নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
বাংলাদেশের একজন রোগীর জন্য কমপক্ষে পাঁচ জন ডাক্তার!
বিশ্বাস হয়না?
তাহলে আপনার অফিসে, গলির কোনো টং দোকানে অর্থাৎ যেখানে অন্তত জনা পাঁচেক লোক আছে- সেখানে কাউকে বলবেন-'আমার মাথা ব্যথা করছে'/'আমার পেট খারাপ হয়েছে' কিম্বা আপনার আত্মীয়ের 'ক্যান্সার টেস্ট পজেটিভ হয়েছে'। সাথে সাথে উপস্থিত প্রত্যেকেই সব রোগের জন্য আপনাকে বিনা ভিজিটে হান্ড্রেড পার্সেন্ট গ্যারান্টি সহকারে কত্তগুলা ধন্বন্তরি দাওয়াই বাতলে দেবে!
ভেবে দেখেছেন - কেন এমন হয়?
কারণ, আমাদের দেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া মানেই দীর্ঘ প্রক্রিয়ার একটা যুদ্ধ, যে যুদ্ধে জয়ী হতে পকেটে টাকাতো থাকতেই হবে - উপরন্তু ধৈর্য, সময়, মানষিক স্নায়ুবিক শক্তিও থাকতে হবে। সরকারি হাসপাতালে ১০/১৫/২০ টাকার টিকেট কেটে দীর্ঘ লাইন ধরে 'বিশ্ববিখ্যাত ডাক্তার'এর ভাব ধরে বসে থাকা শিক্ষানবিশ উগ্র মেজাজের ডাক্তার রোগীর রোগ সমস্যা শোনার আগেই প্যারাসিটামল, এন্টাসিড, টুসকা, ফিলমেট, ফাইমক্সিল, সিপ্রোফ্লক্সাসিন অষুধের নাম আর একগাদা প্যাথলজিক্যাল টেস্টের টিক চিনহ দিয়ে হাতে ধরিয়ে দিবে। যে-কোন রোগের প্রায় একই প্রেশক্রিপশন! আর প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিকে যাবার আগে নিজেকে কোরবানির গরু ভেবেই যেতে হবে।
আমরা বেশীরভাগ মানুষই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ গুলোকে কোনো রোগই মনে করি না। অবশ্য রোগ মনে না করার কারণ যতটা না অসচেতনতা তার চাইতে অনেক বেশী আর্থিক। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আমরা দ্বিতীয় বার ডাক্তারের কাছে যাওয়ার ঝুঁকি না নিয়ে যক্ষের ধনের মতো রক্ষাকরা সেই পুরাতন প্রেশক্রিপশন বের করে নিজ বুদ্ধিতে নানান রকম অষুধতো খাই-ই, অন্য যেকারো অসুখের কথা শুনলেই মুখস্ত করে রাখা অষুধ খেতে অন্যদেরকেও উপদেশ দেই!
বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করা লোকেরা আরও এককাঠি সরেস! এই শ্রেণীর লোকেরা গুগল ঘেটেই নিজের জন্য এবং পরিবারের অসুস্থদের চিকিৎসা সেবার দায়িত্ব স্বেচ্ছায় পালন করছেন।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: বাস্তবতা।
২| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- রোগের চিকিৎসা দিতে আমরা উস্তাদ।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা সবাই ডাক্তার!
৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কথা সইত্য। আমার এক আত্মীয় আছে কারো কোন সমস্যা শুনলে উনি ঔষধের নাম সহ বলে দেন...
তবে ইন্টারনেট ঘেটে লক্ষণ বিচার করে আমি দুবার জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছিলাম যার একটা ছিলো এপেন্ডিসাইটিস।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার ওই ডাক্তার আত্মীয়ের মতো আমাদের ঘরে ঘরে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আছেন, এমনকি রাস্তাঘাটেও অভাব নাই।
৪| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
বাঙালী নিজের ভেতরে থাকা জ্ঞান প্রকাশ করতে চায়, কিন্তু জানে না এটা জ্ঞান নাকি বর্জ্য।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: অমন স্বঘোষিত সবজান্তা জ্ঞানী ব্লগেও একখান আছে।
৫| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
কামাল১৮ বলেছেন: এটাতো গোপাল ভাঁড়ের অনেক ভাঁড়ামির একটা।তবে যুক্তি আছে প্রমান সহ।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: তথ্যসূত্র চাননি সেজন্য ধন্যবাদ।
৬| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়। তবে ডাক্তার দেখানো এখন অনেক ব্যয়বহুল হয়ে গেছে। মানুষ নিরুপায় হয়ে হাতুরে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়।
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: অসুখের চাইতেও বেশী কষ্ট আর হ্যাপা- ডাক্তার দেখানো।
৭| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৫২
জ্যাকেল বলেছেন: মানুষ রেজি: ডাক্তারের চেয়ে ডিএমএফ'র কাছে যায় বেশি। কারন উনারা লোকদের কথা শুনেন।
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: এখন ডিএমএফ'রাও হ্যাডম দেখায়।
৮| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:১০
বিষাদ সময় বলেছেন: একজন দেশ বরেন্য ডাক্তারের কাছে গেলাম তার ওষুধ আর পরামর্শে বিছানায় পড়ার উপক্রম হলাম। তারপর গেলাম একজন সাধারণ এফসিপিএস এর কাছে। তারে ওষুধ খেয়ে অবস্থা আরও খারাপ হল। আবার জনাব এফসিপিএস এর কাছে গেলাম সব শুনে তিনি আমার ওপিনিয়ন চাইলেন তারপর আমার দেয়া সাজেশন ১০০০ টাকা নিয়ে একটু গুছিয়ে সাজিয়ে লিখে দিলেন। আমার বলা চিকিৎসা করে এখন একটু বেটার। আমাদের দেশের বেশিরভাগ ডাক্তারের জ্ঞান এবং সেবা দেয়ার মান এত খারাপ যে তাদের কাছ থেকে আর ওষুধের দোকানদারদের কাছ থেকে সেবা নিয়ে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় সমান।
আসলে এখন আমি সম্পূর্ণ বিশ্বাস করি যে সুস্থ করার মালিক সৃষ্টকর্তা আপনার দায়িত্ব শুধু চেষ্টা করে যাওয়া।
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: বছর পাঁচেক আগে আমি দেশের একজন প্রখ্যাত নাক কান গলা বিষেশজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে গিয়ে যে হ্যাপার মধ্যে পরেছিলাম- তা নিয়ে ফেসবুকে একটা পোস্ট দিয়ে একটা চিকিতসক সংগঠন থেকে 'মান হানীর মামলা' খাওয়ার উকিল নোটিশ পেয়েছিলাম! পরে স্যরি টরি বলে পোস্ট ডিলিট করে রক্ষা পেয়েছিলাম।
তবে দেশে অনেক ভালো ডাক্তার আছেন- কিন্তু তাদের অনেকের মধ্যেই পেশাদারিত্ব মনোভাব তৈরী হয়নাই। অনেক বড় ডাক্তারগনের এসিস্ট্যান্ট ডাক্তার রোগীর বর্ণনা শুনে- প্রেসক্রিপশন লিখে বড় ডাক্তারকে দেখিয়েই বড়ো ডাক্তারের ভিজিট পকেটস্থ্য করেন- যা অনৈতিক।
৯| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:১৬
শায়মা বলেছেন: ডক্টরকে আমি যত পারি এড়িয়ে চলি। তবে এবারে আমাকে ডক্টর ভূত ধরেছিলো। মেডিসিনে রিএকশন হয়ে আমার অবস্থা আরও খারাপ হলো।
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: দূর্ভাগ্যজনক ভাবে আমি ডাক্তার নির্ভর জীবনে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি!
১০| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো বলেছেন জুল ভার্ন ভাই।
তবে, একটু যোগ করি। বর্তমানে সবারই নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য কিছু প্রিলিমিনারি ডাক্তারি বিদ্যা থাকা আবশ্যক। সেজন্য অবশ্যই গুগলের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। মাথা ব্যথা, পেটে ব্যথা, বুকে ব্যথার কারণ কী? মাথা ঘোরানোর কারণ কী? গুগলে একটু সার্চ দিলেই ভরভর করে তথ্যগুলো চলে আসে। এটুকু স্টাডি করে ডাক্তারের কাছে গেলে ভালো হয়, একটা চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স থাকে। কোন ওষুধের কী কী সাইড ইফেক্ট, তা ব্রশিয়ারে না পাওয়া গেলে বা ব্রশিয়ার হাতের কাছে না থাকলে গুগলিং করে তা জানা যায় এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যায়। গুগল থেকে নিতে হবে বেসিক নলেজটুকু, বাকি কাজ করতে হবে প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী।
আমি বিগত বছরগুলোয় যেসব রোগের ভেতর দিয়ে এসেছি, গুগল আমার ডাক্তার নির্বাচনে ও ওষুধ সেবনে প্রচুর হেল্প করেছে।
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি প্রথমেই গুগল ঘেটে নিজের সমস্যা সম্পর্কে একটা ধারণা নেই। তারপর ডাক্তারের কাছে যাই। ক্রস চেক করার জন্য আমি অন্তত দুইজন ডাকাতার দেখাই। মজার ব্যপার হলো- প্রত্যেক ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ভিন্ন হয়(ঔষধের জেনেরিক নামের বাইরেও)!
১১| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
"বাংলাদেশের একজন রোগীর জন্য কমপক্ষে পাঁচ জন ডাক্তার!"
এই তথ্য আংশিক সত্য। আসল সত্য হলো, গুড়াগাড়া- পোলাপান বাদে দেশের আঠারো কোটি লোকের সবাই-ই ডাক্তার! কারন, কে কার চেয়ে বেশী পন্ডিত এটা জাহির করার জন্যে এ দেশের লোকেরা একপায়ে দাঁড়িয়েই থাকে।
পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাইজান, আপনার পরিক্ষা/নিরীক্ষা নির্ভুল।
১২| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকা শহরে ফার্মেসীর অভাব নেই। এই ব্যবসায় মনে হয় লাভ বেশি।
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ভেজালের দেশে অসুখ থাকবেই। কাজেই ঔষধের ব্যবসা চিরস্থায়ী।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:১৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাইজান যুক্তি অকাট্য নয়।