|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 জুল ভার্ন
জুল ভার্ন
	এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
ভালোবাসার হাবিজাবি....... 
আসলে ভালোবাসার অনেক রূপ হয় ....
কোন রূপে ভালোবাসা আসলে ভালো বাসাতে পরিণত হয় তা কেবল স্বয়ং ভালোবাসাই জানে!
বসন্ত বিলাপের শেষ দৃশ্যটা মনে আছে? যেখানে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে দেখে অপর্ণা সেন জিজ্ঞেস করছে, "আপনি যান নি?" 
সৌমিত্র একগাল হেসে বলছে "আমি জানতাম তুমি আসবে"। 
ব্যাস এইটুকুতেই সমস্ত রাগ-অভিমান গলে পানি। এই যে 'আমি জানতাম'- এই যে জানার বিশ্বাসটুকুই ভালোবাসা। ছুটে আসার অপেক্ষাটুকু বড় মেদুর। কিংবা ধরুন দাদারকীর্তির শেষ দৃশ্য। বোকা-ক্যাবলা কেরিয়ারে জিরো একটা ছেলের সারল্যের, সততার মাধুর্যে মজে গেলো মহুয়ার মন। ছোঁয়া নেই। যৌন আকুতি নেই। ভালোবাসি বলাও নেই। কিন্তু এরচেয়ে চমৎকার প্রেমের দৃশ্য আর দুটো হয় না।  
আজকাল সবকিছু খুব জটিল লাগে। 
আমাদের থামা নেই। অপেক্ষা নেই। চোখে চোখে বুঝে নেওয়া নেই। আমাদের প্রেম পায়। আমাদের প্রেম ফুরিয়ে যায়। আমাদের অনেক 'অপশন'। আমাদের লাখ টাকার প্যাকেজের কেরিয়ার। আমাদের swag। আমাদের এখন কথায় কথায় '-- ছেঁড়া যায়'। আমরা অভিমানের ভাষা বুঝি না। আমরা ভালোবাসার সমর্পণ জানি না। আমরা প্রেম করি, ভালো বাসি না। আর কেউ বাসলেও তাকে অপমানে, যন্ত্রণায়, নির্মমতায়, বিশ্বাসঘাতকতায় শেষ করে দিই। এতেই মজা। নিষ্ঠুর আনন্দ!
 ৮ টি
    	৮ টি    	 +২/-০
    	+২/-০  ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২  সকাল ৮:৫৩
০৫ ই নভেম্বর, ২০২২  সকাল ৮:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: সময় ও পরিস্থিতি অনেক কিছুই বদলে দেয়।
২|  ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২  রাত ১১:২৭
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২  রাত ১১:২৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এখন ভালোবাসার চেয়ে মোহ বেশী। ভালোবাসাও কন্সিউমারিসমের শিকার। তাই বারবার বদলাতে হয়। 
দাদার কীর্তি অসংখ্য বার দেখেছি। এখনও দেখি। বেশ কয়েকটা রবীন্দ্রসঙ্গীত এই সিনেমায় সুন্দরভাবে কাহিনীর সাথে ব্যবহার করা হয়েছে। এক সময় বাবা মা সহ ভাই বোনেরা একত্রে দেখতাম। সিনেমার শেষটা খুব হৃদয়গ্রাহী। 
দাদার কীর্তির নায়িকা মহুয়া রায় চৌধুরী ব্যক্তিগত জীবনে সম্ভবত গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এই নায়িকার অভিনয়টা খুব ভালো লেগেছে। 
শোলে সিনেমার শেষ দৃশ্যটাও ভালো লাগে যখন ধরমেন্দ্র বিফল মনোরথে ট্রেনে উঠছে নায়িকাকে না পাওয়ার ব্যথা বুকে নিয়ে। কিন্তু ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ পরে দেখে হেমা মালিনি ট্রেনে বসে আছে। মুস্কুরাহাট নামে একটা হিন্দি সিনেমা আছে। এখানে শেষ দৃশ্যে নায়িকাকে ট্রেন ছাড়ার একটু পরেই নামিয়ে দেয় তার পিতৃতুল্য অমরেশ পুরি যেন প্লাটফর্মে নায়কের সাথে সে মিলতে পারে।
  ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২  সকাল ৮:৫৭
০৫ ই নভেম্বর, ২০২২  সকাল ৮:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: কর্পোরেট ভোগবাদীতা আমাদের জীবনের সংবেদনশীলতা নষ্ট করে দিয়েছে।
হ্যা মহুয়া রায় চৌধুরী পারিবারিক কলহের কারণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। 
শোলে সিনেমার সেই দৃশ্য মন কেড়ে নেয়। 
ধন্যবাদ।
৩|  ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২  রাত ৩:০৫
০৫ ই নভেম্বর, ২০২২  রাত ৩:০৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: 
- ভালোবাসার নানা রূপ আছে। প্রতিটি রূপের আবার আলাদা আলাদা রং আর চাদিহা আছে।
  ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২  সকাল ৮:৫৮
০৫ ই নভেম্বর, ২০২২  সকাল ৮:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: একটা বাক্যে চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন!
৪|  ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২  সকাল ৮:১২
০৫ ই নভেম্বর, ২০২২  সকাল ৮:১২
সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: আজকাল মানুষ ভালোবাসা ব্যাপারটা বুঝেই না। কেউ ভালোবাসলে তাকে যত পারা যায় অপমান, অবহেলা, মিথ্যে বলে একধরনের পৈশাচিক আনন্দ পায়। কারো বিশ্বাস নিয়ে খেলতে নেই, এই সহজ কথাটা মানুষ ধীরে ধীরে ভুলে যাচ্ছে।
  ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২  সকাল ৯:০০
০৫ ই নভেম্বর, ২০২২  সকাল ৯:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: একদম আমার মনের উপলব্ধি আপনার মন্তব্যে বলে দিয়েছেন।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২  রাত ৮:৪৬
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২  রাত ৮:৪৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মন থেকে উপলব্ধিটা কমে গেছে।