নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসা দিবসে হারিয়ে গিয়েছে জয়নাল দীপালি সাহার আত্মত্যাগ….

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৩

ভালোবাসা দিবসে হারিয়ে গিয়েছে জয়নাল দীপালি সাহার আত্মত্যাগ….

১৪ ই ফেব্রুয়ারী ছিলো শহীদ জয়নাল-দীপালীর আত্মত্যাগের দিন। কিন্তু কোথাও এই দিনটি পালিত হবার খবর দেখলাম না। তবে শহীদ জয়নাল-দেলোয়ারের বন্ধু ডক্টর ওয়াদুদ এর হাতীরপোল ইস্টার্ণ প্লাজা সংলগ্ন বাড়ির সামনে তাঁদের স্মরণে একটা বড়ো ব্যানার দেখলাম। ধন্যবাদ ডক্টর আবদুল ওয়াদুদ।
১৯৮২ সনের ২৪ মার্চ এরশাদ সামরিক শাসন জাড়ি করার পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রতিবাদ মুখর হয়েছিল।
১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনের ২১ বছর পর স্বাধীন বাংলাদেশে কুদরত -ই- খোদা শিক্ষানীতির বিপরীতে স্বৈরাচারী এরশাদের নির্দেশে আবির্ভূত হল মজিদ খান শিক্ষানীতি। মজিদ খানের প্রস্তাবিত শিক্ষা নীতির ছোট্ট একটাই নীতিই বলি- 'আপনি যতই দূর্বল ছাত্র হন- সমস্যা নাই, আপনি যদি টাকা ঢালতে পারেন তবে আপনি যতই ফেল করুন, আপনি উচ্চ শিক্ষা পাবেন। আপনার টাকা নাই, আপনার শিক্ষা পাওয়ার অধিকার নাই। শিক্ষার মাপকাঠি মেধা নয়, অর্থ।'

এই নীতির বিপক্ষে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন সহ সকল ছাত্র সংগঠন এক হয়ে যায় ১৯৮২ এর ১৭ সেপ্টেম্বর। দিনটি ছিল ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলনের ২০ বছর পূর্তি। ২১ তারিখেই গঠিত হয় সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। জানুয়ারিতে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতিকে গ্রেফতার করা হলে আন্দোলন আরো বেগ পায়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৪ ফেব্রুয়ারি সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচী দেওয়া হয়।
ভালোবাসা দিবস পালনের ‘মহা’ গুরুত্ব আমার বলা অপ্রয়োজন। কারণ হাজার হাজার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ভালবাসা দিবসের ‘গুরুত্ব’ কে আলোকিত করতে সহস্র শ্লোগানের জন্ম দিয়ে যাচ্ছে প্রতি বছরই। এই দিনে ফুল থেকে শুরু করে কার্ড, চকলেট, ডায়মন্ড, প্লাটিনাম মার্কেটিং দিনকে দিন অসাধারণত্ব পেয়েই চলছে। হয়তো ভবিষ্যতে ফুল, চকলেট, ডায়মন্ড, প্লাটিনামের
মতোই ইউরোনিয়াম, চাঁদের মাটিও বিক্রি হবে যা মৌসুমি ভালোবাসা ক্রেতা বিক্রেতাদের পছন্দের গিফট হবে। এইদিনকে ঘিরে নাটক, কনসার্ট এর ধুম নতুন কিছু নয়। এই দিন যেহেতু এত আয়োজনপূর্ণ সেহেতু ভালাবাসা দিবস ছাড়া ভালোবাসার যথার্থ প্রকাশ অসম্ভব- আমরা তা ধরেই নিতে পারি।

১৯৯৩ সালের দিকে আমাদের দেশে ভালোবাসা দিবসের আবির্ভাব ঘটে। সাংবাদিক ব্যক্তিত্ব শফিক রেহমান পড়াশোনা করেছেন লন্ডনে। পাশ্চাত্যের রীতিনীতিতে তিনি ছিলেন অভ্যস্ত। দেশে ফিরে তিনিই ভালোবাসা দিবসের শুরু করেন। এ নিয়ে অনেক ধরনের মতবিরোধ থাকলেও শেষ পর্যন্ত শফিক রেহমানের চিন্তাটি নতুন প্রজন্মকে বেশি আকর্ষণ করে মূলত দৈনিক প্রথম আলো এবং যায়যায়দিন পত্রিকার ব্যপক প্রচারে। ১৪ ফেব্রুয়ারিকে শফিক রেহমান আমাদের দেশে ‘ভালোবাসা’ দিবস হিসেবে পরিচিত করানোর আগে দিনটি ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ’ দিবস হিসেবেই পালিত হত।

১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাঙলাদেশের মাটি লাল হয়েছিল জয়নাল এবং শিশু দীপালি সাহার রক্তে- এ ইতিহাস আমাদের জানা সত্ত্বেও আরেকবার স্মরণ করতে কোন ক্ষতি নাই।

এখনো আমার স্মৃতিতে দগদগে- ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বাংলাদেশে সামরিক শাসন জারি করা হলে সকল রাজনৈতিক দল এবং তাদের কর্মকাণ্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা নেমে আসে। নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে তৎকালীন ছাত্র সমাজ বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রথম থেকেই সামরিক শাসনের বিরোধিতা করে আসে। ৮ নভেম্বর ১৯৮২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের মিছিলে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে তার পরদিন মধুর ক্যান্টিনে প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’। ১১ দফার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত ‘কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের’ অন্যতম প্রধান দাবী ছিল এরশাদ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী ড.আব্দুল মজিদ খান কর্তৃক ১৯৮২ সালের ২৩ শে সেপ্টেম্বর প্রণীত শিক্ষানীতি বাতিল করার।

এরশাদ এবং তার শিক্ষানীতির বিরোধিতা জোড়াল হয়ে ওঠে ১৯৮৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে ওই দিন হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী ঢাকার বুকে নেমে পড়ে। বিশাল এক মিছিল সচিবালয়ের অভিমুখী যাত্রা করে স্মারকলিপি পেশ করার উদ্দেশ্যে। মিছিলটি পুলিশের দ্বারা বাধা-প্রাপ্ত হয় হাইকোর্ট-মোড়ে। পুলিশের বসানো কাঁটাতারের বেড়ার উপর উঠে পড়ে অনেক ছাত্র। জ্বালাময়ী সব শ্লোগানে কেপে ওঠে পুরো এলাকা। হঠাৎ করেই মিছিলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। সেই সাথে নিরস্ত্র ছাত্র-ছাত্রীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস আর গুলি ছোড়ে পুলিশ। গুলির আঘাতে প্রাণ হারায় জয়নাল। আহত হয় জাফর, আইয়ুব, কাঞ্চনসহ আরো অনেকে। শিশু একাডেমীতে ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষে জীবন হারায় ছয় বছরের শিশু দীপালি সাহা।বতখন ছিল কেবল রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বিটিভি। সেই বিটিভির খবরেই স্বীকার করা হয় ১০ জনের মৃত্যুর কথা, ১৩১০ জনকে এই এলাকা থেকে গ্রেফতারের কথা।

দীপালি সাহা, জয়নালদের স্মৃতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে এর পরের বছর মানে ১৯৮৪ সাল থেকে মোটামুটি ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ১৪ ফেব্রুয়ারি পালন করা হতো ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে।

১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ভালবাসা দিবস’ বাংলাদেশে প্রচলিত হওয়ার পর থেকে ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির রক্তাক্ত ইতিহাস অনেকটাই ঢাকা পড়ে যায়। তারপরও কেউ কেউ জয়নাল- দেলওয়ার-দীপালীদের মনে রেখেছেন।
‘ভালবাসা দিবস’ যার খুশি সে পালন কিংবা অ-পালন করতেই পারে তবে ১৯৮৩ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি যারা জীবন দিয়েছিলেন তাঁদের স্মরণ আমরা করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে পারি।।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আহা ! মানুষ তাদের ভুলেই গেছে। তবু ইতিহাস থেকে তারা মুছে যাবেনা।++++

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৮

জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমরা অজপাড়াগাঁয়ের স্কুলে পড়তাম, যেখানে পত্রপত্রিকা যেত না। আমাদের এক ক্লাসমেট একদিন জানালো, এখন থেকে ২১ ফেব্রুয়ারির সাথে ১৪ই ফেব্রুয়ারিও পালিত হবে। খুব সাধারণ একটা ধারণা দিয়েছিল সে, যতটুকু সে জানতে পেরেছিল।

রক্তাক্ত দিনটি ঢাকা পড়ে গেল এভাবে!! এ দিনকে আর সামনে এগিয়ে নিয়ে আসার কেউ নাই। ভালোবাসা দিবসের নীচে রক্তের দাগ ঢাকা পড়ে গেছে।

গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১০

জুল ভার্ন বলেছেন: সোনা ভাই, সেইসব দিন গুলোর কথা কখনো ভুলবোনা। এখনও চোখের সামনে স্মৃতি হয়ে ভাসছে।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ইলিশ পান্তা আর ভালোবাসা দিবস বিশাল অর্থনৈতিক ফায়দা।


২১ এর শোক যেন আনন্দ উৎসব। আগে শোক পালন করা হতো এখন হয় উৎযাপন।
কিউপিডের চক্রের ফুলের মুকুট শোভা পায় ২১ এর শোকের চেতনায়।
সারাদিন শোক উৎযাপন শেষে ক্লান্ত প্রজন্ম ভিড় জন্য রেস্টুরেন্টে !!


আমার কিন্তু লজ্জা হয় জুল ভার্ন !
সত্যি বলছি।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১১

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে একমত জানিয়ে বলছি- আমারও লজ্জা হয়!

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪০

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: পোস্টে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি তুলে আনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ব্যাটা শফিক রেহমান কিন্তু বরাবরই একটা ধান্দাবাজ লোক।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৩

জুল ভার্ন বলেছেন: শফিক রেহমান সম্পর্কে আপনার ধারণা ভুল। তিনি পাশ্চাত্যের একটা প্রচলিত উতসবকে আমাদের দেশেও প্রচলিত করেছেন মাত্র। তিনি জয়নাল-দেলওয়ার-দীপালীদের ভুলে যেতে বলেন নি।

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভালোবাসা দিবস আজ নিকৃষ্ট বেলেল্লাপনায় পরিণত হয়েছে।
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই চমৎকার বলেছেনঃ "ভালোবাসা দিবসের নীচে রক্তের দাগ ঢাকা পড়ে গেছে!"

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮

রানার ব্লগ বলেছেন: ওই সময় আমি তিন বছরের নাবালক। কোন স্মৃতি আমার মস্তিষ্কে নাই অবশ্য থাকার কথা না কারন আমার বাসস্থান ছিলো ক্যান্টনমেন্ট।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৫

জুল ভার্ন বলেছেন: আমিতো আপনাকে আরও সিনিয়র ভেবেছিলাম। আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বেরিয়েছি মাত্র!

৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪

অপু তানভীর বলেছেন: রক্তের দাগ যদি ঢাকা পড়েই যায় সেই জন্য বর্তমান প্রজন্মকে কি আসলেই খুব একটা দোষ দেওয়া যায় ?
এই দায় কি আমাদের বৃদ্ধ প্রজন্ম এবং সরকারের নয়?

ক্লাস ওয়ান থেকে ইন্টার পর্যন্ত কোন ক্লাসে এই তথ্য আমি খুজে পাবেন?
দেশের জনগনের মাঝে এই আত্মত্যাগের কথা পৌছে দেওয়ার দায়িত্ব কেউ নেয় না ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: কিছুই ব্লার নাই। সত্য বড়ো নিষ্ঠুর। বর্তমানে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা সর্বকালের খারাবী চলছে....

৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪

চারাগাছ বলেছেন:
হুজুকে বাঙালিকে সঠিক ভাবে পাঠ করছিলেন শফিক সাহেব। একটা প্রতিবাদী দিনকে তিনি নষ্ট করে দিয়েছেন।
সেই সাথে কারো একবার মনে হলো না এই ঘটনাকে সামনে আনার। প্রজন্ম ইতিহাস জানে না।

১৯৮৩ সালের রক্তরাঙা ১৪ ফেব্রুয়ারি নিয়ে তৎকালীন ছাত্রনেতা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি আমরা শুধু জয়নালের মরদেহ পাই। দিপালী সাহার মরদেহ গুম করে ফেলে। তার মরদেহ আমরা পাইনি। ১৫ ফেব্রুয়ারি কাঞ্চন চট্টগ্রাম শহরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আরও অনেকে নিখোঁজ হন। তাদের জীবিত বা মৃত কোনো অবস্থায়ই পাওয়া যায়নি। ভালোবাসা দিবসে এ রকম একটা হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল, তা এ প্রজন্মকে স্মরণ করাতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। এ দায় স্বীকার করে নিতে আমার আপত্তি নেই।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৮

জুল ভার্ন বলেছেন: শফিক রেহমান সম্পর্কে আপনার ধারণা ভুল। তিনি পাশ্চাত্যের একটা প্রচলিত উতসবকে আমাদের দেশেও প্রচলিত করেছেন মাত্র। তিনি জয়নাল-দেলওয়ার-দীপালীদের ভুলে যেতে বলেন নি।

৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক পুরনো ইতিহাস। ভুলেই গিয়েছিলাম।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬

জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা ইতিহাস বিস্মৃত জাতি!
মনে করিয়ে দিলাম।

১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:১৩

বিষাদ সময় বলেছেন: শফিক রেহমানের ভালবাসা দিবসের আমদানিটা এখনও বেশিরভাগ মানুষের মনে প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে আছে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০৮

জুল ভার্ন বলেছেন: পক্ষ- বিপক্ষ থাকবেই। আমরা ভালোটা বেছে নেবো।

১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২২

অনল চৌধুরী বলেছেন: স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারে আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদরা বারবার গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছে। আর এরশাদও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নির্বিচারে তাদের হত‍্য-গুম করেছে। তার আমলে কতো ছাত্র -জনতা নিহত হয়েছেনসেই হিসেব কেউ রাখেনি।
কিন্তু এই এরশাদই পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র স্বৈরাচারী শসক,ফাসী বা যাবজ্জীবন হওয়ার পরিবর্তে আবারো যে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো।
বাংলাদেশের মতো নষ্ট জনগণ আর রাজনৈতিক নেতাদের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।
ভ‍্যালেন্টাইন পালনের সূচনা করে কূখ‍্যাত শফিক যে খালেদার উপদেষ্টা ছিলো এবং তার সব ভাষণ লিখে দিতো বলে জানা যায়।
এই বিএনপি সমর্থকদের ক্ষুদ্ধ করবে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:১১

জুল ভার্ন বলেছেন: একজন সাংবাদিক হয়েও আর একজন সিনিয়র সাংবাদিককে সম্মান করে বলতে পারেননি। বয়োবৃদ্ধা একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেলাও তাই।

১২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারে আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদরা বারবার গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছে। আর এরশাদও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নির্বিচারে তাদের হত‍্য-গুম করেছে। তার আমলে কতো ছাত্র -জনতা নিহত হয়েছেন সেই হিসেব কেউ রাখেনি।
কিন্তু এই এরশাদই পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র স্বৈরাচারী শসক,ফাসী বা যাবজ্জীবন হওয়ার পরিবর্তে আবারো যে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো।
বাংলাদেশের মতো নষ্ট জনগণ আর রাজনৈতিক নেতাদের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।
১৯৮৯ সাল থেকে যায় যায় দিন পত্রিকার মাধ্যমে তথাকথিত ভ‍্যালেন্টাইন পালনের সূচনা করে কূখ‍্যাত শফিক যে খালেদার উপদেষ্টা ছিলো এবং তার সব ভাষণ লিখে দিতো বলে জানা যায়।
এই লেখা বিএনপি সমর্থকদের ক্ষুদ্ধ করবে।
*প্রথম মন্তব্য অসম্পূর্ণ ছিলো।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:১৪

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার পছন্দের দলের নেতাদের কেউ অসম্মান করলেও কি আপনার ভালো লাগে?

১৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শফিক রেহমান এখন কোথায় আছেন কী করেন।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:১৩

জুল ভার্ন বলেছেন: ইংল্যান্ডে আছেন এবং বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত শুনেছি।

১৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:০৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: আপনার সাম্প্রতিক লেখাগুলি বিষয়বস্তর সাথে মন্তব্য সম্পূর্ণ স্ববিরোধী হচ্ছে।
এই লেখার মুল বিষয় হচ্ছে এরশাদের ছাত্র হত্যার ঘটনা আড়াল করার জন্যই শফিক ১৪ই ফেব্রুয়ারী বজ্জাতি দিবস পালন শুরু করে। এই তথ্য দিয়ে কি আপনি তাকে সন্মানিত করেছেন না যারা ঘটনাটা জানে না, তাাদের কাছে তার কূকীর্তির মুখোশ উন্মোচিত করেছেন???
আপনি নিজেই লিখেছেন, ১৪ ফেব্রুয়ারিকে শফিক রেহমান আমাদের দেশে ‘ভালোবাসা’ দিবস হিসেবে পরিচিত করানোর আগে দিনটি ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ’ দিবস হিসেবেই পালিত হত
এর মাধ্যমে কি তাকে সন্মানিত না অপমানিত করা হয়েছে ???/
এতে দোষের কিছুই না্ কিারণ অভিভবাক, শিক্ষক, লেখক , সাংবাদিক, নেতা-যেই অপরাধ করুক, সে সন্মানের অযোগ্য ও ঘৃণিত এবং এটাই স্বাভাবিক।
আমাদের পরিবারের সাংবাদিকতার ঐতিহ্য শফিকের চেয়ে অনেক পুরানো। আমাদের নিজেদের পত্রিকা যখন প্রকাশিত হয় এবং ১৯৮২ সাল থেকে আমি যখন সাংবাদিকতা শিখছিলাম, তখনও তার ধান্ধাবাজি শুরু হয়নি।
বয়োবৃদ্ধ প্রধানমন্ত্রী যদি নিজের ছেলেদের পেশষাদার ডাকাত বানায় এবং দলবল নিয়ে দুর্নীতি করে দেশ ধ্বংস করে, নিযামীর মতো আল-বদর বাহিনীর প্রধান জামাতি রাজাকারদের মন্ত্রী বানায় তা্হলে পৃথিবীর কোন যুক্তিতে তাকে সন্মান করতে হবে!!!
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আপনার সহযোদ্ধারা কি এদের সমর্থন করা জন্য আপনাকে কোনোদিন ক্ষমা করবে !!!!
তারা কি কোনোদিন স্বপ্নে আপানাকে দেখা দিয়ে অভিশাপ দেয় না !!!
যেসব কারণে এরশাদের বিরোধিতা করছেন, সেইএকই অপরাধগুলিতে অভিযুক্ত খালেদাকে সমর্থন করছেন !
এটার নামই সালিশ মানি কিন্ত তালগাছ আমার।
বাংলাদেশ শিক্ষা, বয়স ও পেশা নির্বিশেষে প্রায় সব লোক এই মতের সমর্থক, যেজন্য দেশ চোর-দুর্নীতিবাজ মুক্ত হচ্ছে না।

আমি মুক্তিযুদ্ধ, নীতিবান মুক্তিযোদ্ধা আর বাংলাদেশের জনগণ ছাড়া দেশের কোনো রাজনৈতিক দল বা নেতাকে সন্মান করিনা।
আমার লেখাগুলি পড়রে এটা কারো না বোঝার কথা না।

১৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৪১

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: যতদূর মনে পড়ে, যায়যায় দিন পত্রিকা নব্বই এর আগ পর্যন্ত আওয়ামী সমর্থক ছিল, নব্বই এর পরে বিনপি সমর্থক।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪২

জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা, তবে চেক এন্ড ব্যালেন্স ছিলো। যখনই আওয়ামী লীগের কুকর্মের বিরুদ্ধে লেখালেখি শুরু হলো- তখনই আওয়ামী রোষানলে পরে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.