![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
'ওরা' পারেও....
২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর ফজরের ওয়াক্তে আমাকে আর Zahid Hassan কে র্যাব-১০ থেকে মিরপুর থানায় হস্তান্তর করে। সেই দিনই আমাদের কোর্টে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আনে।
অনেক দেনদরবার করে থানা হাজতে আমার আর জাহিদের 'ধোলাই খাড়া' কাটানো হয়েছে এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকায়....তার একটা বড়ো অংক আইও সাহেব ওসিকে দিয়েছে সেটার প্রমাণ পেয়েছি....
তারপরও মিরপুর থানার গোপালিশ ওসি কুখ্যাত দাদন ফকির, তাকে বিশ্বাস নাই! আমাদের আইও এস আই জাহাঙ্গীর সজ্জন অফিসার। আমার ভাগ্নে ওসিকে ফোন করে নিজের পরিচয় দেওয়ার সাথে সাথে ফোন কেটে দেয়। তারপর একাধিক বার ফোন করলেও রিসিভ করেনি। আইও'র ফোনে ওসি দাদন ফকিরকে একাধিক বার ভাগ্নে ফোন করেছিলো, কিন্তু সে ফোন রিসিভ করেনি। বরং ফোন লাইনে থাকা অবস্থায় দাদন ফকির বলেছিল- "বলে দাও আমি ডি আই জি হেডকোয়ার্টার, পুলিশ কমিশনার, আইজি এবং হোমমিনিষ্টার ছাড়া আর কারোর ফোন রিসিভ করি না!"
আইও'র সাথে কথা বলার পর আইও আস্বস্ত করেছে- আমাদের দুইজনের উপর জুলুম করা হবেনা। তারপরও ভাগ্নের প্রশাসনিক জেলার একটা থানার ওসি মিজান নামের একজন সিনিয়র ইনস্পেক্টর যিনি তখন পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কর্মরত তাকে মিরপুর থানায় পাঠায় আমাকে আর জাহিদকে দেখাশোনা করতে। ইনস্পেক্টর মিজান সাহেব ইউনিফর্মড প্রতিদিন বিকেলে থানায় এসে রাত এগারোটা পর্যন্ত ওসি দাদন ফকিরের রুমে বসে থাকেন। দাদন ফকির বিরক্ত হলেও কিছু বলে না, কারণ ইনস্পেক্টর মিজান তার অনেক সিনিয়র।
বিকেল থেকেই লক্ষ্য করি- থানা হাজতে কিছুক্ষণ পরপর পুলিশের এক একটা টিম ৪/৫ জন করে গ্রেফতার করে নিয়ে আসছে... জাহিদ সবার সাথে মুহুর্তেই খাতির জমিয়ে 'জিগিড়ী দোস্ত' বানিয়ে ফেলে! কাকে কোথা থেকে ধরে এনেছে, কে কোন দলের নেতা কর্মী সমর্থক- সব বের করে ফেলে। 'বিএনপি' হিসাবে যাদেরকে ধরে আনা হতো তাদেরকে বিএনপির অফিশিয়াল তালিকা থেকে রাজনৈতিক পরিচয়, পদ-পদবী নিশ্চিত হয়েই পুলিশ ধরতো, কাজেই তাদের রাজনৈতিক পরিচয় লুকানোর সুযোগ নাই, বরং আরও বেশী নির্যাতনের শিকার হবে জেনেও সবাই গর্ব করে নিজেকে বিএনপি পরিচয় দেয়। যাদেরকে সন্দেহ জনক ধরে আনতো তারা মাদক ব্যবসায়ী কিম্বা অন্য দলের হলেও প্রায় সবাই নিজেকে বিএনপি সমর্থক পরিচয় দিতো। যাদেরকে জা-শি বলে গ্রেফতার করে তারা নিজেদের নির্দলীয় পরিচয় দেয়!
জাহিদের অদ্ভুত এক ঘ্রাণশক্তি এবং অন্তর্দৃষ্টি আছে- বলে দিতে পারে কে আসল/ নকল বিএনপি! কেউ মিথ্যা পরিচয় দিলে জাহিদ ধরে ফেলতো।
সন্ধ্যা নাগাদ জামায়াত শিবির পরিচয়ে ৫ জনকে ধরে নিয়ে আসে- তাদের ৪ জন মনিপুর স্কুল/কলেজের শিক্ষক, ১ জন স্টাফ। যথারীতি তারাও নিজেদের অরাজনৈতিক পরিচয় দেয়। থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট, টি শার্ট পরিহিত একজন সুদর্শন বডি বিল্ডার শিক্ষক নিজেকে নাস্তিক পরিচয় দেয়। আমরা যখন যায়গা সংকুলান না হওয়ায় ভাগ ভাগ করে মাগরিব, এষার নামাজ আদায় করছিলাম তখন সেই নাস্তিক নামাজীদের অনেকটা তাচ্ছিল্য /অবজ্ঞা করে সিগারেট ফুকতে ছিলো...
যাইহোক, হাজতে ২৫/২৬ জন আসামি কষ্টকরে থাকতে পারলেও রাত এগারোটা নাগাদ সেই যায়গায় আসামি প্রায় একশো জন! এদিকে ধরে আনা লোকদের ২/৩ জন করে এক একজন আইও নিয়ে যায়, কিছুক্ষণ পর রক্তাক্ত অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসে। চলে টাকা পয়সার লেনদেন। (১) "কম টাকা, বেশী মাইর- কঠিন ধারায় মামলা, ১০ দিনের রিমান্ড।" (২) "বেশী টাকা- কম মাইর এবং মোটামুটি সহজ ধারায় মামলা, ২/৩ দিনের রিমান্ড।" (৩) অনেক বেশী টাকা দিলে কেউ কেউ ছাড়া পায়....
রাতে শতাধিক আসামি থাকলেও দিনের বেলা ৬০% কোর্টে চালান দিতো, আবার নতুন আসামিতে থানা গারদ উপচে পড়তো।
জাহিদ বিএনপির অনলাইন অফলাইনের সক্রিয় কর্মী। ওর বাসাও মনিপুর স্কুলের আসপাশে। মনিপুর স্কুলের শিক্ষক/স্টাফদের মধ্যে সবাইকেই জাহিদ জা-শি বলে শনাক্ত করেছে, যা গোপনে আমাকে জানিয়েছে। এমনকি যিনি নিজেকে নাস্তিক দাবী করেছে তাকেই জা-শি'র নেতা হিসেবে চিনহিত করেছে। গভীর রাতে স্বঘোষিত নাস্তিক শিক্ষককে বড়ো অংকের টাকার বিনিময়ে পুলিশ ছেড়ে দেয়। ওদের সাথে থাকা চারজনকে 'মিডিয়াম স্কেলে' ধোলাই দিয়ে সন্দেহজনক জা-শি বলে মামলা দেয়। যদিও ওরা কেউই নিজেকে জা-শি স্বীকার করেনি, এবং 'সাত আসমান জমিনের কসম' কেটে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ততাও অস্বীকার করে। মজার ব্যাপার হলো- মামলা দেওয়ার পর আমাদের কাছে নিজেদের জা-শি এবং নাস্তিক দাবী করা লোকটা ওদের নেতা (রোকন) বলেও স্বীকার করে!
কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। নাস্তিক দাবীদার জা-শি রোকন ভাইকে দিন পনেরো পর গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। জেলে এসে সেই লোক পুরোদস্তুর 'দীনি ভাই' হিসেবে রাজনৈতিক দীনিইলম কার্যক্রম পরিচালনা করেন!
১৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ওই স্কুল কলেজ গভর্নিং কমিটির একজন সদস্য একই কথা বলেছিলেন। ধন্যবাদ।
২| ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১
কু-ক-রা বলেছেন: উহারা (জা শি) ভন্ড।
১৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: তাহারাই এখন দেশের একমাত্র স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কর্তা দেশপ্রেমিক দল!
৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৫১
নতুন নকিব বলেছেন:
পুরো পোস্ট পড়লাম। বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন, যেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা, রাজনৈতিক গ্রেফতার, অবৈধ আর্থিক লেনদেন এবং পরিচয় লুকানোর কৌশল স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। এটি শুধু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নয়, বরং বৃহত্তর সামাজিক অবক্ষয়ের প্রতিফলন।
আইনের সুশাসন এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সকলের দায়িত্ব, যাতে নিরপরাধ কেউ হয়রানির শিকার না হয় এবং প্রকৃত অপরাধীরা আইনের আওতায় আসে। একটি দেশের পুলিশ প্রশাসন যদি খারাপ হয়ে যায় সেই দেশ যে অবক্ষয়ের কতটা নিম্নস্তরে পৌঁছুতে পারে, আপনার পোস্ট তার বাস্তব নমুনা।
ধন্যবাদ।
১৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার এমন বিশ্লেষণ মূলক মন্তব্য আমার পোস্টের স্বার্থকতা।
নিরন্তর শুভ কামনা।
৪| ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৫
কু-ক-রা বলেছেন: উহারা (জা শি) সুবিধাবাদি এবং চোর।
১৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: চোর কিনা জানিনা তবে সুবিধাবাদী এবং ভণ্ড- সেটা নিশ্চিত।
৫| ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:০১
কু-ক-রা বলেছেন: উহারা (জা শি) বৃহৎ অর্থে চোর, উহারা অন্যদের ক্রেডিট চুরি করিয়া রাজনীতি করে। যেমন উহারা ইসলাম ধর্মের ক্রেডিট চুরি করিয়া মউদুদিবাদের রাজনীতি করে।
১৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার বক্তব্যে অসত্য কিছু নাই।
৬| ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:২৭
নতুন বলেছেন: প্রতিটা থানাকে ১০০% সিসিটিভির আওতায় আনা উচিত।
যাতে করে থানায় বসে এমন দূনিতি করতে না পারে। মামলা করা অনলাইনে করতে হবে। পুলিশের দূনুতির জন্য একটা হটলাইন দরকার যেটাতে কল করে ইমেইল করে অভিযোগ করা যাবে। বিভাগ লেভেলের কর্মকতা সেটা প্রতিসপ্তায় তদন্দ করবেন।
অবশ্যই রাজনিতিক দল এবং সরকারের ইচ্ছা থাকলে পুলিশকে দূনিতি মুক্ত করা যায়। তখন তাদেরই চাপে থাকতে হবে। তাই তারা করে না। জনগন সাফার করে।
১৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: বলেছেন: যে দেশে 'রক্ষকই ভক্ষক', ডাইরেক্ট সর্বময় ক্ষমতাসীন ব্যক্তিই দুর্নীতির হোতা সেখানে সিস টিভি দিয়ে কি করবেন? বরং সিসি টিভি কিনতে, লাগাতেও টাকা চুরি করবে।
আমি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলায় জামিনে বের হওয়ার পরেও র্যাব-১০ থেকে আইও বারবার টাকার জন্য ডাকে...নিরুপায় হয়ে একাধিক বার টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি। কিছুদিন পর আবারও টাকা চায় এবং দেখা করতে বলে। এক পর্যায়ে আমি কৌশল করে তার বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠাই....। আইনানুসারে জামিনে থাকা অবস্থায় রিমান্ডে নেওয়ার কোনো আইনী সুযোগ নাই। তাই আমি আইও'র সাথে দেখা করিনি। আইও আমাকে আবারও রিমান্ডের জন্য বিচারিক আদালতে আবেদন জানায় এবং ম্যাজিস্ট্রেট রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করে। দেশের সব চাইতে বড়ো আইনজ্ঞ, আইনজীবীর মাধ্যমে আমি হাইকোর্টে রিট করি, কিন্তু হাইকোর্ট আমার রিট আবেদন খারিজ করে দেয়।
বর্তমান সরকারের সময় আমি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে আমাকে গুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে মামলা করি। অন্যান্য অভিযোগের সাথে আইও কে বিকাশে টাকা দেওয়ার লিখিত অভিযোগ দেই, কিন্তু গত চার মাসে সেই আইও কে জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করেনি।
৭| ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৭
রানার ব্লগ বলেছেন: অভিজ্ঞতা ভয়াবহ।
১৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন:
৮| ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪
নতুন বলেছেন: একটা দেশের নিরাপত্তা, আইন, সরকারী সকল বিভাগের মানুষই যদি দূনিতিগ্রস্থ হয় তবে সেই দেশ কিভাবে ভালো থাকে।
১৯ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: এই নিয়েই বাংলাদেশ, এভাবেই আমরা বেঁচে আছি।
৯| ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:০৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনি এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন শুনে সত্যিই অনেক কষ্ট পেলাম।
আপনি কি সরাসরি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন; না ব্যক্তিগত কারণে কেউ আপনাক হয়রানি করিয়েছে?
২০ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে এই প্রশ্নের জবাব দিতে হলে কিছুটা ভূমিকা বলতেই হয়।
এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষায় আমি ভালো রেজাল্ট করেছিলাম। জিয়াউর রহমান যখন কীর্তি ছাত্রদের (মেধা তালিকায় বোর্ড স্টান্ড, অনার্স- মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণী স্থান অধিকারীদের) পুরস্কার দিয়ে উতসাহ প্রদান করেন, তখন আমিও বংগ ভবনে তার হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করি। রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করতে ভংগ ভবনে যাওয়ার আগে সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্সে গোয়েন্দাদের রিপোর্টে আমার প্রোফাইলে উল্লেখ ছিলো- 'স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমি নবম শ্রেণির ছাত্র এবং সিনিয়র ক্যাডেটদের সাথে কলেজ পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করি। আমার বড়ো ভাই এবং চাচা মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার ছিলেন এবং দুজনেই খেতাব প্রাপ্ত মুক্তি যোদ্ধা।'- দেখে তিনি আমাকে পড়াশোনায় খুব উৎসাহ দেন এবং বলেন- "আমি আশা করি, ভবিষ্যতে তোমাদের মতো মেধাবী এবং সাহসীরা দেশের নেতৃত্বে আসবে''।
জিয়ার প্রতি আমার দুর্বলতা সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা I, Major Ziaur Rahman, do hereby proclaim the Independence of Bangladesh."-
শোনার পর থেকেই....তাকে সামনা-সামনি দেখে, কথা শুনে সেই মুগ্ধতা আরও বেড়ে যায়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের এনামুল করিম শহীদ-গোলাম হোসেন কমিটির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সদস্য হিসাবে শহীদ ভাই আমাকে অন্তর্ভুক্ত করে। দেশের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয়ে ছাত্রদল প্রতিষ্ঠায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নির্বাহী সদস্য হিসেবে ভুমিকা গ্রহণ করি। জিয়াউর রহমানের সাথে খালকাটা কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করি। হিজবুল বাহার জাহাজের ভ্রমণ সংগী ছিলাম। হিজবুল বাহারে ভ্রমণ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় এবং এই ব্লগে ২০০৮ সালে, ২০১৪ সালে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি। ছাত্রদল, বিএনপি'র কর্মী সমর্থক হিসেবে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করি, পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়েছি এবং গ্রেপ্তার হয়ে একাধিকবার থানা হাজত খেটেছি।
পরবর্তীতে সক্রিয় রাজনীতিতে না থেকেও প্রিন্ট মিডিয়ায় এবং ২০০৬ সাল থেকে ব্লগে এবং ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি বিএনপির পক্ষে ফেসবুক সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি অব্যাহত রাখি। অনলাইন ভিত্তিক জেড ফোর্স সাইবার ট্রুপসের সক্রিয় সদস্য হিসেবে লেখালেখি করেছি। অনলাইন এক্টিভিস্ট হিসাবে ২০১২ সাল থেকে শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করি এবং একাধিক বার পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়েছি। যখন বিএনপির সকল প্রকার রাজনৈতিক কার্যক্রমের উপর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার এবং আওয়ামী লাঠিয়াল বাহিনীর অলিখিত নিষেধাজ্ঞা ছিলো- তখনও লেখালেখি করেছি। বিএনপি তে আমার কোনো পদ-পদবী নাই।৷
আর হ্যা, আমি কাউকে শত্রু মনে করিনা, তবে দলের অনেকের কাছেই আমি অপ্রিয় এবং ঈর্ষার শিকার হয়ে ছিলাম আছি।
১০| ২০ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:২৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বিরোধী দল/মত দমন বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্র্যাকটিস, গত ১৫ বছরে আপনার মত এমন হাজারো বিএনপি কর্মী/সমর্থক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে। শুনতেছি এখন সেই বিএনপি'ই নাকি আওয়ামীলীগের সাথে আতত করতেছে, আসলে রাজনৈতিক দলগুলো মাঠ পর্যায়ের কর্মী-সমর্থকদের গিণিপগ ছাড়া আর কিছুই মনে করা, একজন যাবে আরও হাজার জন আসবে সুতরাং যাকে যেভাবে খুশি ব্যবহার করে ফায়দা লুটো এই হচ্ছে অবস্থা আরকি। মাঠ পর্যায়ের কর্মী-সমর্থকদের এরা জাস্ট চুলোর লাকড়ী হিসেবে ব্যবহার করে।
যাই হোক, আপনাকে নির্যাতনের জন্য জন্য যে সকল পুলিশ/র্যাব কর্মকর্তা জাড়িত তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেয়ার এখনই উত্তম সময়, খোঁজ নিয়ে দেখেন তাদের বিরুদ্ধে হাজারো মানুষের ক্ষোভ আছে, মানুষের এই ক্ষোভকে আপনি মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা কখনোই ফিরবে না কারণ-- চোর, ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ীরা হচ্ছ এদের বন্ধু আর সাধারণ জনগণ হচ্ছে শত্রু।
২০ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি যা বলেছেন তা মিথ্যা নয়। সমস্যা আসলে আমাদের মতো কিছু দল পাগল কর্মী সমর্থকদেরই। আমাদের কাছে বিএনপি হচ্ছে আমাদের শরীরে, মন ও মননে শেকড় গেড়ে বসা এক ক্যান্সার। আমৃত্যু আমরা এই অসুখ থেকে বের হতে পারবোনা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে একমত। মনিপুর স্কুলের অনেক শিক্ষক জা-শি!