নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
বাগাড় মাছ, মহাশোল মাছ দেশের হাওর-বাঁওড়, নদ-নদী থেকে চরমভাবে হ্রাস পেয়েছে। বাগাড় মাছ একদা আমাদের দেশের মিঠা পানির সব নদী, হাওর-বাঁওড়ে পাওয়া গেলেও এখন কদাচিৎ এই মাছ কিছু কিছু এলাকায় পাওয়া যায়।
অন্যদিকে, মহাশোলও একটি বিলুপ্তপ্রায় মাছ। মহাশোল দেখতে অনেকটা মৃগেল মাছের মতো। তবে, এর আঁশগুলো আরও বড়। বাংলাদেশে মহাশোলের দুটি প্রজাতি আছে- সোনালি মহাশোল ও লাল-পাখনা মহাশোল। দুটি প্রজাতিই মহাবিপন্ন।
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কংস নদ ও সোমেশ্বরী নদী মহাশোলের আবাস। এই নদ-নদীর উৎসমুখ এখন প্রায় বন্ধ। শুকনো মৌসুমে নদী দুটি প্রায় শুকিয়ে যায়। বসবাস ও বংশবৃদ্ধির স্থান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ‘মহাশোল’ একপর্যায়ে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে পড়ে। সোমেশ্বরী ও কংস ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে দু-একবার সাঙ্গু নদ এবং মুন্সিগঞ্জের লৌহজং এলাকায়ও ‘মহাশোল’ পাওয়া গেছে।
মাছ দুটি কমে যাওয়ায় প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা-আইইউসিএন এটিকে বিপন্ন প্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এই বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃতি থেকে এই মাছ যেন হারিয়ে না যায়, সে জন্য বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২–এর তফসিল-২–এ মাছটিকে সংরক্ষিত করা হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী বাগাড় মাছ ধরা, মারা, ক্রয়-বিক্রয় কিংবা আমদানি-রপ্তানি দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটালে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা দুই লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান আছে।
মাছ সংরক্ষণের জন্য এই আইনটি অত্যন্ত সময়োচিত। কিন্তু সমস্যা অন্যত্র!
এই মাছগুলো দেশের হাওর-বাঁওড়, নদ-নদী অন্যসব মাছের সাথে মিলেমিশে থাকে। জেলেরা জাল পেতে কিম্বা বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করে। মাছ শিকারীরা জানেনা- তাদের জালে কি মাছ ধরা পড়বে। জাল পেতে জেলেরা কয়েক ঘন্টা পর জাল তুলে মাছ পায়, বিভিন্ন প্রজাতির মাছের মধ্যে বাগাড়, মহাশোলও থাকতে পারে। এই সময়ের মধ্যে বেশীরভাগ মাছ মরে যায়। আবার বড়শিগাঁথা মাছও পানি থেকে তোলার পর মরে যায়। সেই মাছ বিক্রির অপরাধে প্রায়শই বিক্রেতাদের শাস্তি দেওয়ার খবর পত্রিকায় পড়ি।
এমতাবস্থায় মরা বাগাড় কিম্বা মহাশোল মাছ ফেলে দেওয়া কি যুক্তিযুক্ত হবে, নাকি বিক্রি করতে পারবে- সেই বিষয়টা খোলাসা হওয়া উচিৎ। আবার সেই মরা মাছ বিক্রির অপরাধে জেলে/দোকানীদের বিচারের আওতায় আনা কতটা যুক্তিসংগত হয়?
উল্লেখ্য, আমি উল্লিখিত মাছ খাওয়ার জন্যই এই বিষয় অবতারণা করছি। বরং বলতে দ্বিধা নাই- উক্ত দুটি মাছের একটাও খেতে পছন্দ করি না।
ছবিঃ প্রথম আলোর সৌজন্যে।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:২৩
জুল ভার্ন বলেছেন: বাগাড়/বাঘাড় দুটো নামই প্রচলিত। যেহেতু বাঘের মতো ছাপ আছে তাই বাঘাড়/ বাঘ আইড় হয়াই বাঞ্চনীয়। মহাশোল কেন যায়না তা আমি জানিনা। মহাশোলের সাথে মিল আছে মৃগেল মাছের। ওটাও সম্ভবত কার্প গোত্রের মাছ।
খুবই যুক্তিসংগত কথা, মরা মাছ বিক্রির নামে সংরক্ষিত মাছ ধরেই মেরে ফেলবে!
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫১
কামাল১৮ বলেছেন: বর্ষার আগে আগে পদ্মায় যখন প্রচন্ড স্রোত হতো তখন বড়শি দিয়ে আমরা আইড় মাছ ধরতাম।মাঝেমাঝে দুই একটা বাঘাইড় মাছও ধরা পরতো।স্বাদ প্রায় একই রকম।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: পদ্মা কিম্বা অন্য কোনো নদীতে মাছ ধরার অভিজ্ঞতা নাই তবে বড়শিতে ছোট ছোট পুঁটি, কৈ, শিং, রুই, তেলাপিয়া অনেক ধরেছি। আবার নদীতে জেলেদের নৌকায় ইলিশ মাছ শিকার দেখেছি খুব কাছে থেকে। আইড় মাছ আমার কাছে তেমন সুস্বাদু নয়। কয়েক বছর আগে ৩২ কেজি ওজনের একটা বাঘাইড় এর দুই কেজি কিনেছিলাম আরিচা ঘাট থেকে। এই মাছের ভেতরটা হলুদ রঙের। খেতে সুস্বাদু মনে হয়নি।
৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৩
অপু তানভীর বলেছেন: আমার যদিও কয়েকটি মাছ বাদ দিয়ে বেশির ভাগ মাছই খেতে লাগে না তবে কিছু কিছু মাছ একদমই ভাল লাগে না । এদের মধ্যে এই বাগার মাছ অন্যতম । তবে মহাশোল মাছের কথা কিছু কইতে পারি না ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি পুরাই মাছে ভাতে বাংগালী। দেশীয় সব মাছের স্বাদ নেই। তবে চিংড়ী, শিং মাগুর, ইলিশ, পাংগাশ, বোয়াল কোরাল ছাড়াও ছোট মাছ বেশী পছন্দের। জেনেশুনে চাষ করা মাছ, মুরগী খাওয়া হয়না।
৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭
অপু তানভীর বলেছেন: মাংস আমার পছন্দ বেশি । তবে অল্প কিছু মাছ আমি খুবই পছন্দ করি । এর ভেতরে আছে চিংড়ি, শিং আর ইলিশ ! সত্যিই বলতে এই তিন মাছ বাদ দিয়ে অন্য সব মাছ আমার কাছে একই রকম মনে হয় !
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: তোমার উল্লেখ্য তিনটি মাছ অবশ্যই সুস্বাদু এবং বেশীরভাগ মানুষের পছন্দের।
৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০০
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
স্বাদ কেমন?
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩১
জুল ভার্ন বলেছেন: স্বাদ ভিন্ন ভিন্ন জনের কাছে ভিন্ন রকম। তবে বাঘাড় এবং মহাশোল মাছ আমার কাছে তেমন আহামরি স্বাদের মনে হয়নি।
৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন, দুনিয়াতে ভাল ভাল খাবার খায় মন্দ লোক। আর ভাল লোকেরা খায় ভর্তা।
কথা কিন্তু সত্য। মন্ত্রী এমপিদের বাড়িতে চলে যায় দেশী বড় বড় মাছ। লোকজন মন্ত্রী এমপিদের খুশি করতে চায়।
আজ বাসার জন্য কিছু মাছ কিনলাম। গলির মোড়েই এখন সব রকম মাছ পাওয়া যায়। বাজারে আর গলিতে একই দাম।
রুই মাছ নিলাম আড়াই কেই ওজনের। দুটা বড় বর তেলাপিয়া নিলাম। যদিও আমি তেলাপিয়া খাই না। কেন নিলাম জানি না। বাইল্লা নিলাম দেড় কেজি। টেংরা নিলাম- দেড় কেজি। চিংড়ি নিলাম দেড় কেজি।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি সব্জি ভর্তা পছন্দ করি। তেলাপিয়া সহ বেশীরভাগ চাষ করা মাছ খাওয়া হয়না। অনেক টাকার মাছ কিনেছো!
৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ লেখা দিয়েছেন
২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি মাছ সম্পর্কে তেমন জানি না। এই দুইটা মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে জেনে খারাপ লাগছে। আমাদের দেশে নাকি প্রায় হাজার খানেক নদী আছে। কিন্তু আমরা এই প্রাকৃতিক সম্পদের মূল্য বুঝতে পারি না। নদী হতে পারতো আমাদের উন্নয়নের একটা বড় হাতিয়ার। প্রাচীন কালে সভ্যতা গড়ে উঠত নদীর তীর ঘেঁসে। কিন্তু আমরা নদীকে অবহেলা করছি।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: বাংলাদেশের সব নদীর অবস্থা বুঝতে হলে বুড়িগঙ্গা নদী দেখলেই বুঝতে পারবেন দখলদারত্বের হাত থেকে কোনো নদীই রক্ষা পায়নি। তার উপর আছে বন্ধু দেশের নদী শাসনের সরাসরি প্রতিক্রিয়া।
৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৪২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- প্রকৃতিতে এদের নিরাপ বিচরন ও প্রজননের ব্যবস্থা করতে পারলে কয়েক বছরের মধ্যেই চিত্র পরিবর্তণ করা যেতে পারে। কিন্তু সেটি হবার নয়।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ইলিশ মাছ শিকার বন্ধ করতে বন্ধ কালীন সময়ে ৭/৮ জন সদস্যের একটা পরিবারকে মাসে ২৪ কেজি চাল দেওয়ার কথা.... তাও দেয়না। তাহলে মৎস্যজীবিদের জীবিকার নির্বাহ হবে কিভাবে! নিতান্তই বাধ্য হয়ে মাছ শিকার করে ক্ষুন্নিবৃত্তি নিবারণের চেষ্টা করে।
১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি সব্জি ভর্তা পছন্দ করি। তেলাপিয়া সহ বেশীরভাগ চাষ করা মাছ খাওয়া হয়না। অনেক টাকার মাছ কিনেছো!
দেশী মাছ আমার পছন্দ। কিন্তু পাবো কই?
চাষের মাছ বাধ্য হয়ে কিনতে হয়। খেয়ে স্বাদ পাই না। অথচ দাম অনেক।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: দেশী মাছ ঢাকা শহরের অনেক যায়গায় পাওয়া যায়। আমি কিনি ৬-৭ সাতমসজিদ রোডের ফুটপাতে প্রতিদিন সকালে সব ধরনের মাছের পশরা বসে- ওখান থেকে দেশীয় মাছ।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: আমিও পছন্দ করি না!
(বাগাড় না বাঘাইড় হবে? )
আমিতো সুপার শপে নিয়মিত বাঘাইড় ও মহাশোল ( এটার নামের সাথে 'শোল' কখনোই যায় না) বিক্রি করতে দেখি!
মরা মাছ বিক্রি করা অনুমতি দিলে সবাই মাছ মেরেই বিক্রি করবে বড় বজ্জাত জাতিরে ভাই আমরা।