নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
এই ছবিটার গুরুত্ব অপরিসীম।
কেন জানেন, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের খোলনলচে বদলের ব্লু প্রিন্ট রচনার দায় তাদের কাধে। এই ছবিতে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি আর স্বাধীনতাকামীদের এক করে ফেলা হয়েছে। এর মাধ্যমে আবারো প্রমান হলো, ইতিহাস সব সময় বিজয়ীদের হাতে বিজিতদের কাপুরুত্ব, গ্লানী লেখা হয়। আর তাই, ইতিহাস সব সময় সময়ের পাঠ ধারণ করেনা। বাংলাদেশের চরিত্র বদলের এই যে অনমনীয় জেদ, বেপরোয়া মনোভাব এখন যারা দেখাচ্ছে, তাদের হাতে কিন্তু কোনো ম্যান্ডেট নেই। বাহাত্তরের সংবিধান প্রনয়নকারীদের হাতেও ছিলোনা। তখন যেমন গায়ের জোরে,সব কিছু হয়েছিলো, এখনো ঠিক তাই হচ্ছে। আরোপিত কিছু, কিম্বা জনগনের সম্মতিহীন কোন কিছুই দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই হয়না। ভারতীয় দালাল দুর্নীতিবাজ একনায়ক হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে জ্ঞাতি গুষ্টি সমেত প্রভু দেশে পালিয়ে গিয়ে সেটার প্রমান দিয়েছে। আর এখন,গায়ের জোরে, রাষ্ট্র সংস্কারের নামে অনেক কিছু করা হচ্ছে, যেগুলো যারা করছে তাদের কোনো ম্যান্ডেন্ট নেই।
ভুলে গেলে চলবেনা, জুলাই আন্দোলন হয়েছিলো দেশের সকল সাংবিধানিক সংস্থা ধ্বংস করে জবর দখল করে পনের বছর একটা রাষ্ট্রকে হাসিনা তার এজমালি সম্পত্তি বানিয়ে রেখেছিল বলে। দেশটাকে ভারতের হাতে তুলে দিয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের ষোলকলা পূর্ণ করার পর কতৃত্ববাদী হাসিনার হাত থেকে দেশের মানুষকে মুক্তি এবং স্বৈরচারী লুটেরা হাসিনাকে পরাজিত করাই ছিলো সেটার মূল লক্ষ্য। জুলাই কোনো বিপ্লব ছিলোনা। দেশের চরিত্র বদলে দেবার কোনো আগাম মেনিফেস্টোও তখন কেউ প্রকাশ্যে ঘোষনা করেনি। সুতরাং রাষ্ট্র সংস্কারের নামে এখন যেসব বৈপ্লবিক চিন্তাধারা দেশের মানুষকে জোর করে গেলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, সেটা জনগন মানবে কিনা,সেটা ভবিষ্যৎ ই বলবে।
জুলাই আন্দোলনকে সমর্থন করি। কিন্তু আন্দোলনকারীদের যা খুশী তাই করার সুযোগ নাই। তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই- একাত্তর মানে মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে, আমাদের জাতীয় জীবনে একটা ল্যান্ডমার্ক। একটা আত্মপরিচয়ের ভিত্তিমূল। অন্যদিকে ৩৬ জুলাই হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং আমাদের আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। তবে, একাত্তর তথা মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করে জুলাই আন্দোলনকে মহিয়ান করার যেকোন চেষ্টাকে নিন্দা করি। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধকে জনযুদ্ধ হিসেবে নতুন আখ্যা দেয়ার এই যে হীনচেষ্টা সেটারও প্রতিবাদ জানাই।
(বিশিষ্ট সাংবাদিক মুজতবা খন্দকার সাহেবের লেখা একটি নিবন্ধ থেকে সংকলিত)
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: সুবিধাবাদী ছুপা রুস্তম সাহেবের হঠাৎ বিএনপির প্রতি প্রেম উথলাইয়া উঠেছে!
২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:২৫
উদাসীন মেঘ ১২১৯ বলেছেন: চোর রাজবংশের হাতে পড়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজ ভূলন্ঠিত। ইতিহাসও চুরি হয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা 'স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি'নামধারী তস্কর আর লুটেরাদের দখলমুক্ত করতে হবে। সো জন্য যতোটুকু সংস্কার প্রয়োজন, সেটা করতে হবে। আমরা আর চুরি, লুটপাট জনগণের অধিকার হনন আর গুম-খুনের রাজত্ব দেখতে চাই না।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এটা ভুল ধারণা! যতই দিন যাবে ততই বুঝতে পারবেন।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: বলা যায় ব্লগের শুরু থেকেই আছি....এখানে কে কি- সেটা অন্তত বুঝি.....
৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:০১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সংস্কার বলতে ইসলামী চিন্তাবিদের ছ্দ্মাবরণে জামাত নেতাদের রাজনৈতিক সমাবেশ,বিএনপিকে গালাগাল আর লম্ফঝম্প ছাড়া আমিতো আর কোন অর্জন দেখিনা।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া প্রশাসনের সুবিধাভোগী সবাই এখন বিএনপি ঠেকাতে মরিয়া এবং সবাই এখন জামাতী।
৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩২
জটিল ভাই বলেছেন:
এভাবে কি শুধু আন্দোলনের ফলে আন্দোলনই চলবে?
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ছেলে বেলায় মানে ক্লাস টুতে একটা গল্প ছিলো (নাম মনে নেই) সেখানে চড়ুই পাখিদের আসা যাওয়া নিয়ে ফাহিম প্রশ্ন করে- "ফুড়ুৎ আর কতক্ষণ চলুবে"? উত্তরঃ 'যতক্ষণ চড়ুইপাখি আসা যাওয়া করিবে ততক্ষণ ফুড়ুৎ চলিবে"।
আমাদের দেশে আন্দোলন সংগ্রামও ততদিন চলিবে- যতদিন আমরা বাঁচিয়া থাকিবো।
৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৩৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: একাত্তরকে যারা অস্বীকার করে তাদের কথা গ্রহণযোগ্য নয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:০২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিএনপির নামে জামাত-সমন্বয়ক গং অপপ্রচার চালাচ্ছে যে বিএনপি সংস্কার চায় না শুধু দ্রুত নির্বাচন চায়। অথচ গতকাল আমেরিকার বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ভারতে যিনি দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি ও বলেছেন দ্রুত নির্বাচনের কথা। এখন জামাত-সমন্বয়ক গণ কি বলবে?
নাগরিক কমিটি নামে নতুন ছাত্রদের রাজনৈতিক সংগঠন আদিবাসীদের উপর হামলার জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছে। অথচ পরে দেখা গেল তাদের দলের একজন সদস্য আদিবাসী দের উপর হামলার সাথে জড়িত। ।