নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
জীবন....
প্রখ্যাত জার্মান লেখক হারমান কার্ল হেস আক্ষেপ করে বলেছিলেন- সব কিছুর মতন নদী ফিরে আসে না'(Der Fluss kommt nicht wie alles andere zurück).
গ্রামীণ নদী যখন শহরে প্রবেশ করে, তখন নদীর চরিত্রে রূপান্তর ঘটে। মানুষের জীবনও তেমন- সময়, পরিবেশ, পরিস্থিতিতে জীবনচারিতা বদলায়।
উন্নয়নের বিজ্ঞাপনের অন্তরালে ক্রমশ ক্ষয়ে যায় আমাদের নিভৃত অনুভূতি। আমাদের অন্দরমহল জীবন প্রচারের ঢক্কানিনাদে ক্রমশ ক্লান্ত বোধ করে। নাই বা জানল কেউ তোমার আমার কথা, নি:সঙ্গ অস্তিত্ব নিয়ে বিচরণ করি কালপুরুষের মতন। পণ্য ও আত্ম-বিপণনের মধ্য দিয়ে গোপনে ধ্বংস হয়ে যায় কায়ক্লেশের লৌকিক যাপন।
অন্যায় অবিচার দেখে দেখে আমি অনুভূতিহীন একজন মানুষ। নিজেকে বিচ্ছিন্ন করার মধ্য দিয়ে গভীর গোপনে বসত করে এক অন্য আমি। যাকে বহির্জগৎ স্পর্শ করতে পারে না। জীবিত মানুষকে সব থেকে বেশি আক্রান্ত করে মৃত্যুভাবনা এবং জীবনকালের এই দুই সময় আমাদের কাছে বিস্ময়কর নিসর্গ।
রাষ্ট্রশক্তি আমাদের জনসমাজে এক চরম বিভ্রম ছাড়া কিছুই নয়। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি হত্যা করে রাষ্ট্রক্ষমতা 'গো অ্যাজ ইউ লাইক' হয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ তাই রাষ্ট্রব্যবস্থার অভ্যন্তরে ছায়া পুতুল।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:০২
কামাল৮০ বলেছেন: যে সমস্যার কোন সমাধান নাই,সেটা আসলে কোন সমস্যা না।এটা যখন আমরা বোঝতে পারবো তখন মৃত্যু কোন সমস্যাই থাকবে না আমাদের কাছে।তখন জীবিত থেকে বার বার আর মরতে হবে না।তখন একবারই মরবো আমরা।ভিতরা মরে অনেক বার সাহসী মরে একবার।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: বিচারহীনতার দেশে সৎ সাহসের কোনো মূল্য নাই।
৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এখন শুনতে পাচ্ছি চেরাগ জ্বালিয়ে চলার প্রস্তুতি নিতে বলছেন প্রধানমন্ত্রী, শুনতে পাই আগামী বছর দুর্ভিক্ষ হবে!!
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: সৎ উপার্জনের মানুষের জীবনে নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে.....
৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৫১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অন্যায় দেখে যারা নির্বিকার থাকতে পারে তাদের কোন সমস্যা নেই এই সমাজে। অন্যায় দেখে যাদের খারাপ লাগে তারাই আছে বিপদে। স্বার্থপর, আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যান কোন সমস্যা থাকবে না।
আমাদের অনেকে লৌকিক জীবন যাপনকেই বেছে নিয়েছি। এখন আমাদের অনেকের জীবনের মূল মন্ত্র হল 'কনসিউমারিজম'। আবেগ, অনুভূতিকে পুজি করছে বহুজাতিক কর্পোরেশনগুলি। আবেগ, অনুভূতি এখন একটা পণ্য।
আমরা উন্নয়নের আফিম খাচ্ছি। কিন্তু মজার ব্যাপার হল সেই আফিমও সবার কাছে পৌঁছাচ্ছে না।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: রাস্ট্র ক্ষমতায় যারা আছে এবং তাদের সহযোগীরা ছাড়া কেউ ভালো নাই....
৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: অন্যায় দেখে নির্বিকার থাকার গুণ আমাদের প্রায় সবার ভেতরেই রপ্ত করা হয়েছে । কিন্তু একবার ব্যাপার হচ্ছে এই গুণটা আমাদের ভেতরে এমন ভাবে স্থাপনের পেছনে আমাদের পরিবার দায়ি অনেকটাই । আমাদের ছোট বেলা থেকেই আমাদের পরিবারের লোকেরা ঝামেলা এড়িয়ে চলতে বলা হয় । এমন কি কোথাও অন্যায় হলেও যাতে আমরা সেখানে না যাই । এভাবেই আমরা সেলফ সেন্টার্ড হয়ে বড় হচ্ছি । তার যত সময় না আমাদেরকে সরাসরি এফেক্ট না করছে আমরা কোন বিষয় নিয়ে এতো দিন চিন্তা করে আসি নি ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: যদি চোখ কান বন্ধ করে নির্বিকার থাকতে পারতাম তাহলে ভালো থাকতে পারতাম....
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: জীবিত মানুষকে সব থেকে বেশি আক্রান্ত করে মৃত্যুভাবনা এবং জীবনকালের এই দুই সময় আমাদের কাছে বিস্ময়কর নিসর্গ। দারুন উক্তি!