নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চেঙ্গিস: বার্থ অভ অ্যান এম্পায়ার.....

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩৩

চেঙ্গিস: বার্থ অভ অ্যান এম্পায়ার.....

বাংগালী চরিত্রের অন্যতম স্বভাব হচ্ছে- আমরা কারোর উপর রেগে গেলেই তার চৌদ্দপুরুষ উদ্ধার করি....আমরা যতই কারোর চৌদ্দপুরুষ উদ্ধার করিনা কেনো- আসলে আমরা আমাদের কত পুরুষ সম্পর্কে জানি? বড়ো জোর- তিন, চার, পাঁচ, ছয়, সাত...তারপর? জানি না। জানার সুযোগও কম। কিন্তু আমি, আপনি, আমরা জানিই না আপনার আমার, আমাদের ধমনিতে বইছে শত শত বছর আগের কোনো রাজার রক্ত। অবাক হওয়ার কিছুই নেই। বিজ্ঞানী ও নৃতাত্ত্বিকেরা কিন্তু এমন কথাই বলছেন।

২০০৩ সালে নৃতাত্ত্বিকদের এক গবেষণায় পৃথিবীতে এখন প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষের মধ্যে চেঙ্গিস খানের ডিএনএ আছে! আরেক গবেষণায় জিন গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, শুধু চেঙ্গিসের ডিএনএ–ই নয়, আরও বেশ কয়েকজন নৃপতির ডিএনএ এখনো অনেকের মধ্যে বিদ্যমান। এ বিষয়ে ইউরোপিয়ান জার্নাল অব হিউম্যান জেনেটিকস- এ গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাটি হয়েছে যুক্তরাজ্যের ওয়েলকাম ট্রাস্ট স্যাঞ্জার ইনস্টিটিউটের জিন বিশেষজ্ঞ ক্রিস টায়লার–স্মিথের নেতৃত্বে। এই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে জড়িয়ে আছে রসায়নে দুবার নোবেল পুরস্কার পাওয়া ব্রিটিশ জৈব রসায়নবিদ ফ্রেডেরিক স্যাঞ্জার। তিনি প্রথমবার নোবেল পেয়েছিলেন প্রোটিনের কাঠামো নিয়ে গবেষণা করে এবং দ্বিতীয়বার পেয়েছিলেন ডিএনএ সিকোয়েন্স গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে।


ডিএনএ সিকোয়েন্সিং পদ্ধতি অনুসরণ করে পূর্বপুরুষের ইতিহাস জানা যায় ডিএনএ সিকোয়েন্সিং পদ্ধতি অনুসরণ করে। বিজ্ঞানীরা এশিয়ার প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের Y ক্রোমোজম পরীক্ষা করে এসব তথ্য পেয়েছেন। তাঁরা ২০ জনের মধ্যে এমন ১১টি Y ক্রোমোজম সিকোয়েন্স পেয়েছেন, যা আরও বেশি লোক বহন করছে। ১১টি সিকোয়েন্সের মধ্যে একটি মঙ্গল সম্রাট চেঙ্গিস খানের। তার মানে চেঙ্গিস ছাড়া আরও কমপক্ষে ১০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির ডিএনএ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে আছে।
বিজ্ঞানবিষয়ক ব্রিটিশ জার্নাল নেচার নিউজ–এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অসংখ্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকত। এর ফলে তাঁদের সন্তানের সংখ্যাও ছিল অনেক। এর ফলেই তাঁদের বংশধরেরা বর্তমান সময় পর্যন্ত টিকে আছে।
আর একটা কথা, আমরা যারা অনেকেই গর্ব করে বলি- 'আমার দাদা ছিলেন পীর আউলিয়া', 'আমার পূর্বপুরুষের রক্তে আছে জমিদারের রক্ত'- ইত্যাদি। আসল সত্য হচ্ছে- ১৫শত বছর আগে আপনার পূর্বপুরুষ ছিলেন- নমঃসুদ্র!

যাই হোক, জেনে অবাক হবেন, এই চেঙ্গিসের জীবনেও প্রেম ছিলো।
ভাবছেন, 'চেঙ্গিস খান' এর মতো মানুষের জীবনেও প্রেম! এতো পাথরে ফুল ফোটার মতো!
চেঙ্গিস খান।
যার নাম শুনলেই ভয়ে শিউড়ে উঠেন অনেকে। পরাজিত জাতিদের কাছে তিনি ছিলেন এক মুর্তিমান আতংক। এই মঙ্গোল সম্রাট ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম অপরাজিত যোদ্ধা। যিনি এককভাবে জয় করেছিলেন পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি অঞ্চল এবং যিনি ৪ কোটি মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। ধ্বংস, হত্যা, চাতুর্য, ক্ষমতা লিপ্সা এবং রণকুশলতার এক অভূতপূর্ব মিশেলে গড়া চেঙ্গিস খান বা তিমুজিনের জীবন। এই দুধর্ষ সমর নায়কের জীবনে প্রেম ছিল, বীররসের সাথে ছিল প্রেমরস।
চেঙ্গিসের জীবনের হাজার হাজার নারীর সঙ্গ এলেও বোর্তে ছিল তার প্রথম ও শেষ ভালবাসা। অসংখ্য সন্তানের পিতা হওয়া সত্ত্বেও শুধু বোর্তের গর্ভে জন্ম নেওয়া চার ছেলেকেই উত্তরাধিকারী হিসাবে মনোনীত করেছিলেন তিনি। বোর্তে আর তেমুজিনের এই ভালবাসা ইতিহাসে বেঁচে আছে অনন্য হয়ে। বেঁচে আছে বোর্তের গর্ভে জন্ম নেওয়া চেঙ্গিসের চার ছেলের নাম জোচি, তুলুই, ওদেগিই, চুঘতাই খানের মাধ্যমে।


মাত্র নয় বছর বয়সে তার পিতা মোঙ্গল রীতি অনুযায়ী তার জন্য টুকটুকে সুন্দরী বউ ঠিক করেন- নাম বোর্তে। পাশ্ববর্তী ওংগিরাত গোত্রের রাজকুমারী ছিলেন তিনি। তৎকালীন রীতি অনুযায়ী কণের বয়স ষোলো না হওয়া পর্যন্ত বউ থাকবে বাপের বাড়ি। যে দিন তার বয়স ১৬ বছর পূর্ণ হবে সে দিন ঘটা করে তাকে স্বামীর বাড়ি আনা হবে। তিমুজিন নতুন বউকে দেখলেন আর শিশু অবস্থাতেই মহা প্রেমে পড়ে গেলেন। সময় পেলেই ছুটে যেতেন শ্বশুরবাড়ি। স্ত্রীর সঙ্গে শিশুতোষ খেলা খেলে আবার বাড়িতে ফিরে আসতেন। এভাবেই হাসি- আনন্দ-ফুর্তির মধ্যে তাদের দিন কাটছিল। শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই 'কুনু কুনু কুসু কুসু' খেলা খেলতেন। 'কুনু কুনু কুসু কুসু' মঙ্গোলিয়ার মরুভূমিতে প্রচলিত এক ধরনের পুতুল খেলা।

তিমুজিনের বয়স তখন ১৬, সে দিনই তারা প্রথম বাসর করতে প্রস্তুত হচ্ছিলেন। কিন্তু সন্ধ্যার আগেই অপহৃত হলেন বোর্তে। মারকিত নামক এক মরু বেদুইন গোত্র প্রধান অপহরণ করে নিয়ে যায় তিমুজিনের স্ত্রী বোর্তেকে। এক বছর পর, অর্থাৎ ১৭ বছর বয়সে তিমুজিন গোত্র প্রধানদের সহায়তায় উদ্ধার করে ঘরে তুলে আনলেন তার বাল্যবধূ বোর্তেকে। অবশ্য খুব বেশি দিন একসাথে থাকা হল না স্ত্রীকে নিয়ে। কিছুদিনের মধ্যেই আবারও এল বিচ্ছেদ। প্রতিপক্ষ অতর্কিত হামলা চালিয়ে হত্যা করল তিমুজিনের গোত্রের লোকদের। সেই সাথে তুলে নিয়ে গেল বোর্তেকেও। এই ঘোর বিপদে তেমুজিন পিতৃবন্ধু তুঘরুল খান ও নিজ বন্ধু জমুখার সাহায্যে উদ্ধার করা হল বোর্তেকে। ফিরিয়ে আনার কিছুদিন পরেই বোর্তের গর্ভে জন্ম নিল চেঙ্গিসের বড় ছেলে জোচি। কিন্তু শত্রু শিবির থেকে বোর্তের মুক্ত হওয়ার মাত্র নয় মাস পর জন্ম হওয়ায় জোচির পিতৃ পরিচয় নিয়ে কানাঘুষা শুরু হল। তবে চেঙ্গিস আজীবন জোচিকে নিজের সন্তান হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন, স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন তার প্রথম প্রেম বোর্তেকে।

প্রেম হিংস্রতম মানুষটিকেও কাউকে ভালোবাসতে শেখাতে পারে, তাবোধহয় চেঙ্গিস খাঁর এই প্রেম কাহিনী না পড়লে জানা যেতনা৷ বহুসন্তানের পিতা হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র বোর্তের চার সন্তানকেই স্বীকৃতি দানের মধ্যে...স্ত্রী বোর্তের প্রতি তার অগাধ প্রেম প্রতিফলিত হয়েছে৷ শিশু কালের বিবাহকে মান্যতা দেওয়া বা অপহৃত স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার যে বারংবার প্রচেষ্টা তা গভীর প্রেমেরই ইঙ্গিত বহন করে৷ এবং তার মতো এক অসম যোদ্ধা যেকিনা তার অপহৃত স্ত্রীকে এত সমাদরে স্থান দিয়ে বিতকির্ত গর্ভজাত প্রথম সন্তানকেও স্বীকৃতি দান করেন, পৃথিবী তাকে যতোই হিংস্র বলুক অন্তত এব্যাপারে তিনি অত্যন্ত উদার মনস্ক ছিলেন৷ যেখানে লঙ্কা থেকে প্রত্যাবর্তনের পর স্বয়ং সীতাকে পর্যন্ত অগ্নিপরীক্ষা থেকে অব্যাহতি দেননি রামচন্দ্র৷কিন্তু চেংগিসের মতো হিংস্রতম মানুষটীও তাঁর প্রেমিকাদের কখনো অবিশ্বাস করেননি, অসম্মান করেননি।

সৌজন্য স্বীকার:
(১) চেঙ্গিস: বার্থ অভ অ্যান এম্পায়ার।
(২) Stay Curioussis.
(৩) হিস্ট্রি অব তেমুজিন এবং চেংগিসখান উইকিপিডিয়া।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
চেঙ্গিস বোর্তের অমর প্রেম কাহিনি।+++

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৯

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ মাইদুল।

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: যুদ্ধোন্মাদ বর্বর হত্যাকারী লুণ্ঠনকারী চেঙ্গিস খানের সম্পর্কে এত কিছু জানতাম না। ধন্যবাদ ভাইজান আপনাকে।
শুভেচ্ছা জানবেন।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫২

জুল ভার্ন বলেছেন: গুগল সার্চ দিলেই দেখবেন চেংগিস সম্পর্কে দেশ বিদেশের লেখকদের অসংখ্য বই আছে- বইয়ের রেটিং দেখে কয়েকটা বই সিলেক্ট করে পড়বেন, দেখবেন আরও কতো অজানা কাহিনী তার সম্পর্কে আছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: প্রত্যের নির্দয় ব্যক্তিই সবার প্রথমে মানুষ ছিল। তবে চেঙ্গিস খানের ঘটনা গুলো কতটা সত্য কতটা রস মিশিয়ে লেখা হয়েছে তা কেউ জানতে পারবে না। ইতিহাস সব সময় সত্য কথা লিখে না...

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪৮

জুল ভার্ন বলেছেন: ইতিহাস লেখা হয়- যার যার পছন্দ মতো। তাই "নির্মোহ ইতিহাস লিখতে হয়- ঘটনার পঞ্চাশ বছর পর"- বলেছেন একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব।

৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: চেঙ্গিস কে নিয়ে অনেক লেখা পড়েছি।
কিন্তু আপনি যেটা লিখেছেন সেটা একেবারে আলাদা। বুঝা যাচ্ছে অনেক পড়েছেন বলেই এরকম লিখতে পেরেছেন।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০৯

জুল ভার্ন বলেছেন: যেহেতু লেখাটি তোমাদের মতো বিদগ্ধজনের নজরে আসবে তাই চেষ্টা করেছি কমন বিষয়গুলোর বাইরের তথ্যগুলো সামনে আনতে।

৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫

বিটপি বলেছেন: চেঙ্গিস খান জীবনে একজনের কাছেই মার খেয়েছিলেন - সে হচ্ছে বোর্তে। এই বোর্তে তার চেয়ে দেড় বছরের বড় ছিল। ৯ বছর বয়েসে কনে দেখতে গিয়ে সে এই বোর্তের সাথে এক ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে এবং মারামারি শুরু হয়। দীর্ঘদেহী বোর্তের সাথে পেরে না উঠে সে একতরফা মার খেতে খেতে চিৎকার করতে থাকে। তখন বোর্তের পিতা এসে তাকে রক্ষা করে।

চেঙ্গিস খান খুব ভয়ানক মানুষ ছিল। তার রক্তবন্ধু জুমুখাকে সে অনেক কষ্ট দিয়ে হত্যা করে। শত্রুপক্ষের কেউ তার দলে যোগ দিলে সে তাকে ফুটন্ত পানিতে সেদ্ধ করে মারত। সমরখন্দ অভিযানের সময় সমরখন্দের নাবালক শাহজাদাকে সে ঘোড়ার নীচে পিষে মেরে ফেলে সে বড় হয়ে প্রতিশোধ নেবে - একথা বলার অপরাধে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:১৩

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন, বোর্তের হাতে ছেলেবেলা চেংগিস ধোলাই খেয়েছিলো।
তবে একটা বিষয় খেয়াল করবেন, চেংগিসের জীবনী লেখকদের মধ্যে অমুসলিম লেখকরা তাকে যেভাবে হিংস্র হিসেবে তুলে ধরেছেন সেভাবে উপমহাদেশের অনেক লেখকের লেখায় তেমনটা উল্লেখ নাই। ঠিক একই ঘটনা ঘটিয়েছে ভারতীয় লেখকগন মোঘল শাসকদের বিরুদ্ধে।

৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আসলে প্রেম মানেই মহান কিছু নয় প্রেমিক মানেই মহান মনের কেউ নয় ! পোস্ট পড়ে আমি এটাই জানলাম !!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫৬

জুল ভার্ন বলেছেন: বিষয়টা দৃষ্টিভংগির....এবং যার জীবনে যেমন তেমন উপলব্ধির।

৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আমার মধ্যে কার ডিএনএ বিদ্যমান তা জানা দরকার; চেঙ্গিসের এই প্রেম কাহিনী শুনে চেঙ্গিস আমার ভিতরে কিছুটা ফিল্টার হলো।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫১

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার মধ্যে এই নিয়ে কোনো কৌতুহল নাই।
"জন্ম হােক যথা তথা, কর্ম হােক ভালাে।"
অথবা,
"নহে আশরাফ আছে যার শুধু বংশ পরিচয়,
সেই আশরাফ জীবন যার পুণ্য কর্মময়।"

৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১২

কামাল১৮ বলেছেন: আপনার সন্তানের গায়ে আছে আপনার ৫০% এবং আপনার স্ত্রীর ৫০% বংশধারা।এভাবে ১০/১২ পরে এর সম্ভাবনা ৫/৭ এর বেশি থাকে না।এভাবেই বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছে কোন কোন প্রজাতির ডিএনএ আমাদের রক্তে আছে।বিবর্তন প্রমানের এটাই সর্বোত্তম পন্হা।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫৬

জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের পাটের জিন বিজ্ঞানী ডক্টর মাকসুদুল আলম সাহেবের একটা নিবন্ধে পড়েছিলাম- 'যেকোন প্রজাতির বৈশিষ্ট্যসূচক সব তথ্য লেখা থাকে DNA তে, জিনের মাধ্যমে। এক একটা জিন হল ডিএনএ গঠনকারী নাইট্রোজেন ক্ষারক জোড়সমূহের (A--T ও G--C এর) এক একটা বিন্যাস , যেগুলি একএকটা বৈশিষ্ট্যকে প্রতিনিধিত্ব করে; যেমন কোন জিন হয়ত বলে দেয় কিভাবে রক্তের মাধ্যমে দেহে অক্সিজেন বহন করতে হবে, এখন যেসব জীবে এই প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন প্রবাহিত হয় দেখা যাবে সবার ডিএনএতে ঐ জিন আছে , অর্থাৎ সবার DNA এর একটা অংশের বিন্যাস একই রকম। কোন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমনে কোন কোষ কী আচরণ করবে কিংবা দিনের কতসময় ঘুমাতে হবে, জীবের সবকিছুই লেখা থাকে এইভাবে। যেহেতু একই প্রজাতির জীবের বৈশিষ্ট্য মোটামুটি এক; তাই তাদের ডিএনএতেও প্রায় একই জিন থাকে!'

৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:২০

কামাল১৮ বলেছেন: চেঙ্গিসের না মঙ্গলিয়ান জাতির বংশধারা।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫৬

জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

১০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০৩

বিটপি বলেছেন: চেঙ্গিসের জিঘাংসার শিকার ভারতীয়রা তেমন একটা হয়নি। দিল্লীর সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি তাদের ভারত আক্রমণের সমস্ত চেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়ে ভারতকে তাদের প্রতিহিংসা থেকে রক্ষা করেছিলেন। কিন্তু ককেশাস অঞ্চলের তুর্কি মুসলিম এবং হান ও মিং সম্প্রদায়ের চাইনিজ জনগোষ্ঠী চেঙ্গিস খানের ইতিহাস অভিন্ন ভাবেই বর্ণনা করে।

মুঘল নিয়ে ভারতীয়দের চুলকানির কারণ হল একমাত্র মুঘলরাই পুরো ভারতে আধিপত্য বিস্তার করার মত ক্ষমতা দেখিয়েছিল। এর আগে কোন হিন্দু রাজার পক্ষে যা সম্ভব হয়নি। মুঘলরা হিন্দুদের উপর কন অত্যাচার করেনি, বা তাদেরকে জোর করে ধর্মান্তরিত করেনি। তাদের দরবারে উচ্চ পদে হিন্দু সভাসদেরা থাকতেন। কিন্তু মুসলিম মুঘলগণ এক সময় গোটা ভারতবর্ষে রাজত্ব করত - এই ব্যাপারটা তারা সহজে নিতে পারেনি।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার এই ব্যাখ্যামূলক মন্তব্যের সাথে আমি সম্পুর্ণ একমত। আপনার প্রথম মন্তব্যের জবাবে আমি বলেছিলাম- মুসলিম তথা মুঘোল শাসকদের নিয়ে ভারতীয় ইতিহাসবিদদের যত লেখা তার ৯৮% সাম্প্রদায়িক চিন্তা ধারায় দেখা। যার সূত্র ধরেই বর্তমান বিজেপি সরকার মুসলিমদের উপর নারকীয় নির্যাতন চালাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.