নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
আমার ডিজিটাল ডায়েরী থেকে.......
০৩ জানুয়ারী ২০২২ সাল
প্রলাপ......
জীবনের কোন গল্পই আসলে শেষ হয়না…..
আমরা দৈনন্দিনতার একঘেয়েমি কাটাতে এক একটা গল্পের মাঝে হঠাৎই ইচ্ছে মতো অস্থায়ী যতিচিহ্ন এঁকে দিই। নতুন নতুন চরিত্র নিয়ে শুরু করি আর একটা নতুন পর্ব …... এইভাবেই হয়তো কেটে যায় অগণিত বসন্ত ….. তারপর জীবনের সায়াহ্নে পৌঁছে কোন এক নিভৃত অবকাশে সেই যতিচিহ্নগুলি মুছে দিয়ে ফিরিয়ে আনি ফেলে আসা গল্পের চরিত্রগুলি- যারা ছিল বড্ড আপন, হৃদয়ের সাথে মিশেছিল যাদের হৃদয়…... কোথায় হারিয়ে গেলো- কে কোথায়!
১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২ সাল।
হয়তো আছি তোমার কাছে,
বা হয়তো আমি তোমার থেকে অনেক দূরে।
আমাদের নিকট হতে আমি কোন ব্যাপার না
ধারণাগত; লুকানোর মত
একটি রুটের মান,
যা ভিতরে নীরবে নিহিত থাকে
বীজগণিতের সমীকরণ.....
"ভালোবাসা কি?
"আমি তোমারি বিরহে রহিব বিলীন, তোমাতে করিব বাস- দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী, দীর্ঘ বরষ-মাস"- এরই নাম ভালোবাসা।
২০ মার্চ ২০২২ সাল।
আমি যন্ত্রণা জমিয়ে রাখি সুখদিনে সঁপে দেব ভেবে।
মাঝে ভুল হলে শুরু হয় অসুখের আনাগোনা। ফিরে পাওয়া অতঃপর হয় না জন্মদাগে। শূন্যতার ঈশানকোণে পূর্ণতায় হেঁটে যাওয়া পথটাকে দেখি।
আমাকে সে জানে আমার থেকে কিছু বেশি…
উপযুক্ত শব্দের অভাবে কতশত অনুভূতি শুধু দীর্ঘনিঃশ্বাস হয়েই থেকে যায়....
৩০ মার্চ ২০২২ সাল।
একদিন কোন অপমৃত্যুর খবর না পেলে সন্দেহ জাগে- বেঁচে আছি তো?
আসন্ন মৃত্যুর করাল ছায়ায় বিপন্ন মানুষ নিজ প্রাণসত্ত্বা খুঁজে ফেরে।
এ কেমন জীবন,
এ কেমন বেঁচে থাকা!
অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই লড়তে লড়তে...
আমরা বাঁচার উদ্দেশ্যটাই ভুলে যেতে বসেছি!
এপ্রিলফুল ২০২২ সাল।
মানুষ সব সময় নিশ্চিত জীবন আশা করে। কিন্তু এই পৃথিবীতে সবই অনিশ্চিত, নিশ্চিত বলে কিছু হয় না।
হতচ্ছাড়া ব্যস্ততা গ্রাস করেছে আমার দৈনন্দিনতা..... শত চেষ্টাতেও পর্যাপ্ত সময় বের করতে পা রপছিনা। তবে আশা করি খুব দ্রুত ফিরবো স্বাভাবিক ছন্দে...... ততদিন পর্যন্ত সকলের কাছে একটু সময় প্রার্থনা করছি...... খুব ভালো থাকুন .... ভালো রাখুন।
১২ মে ২০২২ সাল।
সময় বদলে যায় নিয়ম মেনে-
মসনদে বদলায় শাসকের মুখ!
হাজারো বিপ্লবের পথ পেরিয়ে-
ক্ষুধা আজও এক তীব্র অসুখ।
একজন তুঘলকীয় কায়দায় একটা জাতিকে সারা বিশ্বের সামনে অপমানিত করে চলেছে, আর তাদেরই একটা অংশ তাতে যারপরনাই আহ্লাদিত! সাবাস পা-চাটা গুষ্ঠী!!
২২ মে ২০২২ সাল।
আমি নিখুঁত নই; আমি সব সময় ভুল করি। আমি যা করতে পারি তা হল আমার ভুল থেকে শিখতে, তার দায়িত্ব নিতে, এবং আগামীকাল একটি ভাল কাজ করতে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। মানুষ সব সময় নিশ্চিত জীবন আশা করে। কিন্তু এই পৃথিবীতে সবই অনিশ্চিত, নিশ্চিত বলে কিছু হয় না।
May be I am near to you,
Or maybe I am far away from you.
I t does not matter as our proximity
Is conceptual; like the hidden
Value of a root,
Which lies silently inside an
Algebraic equation….
২৮ মে ২০২২ সাল।
আমি মহাকাশে ভেসে যাই
এবং এই বিশৃঙ্খল সময়েও
কোথায় প্রতিদিন নিজেকে হত্যা করতে হয়
মনে হচ্ছে অপরাধের একটি গৃহীত ফর্ম…..
আসলে বর্তমানে আমরা বেশীরভাগ মানুষই মৃত, শুধু সরকারী হিসেবে গণ্য হইনি এখনও।
তারই অপেক্ষায় ক্ষণিকের নীরবতা পালন!
০২ জুন ২০২২ সাল।
কে কখন কার জন্য এপিটাফ লিখবে, মানুষ জানে না।
মানুষ কি জানে, কে তাকে অলক্ষ্যে বড় বেশি ভালোবেসেছিল?
বড় দীর্ঘ ছায়া
মন্দ্র স্বর
প্রাণখোলা হাসি
শরীরময় সপ্রতিভতা।
বহু যুগ আগে দেখা বাড়ির উঠোনে নীল অপরাজিতা
স্টেশনে শেষ কামরায় জীবনের সেরা সময়
বহু যুগ কেন দেখা হয়নি তোমার সঙ্গে?
পড়ে থাকে, সব পড়ে থাকে বিষণ্ণ স্মৃতির পাতায়।
অতঃপর আমরা ফের ব্যস্ত হয়ে লিখতে থাকি ফেসবুকে
লাইকের তাগিদে, একটি নীলকণ্ঠ পাখি উড়ে যায় আকাশের দিকে।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের জীবনের দৈনন্দিনতাকে ধরে রাখতে ডায়েরী লেখা এবং ছবি তোলা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যদিও আমি প্রাকৃতিক ছবি তুলতে যতটা আগ্রহী, ঠিক ততটাই অপছন্দ করি নিজের ছবি তুলতে(নিজের চেহারা মোবারক অসুন্দর বলেই)। আমার মিশনারী স্কুল জীবনের শিক্ষক ফাদার রিগভী সব ছাত্রদের ডায়রী লেখায় খুব উতসাহ দিতেন- যা ছিলো অনেকটাই হোম টাস্ক। মূলত অভ্যাসটা সেই থেকেই গড়ে উঠেছে- যা এখন অনিয়মিত হলেও চলছে....
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১২
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সুন্দর এবং কাব্যিক।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫
অপু তানভীর বলেছেন: আমার মাঝে এই ছবি তোলার আগ্রহও অনেক কম । এই যে আমি মাঝে মাঝে এদিক ওদিক ভ্রমনে যাই, সেখানেও সব থেকে কম ছবি তুলি আমি । আমার বেশির ভাগ ছবিই অন্য মোবাইলে । আমার নিজের মোবাইলে একদম কম ছবি থাকে । আমার ছবি তোলার থেকে তাৎক্ষনিক মুহুর্তটা উপভোগ করার প্রতি আগ্রহ থাকে বেশি ।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার অনুভূতি তোমার উলটা। আমি ছবি তুলে অবসর সময়ে সেই ছবি নিরীক্ষণ করতে পছন্দ করি।
৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ডায়েরী।
এযুগের মানূষজন খুব একটা ডায়েরী লিখেন না। আমার আব্বা ডায়েরী লিখতেন। আব্বার হাতের অনেক অনেক সুন্দর। দেখলে মনে হবে কম্পিউটার কম্পোজ। আব্বার ডায়েরীটা কোথায় আছে জানি না।
লেখা গুলো সুন্দর হয়েছে। সহজ সরল। ভাষা মনোরম।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: "সময়ের স্বাক্ষী ডায়েরী এবং ছবি"- অভ্যস্থ হও তোমার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য।
ধন্যবাদ।
৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এতো কাব্য পাতা!!
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: একাকীত্বে মানুষকে কাব্যিক করে তোলে।
৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: এতবড় সংসার নিয়ে আপনি বিবাগী হলেন কেমনে?
দারুন দারুন সব জীবনঘেঁষা কিংবা যাপিত নিঃসঙ্গ জীবনের কবিতা
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: জগৎ সংসারের বাইরেও আমার একান্তই ব্যক্তিগত একটা জীবন আছে, কিছু সময়, কিছু মূহুর্ত আছে- তখন আমি ডুবে যাই অন্য এক জগতে....
৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
জীবনের কোন গল্পই আসলে শেষ হয়না। শেষ হবে কি করে ? কারণ, পথের পরেও যে থাকে পথ! যতি চিহ্ণ সরিয়ে জীবনের গল্প আবার খেঁই ধরে। তারপর জীবনের সায়াহ্নে পৌঁছে কোন এক নিভৃত অবকাশে সেই যতিচিহ্নগুলি মুছে এই পোড়ার চোখে উঠে আসে পুরোনো গল্পেরা।
যে তীব্র অসুখের সমীকরণ নিরবে নিহিত থাকে ভেতরে, তেমন একটি জীবনের কবিতা আপনার জন্যে---
এই পুড়ার চক্ষে বড়ই পাপ রে বাজান ! বড়ই পাপ …
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: নদীর সাথে জীবনের অনেক মিল। নদীর যেমন থেমে থাকার উপায় নেই, থামলেই নদীর নাব্যতা হারায়, নদী মরে যায়। তাকে বইতেই হবে। জীবনও তেমন, থামলেই মৃত্যু। জীবনের পাঠ কখনো এক নয়। হওয়ারও নয়। প্রতিটি জীবনেরই আছে নতুন গল্প। আছে নতুন চিত্র। যার তাকেই বয়ে নিয়ে যেতে হবে। আনন্দের করে উপস্থাপন করতে হবে। কারণ জীবন জীবনের জন্য।
পরাজয় শব্দটি ঘুরেফিরেই আসে আমাদের জীবনে। আসে হতাশা নিয়ে, কষ্ট নিয়েএবং ভালোবাসা, সুখ নিয়ে.....
আপনার কবিতাটা পড়ে এলাম। ২০১১ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত আমি ব্লগে ছিলাম না.... তাই পড়ার সুযোগ হয়নি আঞ্চলিক ভাষায় লেখা অনবদ্য সুন্দর কবিতাটি।
৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৬
কামাল১৮ বলেছেন: ডাইরী লিখা ভালো।কিন্তু আমি লিখি না।যেমন অনেক ভালো কাজই করি না।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: মহামানবেরা আমজনতার মতো সব কাজ করলে মহামানব থাকে!
৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দর্শন, নিজের জীবন দর্শন, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং তার ফলে অন্তর্যন্তণা, ইত্যাদি বিষয়গুলো উঠে এসেছে ডিজিটাল ডায়েরিতে, কখনো গদ্যে, কখনো বা সাবলীল কাব্যে। কিছু কিছু তারিখ হয়ত দেশের কোনো ঘটনাকে নির্দেশ করে, আই মিন, হয়ত জাতীয় কোনো ঘটনার প্রেক্ষিতে হয়ত ঐ তারিখে ঐ কথাগুলো লিখে থাকবেন, বিশেষ করে রাজনৈতিক বক্তব্যগুলো।
অনেকগুলো কথা উদ্ধৃত করার মতো। তবে, ১২ মে তারিখের কবিতাটা অসামান্য সুন্দর।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: সোনাভাই, আপনি বহুগুণে গুণান্বীত্ব একজন সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব যা নিয়ে আমার কোনো দ্বিধাদ্বন্দ নাই। আপনি একজন মনোযোগী পাঠকও বটে- তা নাহলে আমার মতো একজন নগণ্য মানুষের লেখাও এতো মনোযোগ দিয়ে পড়তেন না! আমার ডিজিটাল ডায়েরীর লেখা সম্পর্কে আপনার ধারণা সঠিক।
নিরন্তর শুভ কামনা।
১০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৩
নীলা(Nila) বলেছেন: সবগুলোই অনেক সুন্দর হয়েছে। সংগ্রহ করে রাখা ভালো
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০২
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: "সময়ের স্বাক্ষী ডায়েরী এবং ছবি"- অভ্যস্থ হও তোমার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য।
অনলাইনে লেখার ব্যবস্থা না থাকলে আমি কিন্তু ডাইরীতে লিখতাম।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: অনলাইনে লেখালেখির সুযোগ- অনেককেই ভালো লেখক হবার সুযোগ করে দিয়েছে। কারন, অনলাইনে লেখালেখির পাঠক প্রতিক্রিয়া লেখকের ভুলত্রুটি কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩৯
অপু তানভীর বলেছেন: বড় কাব্যিক ডায়েরি !
আমি ছোট বেলাতে আগে নিয়মিত ডায়েরি লিখতাম । তবে সেটা কখনই নিয়মিত হয়ে ওঠে নি । কদিন লিখি আবার ভুলে যাই আবার লিখি আবার ভুলে যাই ।