নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
যদি অন্যকিছু হতো.....
যত যত বিখ্যাত বই পড়েছি সেইসব বইয়ের নাম, অনেক বইয়ের প্রধান প্রধান চরিত্রগুলো মনের ভিতর চিরস্থায়ী হয়ে গিয়েছে। বইয়ের নাম, চরিত্রের নাম কতইনা সংগত! প্রায়শই ভাবি যে, 'বনলতা' সেনের কি অন্য কোনো নাম দিতে পারতেন জীবনানন্দ দাশ? যদি মৃণালিনী গুপ্ত, অঞ্জনা মালাকর কিম্বা ইন্দ্রাণী পোদ্দার নাম হত বনলতা সেন-এর পরিবর্তে তাহলে কি ওই কবিতা এতো বিখ্যাত হতো? রবীন্দ্রনাথের সোনারতরী, সঞ্চয়িতা, শেষের কবিতার লাবন্য, সুনীলে বরুণা, মানিকের কুসুম, শীর্ষেন্দুর ললিত, টলস্টয়ের আন্না কারেনিনা, হুমায়ুন আহমেদ এর মিসির আলি, হিমু- ছাড়া অন্য কোনো নাম ভাবা যায়!
একই ভাবে অনেক গানের কলিও তেমন। যেমন, "নদীর নাম সই অঞ্জনা, নাচে তীরে খঞ্জনা...", "তোমার চন্দনা মরে গেছে....", "মনে পড়ে রুবী রায় কবিতায় তোমাকে...," কিম্বা "হ্যালো বেলা বোস..... ",- ইত্যাদি ইত্যাদি।
এক্ষেত্রে মার্কেজকে উল্লেখ করতেই হবে(আমি মার্কেজের প্রায় দশটি বই পড়েছি)। তাঁর গল্পে নায়ক বা নায়িকার নাম আসে একেবারে প্রথম বাক্যে, না হলে দ্বিতীয়টিতে।
যেমন 'অ্য ভেরি ওল্ডম্যান'... গল্পে প্রথম বাক্যেই দেখা দেয় নায়ক 'পেলায়ো'। 'ক্রনিকল অব অ্য ডেথ ফোরাটোল্ড' শুরুই হয়েছে নায়কের নাম দিয়ে 'নাদার'। 'ডেথ কনস্ট্যান্ট বেয়ন্ড লাভ'-এর নায়ক 'স্যাঞ্চেজ' আসে প্রথম বাক্যে। যেমন 'লাভ ইন দ্য টাইম অব কলেরা'য় দ্বিতীয় বাক্যে মার্কেজ নিয়ে এসেছেন 'ডা. হুভেনাল আরবিনো'কে। 'নিউজ অব অ্য কিডন্যাপিং'-এ প্রথমেই 'মারুজা পাচোঁ' আর 'বিয়াত্রিচ ভিলামিজার' এর নাম রয়েছে। এরকম আরও উদাহরণ দেওয়া যায়। যেমন ‘ওয়ান স্প্রিং আফটারনুন', 'হোয়াইল মারিয়া দে লা লুজ'...’ কিংবা ‘দ্য ফার্স্ট থিং সেনোরা প্রুডেনশিয়া লিনেরো নোটিশড’- ইত্যাদি।
মার্কেজের প্রথম বাক্যটাই অমোঘ। অন্তত তিনি তাই বলেছেন, ‘দ্য ফার্স্ট লাইন অলমোস্ট নকড মি অব দ্য বেড’। কিন্তু কথা শুধু প্রথম লাইন নিয়ে নয়, তারপর শব্দবুনন এত নিখুঁত হয় কী করে একজন লেখকের! হান্ড্রেড ইয়ার্সে ৪৪৮ পৃষ্ঠা কিংবা ক্রনিকলে ৩৪৮ পৃষ্ঠায় একটিও শিথিল বাক্য নেই। যেমন ‘ক্রনিকল-এর কথাই ধরা যাকঃ ‘হ্যাপি ফ্যামিলিজ আর অল অ্যালাইক, এভরি আনহ্যাপি ফ্যামিলি ইজ আনহ্যাপি ইন ইটস ওন ওয়ে’, জাস্টিফাই করতে করতে টলস্টয়কে লিখতে হল ৮৬৪ পৃষ্ঠা।
এতকথা লিখেছি যে কারণে তা হল এই, বাংলাভাষায় ওই একজন লেখককেই দেখতে পাই ‘যাঁর যেকোনো দেড়-দুলাইনের লেখাও আমার কাছে শিক্ষণীয় একটি বাচ্য নির্মাণ। একজন গদ্যলেখক কী করে পারেন তাঁর প্রতিটি বাক্যকেই অভূতপূর্ব ও মৌলিক করে তুলতে। তিনি জীবনানন্দ দাশ!
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩১
জুল ভার্ন বলেছেন: আমিও মনে করি, আমরা যে যেমনই লিখি- যারযার লেখায় একটা স্বকীয়তা থাকা উচিৎ। আমি নির্দিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে লিখিনা, অর্থাৎ বারোয়ারী লেখক- যখন যা মনে আসে তাই নিয়ে লিখি। তবে বায়োগ্রাফিক বিষয় নিয়ে লিখতে এবং পড়তে পছন্দ করি। আমার লেখায়ও একটা নিজস্বতা আছে....সেটা সিক্রেট।
আপনার জন্য শুভ কামনা।
২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৫৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ছোট বেলায় আমি ভাবতাম, কাকের নাম প্রথম কে কাক রাখলো? অন্য কোনো নাম কি রাখতে পারতো না?
- আমার দাদী কি করে জানতো আমার বাবা মেম্বার হবে? তার নাম কি করে ওমর মেম্বার রাখলো জন্মের পরে?
দ্বিতীটির উত্তর জানা হয়ে গেছেও প্রথমটির উত্তর আজও জানতে পারি নাই।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: অমন উদ্ভট প্রশ্ন বা চিন্তা আমাদের অনেকের মনেই আসে....আপনার মতো আমারও অনেক প্রশ্নের জবাব অজানা।
৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মত এত বই পড়ার ভাগ্য যদি আমার হত। বিভিন্ন কারণে আমি বেশী বই পড়তে পারি নাই। কিন্তু এক সময় বই পড়ার প্রতি প্রচণ্ড ঝোঁক ছিল।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: কি লাভ হয়েছে- এতো এতো বই পড়ে! জ্ঞান অর্জন করে যদি কল্যাণকর কিছু না-ই করা যায়, তাহলে সেই পড়ালেখা স্রেফ পণ্ডশ্রম!
৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:২৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: সেবা প্রকাশনীও অমর কিছু চরিত্র সৃষ্টি করেছে - তিন গোয়েন্দা, কুয়াশা, মাসুদরানা , সোহানা
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪২
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: এজন্যই তো সবাই লেখক না, কেউ কেউ লেখক !
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ভাইজান।++
০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৩২
কামাল৮০ বলেছেন: অনেক ভালো ভালো না দিয়ে অনেকে বই লিখেছে ,সেই নাম গুলো প্রসিদ্ধ হয় নাই।যেই নামগুলো সসিদ্ধ হয়েছে লেখকের গুনে।তারা যে নামই দিতেন সেটাই প্রসিদ্ধ হতো।অভাবেও ব্যাখ্যা করা যায়।কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন দিলেই কি আর প্রসিদ্ধ হয়।যেমন তলস্তয়।এটা কি কোন ভালো নাম কিন্তু কত প্রসিদ্ধ।লেখকের গুনে নাম প্রসিদ্ধ হয়,নামের গুনে না।একজন বড় লেখক চিন্তা ভাবনা করেই তার নায়িকার নাম দেন।প্রত্যেক লেখকই তার অঞ্চলের প্রচলিত নাই দেন।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: যদিও নাম নিয়েছে গল্প উপন্যাসের ভালো মন্দ নির্ভর করে না, তবুও বিষয়টা এক একজন লেখকের স্পেশালিটি....
৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৩৩
কামাল৮০ বলেছেন: নাম দিয় হবে।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: জ্বি বুঝতে পেরেছি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সাহিত্যরচয়িতাদের জন্য একটা চমৎকার পোস্ট। আমি নিজেও শিখলাম এখান থেকে অনেক কিছু। নায়কের নামের ব্যাপারে মার্কেজসের স্টাইলটা ভালো লাগলো। এটা তিনি জেনেই করতেন, নাকি নেচারালি চলে আসতো, তা অবশ্য বোঝা গেল না। তবে, আমিও কিছু কিছু সেট প্যাটার্ন এখন শুরু করবো আমার নিজের লেখালেখিতে। কিছু অলরেডি আমি ফলো করি, নতুন গুলোর কথা বললাম না, সিক্রেসি আউট হবে বলে
শুভেচ্ছা জুল ভার্ন ভাই।