নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এবং বিভূতিভূষণ......

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫৪

এবং বিভূতিভূষণ......

বিভূতিভূষণের একটা স্বপ্নের কথা তিনি নিজেই লিখে গিয়েছেন। সেই স্বপ্নটা আমি একাধিক বার দেখেছি, আগেও কয়েক বার একই স্বপ্ন দেখেছি -শুধু বিভূতিভূষণের যায়গায় নিজেকে দেখেছি। ঘটনাটা যারা ভুলে গিয়েছেন তাদের জন্য আবার মনে করিয়ে দিচ্ছিঃ-
বিহারের ঘাটশিলায় লেখক এক নির্জন জঙ্গলে ঘেরা বাড়িতে বাস করতেন। কোন একদিন সন্ধ্যায় বনের পথ ধরে আলো আধারিতে ঘরে ফেরবার পথে তিনি দেখতে পান কয়েকজন লোক জঙ্গলের পথে একটি মৃতদেহকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কৌতূহলের বশে লেখক এগিয়ে যান এবং মৃতদেহ বহনকারীদের জিজ্ঞাসা করেন- কে মারা গিয়েছে? কোন কথা না বলে মৃতদেহ বহনকারীরা মৃতদেহটি কাঁধ থেকে নামান এবং মুখের কাপড় সরিয়ে দেন। প্রচণ্ড বিস্ময় এবং ভয় নিয়ে বিভূতিভূষণ দেখতে পান- মৃতদেহটি আর কারও নয় বরং তাঁর নিজের। প্রচণ্ড ভয়ে দৌড়ে তিনি বাড়িতে চলে আসেন। এই ঘটনার কিছুদিন পড়েই লেখক অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ৫৫ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন।

পথের পাঁচালী সিনেমা দেখার বহু আগে আমি বিভূতিভূষণ এর জীবনীগ্রন্থ পড়েছি। তাই পথের পাঁচালী আমার কাছে শুধু কাশফুল, ধোঁয়া ওড়ানো ট্রেন আর অপু দূর্গা নয়। বিভূতিভূষণের হাত ধরে প্রকৃতিকে ভালোবাসতে শেখা সেই কোনকালে। মানুষকেও ভালোবাসতে শিখেছি ওঁর মতো করে। কোনও মানুষই যে নিপাট সাদা বা কালো হয়না তা তাঁর লেখা পড়েই শেখা।

পথের পাঁচালী যারা পড়েছে তাঁরা জানেন- অপু আর কেউ নয় স্বয়ং বিভূতিভূষণ। শিশুর মতো সরল সাদাসিধে লোকটা সাহিত্য জগৎ কে অনেক বেশী সমৃদ্ধ করে গিয়েছেন। প্রথম স্ত্রী গৌরী দেবী মারা যাওয়ার পর এতো মুষড়ে পড়েছিলেন যে বহুবছর প্রায় সাধকের মতো জীবন কাটিয়েছিলেন। এবং শুরু হয় পারলৌকিক চর্চা। দিনের পর দিন রাত জেগে প্ল্যানচেট করতেন। প্রচুর পড়াশোনা করতেন মৃত্যুর পরবর্তী জীবন নিয়ে। স্ত্রীর বিরহে পাগলপাড়া লোকটা সৃষ্টি করে গেছেন একটার পর একটা কালজয়ী উপন্যাস। প্রায় সমস্ত লেখাতেই কোথাও না কোথাও অলৌকিক জগতের রেফারেন্স আছে। ভূতের গল্প পড়ে এতো ভয় লাগেনি কখনো যতটা গা ছমছম করেছিলো 'আরণ্যক' উপন্যাসে টাঁরবাড়োর কথা পড়ে। নিশুতি রাতে গভীর অরন্যে আজও সেই দেবতা দাঁড়িয়ে থাকে। অরণ্যের আদি দেব ইনি, তাঁর নিয়মের এক চুল এদিক ওদিক হয়না জঙ্গলে। এই টাঁরবাড়োই হয়তো বুনিয়াপ হয়ে ফিরে আসে 'চাঁদের পাহাড়ে'। প্রকৃতির রক্ষাকর্তা, অরণ্যের রক্ষাকর্তা এরা। যাদের অভিশাপ লেগে সভ্যতার কংক্রিট ধ্বসে পড়ে জায়গায় জায়গায়।

'দেবযান' গল্পে ওঁর চোখে আমি মরণোত্তর জীবন দেখে এসছি। বিশ্বাস করেছি যে মানুষের কর্মফল তাকে বারবার ফিরিয়ে আনে মাটির কাছে। যত কলুষিতা বিহীন শুদ্ধ আত্মা তার পুনর্জন্মলাভ করার সুযোগ তত কম। পারমাণবিক কক্ষপথের মতো আত্মাও মৃত্যুর পর বিভিন্ন কক্ষস্তরে মুভমেন্ট করে। যত বিশুদ্ধ আত্মা তত উচ্চস্তরে তার স্থান। বহু আত্মা মৃত্যুর পরও জানতে পারেনা যে তার ইহলোকের সাথে সমস্ত যোগ ছিন্ন হয়েছে। বছরের পর বছর সে জীবিত কালের মতো দৈনন্দিন সব ক্রিয়াকর্মে লিপ্ত থাকে।

'দৃষ্টিপ্রদীপে' পড়ে আকাশের দিকে ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে থাকতাম। নীল আকাশের গায়ে অদৃশ্য সেই সিঁড়ি দেখা যায় যদি। কারা নাকি ওঠানামা করে। খুব মনোযোগ দিয়ে দেখলে কেউ কেউ পায় দেখতে, দুরের ওই ওদেরকে।

ফিরবো অপুর কাছে। অপু নয় অপূর্ব। পথের পাঁচালী উপন্যাসে প্রকৃতি হলো আসল নায়ক। কিন্তু অপরাজিত সবখানি অপূর্বকে ঘিরে। গ্রাম্য সারল্যমাখা শিশুবালক শহরজীবনে এসে হাঁফিয়ে ওঠে। ধোঁয়ার গন্ধমাখা,অস্বাস্থ্যকর ইস্কুল বাড়ি; ধনী পরিবারে আশ্রিতা মায়ের সাথে সিঁড়ির এককোনে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সে স্বপ্ন দেখেছে নিশ্চিন্দিপুরের। পরবর্তী কালে কলেজ জীবনেও দেখা যায় হঠাৎ পাওয়া স্বাধীনতা নিয়ে সে কি করবে বুঝে উঠতে পারেনা। সারল্য তার এখনো শিশুর মতোই। কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের পার্থিব জীবন হাজার ক্ষতবিক্ষত করলেও ভেতরটা আনকোরা অনাঘ্রাত থেকে যায়। বুকের ভেতরে যে একখানা কাকচক্ষু টলটল দিঘি আছে বাইরের হাজার ঝঞ্ঝাতুফান তাতে একফোঁটা ঢেউ ওঠাতে পারেনা। অপু এমনই একটা চরিত্র। বিভূতিভূষণও এমনই।

'কেদার রাজা' গল্পে পূর্ণিমা রাতে কুলদেবীর হেঁটে চলে বেড়ানোর কথা ভেবে গায়ে কাঁটা দেয়। বন্য একটা গা ছমছমে অলৌকিকতা ওনার সব লেখাতেই নিবিড় ভাবে মিশে আছে।

'চাঁদের পাহাড়'- শঙ্করের চাঁদের পাহাড় অভিযান কারো অজানা নয়। খাস কলকাতার তরতাজা ছেলে শঙ্কর। চাকরি সূত্রে যায় পূর্ব আফ্রিকার উগান্ডায়। পর্তুগিজ পর্যটক আলভারেজকে সঙ্গী করে হীরের খনি আবিষ্কারে মেতে ওঠে সে। বাংলা সাহিত্যে এমন অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস আর কেউ লিখতে পেরেছে বলে আমার জানা নাই। প্রত্যক্ষদর্শী না হয়েও সুদূর আফ্রিকার এমন নির্ভুল সুন্দর বর্ণনা সত্যিই আশ্চর্যজনক। এই গল্প পড়ে কেনো জানিনা রবিঠাকুরের "গুপ্তধন" এর কথা খুব মনে পড়ে।

স্বর্ণখণিতে আবদ্ধ হয়ে মৃত্যুঞ্জয়ের সেই আকুল চিৎকার
"আমি আর কিছুই চাই না- আমি এই সুরঙ্গ হইতে, অন্ধকার হইতে, গোলকধাঁধা হইতে, এই সোনার গারদ হইতে বাহির হইতে চাই। আমি আলোক চাই, আকাশ চাই, মুক্তি চাই।" শঙ্কর ও হীরের খনি থেকে খালি হাতেই বেড়িয়েছিলো। আসলে খোঁজার নেশাটাই আসল।
দুর্গমকে জয় করাই মূল উদ্দেশ্য এই গল্পের।

ওনার সমস্ত গল্পেই দেখি প্রোটাগনিস্ট বা মুখ্য চরিত্র ভীষন একা। প্রকৃতির মাঝে বা মানুষের মাঝে একলা একখানা লোক। সৃষ্টির সেই মহানাদ শুনেছে সে,জীবনানন্দের ভাষায় হাজার বছর ধরে পৃথিবীর পথ হেটেছে এই মানুষটাই। স্থবির, রিক্ত, ধূসর; মহাকালই আসল নায়ক লেখকের।।

(দুই বছর পর রি পোস্ট)

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিভূতিভূষণের জায়গায় নিজেকে দেখেছেন। শুনে একটু আশ্চর্য লাগল। ওনার সম্পর্কে এই ঘটনাটা আগে পড়েছি।

আরণ্যকে রাতের অন্ধকারে কুকুর নিয়ে একটা ভৌতিক গল্প আছে। একজন মারাও যায় ভয় পেয়ে।

চাঁদের পাহাড় উপন্যাস পড়লে মনে হয় উনি আফ্রিকা ঘুরে এসেছেন। কিন্তু তিনি কখনই আফ্রিকা যাননি।

দেবযানী উপন্যাসটা পড়তে ভালো লাগে। পুরোটাই পরলোক নিয়ে কল্পনা। এই উপন্যাসের কারণে উনি সম্ভবত কিছুটা সমালোচিত হয়েছিলেন।

ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা মজার সিনেমা আছে পরলোক নিয়ে। এটার নাম হল স্বর্গমর্ত্য। খুব মজার। লিঙ্ক দিলাম নীচে।
https://www.youtube.com/watch?v=jwBUmgUJwtE

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:২৩

জুল ভার্ন বলেছেন: বিভূতি ভূষণ এর কয়েকটা বইয়ের উপর আপনার এক লাইন করে রিভিউ চমৎকার হয়েছে!

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৭

অপ্‌সরা বলেছেন: মানুষ তো একাই ভাইয়া।

তবে একার সাথে মিশে থাকা প্রকৃতি বন বনান্ত ফুল ও ফল এই আকাশ বাতাস গৃহকোন এসব তো একান্ত সাথী।

সবাই আসলেই একা ........ কিন্তু এই পুরো বিশ্ব রয়েছে তার সাথে জীবনে এবং হয়ত মরনেও।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:২৪

জুল ভার্ন বলেছেন: বাহ অল্প কথায় কি সুন্দর উপলব্ধির প্রকাশ!

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার লিখনি।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:২৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


নিজের মৃত্যু স্বপ্নে দেখার অর্থ আমার কাছে মনে হয় নিজের ভিতরকার খারাপ প্রবৃত্তি গুলারই নাশ, যা আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই কমবেশি অবদমিত অবস্থায় অবস্থান করে।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:২৫

জুল ভার্ন বলেছেন: আসলেই কি স্বপ্নের কোনো ব্যাখ্যা আছে?

৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক সাবলীল ও আকর্ষণীয় একটা লেখা। পথের পাঁচালী উপন্যাস আর ক্লাসের পাঠ্যবইয়ের গল্প পড়া ছাড়া তার আর কোনো কিছু পড়া হয় নি। কিন্তু, আপনার এ পোস্ট পড়ে মনে হলো পুরো বিভূতিভূষণ যেন পড়ে ফেললাম। চমৎকার বর্ণনা।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:২৬

জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সোনা ভাই।

৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৫

অপু তানভীর বলেছেন: পথের প্যাঁচালি আমার প্রথম পড়া । বলা চলে বই পড়ার একদম শুরুর দিকে এই বইটা পড়া আমার । বই পড়ার সময়ে তখন কোথায় আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম সেটা বলে বোঝানো যাবে না । লেখা দিয়ে মানুষকে আছন্ন করে রাখা যায় তা আমি বিভূতিভূষণের বই পড়েই জেনেছি । চাঁদের পাহাড় পড়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে । বইটা এতো দিন চোখের আড়াল কেন রয়ে গিয়েছিল বুঝতে পারি নি । যারা আসলে বিভূতিভূষণের বই পড়ে নি তারা যে কী একটা বিস্ময়কর জগত থেকে বঞ্চিত তারা কোন দিন জানতেও পারবে না ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:২৭

জুল ভার্ন বলেছেন: অপু, প্যাচালী নয়, পাঁচালী

৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন লেখক সম্পর্কে চমৎকার একটা লেখা পড়লাম মুগ্ধ হয়ে।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:২৮

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভুয়া ভাই।

৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫৬

কামাল৮০ বলেছেন: বনগাঁর কয়েক স্টেশন পরেই বিভূতিভূষণের বাড়ী।গ্রামের মানুষ,গ্রামের পটভূমিতেই লেখা তার গল্প ও উপন্যাস।এখন আর সেই গ্রামের পরিবেশ নাই।এই প্রজন্মের কাছে তেমন একটা আবেদন নাই।
মৃত্যুর পরে যদি কোন জীবন থাকতো তবে কোন না কোন প্রমান থাকতো।এটা একটা বিশ্বাস।অনেক বিশ্বাসের মতো এটাও টিকে আছে হাজার হাজার বছর ধরে।এই বিশ্বাসের মরন ঘন্টা শুনা যায় বহু দুর হতে।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:২৯

জুল ভার্ন বলেছেন: মৃত্যুর পরে কি আছে বা নাই তা বলার সুযোগ জীবিতের নাই।

৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৪৭

কামাল৮০ বলেছেন: জীবিতের যেটা বলারই সুযোগ নাই,সেটার জন্য এতো মারা মারি কাটা কাটি কেন?ধর্মগুলো মানুষ পালনই করে মৃত্যুর পরের জীবনের জন্য।কতো রকমের ধর্ম, কতো রকমের মৃত্যুর পরের জীবন।সবগুলোই প্রমান ছাড়া দাবী।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩১

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.