নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

THE ANARCHY......

০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫১

THE ANARCHY......

পড়াশোনাটা বরাবর আমার কাছে নেশা, টুকটাক ব্যাবসাটা পেশা আর ভুলভাল যা-ই লিখি সেই লেখালেখি ভালোবাসা। পড়াশুনোর নেশাটা আমাদের বৃহত্তর যৌথ পরিবারে কয়েক প্রজন্মের। দাদা, বাবা চাচা, ফুফু এবং কাজীনদের প্রত্যেকেরই এই নেশা ছিল বা আছে। আমার ছেলেদেরও এই অভ্যাস বহমান। একটা পুরনো বিখ্যাত বইয়ের সম্পর্কে জানতাম কিন্তু পড়ার সুযোগ পেয়েছি সম্প্রতি। বইটির নাম- THE ANARCHY, Writer: WILLIAM DALRYMPLE

প্রতিটি বিষয়ের যেমন নির্দিষ্ট চলন রয়েছে তেমনি ইতিহাসেরও রয়েছে। প্রথিতযশা ঐতিহাসিকদের লেখার মধ্যেও স্বাভাবিকভাবেই এই চলনটা থাকে। সেটা ধরতে না পেরে মাঝখান থেকে কিছু লাইন তুলে ধরলে বিষয়টি সম্বন্ধে ঐতিহাসিকের মতামত ধরা সম্ভব নয়। অথচ বেশীরভাগ ক্ষেত্রে আমরা তাই করি, সুবিশাল, আপাত নীরস বইগুলোকে কিছু মাত্র না পড়ে সেই বই সম্পর্কে বলা বা লেখা।
আমার ধারণা, ঐতিহাসিক কাহিনী কিংবা গল্পের মত যে ইতিহাস বলা হয় তা সাধারণ পাঠকদের কাছে অনেক বেশী সুখপাঠ্য। বিশেষ করে লেখার মধ্যে যদি ঐতিহাসিক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকে সাধারণ পাঠকের একটা ধারনা তৈরি হয়ে যায় এমনিতেই। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "ইতিহাস থেকে চরিত্রগুলোকে বলে নিয়েছি কিন্তু গল্প আমার নিজের। সর্বদা লক্ষ্য রেখেছি কি করে সেই যুগকে ফুটিয়ে তোলা যায়...."।

আরেক ধরণের ইতিহাস কথক রয়েছেন। যিনি ইতিহাস বর্ণনা করেন গল্পের মত, ড্রয়িংরুমে ঘন্টার পর ঘন্টা গ্রিন টি খেতে খেতে আড্ডার মতন। যেন পাঁচশ পাতার বই তরতর করে বয়ে চলে এমন ভাবে লেখা। থাকে গভীরতার আনন্দ, যা একইসঙ্গে ইতিহাস এবং উপন্যাস। উপচে পড়ছে সাল-তারিখ তথ্য। কানায় কানায় ভরে রয়েছে অপমান, অত্যাচার, বিবাদ, গ্লানি, নিষ্ঠুরতা, অনাচার, রক্তারক্তি, লুটপাট, জয়ের উল্লাস। কিন্তু পরিবেশনায় রয়েছে উপন্যাসের শৈলী ও টান।

ব্রিটিশ লেখক উইলিয়াম ডালরিম্পল তাঁর ' The Anarchy 'শুরু করেছেন এইভাবে--
One of the very first Indian words to enter the English language what's the Hindustani slang for plunder ' loot'.....To understand how and why it took root and flourished in so distant a landscape , one need only visit Powis Castle in the Welsh Marches .

লুন্ঠনের চলতি শব্দের লুঠ। কি করে এই শব্দটি ইংরেজি ভাষায় এলো তা বুঝতে যেতে হবে ওয়েলসের সীমান্ত অঞ্চলের 'Powis' দূর্গে। সমস্ত দুর্গ ভর্তি ভারত থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পাচার করা লুটের মাল। 'Powis is simply awash with loot from India, room after room of imperial plunder, extracted by the East India Company in the eighteenth century.' সুতরাং লুট শব্দটি ইংরেজি ভাষায় ও অভিধানে যে স্থান পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক।

যে দূর্গে একদা লুটের মাল রাখা হত, সেই দূর্গে একটি বাঁধানো ছবিও রয়েছে। ছবিটি ১৭৬৫ র আগস্ট মাসের একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দৃশ্যের ছবি। তরুণ মুঘল সম্রাট শাহ আলাম ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হবার পরের পটভূমির ছবি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে সম্রাট শাহ আলম এক তোড়া পাকানো কাগজ লাল পোশাক পরা এক সাহেবের হাতে দিয়ে দিচ্ছেন। ঐতিহাসিকভাবে ওই কাগজ শাহ আলমের আদেশনামা। তা হল বাংলা-বিহার-উডিষ্যার খাজনা আদায়ের দায়িত্ব এবং অধিকার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উপর বর্তালো। সে নিয়োগের সমস্ত ক্ষমতা দেওয়া হল লর্ড ক্লাইভকে। এই প্রসঙ্গে ডাম্পরিম্পল লিখছেন, There was a calculated and deliberate amnesia about the corporate looting that opened British rule in India .

'The Anarchy' বইটির একটি disclaimer দিয়েছেন লেখক। 'This book does not aim to provide a complete and thorough history of the East India Company --- it is an attemt to answer the questions of how a single business operation, based in one London office complex, managed to replace the mighty Mughal Empire as masters of the vast subcontinent between the years 1750-1803 । কাহিনী কিন্তু শুরু হয়েছে ১৫৯৯ সালে। এই ভাবে শুরু করলেন উইলিয়াম ডাম্পরিম্পল-
On 24th Seprember 1599, while William Shakespeare was pondering a draft of Hamlet in his house downriver from the globe in Southwark, a mile to the north, barely twenty minutes of walk across the Thames,a motley group of Londoners was gathering in a rambling, half timbered building lit by many mullioned Tudor windows .'

২৪শে সেপ্টেম্বর, ১৫৯৯ লন্ডনের পুরনো দিনের একটি বাড়ির ছোট ঘরে ক্রমে জড়ো হচ্ছেন লন্ডন নিবাসীদের এক বিচিত্র গ্রুপ। যে ঘরে এঁরা জড়ো হয়েছেন, সেই ঘরে এমন কায়দায় জানালা বসানো হয়েছে যাতে করে বাইরের আলো সমানভাবে ছড়িয়ে পড়বে। ছড়িয়ে যে পড়তেই হবে না হলে এঁরা ভবিষ্যতে গনগনে সূর্যের দেশ ভারতবর্ষ শাসন করবেন কিভাবে? এই ঘর থেকেই করা হয়েছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পরিচালন করার রুপরেখা।

ডালরিম্পল বলেছিলেন ক্ষমতা সবকিছু ঘটাতে পারে আর অর্থ সবকিছু কিনতে পারে। তাইতো দেখা যাচ্ছে লর্ড ওয়েলেসলি টিপুর মৃতদেহের পাশে মদের পাত্র তুলে ধরে বলছেন- 'I drink to the corpse of India .'

'THE ANARCHY'
WILLIAM DALRYMPLE
Bloomsbury Publishing
UK.

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা ভাই !

'THE ANARCHY'
WILLIAM DALRYMPLE
আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়া ভালো লাগলো।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩১

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার জন্যও নতুন বছরের শুভেচ্ছা এবং শুভ কামনা।

ধন্যবাদ।

২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮

জুল ভার্ন বলেছেন: শুভ কামনা।

ধন্যবাদ।

৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রিয় ব্লগার,
নতুন বছরে আপনার প্রতি রইলো অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার জন্যও অনেক শুভ কামনা ❤️

৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:১৬

কামাল১৮ বলেছেন: ইংরেজরা লুট করে নিয়ে গেছে নিজের দেশে আর মোগলরা লুট করে নিয়ে গেছে রাজপ্রাসাদে।জনগনের কাছে দুই জনই সমান লুটেরা।আর এখন বাংঙ্গালরাই বাঙ্গালীদের টাকা লুট করে বিদেশে পাঠায়।কে বড়লুটেরা?ইংরাজ,মোগল না বাঙ্গাল।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০২

জুল ভার্ন বলেছেন: খারাপদের নাম না নিয়ে তিন খারাপের মধ্যেও ভালো ছিলো মোঘল বলা যায়।

৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মোগলদের অদূরদর্শিতার কারণেই ব্রিটিশরা একসময় সারা ভারত দখলে নিতে পেরেছিল।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০৫

জুল ভার্ন বলেছেন: মোঘলদের অদুরদর্শিতায় নয়, বৃটিশদের কূটকৌশল এর কাছে পরাজিত হয়েছিল গোটা বৃটিশ সাম্রাজ্যের দেশগুলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.