নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
রম্য পোস্ট....
প্রশ্নঃ বুড়িগঙ্গা নদীর গতিপথ বর্ণনা করো...
উত্তরঃ ঢাকা শহরের দক্ষিণ এবং পশ্চিম দিক দিয়ে প্রবাহিত জোয়ারভাটা প্রভাবিত একটি নদী। প্রাচীনকালে গঙ্গা নদীর একটি প্রবাহ ধলেশ্বরীর মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়। পরবর্তীতে এই বিচ্ছিন্ন প্রবাহটি বুড়িগঙ্গা নামে অভিহিত হয়। ধীরে ধীরে এই প্রবাহটি তার গতিপথ পরিবর্তন করার ফলে একসময় গঙ্গার সঙ্গে তার যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বুড়িগঙ্গার পানি খুবই দুষিত এবং বিষাক্ত। বুড়িগঙ্গা নদীর উপর দুইটা ব্রীজ আছে। তারপরও হাজার হাজার মানুষ ডেইলি খেয়া নৌকায় পার হয়। প্রতিবার বুড়িগঙ্গা নদী পার হতে ভাড়া ৫ টাকা। এই নদীর পাড় বেশীরভাগই দখল করেছে হাজী সেলিম এমপি।
বুড়িগঙ্গা মূলত ভারতীয় গংগা নদীর একটি শাখা। মূল গংগানদীর দৈর্ঘ্য ২৫১২ কিমি, যার উৎপত্তি গংগোত্রীয় থাকে। গংগোত্রী হিমালয়ে অবস্থিত। হিমালয় একটি পর্বত। ওখানে অনেক কিছু দেখার জিনিস আছে। হিমালয় পর্বতের এভারেস্ট শৃংগ প্রথম জয় করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের নাগরিক এডমন্ড হিলারি। তিনি একদা বাংলাদেশে নিউজিল্যান্ডের রাস্ট্র দূত ছিলেন। লোকটা মারা গেছে(ইন্না-লিল্লাহ.....)!
হিমালয়ের পাদদেশে দার্জিলিং অবস্থিত। দার্জিলিং অঞ্জন দত্তের খুব প্রিয় যায়গা। তাই অঞ্জন দত্ত গীটার বাজিয়ে গেয়েছিলেন, "রঞ্জনা আমি আর আসবো না"! গীটার দুই প্রকার, হাওয়াইন গীটার ও স্প্যানিশ গীটার। স্প্যানিশ গীটার স্পেনে তৈরী হয়। স্পেনের বিখ্যাত ফুটবল ক্লাবের নাম রিয়াল মাদ্রিদ। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদে খেলেন। রোনালদোর গার্লফ্রেন্ড এর নাম জর্জিনা। ওদের তিন পূত্র সন্তান। কিন্তু এখনো ওরা বিয়াশাদী করে নাই(নাউজুবিল্লাহ)।
রোনালদো আগে ইংল্যান্ডে খেলতেন।
ইংল্যান্ডের রানীর মুকুটে যে কোহিনূর হীরা দেখতে পাওয়া যায় সেই হীরাটির মূল মালিক রাজা রণজিৎ সিং। রণজিৎ সিং হীরাটি মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরকে দিয়েছিলেন। জাহাঙ্গীরের পিতা সম্রাট আকবর। আকবরের পিতা সম্রাট বাবর। বৃটিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি সেই হীরাখান চুরি করে ইংল্যান্ড নিয়ে যায়। সেই হীরাটিই রানীর মুকুটে দেখা যায়।
সম্রাট জাহাঙ্গীর থাকতেন দিল্লি। দিল্লি যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। গংগা আর যমুনা নদী মিশে উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিম বাংলা হয়ে বাংলাদেশের মাঝ বরাবর পার হয়ে ঢাকা শহরের দক্ষিণ পশ্চিম পাশ ঘেঁষে ব্রম্মপুত্র পদ্মা মেঘনা সহ আরো একাধিক নদী পেরিয়ে বংগোপসাগরে পতিত হয়েছে। বুড়িগঙ্গা নদী নিয়ে অনেক কবিতা আছে। আমার একটা কবিতা খুবই প্রিয়। কবিতার নাম(কবির নাম মনে নাই) -
বুড়িগঙ্গার চোখে জল।
আমি মরবো মুড়ক লাগিয়ে
কবিদের গায়ে সিজ্জিনের আগুন জ্বেলে
তখন তারা দৌড়ে এসে বলবে মাগো পোড়ে যাচ্ছি আমাদের বাঁচাও
তখন কোরবানীর চামড়ার খুসবাই দিয়ে তাদের বাতাস দেব, সুপ রেধে দেব।
দুই লাখ বজ্জাত ঢাকায় বসে কবিতার চুল ছিড়চে আমার ‘ছারখাতের’ সময়।
ভুপেন হাজারিকার বিখ্যাত গান - "ও গংগা তুমি বইছো কেনো....."। সত্যিই উনি এমন একটা গান না গাইলে আজ আমাদের এতো বড়ো রচনা মুখস্থ করে লিখতে হতোনা।
(তিন বছর আগে ফেসবুকে লিখেছিলাম)
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: বুড়িগংগা এখন সত্যি সত্যিই বুড়ি হয়ে গিয়েছে!
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:০৯
রানার ব্লগ বলেছেন: বুড়িগঙ্গার দিকে তাকালে এখন আর কবিতা আসে না আসে নাক ভর্তি দুর্গন্ধ !!!
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আহ! ছেলে বেলার সেই বুড়িগংগা হাজী সেলিম গংদের জন্য এখন শীর্ণ খালে পরিনত হতে যাচ্ছে!
৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২০
রানার ব্লগ বলেছেন: বুড়িগঙ্গার মাঝখানে বিশাল এক সিমেন্ট ফ্যাক্টরি । ইহা কার সম্পত্তি কে জানে ?
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২৬
জুল ভার্ন বলেছেন: একটা হাজী সেলিমের আর একটা সেনা কল্যান সংস্থার!
৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আসলেই নদীগুলো রক্ষা করা দরকার। নদী দূষণ করা অন্যায় পাপ । এই পাপ বন্ধ হওয়া উচিৎ ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: নদী /ভূমি দখলদার সবাই ক্ষমতাসীন পাপী।
৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমি এমন কতো রচনা লিখছি, হুম।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: খুব ভালো কথা।
৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০১
শেরজা তপন বলেছেন: বাহ বেশ বেশ
মজা পেলাম!
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৩৯
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সুন্দর ভাল লাগল দাদা
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪১
প্রামানিক বলেছেন: অনেক ভালো লাগল।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামাণিক ভাই। পেশাগত কাজে আপনার এলাকায় আছি.....
৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫
পেঁংকু বঁগ বলেছেন:
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন:
১০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কোথা থেকে কোথা যাচ্চিলাম গুগল ম্যাপ দেকেও ঠাহর হচ্চিল না!
পরে মনে হলো রম্য
খুঁজে পেলাম ধম্ম
পড়লো মনে নজরুলের রম্য কাব্য-
কলা গাছে মারলাম তীর
হাটু বেয়ে রক্ত ঝড়ে চোখ গেলরে বাবা
রম্যের মাঝদিয়েও চরম সত্যে সত্যি মন খারাপ হয়ে যায়!
আর কতো আত্মঘাতি হবো আমরা!
সিজ্জিনের আগুনের ছোঁয়া না পাওয়া পর্যন্ত!!!!!!!!
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: রম্য এবং কৌতুক দিয়েই কঠিন সত্য বলা যায়.....
১১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বুড়িগঙ্গার তীরে একটা ৪ তলা বাড়ি ছিল। সেই বাড়ির ছাদে একটা চিলেকোঠা ছিল। সেই চিলেকোঠায় খোকাভাই আর নিরুপমা থাকতো। খোকাভাই আর নিরুপমা একদিন সাইকেলে চড়ে ঘুরতে বের হল। ঘুরতে ঘুরতে তারা একটা মাঠের কাছে এল। মাঠে কতগুলি গরু চরছিল। গরু একটি উপকারী প্রাণী। ইহার চারটি পা, দুইটি কান আর একটি লেজ আছে। লেজ দিয়ে গরু মশা আর মাছি তাড়ায়। মশা প্রধানত দুই প্রকার। এনফিলিস আর কিউলেক্স। পুরুষ এনফিলিস মশার স্ত্রীরা ভয়ংকর হয়ে থাকে। এই স্ত্রী মশা কামর দিলে ম্যালেরিয়া হয়। ম্যালেরিয়া একটা সংক্রামক রোগ। ম্যালেরিয়া রোগের প্রকোপে এক কালে যশোরের অনেক মানুষ ভুগত। ম্যালেরিয়া জ্বরের কারণে এরা দেরীতে ঘুম থেকে উঠত আর দুপুরের খাওয়া খেত বিকেলে। এই কারণে যশোরের মানুষ গেয়ে থাকে ' নাতি খাতি বেলা গেল শুতি পারলাম না'। যশোরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ভৈরব নদ। ভৈরব নদ পুরুষ এটা কিন্তু নদীর মত নারী না। ভারতের বিখ্যাত নদী হল গঙ্গা। কথিত আছে, গঙ্গা নদীর একটি ধারা প্রাচীনকালে ধলেশ্বরী হয়ে সোজা দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মিশেছিল। পরে গঙ্গার সেই ধারাটির গতিপথ পরিবর্তন হলে গঙ্গার সাথে তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে প্রাচীন গঙ্গা এই পথে প্রবাহিত হতো বলেই এমন নামকরণ। বুড়িগঙ্গার উপর দিয়ে দুইটা সেতু আছে। খোকাভাই আর নিরুপমা এই সেতুর উপর উঠে মাঝে মাঝে হাওয়া খায়।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার ❤️
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৫৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমরা ছোট বেলায় রচনা পড়তাম। ঢাকা বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত ................। অনেক প্রশংসা যুক্ত বাক্য ছিল কিন্তু এখন প্রশংসা করার মতো কিছু নেই।