নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেখে এলাম তিস্তা ব্যারেজ......

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০৩

দেখে এলাম তিস্তা ব্যারেজ.....

তিস্তা সেচ প্রকল্প ২০০৮ সনে শেষ বার দেখেছিলাম। গত দেড়মাস যাবত ব্যবসায়ীক কাজে লালমনিরহাটের সৈয়দপুর এর দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরে আসা যাওয়ার মধ্যে উত্তর বংগের অনেক দর্শনীয় স্থান দেখেছি- যার মধ্যে সৈয়দপুর নিয়ে গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে লিখেছিলাম। এবারের পর্ব তিস্তা ব্যারেজ দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম আমার কোম্পানির বেলজিয়াম এবং সিংগাপুরের চার সদস্যদের নিয়ে ।

তিস্তা ব্যারেজের ছবি সবাই দেখেছেন তাই সেই ছবি দিয়ে পোস্টের কলেবর বৃদ্ধি করতে চাইনা তবলা দুটি ছবি দিচ্ছি। বাকীগুলো তিস্তার আশপাশের ছবি....

তিস্তা ব্যারেজ বিপরীত দিক থেকে-

তিস্তা ব্যারেজ বা তিস্তা সেচ প্রকল্প বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম সেচ প্রকল্প। তিস্তা নদীর উপর নির্মিত তিস্তা ব্যারেজের একপাশে আছে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলাধীন গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী গ্রাম এবং অন্য পাশে আছে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলাধীন খালিসা চাপানী ইউনিয়নের ডালিয়া নামক স্থান। রংপুর, দিনাজপুর, নিলফামারী ও বগুড়া জেলার অনাবাদী জমিতে সেচ সুবিধা প্রদানের জন্য ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন সরকার তিস্তা ব্যারেজ তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ১৯৭৯সালে এবং ক্যানেল সিস্টেমের নির্মাণ কাজ ১৯৮৪-৮৫ সালে হাতে নেয়া হয়। ব্যারেজের দৈর্ঘ্য ৬১৫ মিটার, গেট ৪৪ টি। ক্যানেল হেড রেগুলেটর ১১০ মিটার দীর্ঘ, মেইন গেট ৮ টি। সর্বমোট গেট ৫২ টি। ততকালীন রাস্ট্রপতি হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ তিস্তা সেচ প্রকল্প আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন।

তিস্তার তীরে.....
এমন সুন্দর একটা দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী না করলে সাথে ক্যামেরা বহন করে কি লাভ!


আলোকিত করছে বাংলাদেশ...


তিস্তা ব্যারেজের দুই পাশে গড়ে তোলা হয়েছে সবুজ বেষ্টনি। ব্যারেজ এলাকায় রয়েছে কয়েকটি পিকনিক স্পট। ব্যারেজের চারপাশের পরিবেশের সৌন্দর্য্য এখানে আগত দর্শনার্থীদের অন্যতম আকর্ষন। তবে মেন্টেনেন্স ভালো নয় এবং একশ্রেণীর বখাটের বখাটেপনা আড্ডাখানা সাধারণ মানুষের কাছে আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমাদের আহার যোগাড় হচ্ছে...

…………আমার দিন হলে অবসান,
আমারে ভুলিয়া যেও………

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে আমরাও তিস্তা দেখে জিলাম। ছবি গুলো তুলে ভালো করেছেন।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৯

জুল ভার্ন বলেছেন: তুমি স্বচক্ষে দেখতে পারবে....কাজ পুরোদমে শুরু হবে আগামী মাসের মাঝামাঝি। নীলফামারীতে চার বেড রুমের একটা ফ্ল্যাট ভাড়া ঠিক করেছি ডিসেম্বর থেকে। আমার দুই ইঞ্জিনিয়ার, ফোরম্যান, সুপারভাইজার থাকবে দুই রুমে। আমি এবং কনসালটেন্ট মাসে একবার যেয়ে এক সপ্তাহ থাকবো....তখন তোমাকে জানাবো।

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ছবি গুলি বেশ ভালো হয়েছে। ব্যারেজের আরো কিছু ছবি দিতে পারতেন।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৯

জুল ভার্ন বলেছেন: সত্যি বলতে, আমি ছবির চাইতে লেখায় গুরুত্ব বেশী দেই। শিশুতোষ লেখায় বেশী ছবি দিতে হয়।

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: তিস্তাতে বলে শুকনো মৌসুমে পানিই থাকে না- ব্যরেজ সেক্ষেত্রে কতটুকু উপকারে আসছে?

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: সর্বোচ্চ ২৫%!

৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২০

করুণাধারা বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো তিস্তা ব্যারেজ নিয়ে আপনার লেখা।

এই ব্যারেজ একসময় আমার জীবনের অংশ ছিল। তাই এটা কেন ফেইলর প্রজেক্ট হলো সে সম্পর্কে কিছু বলতে চাই।

১৯৭৯ সালে এটার নির্মাণ ব্যয় হিসাব করা হয়েছিল ৫০০ কোটি টাকা। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন যে ৫০০ কোটি টাকা জলে গেলেও এটার ডিজাইন আর নির্মাণ কাজ করবেন বাংলাদেশী প্রকৌশলীরা। ফলে এই বিশাল স্থাপনা সফলভাবে নির্মাণ করেন বাংলাদেশী প্রকৌশলীরা। আজকাল যেমন খিচুড়ি রান্না শিখতে বিদেশি ট্রেনিংয়ে যাওয়া অত্যাবশ্যকীয়, তখন কিন্তু কেউ ব্যারেজ নির্মাণ শিখতে বিদেশ সফরে যাননি, তারা কষ্ট করে নিজেদের মেধা প্রয়োগ করে এটি নির্মাণ করেন।

কিন্তু এই তিস্তা ব্যারেজ ব্যর্থ হলো। বাংলাদেশে এর নির্মাণ কাজ শুরু হবার কিছুদিনের মধ্যেই ভারত তিস্তার উজানে গজালডোবা বাঁধ নির্মাণ শুরু করে। ফলে আমাদের ব্যারেজ যে পানির ফ্লো পরিমাণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল, তার চাইতে বহু কম পানি আসে। অল্প পানির কারণে সিল্টেশন হয়ে বাঁধের গেটগুলো ধীরে ধীরে কার্যকারীতা হারায়। সময়ের সাথে সাথে এটা ব্যর্থ প্রজেক্ট হয়ে ওঠে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৫

জুল ভার্ন বলেছেন: জেনে ভালো লাগছে- আমাদের একজন ব্লগার তিস্তা ব্যারেজ নির্মাণ প্রকল্পে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।

তিস্তা ব্যারেজের প্রত্যাশিত ফলাফল না পাওয়ার জন্য ইন্ডিয়াই দায়ী যা আপনি সুস্পষ্ট ভাবে আপনার মন্তব্যে তুলে ধরেছেন- কিন্তু এই তিস্তা ব্যারেজ ব্যর্থ হলো। বাংলাদেশে এর নির্মাণ কাজ শুরু হবার কিছুদিনের মধ্যেই ভারত তিস্তার উজানে গজালডোবা বাঁধ নির্মাণ শুরু করে। ফলে আমাদের ব্যারেজ যে পানির ফ্লো পরিমাণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল, তার চাইতে বহু কম পানি আসে। অল্প পানির কারণে সিল্টেশন হয়ে বাঁধের গেটগুলো ধীরে ধীরে কার্যকারীতা হারায়। সময়ের সাথে সাথে এটা ব্যর্থ প্রজেক্ট হয়ে ওঠে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.