নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে.....

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০০

প্রতিযোগিতার এই দুনিয়ায় এখন আর কেউ নিজের মতো হতে চাই না, হতে চাই বিশ্ববরেণ্যদের মতো। শিশুকাল থেকেই শুরু হয় প্রতিযোগিতা। সব ছাত্রদের মাথায় জিপিএ ৫, গোল্ডেন পেতে হবে! সবাইকেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিস্টার, ম্যাজিস্ট্রেট, বিসিএস ক্যাডার হতেই হবে!
আমাদের প্রত্যেক ঘরে ঘরে Toppers আর Rankers চাই। প্রাকৃতিক নিয়ম চ্যালেঞ্জ করে সবাইকে লম্বা হতেই হবে, তা যেভাবেই হোক... ঘাড় টানতে টানতে মাথা ছিড়ে যাক- তবুও লম্বা হতে হবে!

(০১) আমরা ভুলে যাই- কয়েদী নাম্বার ৪৬৬৬৪, ২৭ বছর জেলে থাকার পরেও তিনি নোবেল শান্তি পুরষ্কার জিতেছেন- তিনি নেলসন মেন্ডেলা।

(০২) এক পিতৃপরিচয়হীন যুবক, তার থাকার নিজের কোনো ঘর ছিল না, বন্ধুদের রুমের মেঝেতে ঘুমাতেন। ফেলে দেওয়া কোকের বোতল কুড়িয়ে দিনে পাঁচ সেন্ট কামাই করতেন, যা দিয়ে খাবার কিনতেন। প্রতি রোববার রাতে তিনি সাত মাইল হেঁটে সেই দূরদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এক মন্দিরে যেতেন শুধু একবেলা ভালো খাবার খাওয়ার জন্য। তাঁর নাম- স্টিভ জবস। তিনি অ্যাপল, পিক্সার অ্যানিমেশন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও।

(০৩) বিল গেটস। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। তাঁকে বলা হয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সফল ড্রপ আউট। কিন্তু কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরির নেশায় তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাম কাটান। ড্রপ আউট হওয়ার সেই তিনিই ৩২ বছর পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন।

(০৪) এবার একজন এতিমের কথা বলি- ১১ বছর বয়সে এতিম হন। ১২ বছর বয়সে ঘর থেকে পালিয়ে যান। হতাশ হয়ে ১৯ বছর বয়সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। অনেক বিখ্যাত বইয়ের লেখন তিনি তার মধ্যে “আমার বিশ্ববিদ্যালয়” একটি, যদিও তিনি কোনদিন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা সুযোগ পান নাই। তিনি হলেন- বিখ্যাত লেখক, নাট্যকার এবং রাজনীতিবিদ;
-মাক্সিম গোর্কি।

(০৫) আরেকজন, বাবার সাথে মুদি দোকান করতো। পরিবারে এতই অভাব ছিলো যে, স্কুল নাগাদ পড়েই তাকে থেমে যেতে হয়েছিলো। সেই ব্যক্তিই একসময় হয়ে উঠে বিশ্বখ্যাত বিপ্লবী নেতা। তিনি হলেন- চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সেতুং।

(০৬) আমরা এমন একজনকে জানি, যিনি অভাবের তাড়নায় কুলিগিরি করতেন। একদিন বাসের কন্ডাক্টরের কাজের জন্য গেলে তাকে বের করে দেওয়া হয়। যে যুবকটি সামান্য অংক মেলাতে পারেনি বলে বাসের কন্ডাক্টর হতে পারেনি, পরবর্তীতে সে-ই হন ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী। তিনি হলেন- জন মেজর।

(০৭) আরেক ছেলের বাবা-মা এতটাই গরিব ছিলো যে, তার জন্মের পর নাম রেজিস্ট্রেশন ফিস ১ সেপ (এক টাকা) জোগাড় করতে দু’দিন দেরি হয়। সে-ই আজকের ফুটবল কিংবদন্তী ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো।

(০৮) বাবা ছিলো জেলে। ছেলেকে সাথে করে বাবা মাছ ধরতো কারন অন্য স্বাভাবিক আর ১০ জন থেকে তিনি পানির নিচে মাছকে খুব ভালোভাবে দেখতে পেতেন। সেই জেলের ছেলে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট সুপারস্টার। তিনি হলেন:
-জয়সুরিয়া।

(০৯) পড়ালেখায় মারাত্মক দুর্বল ছিলেন তিনি। কোনো কিছু মনে থাকত না। ক্লাসের শেষ বেঞ্চে বসে থাকতেন। ফেল করেছেন বারবার। ক্লার্ক এর চাকরিও করেছেন তিনি। সেই তিনিই পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছেন তিনি তার 'থিউরি অফ রিলিটিভিটি' দিয়ে। নোবেলও পেয়েছেন তিনি। তার নাম- আলবার্ট আইনস্টাইন।

(১০) ক্লাসের সবচেয়ে দুর্বল ছাত্র ছিলেন তিনি। স্কুল থেকে বহিস্কারও করা হয়েছিলো তাকে। তিনি পৃথিবী আলোকিত করেছেন তাঁর আবিষ্কার দিয়ে। তাঁর নাম- টমাস আলভা এডিসন।

(১১) শব্দগুলোকে তিনি উল্টা লিখতেন। পড়ালেখায় একদম শুন্য। উড়োজাহাজ আবিস্কারের ৪০০ বছর আগে তিনি উড়োজাহাজের মডেল এঁকে গেছেন। তিনি হলেন- লিওনার্ড ডা ভিঞ্চি।

(১২) পরীক্ষায় তিনি সবসময় ফেল। ২২টা একাডেমিক পুরষ্কার জিতেছেন জীবদ্দশায়। তিনি মিকি মাউস, ডোনাল্ড ডাক এর জন্মদাতা। মিকি মউসের গলার স্বর তার নিজের দেওয়া। তিনি হলেন-ওয়াল্ট ডিসনি।

(১৩) শব্দের খেলা তিনি বুজতেন না। 7 নাম্বারকে তিনি বলতেন উল্টা নাক!! এই স্প্যানিশ ভদ্রলোক একজন কবি, লেখক, পেইন্টার, কেমিস্ট, স্টেজ ডিজাইনার, ভাস্কর। তিনি হলেন- পাবলো পিকাসো।

আসলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষই ইউনিক, তার ভাবনাগুলো তার মতই। সবাই যা পারে, আমাকেও তা-ই পারতে হবে, এমন কথা নেই! শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে কেন? আমাদের সমস্যাটা এখানেই।

একটা কথা মনে রাখতে হবে, "ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে"! অতএব, আত্মবিশ্বাসী হোন, অনুকরণ নয়, ভালোটুকু অনুসরণ করুন।

(তথ্যগুলো সংগৃহিত এবং সর্বজন জ্ঞাত, লিখেছি নিজের মতো করে)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার লেখার থিম দিন দিন চিত্তাকর্ষক হয়ে উঠছে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৪

জুল ভার্ন বলেছেন: তাই নাকি!

বিরাট স্বীকৃতি!!

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩২

নীল আকাশ বলেছেন: ভালো লাগ্লো জেনে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বাংলাদেশে থেকে এদের থেকে কোন প্রফেশনটা নেয়া ঠিক হবে বলে মনে করেন?স্ট্রাগল করার জন্য হলেও?

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭

জুল ভার্ন বলেছেন: যারযার পেশায় সাফল্য লাভ করতে পারলে সব প্রফেশনই ভালো।

৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের স্কুলের কেজি ক্লাসের দেয়ালে লেখা ছিল 'ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে'। যে কবিতা থেকে এই বাক্যটি নেয়া হয়েছে সেটা নীচে দিলাম। 'আমরা নতুন আমরা কুড়ি' এই গান টিভিতে প্রায়ই শোনা যেত এককালে।

কিশোর (কবিতার নাম)

গোলাম মোস্তফা (কবির নাম)

আমরা নূতন, আমরা কুঁড়ি, নিখিল বন-নন্দনে,
ওষ্ঠে রাঙা হাসির রেখা, জীবন জাগে স্পন্দনে।
লক্ষ আশা অন্তরে
ঘুমিয়ে আছে মন্তরে
ঘুমিয়ে আছে বুকের ভাষা পাঁপড়ি-পাতার বন্ধনে।
সাগর-জলে পাল তুলে দে’ কেউ বা হবো নিরুদ্দেশ,
কলম্বাসের মতই বা কেউ পৌঁছে যাবো নূতন দেশ।
জাগবে সাড়া বিশ্বময়
এই বাঙালি নিঃস্ব নয়,
জ্ঞান-গরিমা শক্তি সাহস আজও এদের হয়নি শেষ।

কেউ বা হবো সেনানায়ক গড়বো নূতন সৈন্যদল,
সত্য-ন্যায়ের অস্ত্র ধরি, নাই বা থাকুক অন্য বল।
দেশমাতাকে পূজবো গো,
ব্যথীর ব্যথা বুঝবো গো,
ধন্য হবে দেশের মাটি, ধন্য হবে অন্নজল।

ভবিষ্যতের লক্ষ আশা মোদের মাঝে সন্তরে,
ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে।
আকাশ-আলোর আমরা সুত,
নূত বাণীর অগ্রদূত,
কতই কি যে করবো মোরা-নাইকো তার অন্ত-রে।…

আপনার পোস্টের শেষের কয়েকটি লাইন তাৎপর্যপূর্ণ।

আসলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষই ইউনিক, তার ভাবনাগুলো তার মতই। সবাই যা পারে, আমাকেও তা-ই পারতে হবে, এমন কথা নেই! শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে কেন? আমাদের সমস্যাটা এখানেই।

একটা কথা মনে রাখতে হবে, "ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে"! অতএব, আত্মবিশ্বাসী হোন, অনুকরণ নয়, ভালোটুকু অনুসরণ করুন।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৯

জুল ভার্ন বলেছেন: কী সুন্দর ছড়া কবিতা! এখনকার বেশীরভাগ কবি এবং কবিতার আধ্যাত্মিকতা বোঝা দায়!

৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: সবই বুঝলাম -তবুও ভাই ছেলে মেয়ের জিপিয়া ৫ পাইতে হবে। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হইতে হবে :)
এটা অনেকটা মৃত্যুর মত। সবাই জানি যে কোন সময় ঠুস হয়ে যাব, প্রকৃতির অমোঘ নিয়মের কোন পরিবর্তন হবে না। কিন্তু অসীম কল্পনার বাস্তবায়ন ও অঢেল সম্পত্তির অধিকারী যে কোন মুল্যে আমাকে হয়ে হবে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৪

জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে বিশ্বকর্পোরেট কালচারাল পাল্লায় পড়ে বৈষয়িক সাফল্যের জন্য আমরা আমাদের সৃজনশীলতা হারিয়ে ফেলেছি। যে যে পেশায়ই থাকি আমাদের একমাত্র টার্গেট- বিপুল পরিমাণ বিত্তবৈভবের মালিক হতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.