও স্মার্ট তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রচলিত উৎপাদন এবং শিল্প ব্যবস্থা অটোমেশন এর একটি চলমান প্রক্রিয়া।
যাকে আমরা একটু ভিন্নভাবে ''Digital transformation of business - ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন অব বিজনেস' বলতে পারি।
==============
বিজনেস ট্রান্সফরমেশন কিভাবে হয়?
==============
কোন একটা বিজনেসের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন করতে হলে ৪টি মৌলিক এরিয়া ট্রান্সফরম করতে হয়।1. Process Transformation.
2. Business Model Transformation.
3. Domain Transformation.
4. Cultural/Organizational Transformation
একইভাবে,
রাস্ট্র বাংলাদেশকে যদি আমরা একটা গ্রুপ অব কোম্পানিজ হিসেবে বিবেচনা করি তাহলে আমাদের সচিবালয় হবে হেড অফিস, সংসদ হবে টপ ম্যানেজমেন্ট, সরকারি বেসরকারি ব্যাংক ও সকল ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান হলো একাউন্টস ডিপার্টমেন্ট।
এভাবেই চিন্তা করলে একে একে বেরিয়ে আসবে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কারিগরি প্রতিষ্ঠান এসবই এইচ-আর ডিপার্টমেন্ট।
এইচ আর ডিপার্টমেন্ট এর কাজ কি?
=====================
সুষ্ঠু মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা
=====================
সুষ্ঠু মানব সম্পদ বিভাগের কাজ হলো, উপরে উল্লেখিত সবগুলো এরিয়াতে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন। এই কাজগুলো কারা করবে?
আমি, আপনি, আমরা প্রত্যেকেই করবো।
কাজেই রাস্ট্র বাংলাদেশকে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন করতে চাইলে, আমাদের প্রত্যেকটা নাগরিকের কর্তব্য- রাস্ট্র প্রতিষ্ঠানের একেকজন কর্মচারী হিসেবে এই 'গ্রুপ অব কোম্পানিজ' এর ক্রম উন্নতির জন্যে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে প্রফেশনাল দায়িত্ব পালন করা।
=================
প্রফেশনাল হউন......
=================
কারনঃ উইদাউট বিং আ প্রফেশনাল ইউ কান্ট হেল্প দিস কান্ট্রি।
আমাদের নবীজি বলেছেন,
"আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে আদেশ দিচ্ছেন তোমরা প্রত্যেকটা কাজে পেশাদার হও।"
এছাড়াও আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারীমের সুরা মুলকের ২ নং আয়াতে ইরশাদ করেনঃ
"আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জীবন ও মৃত্যুর সৌভাগ্য দিয়েছেন এজন্যই যে, যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন, কে 'কর্ম সম্পাদনের' বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি প্রফেশনাল।"
সুরা হাশর, আয়াত নং ০২।
"তো আমরা আজকের যেই টপিকের উপর সেমিনার আয়োজন করেছি সেই ৪র্থ শিল্প বিপ্লবেরও মুল কথাই হলো, স্মার্ট এন্ড প্রফেশনাল ইউটিলাইজেশান অব বেস্ট রিসোর্সেস।"
============
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা ইন্ডাস্ট্রি 4.0 কী?
============
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জনক জার্মান অর্থনীতিবিদ ক্লাউস শোয়াব 4th industrial revolution প্রসঙ্গে এমন সব প্রযুক্তির কথা উল্লেখ করেছেন যেগুলো হার্ডওয়্যার (Hardware), সফটওয়্যার (Software) এবং বায়োলজি (Biology) ইত্যাদি রিসোর্সেসকে একসাথে নিয়ে তথা সাইবার-ফিজিক্যাল সিস্টেমস (Cyber-Physical system)-কে একত্রিত করে পারস্পরিক উৎপাদন ব্যবস্থার উপর জোর দেয়।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বৈশিষ্ট্য নিয়ে বলতে হয় যে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগটি হতে যাচ্ছে রোবোটিক্স (Robotics), কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা Artificial intelligence), ন্যানোটেকনোলজি (Nanotechnology), কোয়ান্টাম কম্পিউটিং (Quantum counting), বায়োটেকনোলজি (Biotechnology), ইন্টারনেট অফ থিংস (Internet of Things or IoT), ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্টারনেট অব থিংস (Industrial Internet of Things or IIoT), ডিসেন্ট্রালাইজড কনসেনসাস (Decentralized Consensus), পঞ্চম প্রজন্মের ওয়্যারলেস প্রযুক্তি (Fifth Generation Wireless Technology), থ্রিডি প্রিন্টিংয় (3D Printing) এবং সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় যানবাহন (Automatic Transportation) এর ক্ষেত্রে উদীয়মান প্রযুক্তির যুগান্তকারী যুগ হিসেবে চিহ্নিত হবে।
অতএব, ফাইনালি আমরা ৪র্থ শিল্প বিপ্লবকে এককথায় বলতে পারি-
খুব বেশি মানুষের সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়াই নিত্যনতুন সমস্যা চিহ্নিতকরন, সম্যসা বিশ্লেষণ, সমাধান প্রদান ও প্রতিটি ক্ষেত্রে সম্ভাব্য অটোমেশন, উন্নত যোগাযোগ এবং স্ব-পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার বাস্তবায়নে সক্ষম স্মার্ট মেশিন তৈরী করার জন্য বড়ো আকারে মেশিন-টু-মেশিন যোগাযোগ (Machine to Machine or M2M) এবং ইন্টারনেট অব থিংস (IoT) কে একত্র করার ধারণাকে চিহ্নিত করা হয়। ড্রাইভার বিহীন স্ব-চালিত গাড়ি হলো চতুর্থ বিপ্লবের একটা চমৎকার উদাহরণ।
এই যে নতুন এক বিশ্বব্যবস্থা, এটা কি কল্পনা জগতের কোন বিষয়? একদমই না। আজ থেকে ৫০ বছর আগে একমাত্র কাজী নজরুল ইসলাম ছাড়া কে কল্পনা করেছিলো আমরা ২০২২ সালে এসে হাতে হাতে বিশ্ব নিয়ে ঘুরবো?
তিনি বলেছিলেন,
"বিশ্বটাকে দেখবো মোরা
আপন হাতের মুঠোয় ভরে।"
তো আসুন অভাবনীয় এই বিশ্বব্যবস্থায় নিজেকে নিজের পরিবারকে, নিজের দেশকে এগিয়ে নিতে বিশ্বব্যবস্থার অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হয়ে উঠতে নিজেদেরকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করি।
=======
পাদটীকাঃ
একটা কথা মনে রাখবেন, আপনার পকেটে যদি টাকা থাকে তাহলে ফ্রেন্ডসার্কেল, আত্মীয়স্বজন, পরিবার, সমাজ সবখানেই আপনি দায়িত্ববান, দানশীল, সামাজিক, অতিথিপরায়ণ, পরোপকারী, ভীষণ ভালো মানুষ।
But, if you don’t have money, you are the most irresponsible person in the society.
সুতরাং সমাজকে কিছু দেয়ার আগে নিজের জন্য কিছু করুন।
Before doing something for the society, you have to do something for yourself first.
সবাইকে ধন্যবাদ।
(স্নেহভাজন ব্লগার বন্ধু মোহাম্মদ জাকারিয়া'র মোটিভেশনাল স্পীচ থেকে সংকলিত। এই পোস্টের মাধ্যমে ব্লগার জাকারিয়াকে অনুরোধ করছি, আমাদের লেখালেখির সূতিকাগার, লেখালেখির তীর্থভূমি সামু ব্লগে লেখার জন্য)
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৭
বিষাদ সময় বলেছেন: "বিজ্ঞান দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ"
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: মানুষ যন্ত্র না, মানুষ হলে আবেগ অনুভূতি থাকবেই।
৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২০
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
৪র্থ শিল্প বিপ্লব বাংলাকে স্পর্শ করতে কতবছর সময় লাগবে? আদৌ সম্ভব?
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৬
জুল ভার্ন বলেছেন: বাংলা বলে কোনো দেশ নাই, তবে ভারতীয় রাজ্য পশ্চিম বাংলা এখন বাংলা নামে স্বীকৃত।
৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২০
জিয়া চৌধুরী বলেছেন: ভাল লিখেছেন
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি লিখিনি, সামুর পুরনো ব্লগার মোহাম্মদ জাকারিয়ার লেখাটাকে আরও সংকলন করে ব্লগে শেয়ার করেছি। ধন্যবাদ।
৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩৭
কামাল৮০ বলেছেন: ভালোই লিখছিলেন।কোরান কিতাব এনেই গোলমাল করে দিলেন।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনাদের সমস্যা কোরআনে, বাইবেল গীতা হলে সমস্যা হতোনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫৯
Hutum বলেছেন: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা এসবে উন্নতি না করলে ১ম শিল্প বিপ্লবও যে নাগালে আসবে না!