নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
একাকীত্ব......
"একাকীত্ব এক জন সংবেদনশীল মানুষের দৈনন্দিন জীবনের এক বিশেষ অবস্থা, যে সময়টা একান্ত আপনার, যখন তার মনের মধ্যে হাজার রকমের জারন বিজারন ঘটে। একাকিত্বের অনুভবে একটা মানুষ সম্পূর্ণ হয়ে ওঠে...... সব ঠিক আছে, কিন্তু যৌবনের জোয়ারে একাকীত্ব অনুভব হয় না......."- ব্রেনলেস গামবাটের।
একাকীত্ব কি?
মানসিকভাবে কেউ যখন কোনো একজনকে যার সাথে তার সামাজিক সম্পর্ক বা বন্ধন আছে, যাকে সে আশা করছে, যোগাযোগ করতে চাচ্ছে ও মিশতে চাচ্ছে কিন্তু তার চাওয়ার গভীরতা অনুযায়ী সে তাকে পাচ্ছে না, তখন তার মনে যে কষ্টকর অনুভূতি হচ্ছে সেটিই একাকীত্ব। বেশ কয়েকমাস আগে ডিসকভারী চ্যানেলে একাকীত্ম বিষয়ে চমতকার একটা ডকুমেন্টারী প্রচারিত হয়েছে। আমি ডকুমেন্টারীর শুরু থেকে দেখার সুযোগ পাইনি। প্রায় তিন মাস পর কয়েকদিন আগে আবার সেই ডকুমেন্টারী পুণঃপ্রচারিত হয়। এবার সম্পুর্ণ অনুষ্ঠানটি আমাই দেখেছি। ডকুমেন্টারী মতে- "বিশ্বে একাকীত্ব ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এটাকে মহামারী বলছেন গবেষকরা ১৯৮৫ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে একাকী মানুষের সংখ্যা তিনগুণ হয়েছে, যাদের একজনও ঘনিষ্ঠ বন্ধু নেই। প্যারিসের ৫০ শতাংশ এবং স্টকহোমের ৬০ শতাংশ মানুষ একা থাকেন৷ যুক্তরাজ্যে ৭৫ এর বেশি বয়সি মানুষদের অর্ধেকই একা থাকেন৷ মাসের পর মাস ধরে তারা আত্মীয়-দের সঙ্গে কথা না বলে কাটিয়ে দেন তাঁরা। দিনে ১৫টা সিগারেট খাওয়ার মতই এক ধরণের নেশায় পরিণত হয় একা থাকা৷ গবেষকরা একাকীত্বের ধরণকে কয়েক ভাগে ভাগ করে দেখিয়েছেন এর বৈশিষ্ট্য এবং লক্ষণগুলো"- আমি সেই চার ধরণের মধ্যে শুহুমাত্র পুরুষদের একাকীত্ম নিয়ে নিজের মতো করে লিখছি। তবে এই লেখা তৈরী করার আগে আরও কিছু তথ্যের জন্য বিবিসি বাংলা এবং ডয়েচ ভেল থেকে কিছু তথ্য নিয়েছি।
(১) আপনি কেন একাকীত্ব বোধ করেন সে ব্যাপারে জানুন।
(২) এমন কিছু করুণ যাতে মনোযোগ সরে যায়।
(৩) সামাজিক সংগঠন বা সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে যোগ দিন।
(৪) জীবনকে ইতিবাচক করতে চিন্তা ভাবনায় পরিবর্তন আনুন।
(৫) সব শ্রেণীর লোকের সাথে কথোপকথন শুরু করুন।
(৬) আপনার অনুভূতি সম্পর্কে বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সাথে কথা বলুন।
(৭) মানুষের ইতিবাচক দিকটি দেখার চেষ্টা করুন।
(৮) ভালো সময়ের জন্য অপেক্ষা করুন।
আমরা জানি যে একাকীত্বের এই অনুভূতি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অস্থায়ী, তাই এটি কিছু মানুষের ক্ষেত্রে হয়তো কাজ করবে। তবে যারা দীর্ঘস্থায়ী একাকীত্বে ভুগছেন তাদের জন্য হয়তো অন্য কোন সমাধান কার্যকর হতে পারে। যারা একাকীত্বে ভুগছেন তাদের বেশিরভাগই জানিয়েছেন যে একাকীত্বের এই অনুভূতি সময়ের সাথে চলে যায়। তাই সে পর্যন্ত অপেক্ষা করা তাদের ক্ষেত্রে কাজে দিয়েছে। একাকীত্বের অনুভূতি সময়ের সাথে অদৃশ্য হয়ে যায়। প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় কাটিয়ে উঠুন
মানুষকে আপনার সাথে কোন কাজ করতে বলা, বা সাহায্য চাওয়া ভাল অভ্যাস।
প্রত্যেকেই এটা ভাবতে চান যে তাদের মতো হয়তো অন্যরাও কোন কাজের প্রতি সাড়া পেলে খুশি হয়। কিন্তু তাদের থেকে কখনও কখনও উত্তর "না" আসতে পারে। আপনাকে এই "না" শোনার ভয় কাটিয়ে উঠতে হবে। কেউ যদি বলেন যে সেদিন তিনি ব্যস্ত আছেন, তাহলে আসলেই হয়তো তিনি ব্যস্ত আছেন। তাই হুট করে এটা ভেবে বসবেন না যে তারা আপনাকে এড়িয়ে চলছেন। অন্যের "না"-কে স্বাভাবিকভাবে নিন।
পুরুষের একাকীত্ব বড় বিস্ময়কর!
পঞ্চমী কিংবা দ্বাদশীর চাঁদের স্নিগ্ধ মাধুর্য হৃদয়কে স্পর্শ করে গেলেও হৃদয় তবুও এক পার্থিব স্পর্শের প্রত্যাশাতে হাহাকার করে। বা বসন্তের স্মিত আগুন স্পর্শে যখন জীবজগত উষ্ণ হয়, একাকিত্ব তখন পুরুষকে বিদ্ধ অন্তরে ভিতরে।
মহার্ঘ্য সুরার পানপাত্র হাতে নিয়ে, বারাঙ্গনার স্তন বিভাজিকায় মুখ লুকিয়ে যে জ্বালা পুরুষ ভুলতে পারেনা সেটাই একাকীত্ব।
যৌনতা হয়ত শরীরকে সাময়িক প্রশান্তিদেয় কিন্তু পিতৃত্বের দম্ভ পুরুষকে প্রশান্তিদেয়। হাজার ভিড়ের মাঝে যখন মন নিজের নিকেতনে ফেরবার তাড়না অনুভব করেনা সেটাই একাকীত্ব।
প্রতিটি মানুষের একাকীত্বের কারণ আলাদা। কেউ হয়তো শারীরিকভাবে নিজেকে বিচ্ছিন্ন মনে করেন, আবার কেউ হয়তো শিকার হয়েছেন বৈষম্যের, কারও পক্ষে অন্যকে বিশ্বাস করা কঠিন, আবার অনেকেই জানেন না নিজের মন মানসিকতার সঙ্গে মিল আছে এমন মানুষ কোথায় পাবেন। একাকীত্ব থেকে বেরিয়ে আসার সমাধান বের করার সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হল, কেন একাকীত্ব অনুভব করছেন সেটা আগে জানা। এক্ষেত্রে আপনার সমাধান যদি কাজ না করে তাহলে অন্য কিছু চেষ্টা করুন।
যৌবনের জোয়ারে একাকীত্ব অনুভব হয়না, নারী শরীর উপর বিজয় গরবে মদমত্ত হস্তির ন্যায় জীবন এগিয়ে যায়। কিন্তু যৌবনের জোয়ারের শেষে যে ভাটিরটানের স্রোত জীবন নদীতে আসে সেখানে একাকীত্ব আসে নিঃসঙ্গতা নিয়ে। হতাশা, গভীর হতাশার চোরা স্রোতে ডুবতে ডুবতে পুরুষ অতীতের অপরাধ, অন্যায়, বিশ্বাসঘাতকতা হিসাব মেলাতে পারেনা, খালি পরে থাকে পুরুষের নিবিড় একাকীত্ব।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন:
বেশীর ভাগ মানুষ জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে একা বোধ করেন। এটি এক ধরনের অনুভূতি। নানা ধরনের পারিপার্শ্বিক কারণে একজন মানুষের জীবনে একাকীত্ব, নিঃসঙ্গতা জেঁকে বসে। জীবনের বিভিন্ন পট পরিবর্তনে আমরা একাকী বোধ করি।
২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩১
অপু তানভীর বলেছেন: আমার সমস্যা হচ্ছে আমি একদম ছোট বেলা থেকেই একা থেকে অভ্যস্ত । যে সময় ছোট ছেলে মেয়েরা অন্য সবার সাথে খেলাধুলা করে কাটিয়েছে আমি তখন দুরে দাড়িয়ে থেকেছি । একটু বড় মানে হাই স্কুলে উঠে খেলাধুলা ক্রিকেট ফুটবল ব্যাডমিন্টন খেলেছি গ্রাম এবং স্কুলের বন্ধুদের সাথে । তবে সেটা নিয়ম করে । দিনের বেশির ভাগ সময়েই আমি নিজের ঘরে থাকতে অভ্যস্ত । কাজ ছাড়া বাইরে বের না হওয়া, মানুষের আড্ডা এড়িয়ে চলা, অবসর বই পড়ে কাটানো । ঢাকায় আসার পরে সেটা আরও বেড়েছে । আমি যত মানুষের সাথে মিশেছি আমার আসলে ততই নিজের সঙ্গকে মিস করেছি । মনে হয়েছে মানুষের সাথে মেশার থেকে আমি বরং নিজের সাথেই সময় কাটাই । সেটাই আমার জন্য ভাল । তবে অল্প কিছু বন্ধু রয়েছে যাদের সাথে সময় কাটে ভাল । তবে সেটা অবশ্যই প্রতিদিন না । নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে দেখা সাক্ষাত হয় !
জানি না বয়স কালে আমার কী হবে !
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: স্থান কাল বাদ দিয়ে তোমার জীবনচারিতার সাথে আমার হুবহু মিল!
৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
প্রতিটি মানুষের একাকীত্বের কারণ আলাদা।
ঠিক বলেছেন।
যৌবনের জোয়ারে একাকীত্ব অনুভব হয়না, নারী শরীর উপর বিজয় গরবে মদমত্ত হস্তির ন্যায় জীবন এগিয়ে যায়। কিন্তু যৌবনের জোয়ারের শেষে যে ভাটিরটানের স্রোত জীবন নদীতে আসে সেখানে একাকীত্ব আসে নিঃসঙ্গতা নিয়ে।
ভালো বলেছেন।
আমি একজনকে দেখছি, কয়েক মাস ধরেই, মাসের শেষ শুক্রবারে। প্রথম দিন খুব বিরক্ত হয়েছিলাম। পরে মনটা আমার নরম হয়ে গিয়েছিলো উনার একাকীত্বের বিষটা আচ করতে পেরে।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: একাকীত্বের যন্ত্রণা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৬
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: একাকীত্ব মাদকের চাইতেও বেশি ক্ষতিকর মনে হয়। শরীরের বাহিরের অসুখ চোখে পরে তা দেখা যায় সহজেই। কিন্তু মনের অসুখ যার হয়েছে শুধু সেই অনুভব করে কতটা ক্ষত বিস্তার করেছে হৃদয়ে। একাকীত্বকে সামলাতে না পেরে অনেকেই সেচ্ছায় প্রান হনন করে একাকীত্বকষ্ট থেকে মুক্তি খুঁজে পেতে চায়।
আলহামদুল্লিাহ, বাংলাদেশে এখনো পারিবারিক বন্ধনটা পশ্চিমা দেশগুলোর চাইতে ঢের ভালো।
- বাচ্চারা দল বেঁধে হইহল্লাড়ে দিন গড়িয়ে বিকেল-সন্ধা-রাত, খেলা-আড্ডায় স্টিমিনা থাকে তুঙ্গে-একাকীত্ব কি তা তো জানেই না।
- যুবকদের অবস্থ্যা তো আরো ব্যাস্ত, বন্ধুদের সাথেই দিন-রাত, পরিবারে সব কাজের ডান হাত, একা হবার সুযোগই নাই
- দাদা-দাদী বয়সীরা নাতীদের নৈতকতা শেখানোর উত্তম শিক্ষক-একা থাকার সুযোগই নাই
তথাপি, বিভিন্ন কারনে একাকীত্ব বরন করতে হয় অনেককে -
- বাবা-মা উভয়ই চাকরী করেন, সন্তান চার দেয়ালের ভেতর কাজের বোয়ার নেতৃত্বে। সারাদিনই কাটে একা একা।
- আজকাল বিভিন্ন কারনে যুবক-যুবতীরা একাকীত্বে থাকে, হতে পারে নেশা, কারো দ্বারা কঠিন আঘাত।
- বৃদ্ধদের অধিকাংশই একাকীত্বের কষ্ট নিয়ে দিনাতিপাত করেন। ওনারা যে একটা পরিবারের উম্মুক্ত জ্ঞানের বই তা বেশির ভাগ পরিবারের নবীনরা বুঝেননা। পরিবারের সদস্যরা সময় না দেওয়তেই একাকীত্বে কষ্ট করেন বয়োজৈষ্ঠরা।