নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
'পুরস্কার' কি কখনও কোনও সৃষ্টির মানদন্ড হওয়া উচিত?
অথচ হয়, সেটাই হয় প্রতিনিয়ত।
আমাদের প্রতিবেশী একটি মেয়ে একেবারেই সাধারণ ছবি আঁকে। মেয়েটির বাবা রাস্ট্রের একজন বিখ্যাত আমলা। ওদের গোটা বাড়িতে অনেকগুলো শো'কেসে বেশ নামি পুরস্কার স্মারক রাখা। দেখে জানতে চাইলাম। উত্তরে জানলাম সব আঁকার প্রতিযোগিতায় পেয়েছে। তখন তাঁর আঁকা ছবির খাতা দেখতে চাইলাম, দেখে তো পুরো অবাক। একেবারে অতি সাধারণ আঁকা।
একটা উদাহরণ দিই... আমাদের সুপরিচিত এক ব্লগার বন্ধু দুর্দান্ত ছবি আঁকে। অথচ দুর্দান্ত আঁকা ব্লগার বন্ধুটি আঁকার জন্য কোনও পুরস্কার কখনও অর্জন করতে পারেনি। তার মানে কি তাকে ইচ্ছা করে দেওয়া হয়নি? না, বিষয়টা ঠিক তেমন নয়। ভালো আঁকা ব্লগার বন্ধুটি প্রতিবার পেশাদার যোগ্য প্রতিযোগীদের মুখোমুখি হয়। যেখানে তার থেকেও ভালো আঁকা শিল্পী পুরস্কার ছিনিয়ে নেয়। অপর পক্ষে পুরস্কার পাওয়া মেয়েটি প্রতিবার এমন প্রতিযোগী পায়, যারা তার থেকেও খারাপ আঁকে।
এবার আর একটা বিষয়। আমার এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী বন্ধুর বিশাল অফিসে গিয়েছি। যেয়ে দেখি- গোটা অফিস জুড়ে বিভিন্ন রকম মেডাল, ক্রেস্ট ভর্তি..... আমি খুঁতিয়ে খুঁতিয়ে পুরস্কারগুলো দেখছি। হঠাত চোখ আটকে গেলো "শেরে-বাংলা স্মৃতি স্বর্ণ পদক- ২০২০” নামক ক্রেস্টের দিকে.... এই পুরস্কার প্রবর্তক এবং দাতা সংগঠনকে আমি খুব ভালো করে চিনি এবং জানি। এই পদক নামে যতটা ভারীই হোক প্রাপ্তি সহজ এবং শতভাগ বানিজ্যিক।
এবার দর্শক বা লেখার জগতে পাঠকের সাইকোলজির যদি ব্যাখা করি...
আমরা পুরস্কারকে যোগ্যতা মান মানসিক ভাবেই মেনে নিয়েছি। যখন আমাদের সামনে পুরস্কার প্রাপ্ত কেউ আসেন, আমরা আগে থেকেই মেনে নিয়ে তার ছবি, দেখি বা লেখা পড়ি... তিনি বা তারা পুরস্কার পেয়েছেন, কাজেই উপযুক্ত।
আমাদের মস্তিষ্ক যাচাই করার প্রতি আকর্ষণ হারায়।
লেখার জগতে দেখেছি- ঈদ সংখ্যায় কিম্বা অন্য যেকোনো বিশেষ সংখ্যায় যে বা যারা লিখবে, সে বা তারা তত বড়ো লেখক। এইভাবনা মানুষের মনে গেঁথে গিয়েছে। যে যত প্রতিযোগিতা জিতবে সে তত বড়ো শিল্পী/লেখক/কবি/সাহিত্যিক।
আমরা বাহারি মোড়কে আকৃষ্ট হয়ে, আসল খোঁজার চেষ্টাটাই ত্যাগ করেছি।
তবে, ব্যতিক্রম তো থাকবেই। কিছু পুরস্কারের কদর সত্যিই করতে হয়।
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বা মতামত... 'ভালো' সৃজনশীল, সৃষ্টি নিভৃত সাধনা ছাড়া সম্ভব নয়। তাই প্রকৃত সৃষ্টি করতে হলে, নিজেকে নিজের অন্তরে লুকিয়ে ফেলতে হবে। আর সৃষ্টির যারা কদর করবে... তাদের ছাই সরিয়ে দেখতেই হবে। না হলে নকলের ভিড়ে সবাই হারিয়ে যাবে।
আমি মনে করি, লেখকের ক্ষেত্রে পাঠকপ্রিয়তা আর শিল্পীর ক্ষেত্রে দর্শক প্রিয়তা- এর থেকে বড়ো পুরস্কার নেই। বাংলা সাহিত্যের পুরস্কার ব্যাপারটা একেবারেই লেখা লেখির মান/ পরিমাণ/ গভীরতার সংগে ডাইরেক্ট রিলেটেবল না। তবে পুরস্কার নবীনদের উৎসাহ দেয়। কিক স্টার্ট করে দেয়।
যিনি নিভৃত সাহিত্য সাধক, তার লেখা পুরস্কৃত হলে পাঠক তাকে পড়েন, তা লেখার মানদণ্ড যেমনই হোক। আবার পুরস্কার অযোগ্যদের অতিউৎসাহও দেয়- যা আখেরে ক্ষতি। এখন অতি সহজেই যে কোনও পুরস্কার পাওয়া যায়। ফলে ঠিক কতটা খাটলে একটা পুরস্কার পাওয়া যায়, সেটা বোঝা আর কারোর পক্ষে সম্ভব হয় না। এখন যোগ্যতম কে পুরষ্কৃত হতে দেখিনা। আগেও হয়নি তা নয়।
পুরস্কারের সাথে সুযোগ ব্যাপারটা আসে। যেকোনো উপলক্ষে লেখা প্রতিযোগিতায় বেশীরভাগ সময়ই অতি নিম্নমানের হয়েও ছেপে যায় বিভিন্ন পত্রিকায়। এর একটা বড়ো কারণ যোগাযোগ।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩১
নতুন বলেছেন: এই পুরস্কার প্রবর্তক এবং দাতা সংগঠনকে আমি খুব ভালো করে চিনি এবং জানি। এই পদক নামে যতটা ভারীই হোক প্রাপ্তি সহজ এবং শতভাগ বানিজ্যিক।
অনেক প্রতিস্ঠান আছে যারাদের ব্যবসাই পুরস্কার দেওয়া। বর্তমানে এটাও একটা লাভজনক ব্যবসা। বিদেশে এটা ভালো চলছে। এখন আমাদের দেশেও সম্ভবত প্রসার বাড়ছে
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি যে পুরস্কারের কথা উল্লেখ করেছি- সেটা একেবারেই একটা পরিবারের ব্যবসা। পরিবারের পুরুষ কর্তা একজন ছোটখাটো কবি। কয়েকটা কবিতার চটি বইও বের করেছে। সব সময়- যখন যে সরকার ক্ষমতায় তাদের সাহচর্যে এবং লোভাতুর আমলা-ব্যাবসায়ীদের কাছাকাছি থাকেন। 'শের ই বাংলা স্মৃতি স্বর্ন পদক' সংগঠনের মালিক তিনি, তার স্ত্রী এবং তিন মেয়ে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকদের সাথে ওঠাবসা। রাস্ট্রীয় হাই প্রোফাইলের লোকদের কাউকে ইনভাইট করে মঞ্চে বসিয়ে একটা পুরস্কার ফ্রি দেয়। আর অনেক আউল ফাউল লোকদের কাছে পুরস্কার চড়া দামে বিক্রি করে।
৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: পুরস্কার পেলে উৎসাহ বাড়ে।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: কিন্তু অযোগ্যদের পুরস্কার দিলে যোগ্যদের অপমাণ করা হয়।
৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৩
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: এখনতো অনেকে টাকা দিয়ে পুরস্কার কেনে।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: এবং লেহণ করেও।
৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪০
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: যে বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন তা নিয়ে চা-চক্রে জমজমাট আড্ডা-গল্প করা যায়।
পুরষ্কার অনুপ্রেরনা দেয় আরো ভালো কিছু করার। তবে সৃষ্টিপাগল মানুষগুলো পুরষ্কারের প্রত্যাশায় কিছু সৃষ্টি করে না। ২১ শে পদক পুরষ্কারের দেখলাম অনেকেই মরনোত্তর পুরষ্কার পেয়েছেন। মরার পরে এই পুরষ্কারের কি লাভ জানি না। অভ্র কী-বোর্ডের আবিষ্কারক মেহদী হাসান খানকে তার এক বন্ধু জিজ্ঞেস করেছিল, "অভ্র ব্যাবহার করার জন্য সে কত টাকা নিবে?" এক গাল হেসে মেহদী ভাই বলেছিল, ভাষার জন্য টাকা নিবো!। প্রত্যাশা মেহদী হাসান খানকে তার কৃতকর্মের জন্য পুরষ্কিত করতে চাইলে সে জীবিত থাকতেই করা উচিৎ।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: অভ্র জনক মেহদী হাসান খানকে সর্বদা কুর্নিশ।
বর্তমানে রাস্ট্রীয় পুরস্কার সব চাইতে হাস্যস্কর একটা বিশয়!
৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১৪
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: পুরস্কার যতক্ষণ পর্যন্ত যোগ্যকেই দেয়া হয় ততক্ষণ ঠিক আছে এই বাদে এটা একটা জঘন্য আচার !
আর বর্তমানে পাঠকেরা অন্যের মুখে মধু কেমন স্বাদের হয় তা জেনে নিজে বই পড়ে । পাঠক নিজের বিবেচনায় পড়ে না সমাজে না পড়লে মান থাকবে না বলে পড়ে তাই যোগ্য লেখক জীবন থাকতে দাম পায় না । মরার পর যদি প্রকাশকদের ব্যবসায় কিছুটাও অবদান রাখে তবে বিখ্যাত হয়ে যান তিনি যেমন জীবনানন্দ !
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: যেসব জ্ঞানীগুণীজন জীবিত থাকতে অপাংতেয়-তাদেরকে মরনোত্তর পুরস্কার দেওয়া স্রেফ একটা ভন্ডামি।
৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০০
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: কিন্তু অযোগ্যদের পুরস্কার দিলে যোগ্যদের অপমাণ করা হয়।
ইয়েস। রাইট।
বাংলা সাহিত্য এখন অযোগ্যদের দখলে চলে গেছে।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সব পুরস্কার সব সৃষ্টির মানদণ্ড না। কোনো পুরস্কারই বিতর্কের উর্ধ্বে থাকতে পারে নি। অস্কার, নোবেল প্রাইজসহ; আমাদের বাংলা একাডেমী পুরস্কার কতখানি বিতর্কের সৃষ্টি করে, তা আমরা সবাই জানি।
তবে, যত বিতর্কই থাক না কেন, কিছু কিছু পুরস্কার আপনাকে সত্যিই অনেক উপরে নিয়ে যাবে - আপনি অস্কার বা নোবেল পিস প্রাইজ বা লিটারেচার প্রাইজ পেয়ে দেখুন - আপনি তখন এই ব্লগেই থাকবেন না
একটা সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন - পাঠক প্রিয়তা ও দর্শক প্রিয়তাই সবচাইতে বড়ো স্বীকৃতি বা পুরস্কার। লিও টলস্টয় জিও-পলিটিক্যাল কারণে নোবেল প্রাইজ পান নাই। অথচ, তিনি নোবলে লরিয়েটদের গুরু।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: সোনা ভাই, সত্যি বলতে- এখন বাংলা একাডেমী পুরস্কার, স্বাধীনতা পুরস্কার এখন সম্মানের নয় বরং তেলবাজীর পুরস্কার।
৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৩৬
সোহানী বলেছেন: ভাইরে লাভ নাই ভালো ভালো কথা বলে। টাকা যার পুরস্কার তার। ...........
সেই আগের দিনের ধ্যান ধারনা সব এখন মিথ্যা। সবাই এখন রাতারাতি সেলিব্রেটি হতে চায়। কেমন যেন একটা সিক এনভায়রনমেন্ট।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: যা হবার কথা তাই হচ্ছে- যেমন "নির্বাচির সরকার" তেমনই তাদের কর্মযজ্ঞ।
১০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩১
শাওন আহমাদ বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। আমি এমন অনেক দেখেছি ইভেন নিজেও ভিক্টিম হয়েছি এবং ভীষণ হেসেছি, খুব হেসেছি।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭
রানার ব্লগ বলেছেন: আমার মনে হয় পুরুষ্কার ব্যাপারটা রুপক অর্থে আছে স্বিকৃতির। সৃষ্টির স্বিকৃতি না হলে তার মূল্যায়ন হয় না। স্বয়ং আল্লাহ মানুষ সৃষ্টির সময় ফেরেশতাদের স্বিকৃতি চেয়েছেন যদিও তিনি সর্বজ্ঞ্যানী এবং স্বয়ং সম্পুর্ন।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৫
সামছুল আলম কচি বলেছেন: পুরস্কার নিয়ে চমৎকার ব্যাখ্যা !! অনেক ধন্যবাদ !!