নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
সন্তানকে মানুষ করা মানে কি?
ছেলে-মেয়েদেরকে 'মানুষ' করা মানে শুধু ভাল স্কুলে রেখে পড়াশোনা শিখিয়ে স্বাবলম্বী করে দেওয়া নয়; ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার অথবা বড় কোনো পেশাদার বানিয়ে রোজগেরে করে দেওয়াও নয়; মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের মধ্যে বাঁচতে শেখানোটাও ছেলে-মেয়েদেরকে মানুষ করার মধ্যেই পড়ে। সামাজিক জীব মানুষ যদি সামাজিক সৌজন্যতাই না জানল, যদি আন্তরিকতা-সহমর্মিতাই না জানল, তো সে কিসের মানুষ? একটা ছেলে অথবা একটা মেয়ে পড়াশোনাতে যত তুখোড়ই হোক, পেশাদারী জীবনে যত সফলই হোক, মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের মধ্যে বাঁচতে না শিখলে সে একপ্রকার অমানুষই থেকে যায়। কাণ্ডজ্ঞান হোক সকলের।
একটি শিশুর প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্র হচ্ছে তার পরিবার। বড় হয়ে সে যে পরিবেশেই শিক্ষা নিতে যাক কেন পারিবারিক শিক্ষার একটা প্রভাব তার মধ্যে সবসময় পরিলক্ষিত হয়। তাই প্রত্যেক মা বাবারই সন্তান প্রতিপালনে কিছু কথা মেনে চলা উচিত। যেমন-
সন্তানকে নিয়ন্ত্রিত আবেগের সঙ্গে লালনপালন করা:
মা-বাবা সন্তানকে খুব বেশি ভালোবাসবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সে ভালোবাসা যেন তার নিজের এবং অন্যের জন্য ক্ষতিকারক না হয় তা মনে রাখা উচিত। অতিরিক্ত আদরে সে যেন অন্যায় কোনো আবদার না করে বসে। তাই ছোটবেলা থেকেই তার এবং আপনার নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন।
অধিক শাসন করা থেকে বিরত থাকুন:
কখনোই সন্তানকে অতিরিক্ত শাসন করা উচিত নয়, কারণ অতিরিক্ত শাসন তাকে আপনার থেকে দূরে ঠেলে দেবে। আর সে আপনার কাছে সব কিছু লুকানোর চেষ্টা করবে, যা হয়তো আপনার সন্তানকে নিয়ে যেতে পারে কঠিন পরিণতির দিকে। সেক্ষেত্রে পারিবারিক সামাজিকবোধগুলো নিজেদের মধ্যে শেয়ার করুন।
বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করুন:
আপনিই হতে পারেন আপনার সন্তানের সবচেয়ে প্রিয় আর বিশ্বস্ত বন্ধু। অবসর সময়ে তার সঙ্গে আড্ডা দিন। খোঁজখবর নিন তার লেখাপড়া আর সহপাঠীদের সম্পর্কে। মাঝে মাঝে তাকে নিয়ে ঘুরতে যান। তাহলে সে আপনার সঙ্গে সহজ হতে পারবে আর সব কিছু শেয়ার করতে পারবে।
বড়দের শ্রদ্ধা আর ছোটদের স্নেহ করতে শেখান:
আপনার সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই বড়দের সম্মান আর ছোটদের আদর করতে শেখান। আর এ শিক্ষাটা তার পরিবার থেকেই শুরু করুন। পরিবারের বড়দের কথা মেনে চলা, ছোট ভাই বোনদের সঙ্গে জিনিসপত্র শেয়ার করার মানসিকতা পারস্পরিক সৌহার্দ্যতা বাড়ায়।
শৃঙ্খলা মেনে চলতে শেখান:
সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই উৎসাহ দিন নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতে। অনেকেই এটাকে পরাধীনতা মনে করে। আসলে নিয়ম মেনে চলা পরাধীনতা নয়। শৃঙ্খলা মানে হচ্ছে জীবনকে গুছিয়ে চলা, যা জীবনকে আরও সুন্দর ও পরিপাটি করে তুলে। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা এবং রাখা।
সন্তানকে নীতিগত শিক্ষা দিন:
ছোটবেলা থেকেই সন্তানকে নীতিগত শিক্ষা দিন। কখনোই সন্তানকে অন্যায় করতে উৎসাহ দেওয়া উচিত নয়। কারণ অন্যায়ের পরিণতি সব সময় খারাপ হয়। ভালো এবং মন্দের পার্থক্য বুঝতে, শিখতে দিন।
সন্তানকে যথাযথ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন:
অনেক বাবা-মা আছেন যারা অতিরিক্ত আবেগে ভুলে যান যে, তার সন্তান শুধু পারিবারিক গণ্ডিতেই জীবন পার করবে না। তাকে বড় হয়ে অনেক কিছু সামাল দিতে হবে। তাই আপনার সন্তানকে স্বাবলম্বী ও যথাযথ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। অন্য শিশুদের সাথে খেলাধূলা এবং মেলামেশার সুযোগ দিন।
টেকনোলজির শিক্ষা দিন সচেতনতার সঙ্গে:
বর্তমান সময়ে আধুনিক টেকনোলজি সম্পর্কে জানা খুব জুরুরি। তবে টেকনোলজি মানেই- দিনভর ভিডিও গেম আর কার্টুন দেখা নয়। কিন্তু আমাদের তরুণ সমাজ বেশির ভাগ সময়েই তার অপব্যবহার করে থাকে। তাই টেকনোলজির ব্যবহার সম্পর্কে আপনার সন্তানকে সচেতন করে তুলুন।
পরিশ্রমী হতে উৎসাহিত করুন:
অনেক মা-বাবাই ভাবেন আমার সন্তান কেন কষ্ট বা পরিশ্রম করবে। একটু ভেবে দেখুন, সে যে পরিশ্রম করবে বা করছে তার সুফল সে নিজেই উপভোগ করবে। যার ফলে সে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবে আর মানসিক প্রশান্তি পাবে। তাই সন্তানকে পরিশ্রম করতে উৎসাহ দিন। তার জীবন তাকেই উপভোগ করতে দিন। আপনার ইচ্ছে আর স্বপ্ন সন্তানের ওপর চাপিয়ে দেবেন না। যে ধরণের খেলাধূলায় কায়িক পরিশ্রম আছে- সেই ধরণের খেলাধূলায় উতসাহিত করুন।
এখন একটা সামাজিক শ্লোগান হচ্ছে- “আপনার শিশুকে না বলবেন না”!
এই বিষয়ে আমার ভিন্নমত আছে। অনেক আহ্লাদী মায়েরা তাদের সন্তানদের ছোটবেলায় শাসন করতে চান না। বলেন, “ও তো এখনো ছোট, বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে”। কিন্তু ছোটবেলা থেকে একটা শিশুকে ন্যায়-অন্যায়ের মানদন্ড যদি বাবামা না শেখায় তবে সে “ঠিক” হবে কি করে? একটা শিশু বেড়াতে গিয়ে অন্যের ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর করবে, আর শিশুটির মা মিষ্টি হাসি দিয়ে বলব, “ছোটবাচ্চা, ঠিক হয়ে যাবে?- কক্ষনো নয়!
আগুন দেখতে সুন্দর কিন্তু তা ধরলে হাত পুড়ে যায়- এই শিক্ষা শিশু বয়সেই শিখাতে, বোঝাতে হবে। মাঝে মাঝে ছোট ছোট বিপদের কাছাকাছি যেতে দিয়ে শিশুকে সচেতনতা শেখানো যায়। এতে সে বৃহত্তর বিপদ থেকে রক্ষা পায়। Responsibility বিষয়টা সবাইকে ছোটবেলা থেকেই শেখানো উচিত। একইভাবে এটাও নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন যে আমাদের শিশুরা টিভিতে কি দেখছে। Almost 70 of the Tom and Jerry cartoon shows that Tom is extensively addicted to the opposite sex. And he reacts strangely when he sees anyone of the opposite sex. Guardians are not weary of what it represents but the kids are watching this very easily with family! শিশুকে যে ধরণের রুচি দিয়ে বড় করা হবে তাই শিশুর ভালো মনে হবে।
(পুরনো পোস্ট নতুন করে)
০৭ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব।
২| ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: দারুন এবং শিক্ষনীয় নিবন্ধ এটা কোন সন্দেহ নেই।
আমি আমার সন্তানকে এমতেই লালন পালন করার চেষ্টা করছি দেখি বাকি কি হয়
০৭ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ফি আমানিল্লাহ।
৩| ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
দারুন পোস্টে +++
০৭ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২১
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। "না নোয়ালে কাঁচা বাশ পাকলে করে ঠাসঠাস" তাই সন্তানকে শিশু থেকেই শুরু করতে হবে প্রকৃত মানুষ বানানোর শিক্ষা দেওয়া।
০৭ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি অবাক হয়ে যাই- শিশু মনোবিজ্ঞানেদের শ্লোগান "আপনার শিশুকে না বলবেন না" দেখে!
৫| ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:১০
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন। আমরা সবাই বলি সন্তানকে ভাল 'মানুষ' হিসেবে গড়ে তুলতে হবে এবং এটাই চাই-ও। কিন্তু ভাল সন্তান গড়ার পূর্ব শর্ত হচ্ছে আগে নিজেরা ভাল বাবা-মা হতে হবে, কেবলমাত্র ভাল বাবা-মা-ই পারে ভাল সন্তান গড়ে তুলতে। আমার ইচ্ছে করে আমি ভাল বাবা-মা তৈরির জন্য একটা বিশাল একটি ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তুলি, যদিও কথাটিকে অনেকে পাগলের প্রলাপ মনে করবেন জানি।
০৭ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার ইচ্ছাকে পাগলের প্রলাপ ভাবার কোনো অবকাশ নাই। আপনার মহৎ উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে পারিবারিক প্রাথমিক শিক্ষার মধ্যেই। শুভ কামনা।
৬| ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৩০
নতুন বলেছেন: মানুষের আচার ব্যবহার কেমন হবে সেটা ৭/৮ বছর পযন্ত বাবা মায়ের কাছে থেকেই শেখে।
যদি সেই সময়ে আমরা সন্তানদের সঠিক শিক্ষা দিতে না পারি তবে তারা ভালো মানুষ হয়ে উঠবেনা।
লেখক বলেছেন: আমি অবাক হয়ে যাই- শিশু মনোবিজ্ঞানেদের শ্লোগান "আপনার শিশুকে না বলবেন না" দেখে!
বিষয়টা ঠিক ঐ রকমেনা। শিশুকে সরাসরি না করে দেওয়ার চেয়ে অন্য ভাবে তাদের বোঝানো উচিত।
যেমন ডানা সপিং মলে গিয়ে বলে " বাবা আমি এটা কিনতে পারবো?"
আমি বলি মা আমরা অন্য দিন কিনবো, তোমার লিস্টে রাখো।
যদি জিনিসটা ভালো হয় তবে অন্য দোকান থেকে ভালো দামে কিনে দেই। অথবা পরে বোঝায়ই যে ঐটা ভালো না বরং এই খেলনাটা ভালো বা এই জিনিসটা ঐটার থেকে ভালো।
বাচ্চারা অনেক সময় সরাসরি না জিনিসটা প্রোসেস করতে পারেনা, ওরা বোঝেনা এবং ইমোসনাল হয়ে যায়।
০৭ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আমি আসলে আপনার মতো সঠিক ভাবে লিখতে পারিনি। ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
৭| ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:২৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আশেপাশে দেখা যাচ্ছে,সন্তানরা বড় হচ্ছে,মানুষ হচ্ছে কিনা বলা যাচ্ছে না।
০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: বরং উচ্ছন্নে যাচ্ছে।
৮| ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৩৬
কামাল১৮ বলেছেন: ৭/৮ বছর যে বাবা-মার কাছে শিখবে,আগে দেখতে হবে বাবা -মা শিখাতে জানে কিনা।মা বাবাই যদি না জানে তবে সন্তানকে কি শিখাবে।আমরা ধরে নেই মা-বাবা জানে,এটাই ভুল।আগে মা-বাবাকে মানুষ হতে হবে তবেই সন্তান মানুষ হবে।
০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: যেমন পরিবেশ তেমন শিক্ষা হবে.....তবে ব্যতিক্রম আছে।
৯| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:০০
অনামিকাসুলতানা বলেছেন: শিক্ষনীয়। অনেক কিছু জানতে পারলাম।
০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল পোষ্ট +++