নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
একজন আদর্শ শিক্ষক...........
একজন তরুণ এক বয়োজ্যেষ্ঠর সাথে দেখা করে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন: “স্যার, আপনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন?”
বয়োজ্যেষ্ঠ বললেন, “না।”
তারপর যুবকটি তাঁকে বললেন যে তিনি তাঁর ছাত্র ছিলেন এবং শিক্ষক জিজ্ঞাসা করলেন: “তুমি এখন কী করো?”
যুবক উত্তর দেন: “স্যার, আমিও আপনার মতো একজন শিক্ষক হয়েছি।”
“বেশ, বেশ! খুব ভালো! আজকাল তরুণরা শিক্ষক হতেই চায় না।” বয়োজ্যেষ্ঠ মন্তব্য করলেন।
“হ্যাঁ স্যার। আমিও ছোটবেলায় শিক্ষক হতে চাইনি। আমি একজন শিক্ষক হয়েছি, কারণ আপনি আমাকে আপনার মতো হতে অনুপ্রাণিত করেছেন।”
বয়োজ্যেষ্ঠ কৌতূহলী হয়ে যুবকটিকে জিজ্ঞেস করেন, 'কোন সময়ে তিনি শিক্ষক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন'?
যুবকটি তাঁকে বলেন: “একদিন আমার এক সহপাঠী বন্ধু ক্লাসে একটি সুন্দর পকেট ঘড়ি নিয়ে এসেছিল। ঘড়িটা দেখে আমার লোভ হলো- এমন একটি ঘড়ি আমার চাই। আমি ঘড়িটি তার পকেট থেকে চুরি করি।”
কিছুক্ষণ পরে, আমার বন্ধু তার ঘড়ি না পেয়ে ক্লাস টিচারের কাছে অভিযোগ করে, আর আপনিই ছিলেন সেই ক্লাস টিচার।
আপনি ক্লাসে সবার উদ্দেশ্যে বললেন, “আজ ক্লাস চলাকালীন এই ছাত্রের ঘড়িটি চুরি হয়েছে। যে চুরি করেছে, দয়া করে ফিরিয়ে দাও। আমি তাকে কোনো শাস্তিই দিবো না।” তবুও আমি ঘড়িটা ফেরত দেইনি। প্রথম কারণ, এটা আমার খুবই ভালো লেগেছিলো। দ্বিতীয় কারণ, ঘড়িটা ফেরত দিলে সবাই আমাকে চোর বলে তিরস্কার করবে..."!
তারপর আপনি দরজা বন্ধ করে আমাদের সবাইকে উঠে দাঁড়িয়ে একটি বৃত্ত তৈরি করতে বলেছিলেন। ঘড়িটি না পাওয়া পর্যন্ত আপনি এক এক করে আমাদের সবার পকেট তল্লাশি করেছিলেন।
তল্লাশির সময় আপনি আমাদের চোখ বন্ধ করতে বলেছেন। আমরা আপনার নির্দেশ মেনে চোখ বন্ধ করেছিলাম।
আপনি সবার পকেটে হাত দিলেন এবং আমার পকেট থেকে ঘড়িটি খুঁজে পেয়েছিলেন।
ঘড়িটি পাওয়ার পরও আপনি অন্য সবার পকেট অনুসন্ধান করতে থাকেন এবং সবার পকেটে খোঁজা শেষ হলে আপনি বলেছিলেন, “সবাই চোখ খোলো। আমি ঘড়িটি পেয়েছি।”
আপনি আমাকে কিছুই বলেননি এবং কেবল সবার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “চুরি করা খারাপ কাজ।”
সবাই জানতে চেয়েছিলো, ঘড়িটি কে চুরি করেছে, কিন্তু আপনি নাম বলেননি। সেদিন আপনি আমার সম্মান রক্ষা করেছিলেন। ওটা আমার জীবনের সবচেয়ে লজ্জাজনক দিন ছিল।
কিন্তু ওই দিনেই সিদ্ধান্ত নিই, আমি আর কোনোদিন চুরি করবো না, খারাপ মানুষ হবো না।
এই ঘটনার পর আপনি কখনই আমাকে কিছু বলেননি, এমনকি আপনি আমাকে তিরস্কারও করেননি কিংবা নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য আমাকে আড়ালে ডেকে নিয়েও কিছু বলেননি।
আমার কাছে মনে হয়েছে, আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা মানুষ। আর সেরা মানুষেরাই শিক্ষক হন। আমিও সবসময় সেরা হতে চেয়েছি। এজন্য শিক্ষক হতে চেয়েছি। আপনাকে ধন্যবাদ স্যার। আপনার কারণেই আমি শিক্ষক হতে পেরেছি।
স্যার, আপনার কি সেই ঘড়ি চুরির কথা মনে আছে?
শিক্ষক উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, চুরি যাওয়া ঘড়ির কথা আমার মনে আছে। আমি সবার পকেটে খুঁজেছিলাম। খুঁজে পাওয়ার পরও আমি অন্যদের পকেটও খুঁজি! যেন কেউ বুঝতে না পারে, কে চুরি করেছে! তুমি না বললে আমি কোনোদিনই জানতাম না, তুমিই এটি করেছিলে। কারণ সবার পকেট তল্লাশির সময় আমিও চোখ বন্ধ রেখেছিলাম- যাতে আমি নিজেও না জানি, আমার কোন ছাত্রটি ঘড়িটা চুরি করেছে।”
(গল্পের পটভূমি শোনা, একটু গুছিয়ে উপস্থাপন করেছি পাঠকদের সুবিধার্থে)
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার গল্পের শিক্ষক হলেন সত্যিকারের শিক্ষক, আপনার বর্নিত শিক্ষককে কি বলা যায়- ভাবতেই পারছি না।
২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১০
প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর শিক্ষামূলক কাহিনী
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: কিন্তু আমাদের জীবনে এসব কাহিনী হয়েই থাকে, প্রয়োগ করিনা!
৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২৬
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: শিক্ষণীয়। তবে আমি আমাদের সময়ে(৭৩-৮২), ভালোর পাশাপাশি অল্প কিছু বদমেজাজি শিক্ষকও পেয়েছিলাম।
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২৩
জুল ভার্ন বলেছেন: এটাই নিয়ম- ভালোর মধ্যে মন্দ থাকবেই।
৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৪
জটিল ভাই বলেছেন:
ইনারই ছিলেন সোনার মানুষ গড়ার কারিগর ♥♥♥
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: অন্যদিকে আওয়ামী লীগের শিক্ষকরা হইল থিসিস চোর, প্রশ্নপত্র ফাঁস, লুচ্চা, চা ছপ সিংগাড়া।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৪
আজব লিংকন বলেছেন: অনুপ্রেরণা মূলক গল্প পড়ে ভাল লাগলো।
কেন জানি নেগেটিভ ভাইব ফিল করছি কারণ আমার প্রিয় একজন, ক্লাস ৮টে পড়া কালিন স্কুল পালিয়ে আড্ডা দিতে যাওয়ায় একজন শিক্ষক তাঁকে ধরে এনে টিসি দিয়ে দেয়। তারপর এক ইতিহাস ক্লাস ৯-এ সে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে। যাইহোক সবার বুঝজ্ঞান এক না। টিসি না দিলে হয়তো তারও জীবনটা শেষ হয়ে যেত না। এমন ভাল মানুষ শুধু গল্পেই পাওয়া যায়।