নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
"আমার স্বপ্নে দেখা দুটি নয়ন / হারিয়ে গেল কোথায় কখন /কেউ তা জানে না।" কিম্বা
"মনে কর আমি নেই, বসন্ত এসে গেছে / কৃষ্ণচূড়ার বন্যায়, চৈতালি ভেসে গেছে।"
সত্তর দশকের এই দুটি হিট গানের শিল্পীর নাম সুমন কল্যাণপুর। জন্মসূত্রে বাঙালি না হয়েও ষাটের দশকের শেষ থেকে সত্তরের দশক যাঁর অনুপম, মিষ্টি কন্ঠ আমাদের মাতিয়ে দিত। সুমন কল্যাণপুরের দুর্ভাগ্য, তিনি এমন সময়ে গানের জগতে এসেছিলেন, যে সময় বলিউডে মঙ্গেশকর বোনদের রমরমা। তা নয়ত অত সুরেলা কন্ঠ নিয়েও তাঁকে চাপা পড়ে যেতে হয়?
সুমন কল্যাণপুরের জন্ম ১৯৩৭ সালের ২৮ জানুয়ারি বর্তমান বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গেন্ডারিয়ায়। তাঁর পিতা শংকর রাও হেমাদি বৃটিশ সরকারের পদস্ত রাজস্ব কর্মকর্তা ছিলেন ততকালীন পূর্ব বাংলার। কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোর শহরের এক বনেদি সারস্বত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম। কর্ণাটকের উদুপি জেলার কুন্দপুর তালুকের একটা গ্রাম হল হেমাদি। তাঁর পিতা ও মাতা সীমা হেমাদি ছাড়াও তাঁরা পাঁচ বোন ও এক ভাই ছিলেন। সুমন সবার বড় ছিলেন। তাঁদের পরিবার ১৯৪৩ সালে ঢাকা ছেড়ে মুম্বই চলে যান, যেখানে তিনি সংগীতের তালিম নিয়েছিলেন।
সুমন কল্যাণপুর ছবি আঁকা এবং সঙ্গীতে অনুরক্ত ছিলেন। মুম্বইয়ের বিখ্যাত কলম্বিয়া হাইস্কুলে পড়াশোনা শেষ করে তিনি ছবি আঁকার পাঠ নিতে মর্যাদাপূর্ণ জে জে স্কুল অফ আর্টসে ভর্তি হয়েছিলেন। একই সাথে পুণের প্রভাত ফিল্মের সংগীত পরিচালক ও তাদের পারিবারিক বন্ধু কেশব রাও ভোলেজির কাছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের তালিম নিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, প্রথম দিকে গান গাওয়াটা ছিল তাঁর কাছে একটা শখ, কিন্তু ক্রমে ক্রমে সঙ্গীতে তাঁর অনুরাগ বেড়ে যায়, আর এর ফলস্বরূপ তিনি পেশাদারিত্বের সাথে উস্তাদ খান আবদুল রহমান খান এবং গুরুজি মাস্টার নবরং এর কাছে সংগীত শিক্ষা আরম্ভ করেন।
অনেকেই বিশ্বাস করতেন যে, তাঁর যা প্রতিভা, তাতে তাঁর যতদূর এগোনো উচিত ছিল, ততদূর তিনি যেতে পারেননি- যদিও তাঁর অভাবনীয় সাংগীতিক বৈশিষ্ট্য, যেগুলো একজন নেপথ্য গায়িকার কাছে খুবই প্রয়োজনীয়, সেই উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের বিশদ জ্ঞান, সুরেলা কন্ঠ এবং গলার বিস্তীর্ণ পরিসীমা সবই তাঁর ছিল।
চিত্রজগতে তিনি তৎকালীন সমস্ত গায়কের সঙ্গে দ্বৈত কন্ঠে অংশ নিয়েছিলেন। কিছু স্মরণীয় গান-----
রফি সাবের সঙ্গে---আজকাল তেরে মেরে পেয়ার কি ছাড়ছি হার জাওয়ান পার"(Brahmachari )
" নআ না কারতে পেয়ার তুমহি ছে কার বাইতে", তুমছে ও হাছিনা, রআহেনা রাহে হাম",
মান্না দের সঙ্গে----না জানে কাহান হাম দে"
মুকেশ জির সঙ্গে ---মেরে পেয়ার ভি তু হ্যায়, দিল মে পেয়ার ইয়াদ কিয়া" খুব জনপ্রিয় হয়েছিল।
আজও মনে পড়ে সুমন কল্যাণপুরের গান ---
"মনে কর আমি নেই, বসন্ত এসে গেছে"।
তথ্যসূত্র:---উইকিপিডিয়া ।
ছবি:---গুগল ।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: একদা আমি খুব বেশী গান শুনতাম। আমাদের বাড়িতে গ্রামোফোন ছিলো- সেখান থেকেই সেই ছেলে বেলা গান শোনার নেশা। তারপর সময়ের বিবর্তনে- ক্যাসেট প্লেয়ার, সিডি ভিডিও আসায় আমার গান শোনায়ও পরিবর্তন এসেছে। অল্প কিছু গান গেয়েও শ্রোতাদের মনে স্থান করে নিয়েছেন এমন অনেক শিল্পী আছে- যাদের মধ্যে অন্যতম সুমন কল্যাণপুর।
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: তিনি সত্যিই ভুল সময়ে জম্মেছিলেন বলতে হয়! তার কিছু গান সত্যিই জনপ্রিয়, শুনলে মন থেকে মুছা ফেলা যায় না! এর আগে তার ব্যাপারে জেনেছিলাম একটি অনলাইন পত্রিকায়, আজ আপনার লেখায় জানতে পেলাম!
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: এতো সুন্দর সুমধুর কণ্ঠস্বর যারা শুনেছেন- তারা কখনোই শিল্পী সুমন কল্যাণপুরকে ভুতে পারবেন না।
ধন্যবাদ।
৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৩
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: অনেক শ্রদ্ধা জানাই দাদা
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন।
৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টের সাথে ইউটিউব লিংক দিলে বেশি ভালো হতো।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১৬
৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৫
অপ্সরা বলেছেন: এই গানটা আমি শুনেছি কিন্তু কার গাওয়া জানতাম না।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: এখন অবশ্য এই গান বর্তমান প্রজন্মের অনেক শিল্পীই গাইছেন।
৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আজই লেখা পড়ে জানলাম।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৫
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: তার বেশ কিছু গান শুনেছি। কিছু কিছু গান তো অনেক ফেমাস। কিন্তু তার সম্পর্কে এত কিছু জানতাম না। ভালো পোস্ট।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ। ১৯৫৫ সনের আগ পর্যন্ত আমাদের বৃহত্তর পরিবারের প্রায় সবাই গেন্ডারিয়ায় বসবাস করতেন সেই সূত্রে আমি এই শিল্পীর পরিবার সম্পর্কে অনেক আগেই জানতাম....
৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩০
অপু তানভীর বলেছেন: বড় ভুল সময়েই হয়তো জন্মেছিলো !
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমিও তাই মনে করি।
৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: লিংক দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব।
১০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উনি বাংলাদেশের এটা জানাই ছিল না। আসলে ওনার সম্পর্কে এই প্রথম জানলাম।
রফি সাবের সঙ্গে---আজকাল তেরে মেরে পেয়ার কি ছাড়ছি হার জাওয়ান পার"(Brahmachari ) এবং
" নআ না কারতে পেয়ার তুমহি ছে কার বাইতে",
এই দুইটা আমার প্রিয় গান। উনি গেয়েছেন এটা আপনার লেখা থেকে জানলাম।
খুবই সুন্দর গলা নিঃসন্দেহে। এমন গুনি একজন বাংলাদেশী শিল্পীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: সুমন কল্যাণপুরের মতো অনেক অনেক শিল্পী আছেন যারা অল্প কিছু গান গেয়েই শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছেন। তেমন কয়েক জন শিল্পীর নাম- অংসুমান রায়, শক্তি ঠাকুর, নাহিদ নাজিয়া....আমার ভালো লাগা শিল্পীদের বায়োগ্রাফি খুঁজে পড়া আমার অন্যের কৌতুহল। সর্বপরি সুমন কল্যাণপুর একদা (দেশ বিভাগের আগে)আমাদের প্রতিবেশী ছিলেন, যখন আমাদের বৃহত্তর যৌথ পরিবার গেন্ডারিয়া বসবাস করতে।
১১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৪৯
মেহবুবা বলেছেন: আমার প্রিয় শিল্পী (মেয়ে) সুমন কল্যানপুর, কি মধুর কণ্ঠ! তাঁকে নিয়ে লিখেছেন দেখে ভাল লাগল। তালাত মাহমুদ (ছেলে কণ্ঠ) আরেকজন যার জন্য মুগ্ধতা আমার অনেক।
"ব্যথা হয়ে কেন ফিরে এলো বঁধুয়া....." সুমন কল্যাণপুরের গান অনেক পছন্দের।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাই-বোনের একই পছন্দ❤️
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আমি যদিও গান শুনতে কিছুটা ভাল বাসি এবং সময় পেলেই শুনতে চেষ্টা করি বাংলা গান তবে সুমন কল্যাণপুর নাম আপনার মাধ্যমেই জানলাম।