নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
"বাথরুমে পড়ে গিয়ে মারাত্মক আহত".......
"বাথরুমে পড়ে গিয়ে মারাত্মক আহত কিম্বা মৃত্যু"- এমন সংবাদ প্রায়শই আমরা পত্রপত্রিকায় পড়ি, নিজের আত্মীয়স্বজন এবং পরিচিত জনদের কাছে শুনি। যা এতোদিন পত্রিকায় পড়েছি, শুনেছি- তেমন দুর্ঘটনার শিকার আমি নিজেই হয়েছিলাম কয়েকদিন আগে ঢাকার বাইরে একটি হোটেলে। ভাগ্যিস আমার হোটেল রুম মেট তানজিম আহমেদ আমাকে দ্রুতই ধরে ফাস্ট এইড দিয়েছিলেন।
নানা কারণে মানুষ সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলতে পারে। বুকে বা মাথায় আঘাত, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, শরীরে পানিশূন্যতা বা লবণশূন্যতা, রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস, হঠাৎ রক্তচাপ হ্রাস, হৃদ্রোগ, মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহে ঘাটতি, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক, মৃগীরোগ ইত্যাদি কারণে মানুষ আচমকা জ্ঞান হারায়। ওষুধ বা অ্যালকোহলের প্রতিক্রিয়া, এমনকি খাবারের বিষক্রিয়াও হতে পারে কারণ।
একটা বেসরকারী টিভি চ্যানেলে 'আপনার ডাক্তার' নামে চিকিতসা বিষয়ক একটা অনুষ্ঠানে বাথরুমে পড়ে গিয়ে মারাত্মক আহত হওয়া নিয়ে দেশের নামকরা দুইজন চিকিতসকের একটা আলোচনা দেখলাম। দেশ সেরা দুইজন সম্মানীত চিকিতসক ছিলেন- মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাক্তার আবদুল্লাহ এবং নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এহসান মাহামুদ......
দুজন সুনামধন্য চিকিতসকের মতে 'বাথরুমে পড়ে যাওয়ার কারণগুলো' উল্লেখ করলেন- যা আমার কাছে অত্যন্ত বাস্তব সম্মত মনে হয়েছে। দুইজন বিখ্যাত চিকিতসকের মতেঃ বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই বয়স্ক লোকদের বাথরুমে পড়ে যাওয়ার সময়টা হয় রাতে কিম্বা খুব সকালে।
প্রথম কারণ- অসতর্কতা। বেশীরভাগ সময়ই আমাদের প্রস্বাবের চাপ বেশী নাহওয়া পর্যন্ত ঘুম থেকে জেগে প্রস্রাব করতে যাইনা। যখন প্রস্বাবের চাপ প্রবল হয় তখন আমরা ঘুম থেকে উঠেই বাথরুমে যাই। সাধারনত ঘুম থেকে ওঠার পর শারিরীক ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ কম থাকে। তার উপর ঘুমের জন্য কিম্বা অযু করার জন্য তাড়াহুরা থাকে।
দ্বিতীয়তঃ মানুষ যখন ঘুমায় তখন জেগে থাকা কিম্বা কর্মব্যস্ততার সময় থেকে কম অক্সিজেন গ্রহণ করে। তার উপর বন্ধ রুমের অক্সিজেন কমে যাওয়ায় শারিরীক দূর্বলাতা কাটিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগে। বেড রুম এবং বাথরুমের দড়জা বন্ধ থাকায় রুমের অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। ঘুমের ব্যঘাত হবে বলে- অনেকেই রাতে বাথরুমের লাইট না জ্বালিয়েই বাথরুমে ঢোকে। আবার অনেকেই নিদ্রাহীনতায় মানসিক যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে বাথরুমে ঢোকে। ঐ অবস্থায় বাথরুমে ঢুকে শারিরীক ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যায়। যেহেতু পানির কলের যায়গা ভেজা কিম্বা স্যাতসেতে থাকে তাই পিছলে পড়ে যায়।
এমতাবস্থায় করণীয়ঃ ঘুম থেকে উঠেই ঝটপট বাথরুমে যাওয়া যাবেনা। ঘুম থেকে জেগে কিছুক্ষণ আড়মোড়া ভেংগে কাত হয়ে দুই হাতে ভড় করে উঠে বসতে হবে। লাইট জ্বালিয়ে আস্তে আস্তে বাথরুমে যেতে হবে।
এমন অবস্থায়, সেই মুহূর্তে আপনি কী করতে পারেন?
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাক্তার আবদুল্লাহ এবং নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এহসান মাহামুদ স্যারদের কয়েকটি পরামর্শঃ
* প্রথমে রোগীর চেতনা কতটুকু আছে বোঝার চেষ্টা করুন। জোরে ডাক দিয়ে দেখুন সাড়া দেয় কি না।
* নাকের কাছে হাত দিয়ে বা বুকের ওঠানামা দেখে বোঝার চেষ্টা করুন শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে কি না।
* আক্রান্ত ব্যক্তিকে সোজা করে শুইয়ে দিন। বেশি নাড়াচড়া করবেন না বা স্থান বদলাবেন না। জ্ঞান না থাকলে একটু একদিকে কাত করে রাখুন, চিত বা উপুড় না করে। এতে মুখে জমা লালা গলায় আটকে যাবে না।
* ব্যবহৃত পোশাক ঢিলা করে দিন। পা দুটো একটু উঁচু করে দিন। মাথা পেছন দিকে কাত করে থুতনি উঁচু করে ধরুন।
* নিশ্বাস বন্ধ থাকলে মুখে মুখ লাগিয়ে জোরে বাতাস দিতে পারেন। দেখবেন বুক ওঠানামা করছে কি না। খিঁচুনি হতে থাকলে চেপে না ধরে খোলামেলা জায়গায় কাত করে শুইয়ে রাখুন।
* অচেতন ব্যক্তিকে কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না, এমনকি মুখে পানিও দেবেন না।
* ডায়াবেটিস আছে জানা থাকলে সম্ভব হলে রক্তে শর্করার মাত্রা মাপুন। অথবা না মেপেই মুখের ভেতর খানিকটা চিনি দিতে পারেন।
* রোগীর ব্লাড প্রেশার মেপে দেখা যেতে পারে। বিপি হাই হলে মাথা উঁচু করে অর্থাৎ দুটি বালিশ দিয়ে এবং বিপি লো হলে মাথা নিচের দিকে অর্থাৎ বালিশ ছাড়াই শুয়ে দিন এবং পায়ের দিক উঁচু করে দিন।
প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে স্থানান্তর করুন।
(যাহার/ যাহাদের জন্য প্রজোয্যঃ আমার এই পোস্টের শিরোনাম দেখে যারা খুশীতে আত্মহারা তারা ভেবেছিলেন- জুলভার্ন বাথরুমে পরে গিয়ে মারাত্মক আহত...তাদের জন্য আপসোস- আমি সুস্থ্য আছি, বেঁচে আছি)
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: সাওয়ার নেয়ার সময় প্রথমেই মাথায় পানি না দিয়ে সমস্ত শরীর ভিজিয়ে তারপর মাথায় পানি দেয়া উচিত- এই প্রসংগে ইসলাম ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী শাওয়ারের আগে অযু করার নিয়ম কার্যকর। জার্মানীর একজন পাকিস্তানী বংশদ্ভুত ফিজিওথেরাপিষ্ট এক সেমিনারে বলেছিলেন- “ জার্মানীতে একটি সেমিনার হয়েছে যার আলোচ্য বিষয় ছিল: “মানসিক (DEPRESSION) রোগের চিকিৎসায় আর কোন কোন উপায়ে হতে পারে।”
একজন ডাক্তার তার প্রবন্ধে বলেছেন, আমি ডিপ্রেশন (মানসিক রোগে) আক্রান্ত কতিপয় রোগীকে দৈনিক পাঁচবার মুখ ধৌত করিয়েছি। কিছুদিন পর তাদের রোগ কমে যায়। অতঃপর এইভাবে রোগীদের অপর দলকে দৈনিক পাঁচবার হাত, মুখ ও পা ধৌত করার ব্যবস্থা করেছি। এতে রোগ অনেকটা ভাল হয়ে যায়। এই ডাক্তার তার প্রবন্ধের উপসংহারে বলেছেন; “মুসলমানদের মধ্যে মানসিক রোগ কম দেখা যায়। কেননা তারা দিনে কয়েকবার হাত, মুখ ও পা ধৌত করে (অর্থাৎ অযু করে)।”
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩৯
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: মারাক্ত দুরঘটনা এই দুরঘটনা থেকে মৃত্যু হতে পারে
সুন্দর সতর্ক লেখা দাদা ভাল থাকবেন--------
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৫
শাহ আজিজ বলেছেন: ওই অনুষ্ঠান আমিও দেখেছি । শাওয়ার নেয়ার সময় আগে পা থেকে হাঁটু এবং ক্রমশ উপরে পানি লাগিয়ে তারপর মাথায় পানি দেওয়া উচিত । রাতে বিশেষ করে ভোর রাতে বিছানা না ছেড়েই ২/৩ মিনিট জেগে থেকে তারপর বিছানায় কিছুক্ষন বসে বাথরুমে যাওয়া উচিত । এসব ক্ষেত্রে হাই কমোড ব্যাবহার বা দাড়িয়ে জল বিয়োগ উত্তম , মোটেও হাঁটু গেড়ে বসবেন না । টয়লেটের দরজা লক করবেন না ।
ভাল পোস্ট তয় আপনি পড়লেন ক্যান ?? কোথায় আঘাত লেগেছিল ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাইজান, পোস্টে যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমি লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম- সেই সব পয়েন্টগুলো লিখে আমার লেখাটাকে সমৃদ্ধ করার জন্য ধন্যবাদ।
ব্যাবসায়ীক কাজে প্রায়ই আমি সৈয়দপুর যাই। এবারে ছিলাম বেশ কয়েকদিন। ওখানে যে হোটেল/রিসোর্টে ছিলাম- সেটা খুবই মানসম্পন্ন। সারা দিনের কর্মব্যস্ততার পর ডিনার করেই ঘুমিয়ে পরি। আমার রুমমেট/ ব্যবসায়ীক পার্টনার জেগে জেগে টক শো দেখছিলো। আমি এশা নামাজ আদায় না করেই ঘুমিয়েছিলাম। হঠাত উঠে অযু করার জন্য ভুল করে বেসিনের গরম পানির কল খুলে মুখে দিতেই শারিরিক ভারসাম্য হারিয়ে পরে যাই। ভাগ্যিস অনেক বড়ো বাথরুম হওয়ায় মাথায় আঁঘাত পাইনি তবে কনুই এবং হাঁটুতে আঘাত পাই। যেহেতু বাথরুমের দড়জা খোলা ছিলো তাই আমার রুমমেট দৌড়ে এসে আমাকে তুলে প্রাথমিক চিকিতসা দেয়।
৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: জন নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কিত ও সতর্কতামূলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
বিশেষ করে রাতের বেলায়ত আমি আধোঘুমে-আধো জাগরণে ওয়াসরুমে গিয়ে কতবার যে হাতে-পায়ে-মাথায় আঘাত পেয়েছি তার হিসাব নেই। হয়ত বয়সের কারনে বেঁচে গেছি তবে এখন থেকে সাবধানতার সুযোগ আছে বলে হয় । কারন, এখন ত বুড্ডা হো গিয়া ------------------------
কাজেই , সতর্ক না চিৎপাটাং এর সাথে হাড্ডি ঘটাং ঘটাং করে ভাংগার সম্ভাবনা ষোল আনা । কাজেই ---------------------
আর আপনি ভাল আছেন ,স্বাস্থ্যের দিকে সুস্থ আছেন জেনে ভাল লাগল। দোয়া রইল বাকী জীবনের সুস্থতার।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: জন নিরাপত্তার স্বার্থে শব্দের পরিবর্তে জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে প্রজোয্য।
আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন আমাদের সবাইকে হেফাযত করুন।
৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: খেয়াল করে দেখবেন- বাথরুমে চেংড়া পোলাপান পড়ে না। বয়স্ক মুরুব্বীরা বাথরুমে পা পিছলে পড়ে।
আমার দাদী বাথরুমে পড়ে হাত ভেঙ্গে ফেলেছিলেন।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: সব সমস্যা বয়স্কদের জন্যই। তোমরা যারা ইয়াং তারা যখন দাদীর মতো বয়স্কা হয়ে বাথরুমে পড়ে হাত না ভেংগে ফেলো- সেইজন্যই এই সতর্কতা মূলক পোস্ট!
৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১১
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: না ,না , মরার মত এতো বড় চিন্তা কইরা ব্রেনরে চাপ দেইনাই, তবে কিছু যে ঘটে নাই সেটাই ভালো খবর।
তবে পোস্টটা গুরুত্বপূর্ণ । এরকম হট শিরোনামে অনেকেই পোস্ট দিয়ে থাকেন।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার ব্লগ জীবনের বয়সতো সামু ব্লগের তিন ভাগের একভাগ হয়েই গিয়েছে- কাজেই অভিজ্ঞতার ঝুলিও কম নয়। অতএব, কতিপয় ব্লগারের মানসিকতাতো জানেনই- কারো কারোর বিপদ দেখে খুশী হয়!
বাথরুমে পড়ে যাওয়ার রোগটা যেহেতু একই রকম তাই পোস্টের শিরোনামও একই রকম হওয়া স্বাভাবিক।
শুভ কামনা।
৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৮
অনল চৌধুরী বলেছেন: মেঝের টাইলস বেশী পিচ্ছিল হলে বা নিয়মিত পরিস্কার না করলে মানুষ পছিলে পড়ে আহত হতে পারে।
২০২১ সালে আমার নতুন বাড়ির সব টাইলস আমি নিজে কিনেছি। বাথরুমের জন্য খসখসে টাইলস।
কিন্ত তারপরও পরপর দুইদিন পিছলে পড়েছিলাম। কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিলোনা। শেষ র্পন্ত মেঝেতে পড়িনি।
বহু বছর আগে এক নির্বাচনের দিন সাধারণ লোকদের জন্য মটরসাইকেল চালানো নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো।
বহুবছর আগে একবার এক মন্ত্রীর দলের এক নেতাকে আমার পত্রিকার পরিচয়পত্র দিয়ে তার পক্ষে বিভিন্ন নির্বাচন কেন্দ্রে ঘুরে তাকে নির্বাচনে বিজয়ী হতে সাহায্য করেছিলোম।
কিন্ত নির্বাচিত হওয়ার পর সে আমাকে আর চেনেনা !!!!
একবার জরুরী কাজে সচিবালয়ে যাওয়ার খুব দরকার হওয়ারয় তার কাছে পাস চাওয়ায় সে বলেছিলো, সচিবালয়ে যাওয়ার দরকার নাই, এসনই ফাজিল ছিলো সে।
কিছুদিন পর সে বাথরুমে পিছলে পড়ে কোমড় ভেঙ্গে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ছিলো।
আর আমি আমার পত্রিকা সম্পাদককের পরিচয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে নিজের যোগ্যতায় এক্রিডিটেশন কার্ড পাওয়ায় প্রতিদিনই সচিবালয়ে যতে পারতাম।
কিন্ত তার সেই চরম অকৃতজ্ঞতার কথা এখনো মনে পড়ে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: কিছু কিছু টাইলস(গ্লোসী) আছে যা এম্নিতেই পিচ্ছিল- যার উপর জুতা পায়ে হাটা খুবই মুসকিল! ২০০০ সনে বাজারে যখন ইটালিয়ান গ্লোসি টাইলস এলো আমি অনেক শখ করে সেই টাইলস লাগিয়েছিলাম। ব্যবহার বান্ধব নয় বলে সেই টাইলস ৩ বছরের মাথায় তুলে ফেলে উডেন টাইলস লাগিয়েছি।
আপনারা যারা সাংবাদিক, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের সুবিধা অবারিত। আমরা সাধারণ মানুষ সর্বত্রই সকল প্রকার হ্যাপার সম্মুখিন! এক শ্রেণীর মানুষ আছে- যারা সব সময় শুধু সুবিধা নেয়। সেই শ্রেণীর লোকেরাই সব সময় ভালো থাকে। তারপরও একজন কোমড় ভেংগে ঘরবন্দী হয়েছে- এটা খুবই আন কমন।
শুভ কামনা।
৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১৯
অনল চৌধুরী বলেছেন: সেই পাজী , দুর্নীতি-সন্ত্রাসের গডমাদারের শুধু কোমড়ই ভাঙ্গেনি, এজন্য তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশেও যেতে হয়েছিলো।
আমাকে অত্যন্ত জরুী প্রয়োজনে সচিবালয়ের পাস দিতে আপত্তি থাকলে ও ভাগিনা-ভাতিজাদের শত কোটি টাকা দুর্নীতি , জাল টাকার ব্যবসা এমনকি অবাধে সন্ত্রাস করতে দিতেও তার কোনো আপত্তি ছিলোনা , যেসব খবর সেইসময়ের দৈনিক পত্রিকাগুলিতে অনেকবার প্রকাশিত হয়েছে।
অথচ আমরা প্রকৃত কর্মী হয়েও হয়েছিলাম চরম অবহেলিত ও অপমাণিত।
প্রতিদিন বাথরুমের মেঝে পরিস্কার করা হলে পিছলে পড়ার সম্ভবনা ৯৯% কমে যাবে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: "যেমন কর্ম, তেমন ফল" হবে। তবে আপসোস, সব অপরাধী, সন্ত্রাসী, লুটেরাদেরই শাস্তি হয়না।
৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শোয়া থেকে হঠাৎ সরাসরি উঠে দাড়ানোও খারাপ। এটা মাথা ঘোরার একটা কারন। শোয়া অবস্থা থেকে ২/১ মিনিট বিছানায় বসে থেকে তারপরে দাড়ানো উচিত।
শিরোনাম পড়ে একটু টেনশান হলেও শেষের লাইন পড়ে হাসি চেপে রাখা কঠিন হয়ে গিয়েছে!!!
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: মন্তব্যের প্রথম অংশের সাথে একমত।
দ্বিতীয় অংশে হাসির বিষয় নয়, আমার আহত কিম্বা নিহত হওয়ার সংবাদে একাধিক পুং ব্লগার ছাড়াও অন্তত একন মং ব্লগার সস্তিতে ডুগডুগি বাজাবে....
১০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
সকলের জন্যেই ভালো একটি পোস্ট। বাথরুমে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত লাগার ঘটনাগুলিই বেশি ঘটে। একেতো বাথরুম খুব প্রশস্ত একটি জায়গা নয় তার উপরে বাথরুম ফিটিংসগুলি কঠিন পদার্থের ফলে "হেড ইনজুরি" খুব সহজেই ঘটে যায়। এবং সবাই জানেন "হেড ইনজুরি" কতটা মারাত্মক।
শেষে ব্রাকেটের মধ্যের বক্তব্য " সেইরাম" হয়েছে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাইজান, ব্রাকেট বন্দী বাক্যে যা বলেছি তা কোনো কৌতুক নয়। আমি নিশ্চিত, আমার আহত কিম্বা নিহত হওয়ার সংবাদে একাধিক পুং ব্লগার ছাড়াও অন্তত একন মং ব্লগার সস্তিতে ডুগডুগি বাজাবে....
১১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৭
শাহ আজিজ বলেছেন: যে টাইলসই লাগান না কেন রাবারের ফ্লোর ম্যাট বিছালে প্রায় নিরাপদ । এই ম্যাট ফাক ফোকড় ওয়ালা , পানি নিচ দিয়ে পাস করে যায় ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: রাবারের ম্যাট পিছলে পড়া ঠেজাবে কিন্তু পিছলে পড়ার হার অত্যন্ত কম।
১২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১২
শায়মা বলেছেন: তুমি ভালো থেকো ভাইয়া। আর যেন বাথরুমে পড়ো না। একদম সাবধানে থাকবে.....
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আমীন। আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন বোনের দোয়া কবুল করবেন।
১৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: শেষের দুটো লাইনে স্বস্তিও পেলাম, বিনোদিতও হ'লাম!
গুরুত্বপূর্ণ, সতর্কতামূলক পোস্ট। অনুসরণ করলে আচমকা অনেক বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: সত্যিই শেষের লাইন কোনো কৌতুক নয়, অমন ব্লগার আমার পিছনে লেগে আছে
১৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪২
অনল চৌধুরী বলেছেন: ‘‘আপনারা যারা সাংবাদিক, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের সুবিধা অবারিত। আমরা সাধারণ মানুষ সর্বত্রই সকল প্রকার হ্যাপার সম্মুখিন! এক শ্রেণীর মানুষ আছে- যারা সব সময় শুধু সুবিধা নেয়। সেই শ্রেণীর লোকেরাই সব সময় ভালো থাকে’’- -একজন প্রবীণ নাগরিক হিসেবে আপনি জানেন, বাংলাদেশে নীতিহীন না হলে সৎ পথে কিছু অর্জন করা তো দূরে কথা, মান-সন্মান, অর্থ-সম্পদ এমনকি প্রাণও যায়।
কারণ এটাকে অসভ্য-জংলীদের দেশ বানানো হয়েছে।
আপনার মনে থাকতে পারে, ৮০-র দশকে অন্যতম জনপ্রিয় সাপ্তাহিক সাংবাদিক পত্রিকার নাম, যেটা আমাদেরই ছিলো।
ক্রমাগত এরশাাদ বিরোধী লেখার ছাপায় সে তার বড় কর্মকর্তাদের পাঠিয়ে এরণের লেখা বন্ধ করে তার পক্ষে লেখার এবং দলে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানায়। এর বিনিময়ে কোটি কোটি টাকা, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় প্লট এবং আমদানীকৃত সর্বশেষ মডেলের গাড়ি দেয়ার প্রলোভনও ছিলো। কিন্ত সেইপত্রিকার বুদ্ধিহীণ সম্পাদক সেটা না করায় ক্ষুদ্ধ এরশাদ ১৯৮৬ সালে পত্রিকা বন্ধ করে তাকে গ্রেফতার করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে কারাদন্ড দেয়।
অথচ বড় বড় ডান-বামপন্থী নেতা-নেত্রীরাও তথাকথিত গণতান্ত্রিক আন্দোলেনের নামে মানুষকে মৃত্যুর মুখে পাঠিয়ে দিনে কুস্তি-রাতে দোস্তি নীতি অবলম্বন করে তার কাছে থেকে গাড়ি-বাড়ি, মাসে ৫০ হাজার টাকা সব নিতো।
আমি যদি আমার কলম ভাড়া দিতাম বা বিক্রি করতাম, তাহলে আমিও সাংবাদিক না্মধারী কিছু পেশাদার ভন্ড-অপরাধীর মতো শত-কোটি টাকার মালিক হতাম। কিন্ত দেশের সেবা করতে গিয়ে এখন বাড়ির অর্ধেক গেছে ডেভেলপারের কাছে।
আমার নীতিবোধ সম্পর্কে আপনি এবং অন্যরা অবগত।
২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: বাংলাদেশে নীতিহীন না হলে সৎ পথে কিছু অর্জন করা তো দূরে কথা, মান-সন্মান, অর্থ-সম্পদ এমনকি প্রাণও যায় - এই বাক্যটাই সারমর্ম!
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩৬
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অত্যন্ত প্রয়জনীয় একটা পোস্ট। সাথে আমি একটু যোগ করে দিচ্ছি, অনেকেই ঘুম থেকে জেগে হুট্ করেই বিছানা থেকে উঠে পরে যা মোটেই ঠিক না, ঘুম থেকে জেগে প্রথমে বিছানায় একটু এপাশ-ওপাশ করে গড়াগড়ি দিয়ে তারপর একপাশ হয়ে আস্তে আস্তে উঠে শয্যা ত্যাগ করা উচিত।
বাথরুমে গিয়ে সাওয়ার নেয়ার সময় প্রথমেই মাথায় পানি না দিয়ে সমস্ত শরীর ভিজিয়ে তারপর মাথায় পানি দেয়া উচিত।