নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

৩৬ জুলাই আন্দোলনে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত রিপোর্টের সারাংশ.....

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৩৫

৩৬ জুলাই আন্দোলনে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত রিপোর্টের সারাংশ.....

৩৬ জুলাই আন্দোলনে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ১৪২ পৃষ্ঠার রিপোর্ট পড়লাম। লেডি হিটলারের গণহত্যা কিম্বা মানবাধিকার নিয়ে তদন্তের বিষয়ে না বলি। তবে জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনে ছাত্রদের সাথে আগে-পরে বিএনপি এবং জামায়াত ভূমিকা কি ছিল- সেই বিষয়ে
জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (OHCHR) তথ্য-উদ্ধার প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ এর সারাংশ তুলে ধরছিঃ-

বিএনপি (BNP) ২০২৪ সালের বিক্ষোভে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও সংগঠিত ভূমিকা পালন করেছে, যেখানে জামায়াতে ইসলামী (Jamaat-e-Islami) তুলনামূলকভাবে সীমিত ও বিচ্ছিন্নভাবে জড়িত ছিল।

১. বিএনপির ভূমিকা অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও সংগঠিতঃ
বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন দেয় এবং জাতীয় পর্যায়ে বিক্ষোভের ডাক দেয়।
২৬ জুলাই, ২০২৪ তারিখে বিএনপি “জাতীয় ঐক্যের” আহ্বান জানায় এবং সকল গণতান্ত্রিক দল, সামাজিক সংগঠন ও কর্মীদের শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে একত্রিত হতে বলে।
৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে “মার্চ অন ঢাকা” কর্মসূচিতে বিএনপির উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ছিল, যা সরাসরি শেখ হাসিনার পদত্যাগের পথ প্রশস্ত করে।
সরকার বিশেষভাবে বিএনপি'র নেতা ও কর্মীদের টার্গেট করে দমন-পীড়ন চালায়, যার মধ্যে গণগ্রেপ্তার, নির্যাতন এবং রাজনৈতিক দমননীতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

OHCHR- এর মূল্যায়ন অনুযায়ীঃ
* বিএনপি প্রতিবাদকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপান্তর করে এবং সরকারের পতনের দাবিকে জোরালো করে।

* বিএনপি আন্দোলনের প্রধান উদ্যোক্তা ছিল না (ছাত্ররাই আন্দোলন প্রধান ভূমিকা রেখেছে), তবে এটি প্রতিবাদকে সকল শ্রেণীর মানুষকে সম্পৃক্ত করে জাতীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয় এবং সরকারবিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে।

২. জামায়াতে ইসলামী’র ভূমিকা তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ ও বিচ্ছিন্ন ছিলো। জামায়াতে ইসলামীও বিক্ষোভকে সমর্থন জানায় এবং তাদের কর্মীদের অংশ নিতে উৎসাহিত করে, তবে তারা আন্দোলনের প্রকাশ্যে নেতৃত্বে ছিল না।
কিছু জামায়াত সদস্য সহিংসতায় জড়িত হয়, বিশেষত আওয়ামী লীগের কর্মী ও পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক আক্রমণে।

যদিও OHCHR-এর তদন্তে প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই বিক্ষোভ সংগঠিত করেছে বা সহিংসতা পরিচালনা করেছে।
৩০ জুলাই, ২০২৪ তারিখে সরকার জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং তাদের সদস্যদের ব্যাপকভাবে গ্রেপ্তার করে, যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

OHCHR-এর মূল্যায়ন অনুযায়ীঃ
* জামায়াতের ভূমিকা গৌণ ছিল, প্রধানত বিক্ষিপ্ত সদস্যদের অংশগ্রহণ ও স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সহিংসতার মধ্যে সীমাবদ্ধ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি শুধু এতটুকু বুঝি বিএনপি যদি ২৪ সালের নির্বাচনে যেত কারো পক্ষে সম্ভব ছিলো না শেখ হাসিনার পতন ঘটানো।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: অসম্ভব বলে কিছু নাইক, তবে আরো কয়েক বছর হাসিনার পক্ষ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত হতো।

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ব্লগার @ সৈয়দ কুতুব এর সংগে আমি শতভাগ সহমত।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৬

জুল ভার্ন বলেছেন: আংশিক একমত। কারণ, অসম্ভব বলে কিছু নাইক, তবে আরো কয়েক বছর হাসিনার পক্ষ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত হতো।

৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন:

দেখেন উপদেষ্টারা সরকারে থেকে কিভাবে বিএনপির পিছে লেগে আছে। এরা নিজেদের খুব হনু ভাবে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

জুল ভার্ন বলেছেন: উপদেষ্টা! "ছাল লাই কুত্তার বাঘা নাম"!

৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:০৪

কামাল১৮ বলেছেন: কোন দলকে নিষিদ্ধ করা যাবে না।সবার অংশ গ্রহনে গ্রহনে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে RABকে বিলুপ্ত করতে হবে।প্রতিটা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।যারা অন্যায় কাজে অংশ গ্রহন করেছে তাদের কে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে পাঠানো যাবে না।সরকারের জন্য আরো কিছু কঠোর সতর্ক বার্তা আছে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার অনুজ গাজী সাপের মতো আওয়ামী লীগকে অবশ্যই ব্যান করতে হবে, তা যে নামেই যতবার আসুক। অন্যগুলোয় আপত্তি নাই।

৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:১৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: কামাল১৮ , আওয়ামিলীগকে অন্তত সামনের কয়েক টার্মে আর নির্বাচন করতে দেয়া হবে না, এটা ক্লিয়ার। ডঃ ইউনুস সেই ব্যবস্থা করেই বিদায় নেবেন।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০৮

জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।

৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪৩

কামাল১৮ বলেছেন: @ঢাবিয়ান,তাকে বিদায় নিতে হবে দুই মাসের মধ্যে।হয় নিজে ক্ষমতা ছেড় চলে যাবে নয়তো জেলে যেতে হবে।তার যেটা পছন্দ।এই ব্যবস্থা প্রায় পাকা।এটা করবে আর্মি।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:১৪

জুল ভার্ন বলেছেন: প্রিয় অগ্রজ, আপনি গাজীর ছাতা টানতে টানতে আপনার জ্ঞান বুদ্ধি গাজীর চাইতে সোহা হাত নিচে নেমে গিয়েছে। ভাবের জগৎ ছেড়ে এবার অবসর নেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.