নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজেকে বদলে ফেলাই বড়ো বিপ্লব.......

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩১

নিজেকে বদলে ফেলাই বড়ো বিপ্লব.......

সবকিছু মোটামুটি স্মুথলি চললেই ভুলে যাই আমরা কতখানি অপ্রস্তুত। পরিচিত সমস্যা আর পরিচিত সমাধান নিয়ে নিশ্চিন্তির ঢেঁকুর। তখন মনে থাকেনা একটা অতি সূক্ষ্ম সুতোর উপর ঝুলছে আমাদের সুখ ও শান্তি। সামান্যতম আঘাতেই সবকিছু তছনছ হয়ে যেতে পারে। ভেঙে পড়তে পারে সব ব্যবস্থা-বিধান। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা এত সব সিস্টেম কলাপ্সড হতে খুব বেশিক্ষণ সময় লাগে না। কীট-পতঙ্গের মত মরতে থাকে মানুষ। নিশ্চিতভাবে জানেনা সাধারন মানুষের জীবিকার ন্যূনতম শর্ত কিংবা বঞ্চনার ইতিবৃত্ত। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে একটু একটু করে। যে হারে মানুষের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বেড়েছে, জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে সচেতনতা বেড়েছে, চাহিদা বেড়েছে; তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কৃষিকে লাভজনক করা যায়নি। গ্রামভিত্তিক উৎপাদন ও বিপণনকে মসৃণ গতিশীল ও লাভজনক করার দিশা নেই দেশের অর্থনীতিতে! টেলিভিশন কিম্বা মঞ্চের বক্তৃতা থেকে স্বনির্ভরতা আসেনা। ধারাবাহিক আর দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ছাড়া শুধুমাত্র ব্যক্তিগত মোটিভেশন থেকে স্বনির্ভরতা অর্জিত হয় না।

৫৫ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশের রাজধানীই প্রাণকেন্দ্র। জীবিকার তাগিদে এখানে লক্ষ কোটি মানুষের ভিড়। গ্রাম চিরকাল উপেক্ষিত। কৃষি উপেক্ষিত। জনসংখ্যা বৃদ্ধি অনিয়ন্ত্রিত। কৃষিজমি থেকে সকলের জীবিকার সঙ্কুলান অসম্ভব। কৃষিকার্যকে মোটামুটি লাভজনক করা গেলে ৮/১০ হাজার টাকা উপার্জনের জন্য এত মানুষকে ঢাকামুখি হতে হতো না। কৃষি সংলগ্ন কুটিরশিল্প গুলো মরে গেছে অথবা মৃতপ্রায়। গ্রামীণ হস্তশিল্প ধুঁকছে। বড় বড় কারখানা বড় বড় কর্পোরেট সংস্থা প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরকে কব্জায় রেখে মানুষের শ্রমশক্তিকে নিংড়ে নিচ্ছে।

চাহিদা যোগানের সহজ অংকে মানুষের শ্রমকে সুলভে কেনার সুযোগ নিয়েছে পুঁজিপতিরা। কৃষি শিক্ষা স্বাস্থ্য প্রভৃতি মানুষের জীবনের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি সরকারের বাজেটে তলানিতে স্থান পায়। বাজেটের সিংহভাগ জুড়ে থাকে প্রতিরক্ষা। আমজনতার সমর্থনহীন সরকারের জন্য সামরিক শক্তি প্রদর্শন খুব জরুরী হয়ে পড়ে। সরকারি কোষাগারের টাকা অন্য খাত ঘুরে গিয়ে দলীয় ফান্ডে জমা হয়। রাজনৈতিক দল কোটি কোটি টাকা খরচ করে উন্নয়নের ঢাক বাজায়, ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক প্রচার চালায়। সাধারন মানুষ ক্ষমতাসীন দলের গিনিপিগ হয়। নিজের প্রকৃত দাবি, বেঁচে থাকার অধিকার সম্বন্ধে তার চেতনা জন্মায় না। দলীয় মিটিং মিছিলে অংশ নিয়ে তেহারী-বিরিয়ানী এবং ৫০০/১০০০ টাকা তাৎক্ষণিক প্রাপ্তির আশায় ভুলে যায় বঞ্চনার দীর্ঘ ইতিবৃত্ত। সুক্ষ্ম থেকে সুক্ষ্মতম আইন তৈরি হয়, আইনকে নিয়ে চুলচেরা কাটাছেঁড়া হয়, আর স্থূল থেকে স্থূলতম আইনভঙ্গের ঘটনা ঘটে চোখের সামনেই। আইনকে ইমপ্লিমেন্ট করার কাঠামো নেই, সদিচ্ছা নেই। "আইন আইনের পথে চলে"- সেই পথের অভিমুখ শাসকের রক্তচক্ষুতে নির্ধারিত হয়।

১৮ কোটি মানুষকে ন্যূনতম জৈবিক ও আইনি পরিষেবা দেওয়ার জন্য যে সিস্টেম গড়ে তোলা দরকার, তা করা হয়নি। বিচারব্যবস্থার গতি দেখলে অ্যামিবাও লজ্জা পাবে। ম্যাক্সিমাম আইনভঙ্গ কিংবা অপরাধ আইনের দরবার পর্যন্ত পৌঁছায় না। যে কটা পৌঁছায় সেগুলোর সদ্গতি ঘটেনা। লক্ষ-কোটি মামলার ফাইলে ধুলো জমে, ল্যাপটপের মেমোরিতে সেঁধিয়ে থাকে আইনের পরিভাষা। তাই মজুদদার বেআইনি মুনাফা করে, চোখ রাঙায়, মাফিয়ারাজ চেপে বসে, সিন্ডিকেট সমান্তরাল প্রশাসন চালায়, পুলিশের সামনে নিজ নিজ দলের লোকেরা মারামারি করে- মামলা গ্রেপ্তার হয় প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা, চোর গুন্ডার পাশে দাঁড়ায় মন্ত্রী! বিশৃংখল বেপরোয়া জনতার মধ্যে প্রশাসন উপর উপর চিরুনি চালিয়ে "শেপ" আনার ভান করে! দীর্ঘদিন তেল না পড়া উস্কোখুস্কো চুলের মতো চিরুনি সরিয়ে নিলেই সেই চিরন্তন বিশৃঙ্খলা ফিরে আসে। সময় সুযোগ বুঝে অত্যাচারিতই হয়ে ওঠে চরম অত্যাচারী। জঙ্গলকে লুন্ঠন করে গড়ে ওঠে শিল্পকারখানা, কৃষিজমিতে বসতবাড়ি। নদীর জমি দখল করে তৈরি হয় বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিচারের বাণী সরবে, প্রকাশ্যে কাঁদে।

যা-নাকি চতুর্থ স্তম্ভ, সেই মিডিয়াকে "ম্যানেজ" করার জন্য শাসকের নির্দিষ্ট ফান্ড থাকে। যত বড় ব্র্যান্ডের মিডিয়া হাউজ, তত বেশি দামে বিক্রি হয়। সাংবাদিকদের মুখে মানবতা নিরপেক্ষতা প্রভৃতি সস্তার মাস্ক ঝুলিয়ে সন্দেহের ভাইরাস প্রতিহত করার অপচেষ্টা চলে। লালসার লালারসে সিক্ত হয় মুখোশ। লোভ জর্জর মুখমন্ডলে প্রকট হয়ে ওঠে পক্ষপাত ,পেইড নিউজের রমরমা।

আগেকার দিনে রাজারা যেমন মোসাহেব পুষতেন এখন তেমনি শাসকেরা মিডিয়া পোষে, কবি সাহিত্যিক, শিল্পী তথা বুদ্ধিজীবী পোষে। লেঠেল বাহিনীর কাজ করে আইটি সেল। কণামাত্র চক্ষুলজ্জা, অনুমাত্র এথিকস মানলে মিডিয়া ব্যবসায় প্রবেশ নিষেধ। সরকারি বিজ্ঞাপনের লোভ, শাসকের ছায়াসঙ্গী হবার লোভ, টিআরপির আদিম বর্বর লালসার জন্য মিডিয়া করতে পারেনা এমন কাজ নেই।

শিল্পী সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীদের একটা বিরাট অংশ সমাজ বিচ্ছিন্ন, আত্মমগ্ন অথবা আত্মকেন্দ্রিক। মজ্জাগত তাঁবেদারীতে আসক্ত কেউ কেউ। সমাজ আদর্শহীন, দিশাহীন। অনুসরণ করার মত কোন "আইডল" নেই। ন্যায়-নীতি মূল্যবোধের পুরাতন সব আইডিওলজি সব বিসর্জিত। শিক্ষক সমাজের একটি "কনসিডারবেল" অংশ চাটুকারিতা আর পদলেহণে ব্যস্ত। যে শিক্ষক বুদ্ধিজীবেদের টাকা -আনা -পাই এর চুলচেরা হিসেব করে জীবন চলতো এখন তারাই কোটি কোটি টাকার হিসাব নিয়ে ব্যস্ত। সাধারণ ছাত্রসমাজের মানবিকতার আবেদন তাদের কাছে পৌঁছায় না। তথাকথিত মানবিক আবেগ সমূহও বিক্রয়যোগ্য। এইসব উপাদান যথাযথ পরিমাণে ব্যবহার করতে শিখলে একটা "সেনসেটিভ ইমেজ" গড়ে তোলা যায়। যা বিক্রি হয়না, তা-ই মূল্যহীন। স্বার্থপরতা সংকীর্ণতার গন্ডিতে আবদ্ধ শিক্ষকদের দৃষ্টিতে শিক্ষাও আজ বিক্রয়যোগ্য পণ্য। আধুনিক যুক্তিবাদী দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তে সময় পিছিয়ে চলে মধ্যযুগের অভিমুখে। শিক্ষা প্রশাসনের পারম্পর্যহীন, পাঁচমিশালী "G.O "আর সার্কুলারের দাপটে চূড়ান্ত গোঁজামিল সিলেবাস, মূল্যায়ন, শ্রেণি শিক্ষণ.... সবে মিলে বিদ্যালয়ে শিক্ষাব্যবস্থা লাটে উঠেছে। উচ্চশিক্ষার তৈল-পিচ্ছিল দুনিয়ায় ইগোজর্জর মানুষের নৈমত্তিক ওঠানামার গ্রাফ। মান-যশ-খ্যাতি- প্রতিষ্ঠার জন্য দৈনন্দিন খেয়োখেয়ি, "ভদ্রবেশী বর্বরের" অক্লান্ত দাপাদাপি!

তাহলে উপসংহার কী?
কোনটা গোড়া আর কোনটা আগা নির্ণয় করা মুশকিল। কোনটা কার্য আর কোনটা কারণ বলা সহজ নয়। একটা কারণ থেকে আরেকটা কারণের একটা কার্য থেকে আরেকটা কার্যের উদ্গম। এক জায়গার নিম্নগামীতা আরেক জায়গায় সঞ্চারিত হয়। এক জায়গার বিষ আরেক জায়গায় ছড়ায়। পায়ের বিষ মাথায় উঠে। যেমন নাগরিক তেমনি তার রাষ্ট্র। নাগরিকদের কোয়ালিটিই রাষ্ট্রের কোয়ালিটি। পুরোটা মিলে একটাই সত্তা, একটাই জালজালিয়াত। আমার ফাঁকিবাজি, আমার দুর্নীতি, আমার নির্বুদ্ধিতা, আমার সংকীর্ণতা সমগ্র সমাজ দেহকে কলুষিত করবে। সুবিধাবাদী শিক্ষক, ঘুষখোর প্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা, ভন্ড ধর্ম ব্যবসায়ী, বিবেকহীন বুদ্ধি-ব্যবসায়ী, প্রতারক কর্পোরেট, উদ্যমহীন বেকার-একই বৃক্ষের শাখা-প্রশাখা! একই শিকড় থেকে আহরিত তাদের জীবনীশক্তি। মৃত্তিকা বিশেষে ফসলের গুনাগুন নিরূপিত হয়। আমার আপনার উদ্যম উৎসাহ কর্মশক্তি বুদ্ধি-বিবেচনা সততা নৈতিকতা ভ্রষ্টাচার স্বার্থপরতা লোভ হিংসা নির্বুদ্ধিতা দুর্নীতি সবকিছুর যোগফল একেকজন মাস্তান মন্ত্রী এমপি। এরা আমাদেরই নির্মাণ। আমজনতার অন্তহীন দুর্দশা, লাগামছাড়া বেকারত্ব, অর্থনীতির হাঁড়ির হাল, করাপশনের রমরমা, চতুর্দিকে হানাহানি হিংসা নিষ্ঠুরতার অভিসম্পাত- এসব কিছুর পিছনে আমার-আপনার ভুমিকা রয়েছে। যেমন নাগরিক, তেমনি রাষ্ট্র, তেমনি তার রাষ্ট্রনেতা। মানুষের দারিদ্র্য আর অসহায়তা নিয়ে সাহিত্য করবো আর বিন্দুমাত্র আত্মত্যাগ করার প্রশ্ন উঠলেই হাজারও অজুহাত খাড়া রাখবো এই নিয়ে সমাজে চলে না।

বৃহৎ সমাজদেহের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অঙ্গানুগুলি একযোগে কাজ করলেই পুরো সিস্টেমটা মসৃণভাবে এগিয়ে চলতে পারে। দেহের কোথাও ক্ষত সৃষ্টি হলে মস্তিষ্ক তাকে নিজের শক্তিতে সারিয়ে তুলতে পারে না। কারণ সেই ক্ষতের সংবেদন মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাকেও বিঘ্নিত করে। আমরাই এই কীটদষ্ট, নির্জীব , অদক্ষ , অপ্রতুল, অসংবেদী সিস্টেম গড়ে তুলেছি। হয় একে আমূল সংশোধন করতে হবে, নইলে এর বোঝা' বহন করতে হবে। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান আর বিএনপি জামাতের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে বিনোদন আসবে, গায়ের ঝাল ঝাড়া যাবে ঠিকই, কিন্তু সেই কাঙ্খিত পরিবর্তন আসবে না।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: হয় একে আমূল সংশোধন করতে হবে, নইলে এর বোঝা' বহন করতে হবে।

সংশোধন করবে কে? কিভাবে??

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬

জুল ভার্ন বলেছেন: সংশোধন আমাওরা হবোনা- প্রকৃতিই ভরসা। তাও আপাতত সংশোধনের কোনো সুযোগ নাই। এই ধ্বংশাত্মক ধারা থেকে বের হতে একশো বছর লাগবে।

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দেশের জনসাধারণে সামষ্টিক অবস্থাই দেশের অবস্থা সেটা ভাল হোক অথবা মন্দ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০১

কামাল১৮ বলেছেন: শেষ দুই লাইনে যাদের কথা বলেছেন তাদের প্রশংসা করে বললে কি কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি একবারও বলিনি- যা আপনি বলেছেন। এটাই হলো আদর্শহীন, অস্তিত্বহীন পরজীবি বাম মতাদর্শীদের কথা। =p~

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৩

নতুন বলেছেন: জীবিকার তাগিদে এখানে লক্ষ কোটি মানুষের ভিড়। গ্রাম চিরকাল উপেক্ষিত। কৃষি উপেক্ষিত। জনসংখ্যা বৃদ্ধি অনিয়ন্ত্রিত। কৃষিজমি থেকে সকলের জীবিকার সঙ্কুলান অসম্ভব। কৃষিকার্যকে মোটামুটি লাভজনক করা গেলে ৮/১০ হাজার টাকা উপার্জনের জন্য এত মানুষকে ঢাকামুখি হতে হতো না। কৃষি সংলগ্ন কুটিরশিল্প গুলো মরে গেছে অথবা মৃতপ্রায়। গ্রামীণ হস্তশিল্প ধুঁকছে। বড় বড় কারখানা বড় বড় কর্পোরেট সংস্থা প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরকে কব্জায় রেখে মানুষের শ্রমশক্তিকে নিংড়ে নিচ্ছে।

সবাই বিরিয়ানী খেতে চায় কিন্তু কেউই বিরিয়ানি তৌরির জন্য চাল/মাংস উতপাদন করতে চায় না। :|

আমাদের সমাজে চাষা একটা গালীর মতন, কিন্তু কোর্ট টাই পড়া অফিসারের সন্মান বেশী।

সমাজে সবাইকে শিক্ষিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, কৃষি কাজে গুরুত্ব না দিলে অফিসার সাহেবরা কি খাবে সেটা নিয়ে কেউই ভাবে না। :(

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১১

জুল ভার্ন বলেছেন: সবাই বিরিয়ানী খেতে চায় কিন্তু কেউই বিরিয়ানি তৌরির জন্য চাল/মাংস উতপাদন করতে চায় না।
আমাদের সমাজে চাষা একটা গালীর মতন, কিন্তু কোর্ট টাই পড়া অফিসারের সন্মান বেশী।
সমাজে সবাইকে শিক্ষিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, কৃষি কাজে গুরুত্ব না দিলে অফিসার সাহেবরা কি খাবে সেটা নিয়ে কেউই ভাবে না।
- আপনার মন্তব্যের প্রথম দুই লাইন হচ্ছে আমাদের উন্নয়নের অন্তরায় এবং শেষ লাইনের এই বক্তব্যই আমাদের উন্নয়নের মূল সূত্র।

৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা লাইন সত্য।
লেখায় তেজ আছে, ধার আছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩০

জুল ভার্ন বলেছেন: তোমার বর্ণীত তেজ আর ধারে নিজেই গলা কাটা হয়েছি....

৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: যারা ক্যাডেট কলেজে লেখাপড়া করে তাঁরা মেধাবী।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৬

জুল ভার্ন বলেছেন: তারপরও ক্যাডেট কলেজের ২/১ জন ক্যাডেট একাডেমিক পরিক্ষায় ফেল করতে দেখেছি! আবার অনেক ক্যাডেটদের দেখেছি সেনাবাহিনীতে কিম্বা অন্য পেশায় থিতু হতে পারেনি। এমন ক্যাডেটও দেখেছি এবং এখনও দেখছি- একাডেমিক এক্সেলেন্ট রেজাল্ট করেছিলো, উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও জীবনে আর্থিক অবস্থার দৈন্যদশায় এখন বৃদ্ধ বয়সেও এক্স ক্যাডেট এসোশিয়েশনের সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে জীবন যাপন করছে।

৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:১৯

চারাগাছ বলেছেন:
সবার আগে নিজেকে বদলানো জরুরী।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৬

জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।

৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিস্তারিতভাবে এই দেশ ও জাতির মূল সমস্যাগুলি তুলে ধরেছেন। প্রত্যেকটার সাথেই একমত।

আপনার নীচের এই বাক্য দুটি থেকেই আমাদের সমস্যাগুলির কারণ সম্পর্কে অল্প কথায় একটা ধারণা পাওয়া যায়।

যেমন নাগরিক, তেমনি রাষ্ট্র, তেমনি তার রাষ্ট্রনেতা। মানুষের দারিদ্র্য আর অসহায়তা নিয়ে সাহিত্য করবো আর বিন্দুমাত্র আত্মত্যাগ করার প্রশ্ন উঠলেই হাজারও অজুহাত খাড়া রাখবো এই নিয়ে সমাজ চলে না।


১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৯

জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাচু।

৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৪২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বদলে ফেলা কী এতই সহজ

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৯

জুল ভার্ন বলেছেন: মোটেই সহজ নয়, তবে সদিচ্ছা থাকলে বদলে ফেলা যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.